চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়া যুবলীগের আহ্বায়কসহ তিনজনকে সংগঠনের শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে জেলা যুবলীগের সভাপতি শাহানুর ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম ফেরদৌসের সই করা পত্রে এ নির্দেশ দেন।
নোটিশে উল্লেখ করা হয়ে, যুবলীগ একটি ঐতিহ্যবাহী সুশৃঙ্খল সংগঠন। এ সংগঠনের ভাবমূর্তি বজায় রাখা প্রত্যেক নেতাকর্মীর নৈতিক ও সাংগঠনিক দায়িত্ব। আখাউড়া উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক তাকজিল খলিফা কাজল, যুগ্ম-আহ্বায়ক এ কে এম আতাউর রহমান নাজিম ও মো. আব্দুল মমিন বাবুলের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় নির্দেশ অমান্য, গঠনতন্ত্র লঙ্ঘন, স্বেচ্ছাচারিতা ও নিয়ম বহির্ভূতভাবে ৩০ এপ্রিল উপজেলার অন্তর্গত আখাউড়া পৌরসভা, আখাউড়া উত্তর, আখাউড়া দক্ষিণ, মনিয়ন্দ, মোগড়া ও ধরখার ইউনিয়নের কমিটি গঠনের অভিযোগ আছে। এতে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ, সংগঠনের ভাবমূর্তি ক্ষুদ্র ও বিনষ্ট হয়েছে বলে প্রতীয়মান হয়।
এ অবস্থায় তাদের বিরুদ্ধে কেন সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তা ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে লিখিতভাবে জেলা যুবলীগের সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক বরাবর যথাযথ কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম ফেরদৌস বলেন, তারা আখাউড়া পৌর যুবলীগসহ সব ইউনিয়নের কমিটি ভেঙে সেদিনই পুনরায় কমিটি দিয়েছেন। এ নিয়ে কেন্দ্রীয় ও জেলা যুবলীগের সঙ্গে কোনো ধরনের আলোচনা হয়নি। তাই কেন্দ্রীয় যুবলীগের নির্দেশনা অনুযায়ী আখাউড়া যুবলীগের তিন নেতাকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে।
আখাউড়া উপজেলার যুবলীগের আহ্বায়ক ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল কারণ দর্শানোর নোটিশ পাওয়া কথা স্বীকার করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনিত প্রার্থী আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের নির্বাচনী অফিস উদ্বোধন উপলক্ষে দোয়া ও মিলাদ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় পৌরশহরের খড়মপুরে কেন্দ্র কমিটির অফিসে দোয়া ও মিলাদ পড়ানো হয়। অনুষ্ঠানে আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেকাকর্মীরা উপস্থিত ছিল।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিল পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাড. আব্দুল্লাহ ভূইয়া বাদল, সাধারণ সম্পাদক কাজী লিটন খাদেম, কেন্দ্র কমিটির আহবায়ক আবুল হাসেম খান খাদেম, সদস্য সচিব মাজার কমিটির সেক্রেটারি মোঃ রফিকুল ইসলাম খাদেম, আওয়ামীলীগ নেতা মোবাশ্বের খাদেম শিরু, নওশের খাদেম, ছগির আহমেদ প্রমুখ।
দোয়া পাঠ করেন খড়মপুর মাজার জামে মসজিদের খতীয় হাফেজ মাওঃ লুৎফুর রহমান খাদেম। এসময় আনিসুল হকের সুস্থতা কামনা এবং তাঁর বিজয়ের জন্য দোয়া করা হয়।
উল্লেখ্য, কসবা-আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪) আসনে তিনজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন আওয়ামীলীগ মনোনিত প্রার্থী আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, এনপিপি’র শাহীন খান ও তরিকত ফেডারেশনের ছৈয়দ জাফরুল কুদ্দুছ।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল একে এম নাজমুল হাসান বলেন, মাদক চোরাচালান সহ সীমান্ত হত্যা কমিয়ে নিয়ে আসার জন্য আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। মাদক ও চোরাচালানের বিরুদ্ধে আমাদের জিরু টলারেন্স।
তিনি আরো বলেন, আমাদের পক্ষে থেকে চেষ্টা করছি মাদক যেন সীমান্ত দিয়ে কোনভাবে আমাদের দেশে প্রবেশ করতে না পারে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহন করেছে। আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম যেন মাদকের মাধ্যমে ধ্বংস না হয়ে যায় সেইটি আমাদের মূল লক্ষ্য থাকবে। সীমন্ত দিয়ে মাছের বিনিময়ে মাদক আসে এই বিষয়টি অনাকাঙ্ক্ষিত। আমরা চাই কোন অবস্থাতে যেন কোন মাদক না আসে।
আজ ০১ মার্চ বুধবার দুপুরে আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় সীমান্ত হত্যা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি আরো বলেন, সীমান্ত হত্যা কারোর ই কম্য না, কখন কোন পরিস্থিতি কোন ঘটনা ঘটছে, কারোর কাঙ্খিত না একটা জীবন মেরে ফেলুক, তারাও চাই না আমরাও চাই না। তারাও চাই আমরাও চাই সীমান্ত হত্যা যতটুকু নিচে নামিয়ে আনা যায়।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনি (বিএসএফ) এর বাধার মুখে কসবা রেলস্টেশন ও সালদা নদীর ব্রিজের কাজ বন্ধ থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে বিজিবি মহাপরিচালক আরো বলেন, ২০১৬ সালে কাজটি শুরু হেেয় ২০২০ সালে কাজটা বন্ধ হয়ে পরেছিল। এখন আমরা চেষ্টা করছি দ্রুত যেন সমাধান হয়ে যায়। আমাদের সর্বোচ্চ পর্যায়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পরে আমার পক্ষে থেকে বিএসএফ সহ সংশ্লিষ্ট সবার সাথে অফিসিয়ালি যোগাযোগ হয়েছে। আমরা আশা করছি খুব দ্রুত একটি পজিটিভ ফলাফল আসবে এবং কসবা ও সালদা নদীর রেলওয়ে যে প্রজেক্ট আছে সেগুলোতে খুব দ্রুত এর কর্যক্রম শুরু হবে।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কে এম আজাদ ব্যুরো চিফ বিএসবি, লেফটেন্যান্ট কর্ণেল, মোহম্মদ আমির মজিদ পরিচালক বিএসবি, লেফটেন্যান্ট কর্ণেল তসলিম এহসান, লেফটেন্যান্ট কর্ণেল, মহিউদ্দিন পিএস টু ডিজি, মেজর, ফা – মিম আদনান এডিসি, সুলতানপুর ৬০ বিজিবি ব্যাটালিয়ানের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্ণেল মোহাম্মদ আশিক হাসান উল্লাহ, ২৫ বিজিবি সরাইলের রিজিওন কমান্টার ব্রিঃ জেঃ শহিদুল ইসলাম প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে প্রথমবারের মতো ভারত থেকে মসুর ডাল আমদানি করা হয়েছে। গতকাল সোমবার দুপুরে ভারত থেকে মসুর ডাল বোঝাই একটি ট্রাক আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। এই ট্রাকে ৫ টন মসুর ডাল আমদানি হয়েছে বলে স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
এই ডাল আমদানীর সিএন্ডএফ এজেন্ট আদনান ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের মালিক মো: আক্তার হোসেন জানান, সোমবার দুপুরে ২টায় প্রথমবারের মত আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে মসুর ডাল আমদানী হয়েছে। ভারতের এমটিই নামে এক রফতানী কারক প্রতিষ্ঠান এই বন্দর দিয়ে বাংলাদেশে ডাল রফতানী করেছে। আমদানী করেছে রাজধানী ঢাকার এশিয়ান ট্রেড ইন্টান্যাশনাল নামে একটি প্রতিষ্ঠান। তিনি আরো বলেন, প্রতি টন মসুর ডালের আমদানী মূল্য ধরা হয়েছে ৯০০ ডলার।
স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ বলেছেন, ভারত থেকে ৫ টন মসুর ডাল আমদানি হয়েছে। আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে মসুর ডাল আমদানির বিষয়ের সব কাগজপত্র যাচাই-বাছাই হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়া উপজেলার উত্তর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ মুজিবুর রহমান নান্নুকে (৬০) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল রবিবার রাতে উত্তর ইউনিয়নের কৌড়াতলী এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি ওই এলাকার গোলাম আলীর ছেলে।
আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ ছমিউদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, একটি বিস্ফোরক মামলায় মুজিবুর রহমানকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে আজ ১০ ফেব্রুয়ারি সোমবার সকালে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মোঃ জিল্লুর রহমান চৌধুরী আখাউড়া স্থলবন্দর পরিদর্শন করেছেন।
আজ ২০ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার দুপুরে সাড়ে ১২টায় তিনি আখাউড়া স্থলবন্দরে এসে পৌঁছেন।
এসময় স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য জাহাঙ্গীর কবির ও তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোঃ হাসান আলী সঙ্গে ছিলেন। তিনি স্থলবন্দর, শুল্ক ষ্টেশন, ইমিগ্রেশন এলাকা ঘুরে দেখেন। সীমান্তের শূণ্য রেখায় পর্যন্ত গিয়ে বন্দরের অবকাঠামোসহ বিভিন্ন বিষয়ে খোঁজ খবর নেন এবং সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলেন। এসময় বন্দরের ব্যবসায়ীদের সাথেও কথা বলেন। ব্যবসায়ীরাও তাদের সুযোগ-সুবিধার কথা বন্দর চেয়ারম্যানকে অবকগত করেন।
পরিদর্শন শেষে স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মোঃ জিল্লুর রহমান চৌধুরী বলেন, সরেজমিনে আখাউড়া স্থলবন্দর দেখতে এসেছি। এ বন্দরে ১৫ একর জায়গা রয়েছে। এরমধ্যে কিছু জায়গায় উন্নয়ন করা হয়েছে। বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ একটি প্রজেক্ট নিয়েছে। এ প্রজেক্টের আওতায় আখাউড়া স্থলবন্দর এবং তামাবিল স্থলবন্দরে ২১৭ কোটি টাকায় উন্নয়ন কাজ করা হবে। দ্রুত এর এ কাজ শুরু হবে। কাজ শেষ হলে আখাউড়া স্থল বন্দরে বিরাট পরিবর্তন আসবে। ফলে এখানে ব্যবসার আকার এবং সুযোগ অনেক বেশি হবে। ২০২৫ সালের মধ্যে প্রজেক্টি শেষ হবে বলে তিনি জানান।
স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য ও প্রজেক্ট পরিচালক জাহাঙ্গীর কবির জানান, এখানে পাকা ইয়ার্ড, গুদাম, কাঁচামালের পার্কিং, ওয়েব্রীজ, ট্রান্সশিপমেন্ট শেড, বিভিন্ন সরকারি সংস্থার অফিস এবং আবাসনের ব্যবস্থা করা হবে। যাতে ব্যবসায়ীরা খুব সহজে সকল সেবা নিতে পারেন।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাবেয়া আক্তার, আখাউড়া স্থলবন্দরের সহকারি পরিচালক মাহমুদুর রহমান, সিএন্ডএফ এজেন্ট সভাপতি হাসিবুল হাসান, সাধারণ সম্পাদক মোঃ ফোরকান খলিফা, ব্যবায়ী নেছার উদ্দিন ভূঁইয়া প্রমুখ।