অভিনয় থেকে দূরে থাকার কারণ জানালেন এমা

বিনোদন, 3 May 2023, 1022 Views,

বিনোদন ডেস্ক :
ইংরেজ অভিনেত্রী এমা ওয়াটসন। ২০০১ সালে ‘হ্যারি পটার’ ছবির মাধ্যমে বড়পর্দায় তার অভিষেক হয়।

এমা দীর্ঘদিন অভিনয় করছেন না। অভিনয়ের বিষয়ে তিনি ‘ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে’ জানান, তিনি অভিনয় পেশায় তেমন খুশি নন।

২০১৮ সালের ডিসেম্বরে ‘লিটন উইমেন’ ছবির কাজ শেষ করেন। এরপর তাকে আর কোনো সিনেমায় অভিনয় করতে দেখা যায়নি।

২০২৩ সালের শেষে অভিনয় থেকে বিরতি নেওয়ার পাঁচ বছর পূর্ণ হবে তার।

এমা ওয়াটসন বলেন, আমার মনে হয়, আমাকে একটা জায়গায় আবদ্ধ করে রাখার অনুভূতি হয়েছিল। সবচেয়ে কঠিন কাজ মনে হয়েছিল এই যে, আমাকে বাইরে সবার কাছে এমন একটা জিনিস বিক্রি করতে হবে, যার ওপর আমার নিজের তেমন নিয়ন্ত্রণ নেই। একটা সিনেমা করতে যাওয়া এবং সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখোমুখি হওয়া ও বিভিন্ন বিষয়ে মুখপাত্র হিসেবে কাজ করা আমার জন্য খুবই কঠিন ছিল।

হ্যারি পটার অভিনেত্রী আরো বলেন, ‘আমি উপলব্ধি করলাম যে, আমি এমন সব বিষয়ের মুখোমুখি হতে চাইতাম যেখানে আমার কাজের জন্য সমালোচনা করা হবে ঠিকই, কিন্তু এমনভাবে না যে, আমি নিজে নিজেকে ঘৃণা করব। হ্যাঁ, আমি অনেক কিছু নষ্ট করেছি, এটা আমার নিজেরই সিদ্ধান্ত ছিল, আমার আরও ভালোভাবে কাজ করা উচিত ছিল যদিও।’

এমা বলেন, ‘আপাতত আমি চুপচাপ বসে সঠিক সুযোগের অপেক্ষায় থাকতে চাই। আমি যা করছি সেটা আমার খুবই পছন্দের। নিজেকে ভেঙে অসংখ্য মানুষ ও চেহারায় রূপ দিতে হবে না- এমনটাই চাচ্ছি আমি। আর রোবট মোডে চলে গিয়ে কাজ করতেও চাই না আমি।’

এমা ‘হ্যারি পটার’ ছাড়াও ‘নোয়া’, ‘দ্য পার্কস অব বিইং আ ওয়ালফ্লাওয়ার’, ‘দ্য ব্লিং রিং’, ‘বিউটি অ্যান্ড দ্য বিস্ট’, ‘লিটন উইমেন’সহ কিছু ছবিতে অভিনয় করেছেন।

‘লিটল উইমেন’ চলচ্চিত্রটি বেস্ট পিকচারসহ ছয়টি শাখায় মনোনয়ন পেয়েছে।

Leave a Reply

আশুগঞ্জে ইয়াবা ও প্রাইভেটকারসহ ৩জন গ্রেফতার

চলারপথে রিপোর্ট : আশুগঞ্জ উপজেলা পুলিশের বিশেষ অভিযানে ২ হাজার Read more

চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজির ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সফর

চলারপথে রিপোর্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সফর করেছেন চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মো. Read more

গাঁজা ও পিকআপসহ গ্রেফতার ১

চলারপথে রিপোর্ট: আশুগঞ্জে সাড়ে ১২ কেজি গাঁজা ও একটি পিকআপসহ Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের গঠনতন্ত্র সংশোধন বিষয়ক বিশেষ…

চলারপথে রিপোর্ট : কোন রাজনৈতিক সংগঠনে পদ-পদবী রেখে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস Read more

কিশোর-কিশোরী ও নারী উন্নয়নে উঠান বৈঠক…

চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা তথ্য অফিসের উদ্যোগে তথ্য ও Read more

আখাউড়া স্থলবন্দরে স্ত্রীসহ স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা…

চলারপথে রিপোর্ট : আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে যাওয়ার সময় স্ত্রীসহ Read more

নবীনগরে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে অস্ত্রসহ চার ডাকাত…

চলারপথে রিপোর্ট : নবীনগরে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে চার ডাকাতকে গ্রেফতার করেছে Read more

পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের মতবিনিময় সভা

চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) উদ্যোগে মতবিনিময় Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বাস মিনিবাস মালিক সমিতির…

উৎসবমূখর পরিবেশে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখা Read more

ফেনসিডিলসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার

কসবায় ১৫২ বোতল ফেনসিডিলসহ রাজু আহমেদ (২৬) নামে একজনকে গ্রেফতার Read more

নবীনগর প্রেসক্লাবের ৩৯ তম বর্ষে পদার্পণ…

চলারপথে রিপোর্ট : নবীনগর প্রেসক্লাবের ৩৮ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ও Read more

লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশনে প্রেস মিনিস্টার হিসেবে…

অনলাইন ডেস্ক : যুক্তরাজ্যের লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশনে প্রেস উইংয়ে মিনিস্টার Read more

তানজিন তিশার আত্মহত্যার চেষ্টা!

বিনোদন, 16 November 2023, 488 Views,

বিনোদন ডেস্ক :
ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী তানজিন তিশা আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। এমন গুঞ্জন গত মধ্যরাত থেকে ছড়িয়ে পড়ে। রাতে ঘুমের ওষুধ খেয়ে তিনি আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন বলে জানা গেছে।

একটি সূত্র জানায়, গতকাল বুধবার রাজারবাগের বাসায় এ অভিনেত্রী ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। পরে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়।

আরো জানা যায়, ছোট পর্দার আরেক জনপ্রিয় অভিনেতা মুশফিক আর ফারহানের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে তিশার। মান-অভিমানের এক পর্যায়ে নিজের বাসাতেই আত্মহত্যার চেষ্টা করেন তিশা।

বর্তমানে এই অভিনেত্রী ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

এ প্রসঙ্গে জানতে সকাল থেকে মুশফিক আর ফারহান ও তিশার নম্বরে একাধিকবার কল করা হলেও তারা সাড়া দেননি।

ঐতিহাসিক টেস্ট জয় বাংলাদেশের

বিনোদন, 25 August 2024, 133 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
প্রথম ইনিংসে ১৯১ রানের ইনিংসের জন্য ম্যাচসেরা হয়েছেন মুশফিকুর রহিম। এটা তাঁর সবচেয়ে সুন্দর ইনিংসগুলোর একটি, বলেছেন মুশফিক। এ জয়ের জন্য সব খেলোয়াড়কেই কৃতিত্ব দিয়েছেন তিনি, বিশেষ করে এ সিরিজের জন্য তাঁরা যেভাবে প্রস্তুতি নিয়েছেন সেজন্য। ম্যাচসেরার প্রাইজমানি বন্যার্তদের সহায়তায় দান করে দেবেন বলেও জানিয়েছেন বাংলাদেশের অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান।

২০০৩ সাল। মুলতানে পরাক্রমশালী পাকিস্তানকে হারানোর সুযোগ এসেছিল। টেস্টে তখন বাংলাদেশ ‘হাঁটি হাঁটি পা পা’। মোহাম্মদ রফিক ‘অনৈতিক’ ভেবে মানকাডিং না করায় সেবার ১ উইকেটে হেরেছিলেন হাবিবুল বাশার-খালেদ মাহমুদরা। ২১ বছর পর এবার ক্রিকেটে প্রথমবার পাকিস্তান জয় করলেন মুশফিকুর রহিম-সাকিব আল হাসান-মেহেদী মিরাজরা। আজ ২৫ আগস্ট রোববার রাওয়ালপিন্ডিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে ১০ উইকেটের ঐতিহাসিক জয় পেয়েছে টাইগাররা।

টেস্টে বাংলাদেশ ঐতিহাসিক এই জয় পেয়েছে অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিমের দুর্দান্ত ব্যাটিং, সাদমান ইসলামের সেঞ্চুরি ছোঁয়া ইনিংস ও মুমিনুল-লিটনের পর মিরাজের ফিফটিতে। সঙ্গে দ্বিতীয় ইনিংসে পাকিস্তানের ব্যাটিং ধসিয়ে দিতে মিরাজ ও সাকিব অসাধারণ বোলিং করেছেন। তাদের তোপে দ্বিতীয় ইনিংসে ১৪৬ রানে অলআউট হয় পাকিস্তান। জয়ের জন্য ৩০ রানের লক্ষ্য পায় সফরকারীরা। যে রান তুলতে পেতে হয়নি বেগ।

সিরিজের প্রথম এই টেস্টের টস পক্ষে আসে বাংলাদেশের। ম্যাচ শুরুর আগের রাতে ভারী বৃষ্টির কারণে নির্ধারিত সময়ে টস হয়নি। প্রায় দুই সেশন ভেসে যাওয়ার পর হওয়া টসে জিতে বোলিং নেন অধিনায়ক নাজমুল শান্ত। উইকেটের সুবিধা নিয়ে মাত্র ১৬ রানে স্বাগতিক পাকিস্তানের ৩ উইকেট তুলে নেন শরিফুল ইসলাম-হাসান মাহমুদরা। কিন্তু সূদ শাকিলের ১৪১ ও মোহাম্মদ রিজওয়ানের ১৭১ রানের সঙ্গে সাইম আইয়ূবের ৫৬ রানের ইনিংসে ৬ উইকেট হারিয়ে ৪৪৮ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে পাকিস্তান।

পাকিস্তানের অধিনায়ক শান মাসুদ হয়তো ভেবেছিলেন বাংলাদেশ রানের চাপায় পিষ্ট হবে। কিন্তু চোখে চোখে রেখে শুধু জবাব দেননি মুশফিক-সাদমানরা। বরং তুলে নেন ১১৭ রানের লিড। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ ৫৬৫ রান তোলে। মুশফিকুর ১৯১ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেলেন। সাদমান সেঞ্চুরি মিস করলেও ৯৩ রানের দারুণ ইনিংস খেলেন। এছাড়া মুমিনুল ৫০, লিটন ৫৬ ও মেহেদী মিরাজ ৭৭ রানের কার্যকরী ইনিংস খেলেন।

দ্বিতীয় ইনিংসে নেমে বাংলাদেশের বোলিং তোপে পাকিস্তান সুবিধা করতে পারেনি। তাদের দেড়শ’ রানের আগে ধসিয়ে দিতে বড় ভূমিকা রাখেন স্পিনার সাকিব ও মিরাজ। টেস্টে বাঁ-হাতি বোলার হিসেবে সর্বোচ্চ ৭০৬ উইকেট তুলে নেওয়ার পথে সাকিব দ্বিতীয় ইনিংসে ৩ উইকেট তুলে নেন। মিরাজ নেন ৪ উইকেট। এছাড়া শরিফুল, হাসান মাহমুদ একটি করে উইকেট নেন। ওই ইনিংসে পাকিস্তানের রিজওয়ান ৫১ রান করেন। আব্দুল্লাহ শফিক ৩৭ রান যোগ করেন। জবাবে জাকির ১৫ ও সাদমান ৯ রান করে জয় তুলে নেন।

পাকিস্তানের বিপক্ষে পাকিস্তানের মাটিতে এটি বাংলাদেশের প্রথম জয়। এছাড়া টেস্টে প্রথমবার পাকিস্তানকে হারানোর কীর্তি গড়েছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ ব্যাটে-বলে শুধু নয় ফিল্ডিংয়েও কর্তৃত্ব করে খেলেছে। লিটন উইকেটের পেছনে বাবর আজমের ক্যাচ ফেললেও সফরকারীরা এই ম্যাচে দুর্দান্ত কিছু ক্যাচ নিয়েছে। ক্রিকেট বোর্ড থেকে নাজমুল হাসান পাপনের বিদায়, বাংলাদেশ ক্রিকেটে সংস্কার কাজের শুরুতে পাওয়া জয়ের মাহাত্ম্য তাই একটু বেশিই।

সিঙ্গাপুরকে ৩-০ গোলে হারালো বাংলাদেশ

বিনোদন, 1 December 2023, 483 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে অর্ধযুগ আগে একটি ম্যাচ খেলে ৩-০ গোলে হেরেছিল বাংলাদেশ। আজ ১ ডিসেম্বর শুক্রবার ঘরের মাঠে একই ব্যবধানে জিতে সেই হারের প্রতিশোধ নিয়েছেন সাবিনারা।

তহুরা খাতুনের জোড়া আর আফিদা খন্দকারের গোলে ১৪ মাস পর আন্তর্জাতিক ম্যাচ জিতলো বাংলাদেশ। ২০২২ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর কাঠমান্ডুতে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের পর আর কোনো ম্যাচ জেতেনি সাবিনারা। এ বছর ষষ্ঠ ম্যাচে এসে প্রথম জয়ের দেখা পেলো লাল-সবুজ জার্সিধারী মেয়েরা।

একটা ভয় ছিল সিঙ্গাপুরকে নিয়ে। র‌্যাংকিংয়ে এগিয়ে। তারপরও আগের একমাত্র সাক্ষাতে ৩-০ গোলে হার। অর্ধযুগ পর ঘরের মাঠে সেই সিঙ্গাপুরকে পেয়ে সাবিনারা আত্মবিশ্বাসী হলেও জিতবেই এমন কথা জোর দিয়ে বলতে পারছিলেন না।

কিন্তু মাঠের লড়াইয়ে দেখা গেলো র‌্যাংকিংয়ে এগিয়ে থাকা সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে কর্তৃত্ব বাংলাদেশেরই। শুরু থেকে আক্রমণাত্মক খেলে বাংলাদেশ লিড নিয়ে নেয় সিঙ্গাপুরের মেয়েরা কিছু বুঝে ওঠার আগেই। আফিদা ও তহুরার গোলে বাংলাদেশ বিরতিতে যায় ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে।

দ্বিতীয় মিনিটেই এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। বাম দিক থেকে সাবিনা শট কর্নার করে বল দিয়েছিলেন মারিয়াকে। মারিয়া আবার বলটি সাবিনাকে ঠেলে দিয়ে গোলমুখে ক্রস নেন অধিনায়ক। ডিফেন্ডার আফিদা খাতুনের হেড ক্রসবারের নিচের দিকে লেগে গোললাইন অতিক্রম করলে লিড নেয় বাংলাদেশ।

ব্যবধান দ্বিগুণ করতে বেশি সময় নেয়নি সাইফুল বারী টিটুর শিষ্যরা। ১৬ মিনিটে মাঝমাঠ থেকে মারিয়া মান্ডা দুইজনকে কাটিয়ে বল নিয়ে ঢুকে ডিফেন্সচেরা পাস দেন তহুরা খাতুনকে। তহুরা গোল করে লিড বাড়িয়ে নেন স্বাগতিক মেয়েরা।

ব্যবধান ৩-০ হতে পারতো ২৫ মিনিটে। বক্সের বাইরে থেকে ডান পায়ে শট নিয়েছিলেন অধিনায়ক সাবিনা খাতুন। বল ক্রসবার উঁচিয়ে চলে যায় বাইরে।

৬০ মিনিটে তহুরা খাতুন নিজের জাত নিয়েছিলেন দারুণ এক গোল করে। নিজেদের রক্ষণভাগ থেকে লম্বা শট নিয়েছিলেন মাসুরা পারভীন। বক্সের ভেতরে উড়ে আসা সেই বল ধরে গোলরক্ষকের মাথার ওপর দিয়ে প্লেসিংয়ে নিজের দ্বিতীয় ও দলের তৃতীয় গোল করেন তহুরা।

৭৭ মিনিটে মারিয়া মান্ডা বক্সে ফাঁকায় বল পেয়েছিলেন সাবিনার কাছ থেকে। মারিয়া প্রথম পোস্টে বল মেরে সুযোগ নষ্ট করেন। বল চলে যায় গোলরক্ষকের হাতে।

রুপনা চাকমা, শিউলি আজিম, শামসুন্নাহার, আফিদা খন্দকার, মাসুরা পারভীন, মনিকা চাকমা (স্বপ্না রানী) , সানজিদা আক্তার (শামসুন্নাহার জুনিয়র) , মারিয়া মান্ডা, রিতু পর্না চাাকমা (শাহেদা আক্তার রিপা) তহুরা খাতুন (সুমাইয়া) ও সাবিনা খাতুন (আকলিমা।

বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন ভারত

বিনোদন, 30 June 2024, 182 Views,

স্পোটর্স ডেস্ক :
৩০ বলে প্রয়োজন ছিল ৩০ রান। হাইনরিখ ক্লাসেন এক ওভারেই ম্যাচটাকে নিয়ে আসেন প্রায় দক্ষিণ আফ্রিকার হাতের মুঠোয়। ভারতের করা টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালের দলীয় সর্বোচ্চ ৭ উইকেটে ১৭৬ রানও তখন সহজ লক্ষ্য মনে হচ্ছিল। কিন্তু যশপ্রীত বুমরা তাদের সেই সহজ কাজটাকেই কঠিন করে তোলেন অবিশ্বাস্য বোলিংয়ে। ডেথ ওভারে ২ ওভারে মাত্র ৬ রান দিয়ে ১ উইকেট নিয়ে শেষ ওভারে সমীকরণটা কমিয়ে আনেন ১৬ রানে।

হার্দিক পান্ডিয়ার করা ওই ওভারের প্রথম বলটা ছিল ফুলটস। স্ট্রাইকে থাকা ডেভিড মিলার ঠিকঠাক মেরেছিলেনও। কিন্তু লং অফ বাউন্ডারিতে থাকা সূর্যকুমার যাদবের অবিশ্বাস্য রিলে ক্যাচে নিশ্চিত ছক্কাটাই হয়ে যায় আউট। জয় তখন উল্টো ভারতের হাতের মুঠোয়, টি–টোয়েন্টি শ্রেষ্ঠত্বের মুকুটটা আবার মাথায় উঠল বলে। শেষ ওভারে হার্দিক পান্ডিয়া সেই সুযোগ হাতছাড়া হতে দেননি। ওভারের পঞ্চম বলে কাগিসো রাবাদাকে আউট করলেন। শেষ ওভারে মাত্র ৮ রান দিলে দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস শেষ হয় ৮ উইকেটে ১৬৯ রানে। ৭ রানের জয়ে ১৭ বছর পর দ্বিতীয়বারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপা জিতল ভারত। প্রথম শিরোপা ২০০৭ সালে অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম আসরে।

ডেভিড মিলারের অবিশ্বাস্য চোখজোড়া দেখে মনের কথাগুলো আন্দাজ করা যায় এমন। দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রীড়াঙ্গনে এখন প্রবাদটা বেশ পরিচিত।
দেশটির রেসলার ড্রিসুস ডু প্লেসিস কথাটা জনপ্রিয় করেছেন সম্প্রতি, অবশ্যই নিজেদের যন্ত্রণা বোঝাতে।

কিন্তু সূর্যকুমার যাদব কী ভাবছিলেন? শেষ ওভারে যখন ১৬ রান দরকার, অসহনীয় চাপ তখন ঘিরে থাকার কথা। এর মধ্যে বলটা ধরে ভেতরে রাখলেন সূর্য, নিজে বাউন্ডারির বাইরে গিয়ে ফিরে এসে নিলেন ক্যাচটা। আউট হলেন মিলার, নিশ্চিত হলো ভারতের বিশ্বকাপও।

অসহনীয় চাপ, বহুবার কাছে গিয়েও শিরোপা না জিততে পারার আফসোস, এত এত প্রত্যাশার শেষে দুঃখের কান্না; ভারতও কি কম ভুগেছে একটি বিশ্বকাপের জন্য? এক দশক অথবা তারও বেশি সময় আগে বিশ্বকাপ জেতা হয়েছিল তাদের। ২০১১ সালে ওয়াংখেড়েতে ‘ফিনিশেস থিংস অব ইন স্টাইল’ করে বিশ্বকাপ জিতিয়েছিলেন মাহেন্দ্র সিং ধোনি। এরপর এবার। মাঝে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ছাড়া নেই আন্তর্জাতিক কোনো শিরোপাও। ক্রিকেট প্রায় ধর্ম যেখানে, তাদের জন্য কতটা হতাশার, ওই যন্ত্রণাই বা কে জানতে চেয়েছে এতদিন!

শনিবার রাতে বার্বাডোজে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৭ রানে হারিয়েছে ভারত। শুরুতে ব্যাট করে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৭৬ রান করে ভারত। ওই রান তাড়া করতে নেমে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৬৯ রানের বেশি করতে পারেনি প্রোটিয়ারা।

টস জিতে ব্যাট করতে নেমে প্রথম আট বলের পাঁচটিতেই বাউন্ডারি পায় ভারত। মার্কো ইয়ানসেনের করা প্রথম ওভারে তিনটি বাউন্ডারি হাঁকান বিরাট কোহলি, আসে ১৫ রান। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে সবচেয়ে খরুচে প্রথম ওভার করেন ইয়ানসেন।

পরের ওভারে স্পিনার কেশভ মাহারাজকে নিয়ে আসেন প্রোটিয়া অধিনায়ক এইডেন মার্করাম। তাকে প্রথম দুই বলে বাউন্ডারি হাঁকান রোহিত। এক বল ডট দেওয়ার পরেরটিতেই উইকেট এনে দেন মাহারাজ। তাকে সুইপ করতে গেলে বল কিছুটা শূন্যে ভেসে ছিল, স্কয়ার লেগে নিচু হওয়া ক্যাচ দারুণভাবে নেন হেনরিখ ক্লাসেন। ৫ বলে ৯ রান করে ফিরতে হয় রোহিতকে।

মুখোমুখি হওয়া দ্বিতীয় বলে আউট হয়ে যান ঋষভ পান্তও। সুইপ করতে গিয়ে ব্যাটের আগায় লেগে বল উপরে উঠে যায়, সহজ ক্যাচ নেন কুইন্টন ডি কক। ২ বলে শূন্য রান করে আউট হন পান্ত। ভালো শুরুর পর হুট করেই খেই হারায় ভারত।

তাদের বিপদ আরও বাড়ে পঞ্চম ওভারের তৃতীয় বলে সূর্যকুমার যাদব আউট হলে। কাগিসো রাবাদার বলে ফাইন লেগে তার ক্যাচ নেন ক্লাসেন। ৪ বলে ৩ রান করে ফেরত যান সূর্য। এরপর পাঁচে অক্ষর প্যাটেলকে পাঠায় ভারত। তাদের এই কৌশল কাজে লাগে ভালোভাবেই।

বিরাট কোহলিকে সঙ্গে নিয়ে ইনিংস টানেন অক্ষর। সুযোগ পেলেই ছক্কা হাঁকিয়ে রানের চাকাও সচল রাখেন। কোহলির সঙ্গে তার জুটি ছাড়িয়ে যায় পঞ্চাশ রান। কিন্তু নিজের হাফ সেঞ্চুরি ছুতে পারেননি তিনি। অক্ষরের অলসতা ও কুইন্টন ডি ককের চতুরতায় কোহলির সঙ্গে তার জুটি ভাঙে।

রাবাদার বলে ফ্লিক করতে যান কোহলি। কিন্তু ঠিকঠাক টাইমিং হয়নি, বল থাকে উইকেটরক্ষকের কাছাকাছি। এর মধ্যে রান নেওয়ার চেষ্টা করেন অক্ষর, কিন্তু কোহলি ফিরিয়ে দেন তাকে। ফেরার জন্য যথেষ্ট সময় পেলেও দ্রুততা ছিল না অক্ষরের। উইকেটরক্ষকের জায়গা থেকে সরাসরি থ্রোতে নন স্ট্রাইক প্রান্তে স্টাম্প ভাঙেন ডি কক। ৩১ বলে ১টি চার ও চারটি ছক্কায় ৪৭ রান করে সাজঘরে ফেরত যান অক্ষর।

তার বিদায়ের পর হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন কোহলি। এই টুর্নামেন্টে প্রথমবার এই মাইলফলক স্পর্শ করেন তিনি। আগের সাত ইনিংসে স্রেফ ৭৫ রান করেছিলেন, দুবার আউট হয়েছিলেন শূন্য রানে। ফাইনালে ৪৮ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন কোহলি।

ফিফটি পাওয়ার পর কিছুটা চালিয়ে খেলার চেষ্টা করেন কোহলি। হাফ সেঞ্চুরি পাওয়ার পরের ১১ বলে ১৬ রান আসে তার ব্যাট থেকে। মার্কো ইয়ানসেনের আগের বলে ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন। পরেরটি একটু স্লো করেন তিনি, এবার পুল করতে গিয়ে ক্যাচ দেন রাবাদার হাতে।

কোহলির সঙ্গে পরে পঞ্চাশ পেরোনো জুটি হয়েছিল দুবেরও। ইনিংসের দুই বল বাকি থাকতে আউট হন দুবে। ১৬ বলে ৩টি চার ও ১টি ছক্কায় ২৭ রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনি। শেষ বলে জাদেজাও আউট হন। তবে ততক্ষণে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ রান করে ফেলেছে ভারত। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে করা অস্ট্রেলিয়ার ১৭৩ রান টপকে তারা করে ১৭৬ রান।

রান তাড়ায় নেমে শুরুতেই স্বস্তি উবে যায় দক্ষিণ আফ্রিকার। ভারতের হয়ে কাজটি যার করার কথা ছিল, করেছেন তিনিই। দুর্দান্ত এক ডেলেভারিতে রেজা হেনরিকসকে বোল্ড করে সাজঘরে ফিরিয়ে দেন জাসপ্রিত বুমরাহ। ৫ বল খেলে ৪ রান করে আউট হন রেজা।

দ্বিতীয় উইকেটের জন্যও খুব বেশি সময় অপেক্ষা করতে হয়নি ভারতকে। আর্শদ্বীপের করা পরের ওভারে মার্করাম ক্যাচ দেন উইকেটের পেছনে। দুই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়া দলকে টেনে তোলেন ডি কক, তার সঙ্গী হন ক্রিস্তিয়ান স্টাবস। পাওয়ার প্লের শুরুতে চাপে পড়া দলকে ছয় ওভারে ৪২ রান এনে দেন তারা।

যখন মনে হচ্ছিল স্টাবস-ডি কক জুটি জমে গেছে নবম ওভারে গিয়ে তখনই দুজনের জুটি ভাঙে। অক্ষরকে সুইপ করতে গিয়ে বোল্ড হয়ে যান স্টাবস। ২১ বলে ৩১ রান করে সাজঘরে ফেরত যান তিনি, ভাঙে ৩৮ বলে ৫৮ রানের জুটি। তার আউট হওয়ার পর হতাশায় নিজের ব্যাটে ঘুষি মারেন ডি কক।

কিন্তু তার পরের সঙ্গীকে নিয়েও দারুণভাবেই দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন তিনি। ভারতের ভয়ও বাড়তে থাকে। স্পিনের বিপক্ষে ভয়ঙ্কর ক্লাসেন নিজের সামর্থ্যের জানান দিতে শুরু করেন। কিন্তু এর আগেই সাজঘরে ফেরেন ডি কক। আর্শদ্বীপ সিংয়ের শর্ট বল তুলে মারতে গিয়ে বাউন্ডারি লাইনের কাছে কুলদ্বীপ যাদবের হাতে ক্যাচ দেন ডি কক। ওই বলের আগেই তাকে নেওয়া হয়েছিল পেছনে।

এরপর উইকেটে এসে ক্লাসেনের সঙ্গী হন ডেভিড মিলার। আরও একবার দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংসকে নতুন প্রাণ দেন তিনি। এমনকি ম্যাচটাও নিয়ে আসেন হাতের মুঠোয়। শুরুটা হয় কুলদ্বীপের করা ১৪তম ওভারে। শেষ দুই বলে চার ও ছক্কা হাঁকান মিলার।

পরের ওভারে আসা অক্ষরকে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে শুরু করেন ক্লাসেন। এরপর ওই ওভারে দুটি ছক্কা ও একটি চার হাঁকান তিনি। ওই ওভার থেকে আসে ২৪ রান। এই ওভারের আগে ৬ ওভারে দরকার ছিল ৫৪ রানের। অক্ষরের ওভারের পর সেটি হয়ে যায় ৩০ বলে ৩০ রান।

কিন্তু এই জায়গা থেকেও ম্যাচ আরও একবার মোড় নেয় উল্টোপথে। ক্ষণে ক্ষণে রঙ বদলানো ম্যাচে প্রাণ ফেরান হার্দিক পান্ডিয়া। তার করা ১৭তম ওভার শুরুর আগে কিছুটা সময় ব্যয় করে ভারত। মোমেন্টাম বদলে দেওয়ার চেষ্টা করেন, সেটি তারা পারেনও। পান্ডিয়ার অফ স্টাম্পের বেশ বাইরের বলে ব্যাট চালিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন ক্লাসেন। ২৭ বলে ২ চার ও ৫টি ছক্কায় ৫২ রান করে সাজঘরে ফেরত যান তিনি।

ক্লাসেনের বিদায়ের পর অনুমিতভাবেই কঠিন হয়ে পড়ে ম্যাচ। ১৮তম ওভারে এসে দুই রান দিয়ে ইয়ানসেনের উইকেট তুলে নেন বুমরাহ। পরের ওভারে ৪ রান দেন আর্শদ্বীপ। শেষ ওভারে ১৬ রানের সমীকরণ আসে দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে।

তাদের জন্য তখনও সবচেয়ে বড় ভরসা মিলার। ৩০ বলে ৩০ থেকে ৬ বলে ১৬ রানের সমীকরণে চলে আসা ম্যাচেও তাদের একমাত্র আশা। কিন্তু প্রথম বলেই সেটি শেষ হয়ে যায়। হার্দিকের ফুলটস এগিয়ে এসে তুলে মেরেছিলেন মিলার। কিন্তু বাউন্ডারি লাইনে তখনই ওই অবিশ্বাস্য ক্যাচ নেন সূর্যকুমার।

এরপর বাকি পাঁচ বলে কেবল ৯ রানই করতে পেরেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। আরও একবার ‘এত কাছে তবুও কত দূরে’র গল্প লেখা হয়েছে তাদের সঙ্গে। ভারতের বহু বহু অপেক্ষার ইতি ঘটেছে এক জয়ে। হয়তো সরেছে শত কোটির চাপিয়ে দেওয়া ভীষণ এক চাপও, শিরোপা না জেতার; দক্ষিণ আফ্রিকার মতো ভারতও বলতে পারে ‘আমরা যা জানি, তারা তো জানে না’!

ভারত: ২০ ওভারে ১৭৬/৭
দক্ষিণ আফ্রিকা: ২০ ওভারে ১৬৯/৮
ফল: ভারত ৭ রানে জয়ী

নায়ক সোহেল রানা অসুস্থ, নেওয়া হচ্ছে সিঙ্গাপুর

বিনোদন, 17 April 2023, 1060 Views,

চলারপথে  ডেস্ক :
বাংলা চলচ্চিত্রের বরেণ্য অভিনেতা, পরিচালক, প্রযোজক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুদ পারভেজ সোহেল রানার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর নেওয়া হচ্ছে।

বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন সোহেল রানার ছেলে মাশরুর পারভেজ।

ছেলে মাশরুর পারভেজ বলেন, আজ ১৭ এপ্রিল সোমবার রাত ১১টা ৫৫ মিনিটের ফ্লাইটে সিঙ্গাপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন বাবা। মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসা করা হবে তার। এবার মূলত চোখ দেখাতে যাবেন তিনি। অন্যান্য অসুস্থতার পাশাপাশি চোখের জটিল সমস্যায়ও ভুগছেন। সব মিলিয়ে ১০ দিন সিঙ্গাপুরে থাকবেন বাবা। নিয়মিত চেকআপ শেষে দেশে ফিরবেন।

উল্লেখ্য, ২০২২ সালেও তাকে চিকিৎসার জন্য তাকে সিঙ্গাপুরের একই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। সেখানে চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরে ওই বছরের ১১ নভেম্বর ফেসবুকে একটি ছবি পোস্ট করে সুস্থতার খবরটি দেন এই অভিনেতা।