অসাম্প্রদায়িক দৃষ্টিভঙ্গির নেতৃত্ব দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু : কামরুল ইসলাম

জাতীয়, 3 May 2023, 1108 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন, প্রত্যেক ধর্মই মানবিকতার কথা বলে। ধর্ম মানুষকে একটা শৃঙ্খলার মধ্যে রাখে। মানুষকে সুন্দর জীবন ও সমাজ গড়ার ক্ষেত্রে ধর্ম পথ দেখায়। এই অসাম্প্রদায়িক দৃষ্টিভঙ্গির নেতৃত্ব দিয়েছিলেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

আজ ৩ মে বুধবার বিকালে কেরানীগঞ্জ মডেল থানা অর্ন্তগত স্থায়ী দূর্গা মন্দির সংস্কারে নগদ অর্থ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলে। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু সব ধর্মের মানুষকে একত্রিত করেছিলেন। ধর্ম যার যার; রাষ্ট্র সবার, এরকম একটি দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে আমরা মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলাম এবং সেই মুক্তিযুদ্ধে কোন ধর্মগোষ্ঠী বা কোন বর্ণগোষ্ঠী একক কোন ভূমিকা নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ হয়নি। আমরা সকল ধর্ম বর্ণের মানুষ একত্রে মুক্তি সংগ্রামে অংশগ্রহণ করে আমরা জয়যুক্ত হয়েছি।

বিএনপিকে নির্বাচনের প্রস্তুতি গ্রহণের আহ্বান জানিয়ে কামরুল ইসলাম বলেন, সংবিধানের বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। বিএনপি অহেতুক ভিত্তিহীন আন্দোলন করছে। তাদের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি মেনে নেয়ার প্রশ্নই ওঠে না।

তিনি বলেন, নির্বাচনে অংশ না নিলে তাদের অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যাবে। বিকল্প পথে ক্ষমতায় আসার স্বপ্ন দেখছে। তাদের সেই স্বপ্ন অপূর্ণই থেকে যাবে। নির্বাচন ছাড়া ক্ষমতা বদলের কোনো সুযোগ নেই।

কেরানীগঞ্জ মডেল থানা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি শ্রীমান গোপন চন্দ্র সরকারের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন কেরানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোহাম্মদ ফয়সল বিন করিম, কেরানীগঞ্জ মডেল থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইউসুফ আলী চৌধুরী সেলিম, সাধারণ সম্পাদক আলতাফ হোসেন বিপ্লব, সহসভাপতি শফিউল আজম খান বারকু, শাক্তা ইউপি চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান, কালিন্দী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসান মোস্তান প্রমুখ।

উল্লেখ্য, কেরানীগঞ্জ মডেল থানা অর্ন্তগত ৩৪ টি মন্দিরকে ৩৪ লক্ষ টাকা প্রদান করা হয়।

Leave a Reply

নবীনগরে অগ্নিকান্ডে ১২ দোকান ভস্মিভূত

চলারপথে রিপোর্ট : নবীনগরে একটি বিপণীবিতানে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে Read more

মদসহ ভারতীয় নাগরিক আটক

চলারপথে রিপোর্ট : আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশনে অভিযান চালিয়ে বিদেশি Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় স্বচ্ছতা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে ৮৩…

চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সম্পূর্ণ স্বচ্ছতা ও সঠিক প্রক্রিয়ায় ৮৩জন Read more

জননিরাপত্তার নিশ্চিত করার জন্য রাজনৈতিক ঐক্যমত…

চলারপথে রিপোর্ট : জননিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য রাজনৈতিক ঐক্যমত একান্ত Read more

বিপুল পরিমাণ গাঁজাসহ গ্রেফতার ১

চলারপথে রিপোর্ট : বিজয়নগর উপজেলা থেকে বিপুল পরিমাণ গাঁজাসহ ১ Read more

সম্মেলনকে কেন্দ্র করে বাঞ্ছারামপুরে ১৪৪ ধারা…

চলারপথে রিপোর্ট : বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় সম্মেলনকে কেন্দ্র করে উপজেলা ও Read more

বৈষম্যহীন নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে অংশীজন ও…

চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় “বৈষম্যহীন নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে অংশীজন ও Read more
ফাইল ছবি

আশুগঞ্জে ট্রেনের ধাক্কায় বৃদ্ধার মৃত্যু

চলারপথে রিপোর্ট : আশুগঞ্জে ট্রেনের ধাক্কায় মাথায় আঘাত পেয়ে অজ্ঞাতনামা Read more

আখাউড়ায় বিনামূল্যে ধান বীজ বিতরণ চলারপথে রিপোর্ট : আখাউড়া উপজেলায় Read more

কুয়েতে সড়ক দুর্ঘটনায় আবু বাক্কার নিহত

চলারপথে রিপোর্ট : কুয়েতে প্রাইভেটকার দুর্ঘটনায় শেখ আবু বাক্কার (৩৪) Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বাস উল্টে যাত্রী নিহত

চলারপথে রিপোর্ট : সরাইল উপজেলায় বাস উল্টে গোপী কান্ত ঘোষ Read more

ট্রাক-অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ একজন নিহত

চলারপথে রিপোর্ট : ট্রাক ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে অটোরিকশার Read more

অবৈধভাবে পণ্য মজুতে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড

জাতীয়, 22 January 2023, 1198 Views,

ডেস্ক রিপোর্ট :
অবৈধভাবে পণ্য মজুতকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড করা হচ্ছে। খাদ্যদ্রব্যের উৎপাদন, মজুত, স্থানান্তর, পরিবহণ, সরবরাহ, বিতরণ ও বিপণন (ক্ষতিকর কার্যক্রম প্রতিরোধ) আইন-২০২২-এর খসড়ায় এ বিধান যুক্ত করা হয়েছে। অন্য সব অপরাধে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ডের বিধান রয়েছে।

সম্প্রতি নতুন আইনের খসড়া প্রকাশ করেছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। মন্ত্রিসভায় নীতিগত অনুমোদনের পর এ সংক্রান্ত খসড়া আইনে বড় ধরনের পরিবর্তন আনা হচ্ছে। এ ধরনের অপরাধের বিশেষ আদালতে বিচার হবে।

গত বছরের ১৮ এপ্রিল মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ আইনের খসড়া নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়। তখন সর্বোচ্চ শাস্তি পাঁচ বছর কারাদণ্ড অথবা ১০ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডের প্রস্তাব করা হয়। খসড়াটি মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে সবার মতামত নেওয়া হচ্ছে। এরপর এটি আবার মন্ত্রিসভায় পাঠানো হবে। মন্ত্রিসভা অনুমোদন দিলে তা সংসদে যাবে। এ আইন পাশ হলে ‘ফুড (স্পেশাল কোর্ট) অ্যাক্ট, ১৯৫৬’ ও ‘দ্য ফুডগ্রেইনস সাপ্লাই (প্রিভেনশন অব প্রিজুডিশিয়াল অ্যাকটিভিটি) অর্ডিন্যান্স ১৯৭৯’ বাতিল হয়ে যাবে।

উল্লে­খ্য, বছরের বিভিন্ন সময় একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী অবৈধভাবে পণ্য মজুত করে বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে। এরপর ওইসব পণ্যের দাম বাড়িয়ে বিপুল অঙ্কের মুনাফা লুটে নেয়। দীর্ঘদিন পর্যন্ত চক্রটি এ কাজ করলেও সরকার কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নিতে পারছে না। এ কারণে নতুন আইন করা হচ্ছে।

নতুন আইনের খসড়ায় বলা হয়- কোনো ব্যক্তি নির্ধারিত পরিমাণের বেশি খাদ্যদ্রব্য মজুত করলে বা মজুত সংক্রান্ত সরকারের কোনো নির্দেশনা অমান্য করলে মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবেন। তবে শর্ত থাকে যে, এ অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তি যদি প্রমাণ করতে পারেন যে, তিনি আর্থিক বা অন্য কোনো লাভের উদ্দেশ্য ছাড়া মজুত করেছিলেন তাহলে সর্বোচ্চ তিন মাস কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

উৎপাদন বা বিপণন সংক্রান্ত অপরাধ ও দণ্ডের বিষয়ে বলা হয়েছে- যদি কোনো ব্যক্তি কোনো অনুমোদিত জাতের খাদ্যশস্য থেকে উৎপাদিত খাদ্যদ্রব্যকে ওই ধরনের জাতের উপজাত পণ্য হিসাবে উল্লে­খ না করে ভিন্ন বা কাল্পনিক নামে বিপণন করেন, খাদ্যদ্রব্যের মধ্য থেকে কোনো স্বাভাবিক উপাদান সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে অপসারণ করে বা পরিবর্তন করে উৎপাদন বা বিপণন করেন বা খাদ্যদ্রব্যের সঙ্গে মানবস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর কৃত্রিম উপাদান মিশিয়ে উৎপাদন বা বিপণন করেন- তবে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

খসড়ায় আরো উল্লেখ করা হয়- সরকার খাদ্যদ্রব্য সংগ্রহকালে সরকারি গুদামে রাখা পণ্য বৈধ বা অবৈধভাবে সংগ্রহ করে, দেশে উৎপাদিত খাদ্যদ্রব্যের পরিবর্তে আমদানি করা খাদ্যদ্রব্য বা সরকারি গুদামের পুরোনো বা বিতরণ করা সিল বা বিতরণ করা হয়েছে এমন চিহ্নযুক্ত খাদ্যদ্রব্য ভর্তি বস্তা বা ব্যাগ সরকারি গুদামে সরবরাহ করলে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের কারাদণ্ড বা ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। কোনো ব্যক্তি খাদ্য অধিদপ্তরের বিতরণ করা সিল বা বিতরণ করা হয়েছে- এমন চিহ্নযুক্ত সিল ছাড়া সরকারি গুদামের খাদ্যদ্রব্য ভর্তি বস্তা বা ব্যাগ বিতরণ, স্থানান্তর, কেনাবেচা করলে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের কারাদণ্ড বা ১০ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

এতে আরো উল্লেখ করা হয়, কোনো ব্যক্তি খাদ্যদ্রব্যের উৎপাদন, মজুত, স্থানান্তর, পরিবহণ, সরবরাহ, বিতরণ ও বিপণন সম্পর্কিত কোনো মিথ্যা তথ্য বা বিবৃতি তৈরি, মুদ্রণ, প্রকাশ, প্রচার বা বিতরণ করলে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের কারাদণ্ড বা ১০ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড পেতে হবে।

খসড়ায় আরো উল্লেখ করা হয়- অপরাধের বিচারের জন্য প্রয়োজনীয়সংখ্যক আদালত থাকবে, যার নাম হবে খাদ্যদ্রব্য বিশেষ আদালত। ফৌজদারি কার্যবিধিতে যা কিছুই থাকুক না কেন, সরকার সুপ্রিমকোর্টের সঙ্গে পরামর্শক্রমে সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দিয়ে প্রথম শ্রেণির জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত বা মেট্রোপলিটন এলাকার জন্য মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতকে খাদ্যদ্রব্য বিশেষ আদালত হিসাবে নির্ধারণ করতে পারবে। একাধিক আদালত নির্ধারণ করা হলে প্রতিটি আদালতের জন্য স্থানীয় অধিক্ষেত্র নির্দিষ্ট করবে।

অপ্রয়োজনীয় বিদেশ ভ্রমণ না করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

জাতীয়, 11 May 2023, 1139 Views,
ফাইল ছবি

ডেস্ক রিপোর্ট :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারি কর্মকর্তাদের অপ্রয়োজনীয় বিদেশ ভ্রমণ না করার নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। তিনি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী সরকারি কর্মচারীদের অপ্রয়োজনীয় বিদেশ ভ্রমণকে নিরুৎসাহিত করেছেন। বিকল্প রপ্তানি বাজার অন্বেষণ করতে বলেছেন। কারণ বিগত বছরগুলোতে উৎপাদন ও রপ্তানিযোগ্য পণ্যের সংখ্যা বেড়েছে।

আজ ১১ মে বৃহস্পতিবার আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) অনুমোদন দিতে গিয়ে তিনি এ নির্দেশ দেন।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী কয়েকটি বার্তা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘উই মাস্ট ফিল সেল্ফ রেসপেক্টস’। নিজের আত্মসম্মান নিজের সমুন্নত রাখতে হবে। এটা দেশের প্রতি আহ্বান এবং আমাদের জন্য নির্দেশ। প্রতিটি পয়সা যেখানে প্রয়োজন সেখানে বিধি-বিধান এবং জনগণের কল্যাণ ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য ব্যয় করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনা অপ্রয়োজনীয় ব্যয় এবং বিলাসবহুল মানসিকতা পরিহার করে সরকারি ব্যয়ে সংযত থাকার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে সতর্ক থাকতে বলেছেন। প্রধানমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে মান্নান বলেন, আমরা খরচ করব, কিন্তু যেখানে প্রয়োজন সেখানে খরচ করতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী বৈদেশিক প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ (এফডিআই) আকৃষ্ট করার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা দূর করার ওপর গুরুত্বারোপ করে বিদেশি ঋণ সমর্থিত প্রকল্পগুলো দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট সচিবদের নির্দেশ দিয়েছেন। মান্নান বলেন, প্রধানমন্ত্রী যেসব মন্ত্রণালয় ও বিভাগে আরো প্রকল্প গ্রহণ করার পর্যাপ্ত সক্ষমতা রয়েছে তাদের আরো প্রকল্প গ্রহণের এবং সাধারণভাবে সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে প্রকল্প বাস্তবায়নের হার ত্বরান্বিত করার নির্দেশ দিয়েছেন।

আগামী সাধারণ নির্বাচনের আগে সরকার জনগণকে সন্তুষ্ট করার জন্য প্রকল্প গ্রহণ করবে কি না জানতে চাইলে মান্নান বলেন, সরকার তার নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়নের জন্য কাজ চালিয়ে যাবে। আমরা আমাদের নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী কাজ চালিয়ে যাব। আমরা জনগণের কল্যাণ নিশ্চিত করার জন্য কাজ করি।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী সম্প্রতি ওয়াশিংটন সফরকালে বিশ্বব্যাংককে বলেছেন, তারা আরো ঋণ দিলে বাংলাদেশ তা যথাসময়ে পরিশোধ করবে।

এ সময় পরিকল্পনা বিভাগের সচিব সত্যজিৎ কর্মকার বলেন, এখন থেকে তারা আনুষ্ঠানিকভাবে বৈদেশিক সাহায্যের পরিবর্তে প্রত্যক্ষ প্রকল্প ঋণ বা প্রত্যক্ষ প্রকল্প অনুদান শব্দটি ব্যবহার করবেন।

তিনি জানান, এনইসি এডিপিতে জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ডের অধীনে করা বিনিয়োগ প্রতিফলনের একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী পিছিয়ে থাকা মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোকে এডিপি বাস্তবায়নে সক্ষমতা বাড়াতে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাতে বলেছেন।

তিনি আরো বলেন, মহিলা ও শিশু বিষয়ক এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনের মতো মন্ত্রণালয়গুলো আরো প্রকল্প নিয়ে আসতে পারে। সূত্র : বাসস

লাফালাফি-তাফালিং করে কাজ হবে না: সেতুমন্ত্রী

জাতীয়, 28 July 2023, 847 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
বিএনপির এক দফা দাবিতে নয়াপল্টনের কাদাপানিতে আটকে গেছে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, লাফালাফিতে কাজ হবে না।

আজ ২৮ জুলাই শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ গেটে আওয়ামী লীগের তিন সহযোগী সংগঠন যুব লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগ আয়োজিত যৌথ শান্তি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, শোনেন, যত লাফালাফি, যত তাফালিং করেন, ফখরুল সাহেব, তারেক জিয়া, এই লাফালাফিতে কাজ হবে না। যতই তাফালিং করেন ক্ষমতার ময়ূর সিংহাসন বহু দূরে চলে গেছে। ওইটা খুঁজে পাবেন না। লাফালাফি করবেন না।

তিনি বলেন, রাজনীতির খেলায়, আন্দোলনে আওয়ামী লীগকে কেউ হারাতে পারে না। রাজনীতির খেলায় আওয়ামী লীগ চ্যাম্পিয়ন। আন্দোলন করে হারানো যাবে না। তাহলে নির্বাচন! নির্বাচনে তো আপনারা আসবেন না।

প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিলেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস

জাতীয়, 8 August 2024, 145 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে শপথ গ্রহণ করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টারা। এই সরকারে ড. ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে ১৬ জন উপদেষ্টা রাখা হয়েছে।

আজ ৮ আগস্ট বৃহস্পতিবার রাত ৯টায় বঙ্গভবনে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান শুরু হয়। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে শপথ বাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টারা হলেন :
১. সালেহউদ্দিন আহমেদ, ২. ড. আসিফ নজরুল, ৩. আদিলুর রহমান খান, ৪. হাসান আরিফ, ৫. তৌহিদ হোসেন, ৬. সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান, ৭. মো. নাহিদ ইসলাম, ৮. আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া, ৯. ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন, ১০. সুপ্রদিপ চাকমা, ১১. ফরিদা আখতার, ১২. বিধান রঞ্জন রায়, ১৩. আ ফ ম খালিদ হাসান, ১৪. নূরজাহান বেগম, ১৫. শারমিন মুরশিদ ও ১৬. ফারুকী আযম।

গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয় এবং একই দিন দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। এরপর নোবেল বিজয়ী ড. ইউনূসকে প্রধান করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বঙ্গভবন সূত্রে জানা গেছে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যুক্তরাজ্য, চীন, জাপান, ইরান, আর্জেন্টিনা, ফিলিস্তিন, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও নেদারল্যান্ডসসহ আরো কিছু দেশের কূটনীতিকরা উপস্থিত আছেন।

বিএনপি নেতাদের মধ্যে আছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, মোশাররফ হোসেন, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, শামসুজ্জামান দুদু, আমান উল্লাহ আমান, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, খাইরুল কবীর খোকন, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, তাবিথ আউয়াল ও মিজানুর রহমান মিনু।

বামপন্থি দলের নেতাদের মধ্যে আছেন মোজাহিদুল ইসলাম সেলিম, রুহিন হোসেন প্রিন্স ও জোনায়েদ সাকি। এ ছাড়াও আছেন কর্নেল (অব.) অলি আহমেদ, মাহমুদুর রহমান মান্না ও নূরুল হক নূর।

জামায়াতের আমির শফিকুর রহমানও আছেন।

তবে আওয়ামী লীগের কাউকে দেখা যায়নি। অনুষ্ঠানে প্রায় সব মন্ত্রণালয়ের সচিবও উপস্থিত আছেন।

এইচএসসি পরীক্ষা: কোচিং সেন্টার বন্ধ ৪৩ দিন

জাতীয়, 8 August 2023, 634 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি জানিয়েছেন, আগামী ১৭ আগস্ট থেকে উচ্চমাধ্যমিক বা এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হবে। এর আগে ১৪ আগস্ট থেকে ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৪৩ দিন কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে।

আজ ৮ আগস্ট মঙ্গলবার বিকেলে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা নিয়ে জাতীয় মনিটরিং ও আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভা শেষে তিনি এ তথ্য জানান।

শিক্ষামন্ত্রী জানান, পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের গুজব ও নকলমুক্ত পরিবেশে সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে।

চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার সূচি গত ৮ জুন প্রকাশ করে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড। আন্তঃশিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কমিটির আহ্বায়ক ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক মো. আবুল বাশারের সই করা সূচিতে জানানো হয়, পরীক্ষা শুরুর অন্তত ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষার্থীদের আসন গ্রহণ করতে হবে। প্রথমে বহু নির্বাচনী ও পরে সৃজনশীল/রচনামূলক (তত্ত্বীয়) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। উভয় অংশের পরীক্ষার মধ্যে কোনো বিরতি থাকবে না।

এতে বলা হয়, পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষায় সাধারণ সায়েন্টিফিক ক্যালকুলেটর ব্যবহার করতে পারবে। প্রোগ্রামিং ক্যালকুলেটর ব্যবহার করা যাবে না। কোনো পরীক্ষার্থী কেন্দ্রে মোবাইল ফোন আনতে পারবে না। পরীক্ষা কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছাড়া অন্য কেউ মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন না।