অনলাইন ডেস্ক :
কক্সবাজারের টেকনাফে রোহিঙ্গা ক্যাম্প ঘিরে সক্রিয় চার-পাঁচটি সন্ত্রাসী দল। ডাকাতি ছাড়াও তারা অপহরণ, ছিনতাই, মাদক কারবারে জড়িত। এসব দলের মধ্য ‘সালমান শাহ গ্রুপ’ অন্যতম। আজ ৪ মে বৃহস্পতিবার ভোরে ওই গ্রুপের অন্যতম সন্ত্রাসী মো. শফিকে আটক করেছেন ১৬ এপিবিএনের সদস্যরা। তার কাছ থেকে অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। শফি টেকনাফের নয়াপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সি ব্লকের বাসিন্দা দিল মোহাম্মদের ছেলে।
এপিবিএন জানায়, ‘শীর্ষ সন্ত্রাসী’ শফিকে ধরে আনার সময় পুলিশের ওপর হামলা হলে তার তিন সহযোগী নুরুল আমিন, ওমর ফয়সাল ও মেহের খাতুন মিন্নিকেও আটক করা হয়।
বৃহস্পতিবার রাতে টেকনাফের ১৬ এপিবিএনের পুলিশ সুপার জামাল পাশা বলেন, ক্যাম্পে শীর্ষ সন্ত্রাসীর অবস্থানের খবরে এপিবিএনের একটি দল অভিযান চালায়। এ সময় পালানোর চেষ্টাকালে শফিকে (২৪) আটক করা হয়। পরে তার স্বীকারোক্তি অনুসারে ক্যাম্প থেকে একটি ওয়ান শুটার এলজি একনলা বন্দুক ও দুই রাউন্ড তাজা কার্তুজ উদ্ধার করা হয়। তার বিরুদ্ধে থানায় হত্যা, মাদকসহ একাধিক মামলা রয়েছে। এ ছাড়া সে ক্যাম্পের ত্রাস সালমান শাহ গ্রুপের অন্যতম সদস্য ছিল।
এসপি জানান, শফিকে নিয়ে আসার সময় তাকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে তার দলের লোকজন। এ সময় আরও তিনজনকে আটক করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ক্যাম্পে অপরাধীদের ধরতে অভিযান চলমান।
রোহিঙ্গারা জানায়, ক্যাম্পসংলগ্ন পাহাড়ে চার-পাঁচটি ডাকাত দলের সদস্যরা তাদের গোপন আস্তানা তৈরির চেষ্টা করছে। এরই মধ্যে কয়েকটি আস্তানা তৈরি হয়ে গেছে। শুধু ক্যাম্পের সাধারণ রোহিঙ্গাদের কাছেই নয়, কক্সবাজারে বসবাসকারী বাঙালি জনগোষ্ঠীর কাছেও এসব ডাকাত গ্রুপ আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাদের দ্রুত আইনের আওতায় না আনলে ক্যাম্পের পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাবে।
আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে মিথ্যা ঘোষণায় পণ্য আমদানি ॥ সংশ্লিষ্টদেরকে নোটিশ
স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ব্রোকেন স্টোন বা চূর্ণ পাথরের ঘোষণা দিয়ে ভারত থেকে আমদানি হয়েছে ২৭০০ টন পাথরের ধুলা (ডাস্ট)। মিথ্যা ঘোষণায় পণ্য আমদানির অভিযোগে ছাড়পত্র মিলছে না কাস্টমসের। যে কারণে প্রায় এক মাস ধরে আখাউড়া স্থলবন্দরে এই ডাস্ট বা ধুলাগুলো পড়ে আছে। কাস্টমসের গঠিত তদন্ত কমিটিও ডাস্ট উল্লেখ করে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন। সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়িরা দাবি করেছেন, এতে প্রতিদিন লোকসান গুনতে হচ্ছে তাদেরকে। এ জন্য তারা কাস্টমস কর্তৃপক্ষকে দায়ী করছেন। রপ্তানিমুখী আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে প্রথমবারের মতো চূর্ণপাথর আমদানি হয় গত ১৩ নভেম্বর। এরপর কয়েক দফায় মোট ২৭০০ টন আমদানি করে ভারতীয় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এফকনস ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড। এ প্রতিষ্ঠানটি আশুগঞ্জ নদীবন্দর থেকে আখাউড়া স্থলবন্দর পর্যন্ত মহাসড়ক চারলেনে উন্নীত করার কাজের জন্য পাথর আমদানি করেছে। আমদানিকৃত চূর্ণপাথরগুলো প্রতি টন আমদানি হয়েছে ১৩ মার্কিন ডলারে। এগুলো বন্দর থেকে ছাড়ানোর কাজ পায় সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট খলিফা এন্টারপ্রাইজ। তবে কাস্টমস থেকে ছাড়পত্র নিতেই বাঁধে বিপত্তি। প্রথমবারের মতো আমদানি হওয়ায় পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ছাড়পত্র দেওয়ার কথা জানায় কাস্টমস। পরবর্তীতে এগুলো পরীক্ষা করে পাথরের বদলে ডাস্ট আনা হয়েছে জানিয়ে আটকে দেয়া হয়। ফলে প্রতিদিনই বন্দর কর্তৃপক্ষকে মাশুল বাবদ প্রায় ৩৬ হাজার টাকা গুনতে হচ্ছে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানকে।
অভিযোগ উঠেছে- আমদারিকারক প্রতিষ্ঠান ভাঙা পাথরের ঘোষণা দিয়ে ডাস্ট এনেছে। এজন্য কাস্টমসের তরফ থেকে চার সদস্যের তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়। তদন্ত শেষে রিপোর্ট দেওয়া হয় ডাস্ট হিসেবে। তবে দ্রুত এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে বলে জানান কাস্টমসের কর্মকর্তারা।
এদিকে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে চূর্ণ পাথর বা ডাস্ট আমদানির অনুমতি না থাকায় আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানকে আগামী ১০ দিনের মধ্যে তাদেরকে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে। সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট খলিফা এন্টারপ্রাইজকেও কার্যার্থে একই চিঠি দেওয়া হয়। সিএন্ডএফ এর মালিক হলেন আখাউড়া পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক মো.তাকজিল খলিফা কাজল।
খলিফা এন্টার প্রাইজের প্রতিদিন নাসির উদ্দিন বলেন, ‘আমরা প্রথম দফা আনার পর বলা হয় সব আনার পর অনুমতি দেওয়া হবে। এখন বলা হচ্ছে এ ধরণের পাথরের অনুমতি নেই। এখন পাথর আটকে থাকায় আমরা লোকসানের মুখে পড়েছি।’
আখাউড়া স্থল শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, ‘তদন্ত করে আমদানি করা পণ্য ডাস্ট হিসেবে পাওয়া গেছে। এ ধরণের পণ্য আমদানির অনুমতি নেই। এখন এ বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ যথাযথ ব্যবস্থা নিবেন।’
চলারপথে রিপোর্ট :
নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ থেকে ময়মনসিংহগামী লোকাল ট্রেনের ধাক্কায় চল্লিশা এলাকায় হাবিবুর রহমান নামের ৮০ বছরের এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। আজ ১৯ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার বেলা সাড়ে এগারোটার দিকে চল্লিশা স্টেশনের সন্নিকটে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে। হাবিবুর রহমান সদর উপজেলার চল্লিশা লাইট গ্রামের মৃত আব্দুল লতিফের ছেলে।
এ ব্যাপারে জি আর পি পুলিশের এস আই সুরঞ্জন তালুকদার জানান, খবর পেয়ে তারা গৌরিপুর স্টেশন থেকে ঘটনাস্থলে ছুটে এসে দেখেন স্থানীয় চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে স্বজনরা লাশ নিয়ে গেছেন। তিনি চেয়ারম্যানকে খুঁজে বের করে কথা বলেছেন। রেলে কাটা পড়লে যথাযথ আইন অনুযায়ী লিখিত দিয়ে নিতে হয়। পরে সে অনুযায়ী লাশ দেয়ার প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানান।
ইউপি চেয়ারম্যান মাহবুবুল আলম জানান, বৃদ্ধ মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন। কানে কম শুনতেন। তার লাশ যাতে ময়নাতদন্ত না করে সেজন্য আবেদন দেয়া হয়েছে।
রংপুর প্রতিনিধি :
রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলায় স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামী মোঃ আবু সাঈদকে মৃত্যুদন্ডসহ অর্থদন্ড দিয়েছেন আদালত। আজ ১৯ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার দুপুরে রংপুর নারী ও শিশু নিযার্তন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক মোঃ আলী আহমেদ এ রায় দেন। আসামি সাঈদ জামিনে মুক্ত থাকার পর বর্তমানে পলাতক রয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, রংপুর পীরগঞ্জ উপজেলার আজিমুদ্দিনের ছেলে আবু সাঈদের সাথে বিয়ে হয় একই উপজেলার অনন্তরামপুর গ্রামের তাজিম উদ্দিনের মেয়ে তানজিনা খাতুনের। তানজিনা ছিল আবু সাঈদের ১৭ নম্বর স্ত্রী। বিয়ের পর থেকে তানজিনার কাছে সাঈদ যৌতুকের টাকা দাবী করে আসছিল। এরই মধ্যে সাঈদ ১৮তম স্ত্রী হিসেবে তাছকিরা বেগমকে বিয়ে করে। ২০০৭ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি ১৫ হাজার টাকা যৌতুকের দাবিতে সাঈদ তার নব-বিবাহিত স্ত্রী তাছকিরা বেগমের সহযোগিতা তানজিনাকে পিটিয়ে হত্যা করে এবং লাশ পার্শ্ববর্তী ধান ক্ষেতে ফেলে রাখে।
এ ঘটনার পরদিন ৯ তানজিনার বাবা তাজিম বাদী হয় পীরগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করে। তদন্ত শেষে ২০০৭ সালের ১৩ জুলাই আদালতে চার্জশীট দাখিল করে পুলিশ। এরই মধ্যে আবু সাঈদ জামিন পেলে ২০১১ সালের ২৩ অক্টোবর থেকে পলাতক রয়েছে। সাঈদের ১৮তম স্ত্রী তাছকিরাও জামিনে মুক্ত হওয়ার পর ২০১৪ সালের ১৮ মে থেকে পলাতক রয়েছে। দীর্ঘ সময় ধরে বিচার কার্যক্রম শেষে আদালতের বিচারক বৃহস্পতিবার আবু সাঈদকে মৃত্যুদন্ড ও ৫ হাজার টাকা অর্থদন্ড দেন। অর্থদন্ড পরিশোধে ব্যর্থ হলে আরও এক মাসের কারাদন্ড প্রদান করা হয়। এ হত্যার সাথে সম্পৃক্ততা না থাকায় মামলার অপর আসামী তাছকিরা বেগমকে খালাস দেয়া হয়েছে।
আদালতের পিপি তাজিবুর রহমান লাইজু বলেন, আদালতে রায়ে বাদীপক্ষ সন্তোষ প্রকাশ করেছে। তারা ন্যায়বিচার পেয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম সীমান্তের তিন বিঘা করিডোর এলাকা থেকে শিশুসহ ৪ রোহিঙ্গা নাগরিককে আটক করেছে বিজিবি। পরে আটক রোহিঙ্গাদেরকে পাটগ্রাম থানায় হস্তান্তর করা হয়।
আজ ৯ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার সাড়ে ৭ টার দিকে উপজেলার কুচলীবাড়ী ইউনিয়নের তিনবিঘা করিডোর সীমান্তের মেইন পিলার ৮১২ থেকে ৩০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঘোরাফেরা করা অবস্থায় তাকে আটক করে বিজিবি সদস্যরা।
আটককৃত রোহিঙ্গারা টেকনাফ সেকমারকুল ২১ রিফুজি রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মৃত ইউনুস আলীর ছেলে মো. আব্দুল্লাহ (২৪), আব্দুল্লাহর স্ত্রী মোছা. শরিফা বেগম (১৯), একই ক্যাম্পের শামছুল হকের মেয়ে মোছা. আমেনা বেগম (১৫), এবং শিশু মোছা. রিনাস বিবি (২৭ মাস)।
এ বিষয়ে পাটগ্রাম থানার পুলিশের ওসি তদন্ত জয়ন্ত কুমার সাহা বলেন, আটককৃত রোহিঙ্গাদের তথ্য যাচাই-বাছাই চলছে। সীমান্ত থেকে বিজিবি তাদের আটক করেছে। বর্তমানে আটককৃতরা থানা হেফাজতে রয়েছেন। আইনি প্রক্রিয়া চলমান।
স্টাফ রিপোর্টার:
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল বুধবার দেশের প্রথম এলিভেটেড মেট্রোরেল উদ্বোধন করেছেন। এর মধ্য দিয়ে দেশে স্বপ্নের মেট্রোরেলের প্রথম যাত্রা হলো, একইসাথে পদ্মা সেতু উদ্বোধনের ছয় মাসের ব্যবধানে দেশের যোগাযোগের ইতিহাসে আরেকটি মাইলফলক স্থাপিত হল। রাজধানীর দিয়াবাড়ি থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত মেট্রোরেল প্রকল্পের ১১ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট (এমআরটি) লাইন-৬-এর দিয়াবাড়িতে ফলক উন্মোচনের মাধ্যমে আংশিকভাবে উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর ছোট বোন শেখ রেহানা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী মেট্রো রেলের উদ্বোধন উপলক্ষে ৫০ টাকার একটি স্মারক নোটও প্রকাশ করেন। তিনি রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ি খেলার মাঠে একটি নাগরিক সমাবেশে ভাষণ দেন যা বিরাট জনসভায় পরিণত হয়। পরে প্রধানমন্ত্রী উত্তরার দিয়াবাড়ি থেকে টিকিট কেনার পর প্রথম সরকারি যাত্রায় আগারগাঁও যান। এ মেট্রো ট্রেন চালিয়েছেন মরিয়ম আফিজা। আজ থেকে সাধারণ মানুষ মেট্রোরেলে চড়া শুরু করতে পারবেন।
প্রাথমিকভাবে প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত উত্তরা স্টেশন থেকে আগারগাঁও স্টেশন পর্যন্ত কোনো স্টপেজ ছাড়াই চলাচল করবে মেট্রো ট্রেন। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশন (বিআরটিসি) মেট্রো রেল স্টেশন থেকে যাত্রী পরিবহনের জন্য ৩০টি ডাবল ডেকার বাস পরিচালনা করবে। এর মধ্যে ২০টি বাস ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার, শাহবাগ ও গুলিস্তান হয়ে আগারগাঁও-মতিঝিল রুটে এবং ১০টি বাস উত্তরার হাউস বিল্ডিং থেকে আবদুল্লাহপুর হয়ে উত্তরার দিয়াবাড়ির উত্তর স্টেশন পর্যন্ত চলাচল করবে।
সরকারি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) মেট্রোরেল প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করছে। জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) মেট্রোরেল নির্মাণ করছে এবং প্রকল্পে ঋণ দিচ্ছে। ২০১৬ সালে এমআরটি লাইন-৬ এর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত দ্বিতীয় সেকশন এবং মতিঝিল থেকে কমলাপুর রেলস্টেশন পর্যন্ত তৃতীয় সেকশন পর্যায়ক্রমে চালু করা হবে।
আগামী ডিসেম্বরে আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল চালু হবে। মেট্রো রেল প্রতি ঘন্টায় ৬০ হাজার যাত্রী এবং প্রতিদিন অর্ধ মিলিয়ন যাত্রী বহন করতে সক্ষম হবে এবং প্রতি চার মিনিটে প্রতিটি স্টেশনে একটি ট্রেন আসবে। ঢাকায় এলিভেটেড মেট্রোরেল-এ এখন পর্যন্ত অদৃশ্য পরিবহনের নতুন মোড দিয়ে যাতায়াতের নতুন যুগে যাত্রা শুরু করতে চলেছে বাংলাদেশ। মেট্রোরেলটি আরামদায়ক উপায়ে কম সময়ে বেশি যাত্রী পরিবহন করায় জনদুর্ভোগ অনেকটাই কমবে। রাজস্ব আদায় বাড়ানোর পাশাপাশি মেট্রোরেল চালু হলে সম্পূর্ণ চালু হলে রাজধানীর যানজট কমবে।
প্রকল্পের বিবরণ অনুযায়ী, প্রাথমিকভাবে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত ছয়টি বগি বিশিষ্ট ১০ সেট ট্রেন চলবে। ১০-সেটের ট্রেনের কোনটিতে কখনো সমস্যা দেখা দিলে সহায়ক হিসেবে থাকা বাকি দুটি বিকল্প হিসেবে চলবে। আপাতত এই রুটে ধীরগতিতে ট্রেন চলবে। তবে পূর্ণ গতিতে ট্রেন চলাচল শুরু হলে প্রতি সাড়ে তিন মিনিটে একটি করে ট্রেন চলবে। ট্রেন কোন স্টেশনে কতক্ষণ থাকবে তা এখনও ঠিক হয়নি। প্রতিটি স্টেশনে, যাত্রীদের বোর্ডিং এবং নামা সম্পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত ট্রেনটি অপেক্ষা করবে। প্রতিটি ট্রেন ২,৩০০ যাত্রী নিয়ে ১০০ থেকে ১১০ কিলোমিটার গতিতে চলতে পারে। তবে বাঁকযুক্ত এলাকায় গতি কম হবে। ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর রাজধানীর ওপর চাপ কমাতে নানা উদ্যোগ নেয় আওয়ামী লীগ সরকার। যানজট নিরসনে রাজধানীজুড়ে মেট্রোরেল নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে প্রকল্পের বিবরণে জানা গেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৬ সালের ২৪ জুন মেট্রোরেল প্রকল্পের নির্মাণ কাজ উদ্বোধন করেন, যা এমআরটি লাইন-৬ নামে পরিচিত। পরে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের নগরীর আগারগাঁও পয়েন্টে এলিভেটেড ভায়াডাক্টের প্রথম অংশ এবং এমআরটি লাইন-৬ এর নয়টি স্টেশনের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন। মোট ২২,০০০ কোটি টাকার প্রকল্পের মধ্যে জাইকা (জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি) প্রায় ১৬,৬০০ কোটি টাকা প্রকল্প সহায়তা হিসেবে প্রদান করেছে।