চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইলে মোটর সাইকেলের ফুয়েল ট্যাংকের ভেতর থেকে ৩ কেজি গাঁজা জব্দ করেছে পুলিশ। গাঁজা বহনকারী মো. আলীকে (৩৬) আটক করে তার মোটরসাইকেলও জব্দ করা হয়েছে।
আজ ৪ মে বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের উপজেলার কুট্টাপাড়া এলাকার ব্র্যাক অফিসের সামনে থেকে তাকে আটক করা হয়।
আটক আলী জেলার বিজয়নগর উপজেলার বিষ্ণুপুর গ্রামের মৃত নুরু মিয়ার ছেলে।
সরাইল খাটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকুল চন্দ্র বিশ্বাস জানান, ওই মহাসড়ক দিয়ে আলী তার মোটরসাইকেলের ফুয়েল ট্যাংকের ভেতরে করে গাঁজা বহন করছিলেন। গতিরোধ করে তাকে আটক করা হয়। পরে ফুয়েল ট্যাংকের ভেতর থেকে পলিথিনে মোড়ানো তিন কেজি গাঁজা জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় তার নামে সরাইল থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু’র ঘনিষ্ঠ সহচর ও একনিষ্ঠ কর্মী, মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের ইস্টার্ণ কমান্ড কাউন্সিলের প্রধান, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক সাবেক জেলা রেজিষ্টার (ভূমি), বীরমুক্তিযোদ্ধা মরহুম মোহাম্মদ আলী বিল্লাল এর কনিষ্ঠপুত্র, আওয়ামী লীগের অনুগত পরিবারের সদস্য, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ জাপান শাখার সভাপতি, সরাইল উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড এর সিনিয়র সহ-সভাপতি, মানবিক সরাইল জেবি এর প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) নির্বাচনী এলাকায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এর নৌকা প্রতীকের মনোনয়ন প্রত্যাশী ইঞ্জিনিয়ার আবু শামীম মোহাম্মদ পিয়ার পলাশকে দেওড়া দক্ষিণপাড়া এলাকাবাসীর উদ্যোগে আজ ২ অক্টোবর সোমবার গণসংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে। এ সময় দেওড়া দক্ষিণপাড়ার বিপুল সংখ্যক লোকজন উপস্থিত ছিলেন। গণসংবর্ধনা জবাবে ইঞ্জিনিয়ার আবু শামীম মোহাম্মদ পিয়ার পলাশ সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, আমি যদি এই আসনে নৌকার মনোনয়ন পাই তাহলে আমার নির্বাচনী এলাকা (সরাইল-আশুগঞ্জ)-কে একটি মডেল এলাকায় রূপান্তরিত করবো ইনশাল্লাহ।
চলারপথে রিপোর্ট :
সৌদি আরবে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করেছেন বাংলাদেশের হাফেজ আনাস বিন আতিক। বিশ্বের ১২৩টি দেশের প্রতিযোগীকে পেছনে ফেলে তিনি প্রথম হওয়ার গৌরব অর্জন করেছেন। গত বুধবার রাতে বাংলাদেশ সময় ৯টায় প্রতিযোগিতার ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে বলে বিশ্বজয়ী হাফেজ আনাস বিন আতিকের বাবা হাফেজ মাওলানা আতিকুর রহমান জানিয়েছেন।
ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে অবস্থিত ‘মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার’ ছাত্র হাফেজ আনাস বিন আতিক ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামের হাফেজ মাওলানা আতিকুর রহমানের একমাত্র ছেলে।
হাফেজ আনাসের বাবা হাফেজ মাওলানা আতিকুর রহমান ঢাকার লালবাগ মাদ্রাসায় পড়ালেখা করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরে একটি প্রাইভেট মাদ্রাসা পরিচালনা করছেন। পারিবারিকভাবে ৪ সন্তানের মধ্যে হাফেজ আনাস তার একমাত্র পুত্রসন্তান।
মেধাবী হাফেজ আনাস ইতোপূর্বে আরটিভিতে অনুষ্ঠিত হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতায়ও প্রথম হওয়ার কৃতিত্ব অর্জন করেন। আন্তর্জাতিক হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতায় হাফেজ আনাস বিন আতিক প্রথমস্থান অর্জন করার খবরে এলাকাবাসীর মাঝে আনন্দ বিরাজ করছে। হাফেজ আনাসের এ অসাধারণ সাফল্য অনেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তুলে ধরে তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে বিশ্বজয়ী হাফেজ আনাসের বাবা হাফেজ মাওলানা আতিকুর রহমানের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে আবেগাপ্লুত কন্ঠে তিনি বলেন, সৌদি আরবে অনুষ্ঠিত কুরআন প্রতিযোগিতায় বিশ্বের ১২৩টি দেশের প্রতিযোগীকে পেছনে ফেলে আমার ছেলে হাফেজ আনাস প্রথম হওয়ায় মহান আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করছি। গতকাল রাতে ফলাফল ঘোষণার পর আমরা খবরটি জানতে পেরেছি। বর্তমানে হাফেজ আনাস তার ওস্থাদদের সঙ্গে সৌদি আরব অবস্থান করছে। আল্লাহর রহমতে শিগগিরই তারা দেশে ফিরবে বলে আশা করছি।
তিনি বলেন, আমার ছেলে আন্তর্জাতিক কুরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করে বিশ্ব দরবারে দেশের সুনাম অর্জন করায় আমি আনন্দিত। দেশবাসীর কাছে তিনি তার ছেলের জন্য দোয়া কামনা করেছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে বিদায়ী দুই প্রধান শিক্ষককে সংবর্ধনা দিয়েছেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার দপ্তর। সংবর্ধিত শিক্ষকরা হলেন দেওড়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. আইয়ুবুর রহমান ও চুন্টা এসি একাডেমির সাবেক প্রধান শিক্ষক মো. হাবিবুর রহমান। এই উপলক্ষে গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত স্মৃতিচারণ ও আলোচনা সভায় শিক্ষা অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারী, শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন বিদ্যালয়ের প্রধান ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকগণ উপস্থিত ছিলেন।
অরুয়াইল বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শেখ সাদীর সঞ্চালনায় ও মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সহিদ খালিদ জামিল খানের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন- অ্যাকাডেমিক সুপার ভাইজার ইতি বেগম, সরাইল পাইলট বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক ও প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক মো. আইয়ুব খান, একই বিদ্যালয়ের বর্তমান ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ও মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আনোয়ার হোসেন, শাহবাজপুর বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও প্রেসক্লাবের সদস্য সচিব মোহাম্মদ আলী, সরাইল মহিলা কলেজের প্রভাষক মোহাম্মদ মাহবুব খান, কালিকচ্ছ পাঠশালা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম মানিক, শাহবাজপুর হোসনেআরা আফজাল উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লক্ষী রাণী দে ও পানিশ্বর সামছুল আলম উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হারূন অর রশিদ প্রমুখ।
কর্মক্ষেত্রের দীর্ঘদিনের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বিদায়ী দুই শিক্ষকসহ উপস্থিত সকল শিক্ষক ও আবেগ আপ্লোত হয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। সহিদ খালিদ জামিল খান বিদায়ী দুই শিক্ষকের কর্মজীবনের প্রশংসা করে বলেন, চাকরী জীবন শেষে বিদায় বেলায় মানুষ গড়ার কারিগড়দের সামান্য সম্মান দিতে পেরে আমি আনন্দিত। আপনাদের অবসর জীবন পরিবার পরিজন নিয়ে সুখে স্বাচ্ছন্দে ও সুস্থ্যতায় কাটুক এই প্রত্যাশা করছি। ভবিষ্যতে বিদায়ী শিক্ষকদের সম্মানিত করার এই ধারা যেন অব্যাহত থাকে। সবশেষে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের পক্ষ থেকে অতিথিবৃন্দ সংবর্ধিত দুই শিক্ষকের হাতে উপহার তুলে দেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
২৪ হেক্টরেরও অধিক ইরিবোরো ধানের জমি ব্লাস্ট রোগে আক্রান্ত হয়েছে। কৃষি অফিস বলছেন, পোকা মাকড় জীবাণুর আক্রমণ বা ব্লাস্ট রোগ।
কৃষকরা বলছেন, ধানে চাল আসার আগেই ছড়াগুলো জ্বলে পুড়ে লালচে হয়ে ঝরে পড়ছে। কোথাও সাদা পাউডারের মতো হয়ে যাচ্ছে। উপজেলার জয়ধরকান্দি, দেওড়া, মলাইশ, নিয়ামতপুর, ধাউরিয়া, চুণ্টা, বিটঘর গ্রামের ফসলি মাঠে ও কালিকচ্ছের ধর্মতীর্থ এলাকায় আকাশী হাওর বিলে বি আর-২৮ ধানের জমিতে এ রোগ দেখা দিয়েছে।
সরাইল উপজেলা কৃষি অফিস ও কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সরাইল উপজেলায় প্রায় ১৫ হাজার ১১৫ হেক্টর জমিতে ইরিবোরো ধানের চাষ হয়েছে। এরমধ্যে ব্লাস্ট রোগে আক্রান্ত হয়েছে প্রায় ২৪ হেক্টর জমি। তবে কৃষকদের দেয়া তথ্য মতে, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৩৫-৪০ হেক্টর জমির ধান। অধিকাংশ এলাকায় বিআর-২৮ জাতের ধান আক্রান্ত হয়েছে। এই জাতের ধান চাষে কৃষকদের নিরুৎসাহিত করে কৃষি অফিস। কারণ এগুলো অনেক পুরাতন মডেল।
তাই ২৮ জাতের ধানে দ্রুত পোকা মাকড় ও জীবাণু আক্রমণ করে ক্ষতি করে থাকে। এর পরিবর্তে নতুন উন্নত জাতের ধান এখন বিআর-৮৮, ৮৯ জাত। জয়ধরকান্দি গ্রামের কৃষক সেলিম মিয়া (৪০) ও ইমরান মিয়া (৩৫) বলেন, বিঘা প্রতি ৭-৮ হাজার টাকা খরচ করেছি। চোখের সামনে সব শেষ হয়ে যাচ্ছে। ধানে এখনো চাল হয়নি। এরই মধ্যে ছড়া লাল বা সাদা রঙ ধারণ করে নিচ দিয়ে ভেঙে পড়ে যাচ্ছে। আবার সাদা পাউডারের মতো হয়ে পড়ছে। এই এলাকায় শতাধিক বিঘা জমি আক্রান্ত হয়েছে। কেটে আনলে হাঁস মোরগের খাবার হবে। গ্রামের দোকানদার থেকে ১০ কেজি ওজনের বীজ ধানের প্যাকেট ৬ থেকে ৭শ’ টাকা দিয়ে ক্রয় করেছিলাম। প্যাকেটের উপরে লেখা ছিল ‘কুমিল্লা’ও ‘চুয়াডাঙ্গা’। ধান নেই তারপরও এক কানি জমি কাটতে ৩৬শ’ টাকা লাগে। এবার কি খেয়ে বাঁচবো জানি না? দেওড়া গ্রামের কৃষক মো. জয়নাল মিয়া, ধাউরিয়া গ্রামের কৃষক ক্ষিরোদ মজুমদার, লিল মহন সরকার, নিরঞ্জন সরকার, জগদিশ সরকার বলেন, আমাদের এখানে প্রায় দেড় শতাধিক বিঘা জমি শেষ। এখন কেটে গরুকে খাওয়ানো হচ্ছে। কালিকচ্ছ বাজারের ‘কৃষকবন্ধু’ দোকানের মালিক মো. সেলিম মিয়া বলেন, গত কয়েকদিন ধরে স্থানীয় কৃষকরা লাইন ধরে পোকা মাকড় ধ্বংস ও আগাছা নাশক ওষুধ ক্রয় করছেন। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. একরাম হোসেন ২৮-২৯ জাতের ধান আক্রান্ত হওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, অনেক পুরাতন হওয়ায় প্রকৃতিগতভাবেই এই জাতের ধানে জীবাণু আক্রমণ করে থাকে। এই ধান চাষে আমরা কৃষকদের নিরুৎসাহিত করে থাকি। লেটেস্ট ও ভালো বীজ হচ্ছে ৮৮, ৮৯ জাতের ধান। আমরা প্রণোদনায়ও আধুনিক বীজ দিয়ে থাকি।
স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঢাকা-সিলেট মহাসড়ককে অজ্ঞাত এক পরিবহনের সাথে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে আশিষ চন্দ্র দাস (২০) নামের এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে সরাইল নোয়াগাঁও গোগদ (ইসলামাবাদ) এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। মোটরসাইকেলটি আশিষ নিজেই চালাচ্ছিল। আশিষ চন্দ্র দাস সরাইল উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নের বড় ধীতপুর গ্রামের দাসপাড়া এলাকার শচীন্দ্র চন্দ্র দাসের ছেলে।
হাসপাতাল সূত্রে ও পুলিশ জানান, রাত সাড়ে ৮টার দিকে গোগত (ইসলামাবাদ) এলাকায় অজ্ঞাত এক পরিবহনের সাথে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ সময় আশিষ চন্দ্র দাস গুরুতর আহত হয়। তারপর রাস্তার পাশে দাড়িয়ে থাকা পিকআপের চালক আলম আহত আশিষ চন্দ্র দাসকে জেলা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক মো. আওয়াতিফ ইবনে মাতিন তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ব্যাপারে জরুরি বিভাগে চিকিৎসক মো. আওয়াতিফ ইবনে মাতিন বলেন, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আশিষ চন্দ্র দাস মারা যায়। পরে লাশ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করি।
খাঁটিহাতা হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুখেন্দু বসু ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, একজন মোটরসাইকেল চালক নিহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে পিকআপ ও মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করেছি। লাশ জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা আছে।