জামায়াতের বিচারে আইন সংশোধন প্রক্রিয়াধীন : আইনমন্ত্রী

জাতীয়, 6 May 2023, 1448 Views,
ফাইল ছবি

চলারপথে ডেস্ক :
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, যুদ্ধাপরাধী রাজনৈতিক দল হিসাবে জামায়াতের বিচারের জন্য আইন সংশোধনের প্রক্রিয়া চলমান। আজ ৬ মে শনিবার ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন। এর আগে অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, বিচার বিভাগের কাছে একটি চাওয়া, বিচারপ্রার্থী সাধারণ মানুষ যেন দ্রুত ন্যায়বিচার পায়। তারা যেন মামলার দীর্ঘসূত্রতার অবস্থান থেকে পরিত্রাণ পায়।

banner

ঢাকায় বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে সিনিয়র সহকারী জজ এবং সমপর্যায়ের বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের জন্য আয়োজিত ১৪৮তম রিফ্রেসার কোর্সের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বক্তব্য দেন।

বিচারকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, জুডিশিয়াল ডিসিশন (সর্বোচ্চ আদালতের রায়, সিদ্ধান্ত) মেনে মামলাজট নিরসনে ভূমিকা পালন করতে হবে। প্রশিক্ষণার্থী বিচারকদের জুডিশিয়াল ডিসিপ্লিন মেনে চলার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, সুপ্রতিষ্ঠিত জুডিশিয়াল ডিসিশনগুলো মেনে না চললে জুডিশিয়াল অ্যানার্কি (বিশৃঙ্খলা) তৈরি হতে পারে। নিশ্চয়ই আমরা কেউই এটা চাই না।

বিচারকদের দেশে-বিদেশে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। অবকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করা হয়েছে। এখন বিচারকদের দায়িত্ব মানুষ যেন দ্রুত বিচার পায়, সেটা নিশ্চিত করা। দীর্ঘদিনের পুঞ্জীভূত মামলাজট কমানোর দায়িত্ব আমাদের কাঁধে নিতে হবে এবং জনগণ যাতে ত্বরিত সুষ্ঠু বিচার পায় সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে। তিনি আরও বলেন, বিচার বিভাগের জন্য অন্য যে কোনো সরকারের চেয়ে এখন বাজেট বাড়ানো হয়েছে।

প্রশিক্ষণার্থী বিচারকদের উদ্দেশে আইনমন্ত্রী বলেন, অন্য সব সরকারের আমলে বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণের কী অবস্থা ছিল, তার ইতিহাস অনেকেরই জানা। এক কথায় বলা যায়, বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের জন্য পৃথক কোনো প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটই ছিল না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে প্রথমবার সরকার গঠন করার পর বিচারকদের জন্য প্রথম প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করেন। তার সরকারের সদিচ্ছার কারণেই দেশে আরেকটি বিশ্বমানের ন্যাশনাল জুডিশিয়াল একাডেমি প্রতিষ্ঠার কার্যক্রম চলছে। যেখানে বিচারকরা বিশ্বমানের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে পারবেন।

বিচারকদের আশ্বস্ত করে তিনি বলেন, তাদের প্রশিক্ষণের এ ধারা অব্যাহত থাকবে। শুধু তাই নয়, দেশিও প্রশিক্ষণ প্রদানের পাশাপাশি বিদেশি প্রশিক্ষণ প্রদান কার্যক্রমও চলমান থাকবে। বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার ও ইনস্টিটিউটের পরিচালক (প্রশিক্ষণ) শেখ আশফাকুর রহমান বক্তৃতা করেন।

অনুষ্ঠান শেষে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। জামায়াতের বিচারে সরকারের আন্তরিকতার ঘাটতি আছে কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারই মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের বিচার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি কার্যকর করেছে। তাই জামায়াতের বিচারে সরকারের আন্তরিকতা নেই, এমন প্রশ্ন করা আমাদের জন্য দুঃখের। জামায়াতের বিচারের জন্য আইন সংশোধনের প্রক্রিয়া চলমান। আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল নিয়ে মামলা আপিল বিভাগে বিচারাধীন। তাই এ বিষয়ে কোনো কথা বলব না।

Leave a Reply

জাতির কাছে ক্ষমা চাইলেন জামায়াতের আমির…

অনলাইন ডেস্ক : বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান Read more

বাঞ্ছারামপুরে স্বাস্থ্য সহকারীদের অবস্থান কর্মসূচি

চলারপথে রিপোর্ট : ৬ দফা দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য Read more

সাবেক সিইসি হাবিবুল আউয়াল গ্রেফতার

অনলাইন ডেস্ক : সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল Read more

রাইস কুকারে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মা-মেয়ের মৃত্যু

অনলাইন ডেস্ক : মাগুরার সদর উপজেলার টিলা গ্রামে রাইস কুকারে Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবিতে শিক্ষার্থীদের স্মারকলিপি

চলারপথে রিপোর্ট : সরকারি মেডিকেল কলেজ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় Read more

নাসিরনগরে মৎস্য আড়তে অভিযান, নিষিদ্ধ পিরানহা…

চলারপথে রিপোর্ট : বিক্রির জন্য রাখা নিষিদ্ধ পিরানহা মাছ জব্দ Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তিন চাঁদাবাজ গ্রেফতার

চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার খাটিহাতা (বিশ্বরোড) গোলচত্বর নামক এলাকায় চাঁদাবাজির Read more

সড়ক মেরামতের সপ্তাহ না পেরোতেই উঠে…

চলারপথে রিপোর্ট : সড়ক মেরামতের এক সপ্তাহ না পেরোতেই ইতিমধ্যে Read more

কসবায় গাঁজাসহ গ্রেফতার ১

চলারপথে রিপোর্ট : আজ ২৪ জুন মঙ্গলবার সকালে এস আই Read more

শাস্তি পেলেন ঋষভ পন্ত

অনলাইন ডেস্ক : আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে অসন্তোষ প্রকাশ করে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট Read more

বাংলাদেশে গুগল পে এর উদ্বোধনী

অনলাইন ডেস্ক : বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্ণর ড. আহসান এইচ মনসুর Read more

যে কাজে নেক আমল নষ্ট হয়

ইসলাম ডেস্ক : মানুষের জীবনের সবচেয়ে মারাত্মক ক্ষতিকারক দিক হলো Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ ও লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের ঋণ খেলাপিদের তথ্য চাইলো ইসি

জাতীয়, সরাইল, 9 October 2023, 1628 Views,
ফাইল ছবি

অনলাইন ডেস্ক :
জাতীয় সংসদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ ও লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের উপ-নির্বাচন উপলক্ষে ঋণ খেলাপিদের তথ্য চায় নির্বাচন কমিশন (ইসি)। মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের সময় ঋণ খেলাপিকে অবৈধ ঘোষণা করতেই অর্থ মন্ত্রণালয়কে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দিয়েছে সংস্থাটি।

banner

ইসির উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান জানিয়েছেন, অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিবকে ইতোমধ্যে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে।

নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়েছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ এবং লক্ষ্মীপুর-৩ নির্বাচনী এলাকার শূন্য আসনের নির্বাচন আগামী ৫ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। সংশ্লিষ্ট আইন ও বিধি অনুসারে ঋণ খেলাপি ব্যক্তিরা নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারেন না। নির্বাচনে ঋণ খেলাপি ব্যক্তি মনোনয়নপত্র দাখিল করলে যাতে তাদের প্রার্থী হিসেবে অযোগ্য ঘোষণা করা যায়, তার জন্য আইনে নির্ধারিত সব ব্যাংক হতে ঋণ খেলাপি সংক্রান্ত তথ্য সরবরাহ করা আবশ্যক।

এজন্য মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন বিকেল ৪টার পর মনোনয়নপত্র দাখিলকারীদের নাম, পিতা/মাতা/ স্বামীর নাম ও প্রয়োজনীয় অন্যান্য তথ্য বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সংশ্লিষ্ট ব্যাংক/আর্থিক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক স্ব উদ্যোগে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারের কাছ থেকে সংগ্রহ করতে হবে। সংগ্রহ করার জন্য এবং সে আলোকে বিভিন্ন ব্যাংক/আর্থিক প্রতিষ্ঠান হতে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারকে ঋণ খেলাপি সংক্রান্ত তথ্য সরবরাহ করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া প্রয়োজন।

এই অবস্থায় নির্বাচন উপলক্ষে ঋণ খেলাপি সংক্রান্ত তথ্য মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের দিন কিংবা তার পূর্বে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারকে প্রদান এবং প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের সময় রিটার্নিং অফিসারের দপ্তরে উপস্থিত থাকার নির্দেশনা প্রদানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

ভোক্তা অধিকারের অভিযানে জরিমানা

জাতীয়, 12 August 2023, 983 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
চাঁদপুর শহরের পালবাজার এলাকায় জেনিথ সুইটস এন্ড বেকারি নামে প্রতিষ্ঠানে দধির মধ্যে চুল ও পোকা পাওয়া এবং দুই ডিম বিক্রেতার দোকানে মূল্য তালিকা না থাকায় ৩টি প্রতিষ্ঠানকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

banner

আজ ১২ আগস্ট শনিবার বিকেলে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর চাঁদপুর জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক নুর হোসেন বাজার তদারকির অভিযান পরিচালনা করেন।

তিনি বলেন, ডিমের দাম ক্রয়সীমায় রাখার স্বার্থে ভোক্তা অধিদপ্তর জেলা কার্যালয় বিশেষ বাজার তদারকির অংশ হিসেবে শহরের পুরানবাজার ও পালবাজার এলাকায় ডিমের আড়ৎদার, পাইকারি বিক্রেতা ও খুচরা বিক্রেতার দোকানে অভিযান পরিচালনা করা হয়।

অভিযানে মূল্য তালিকা, ক্রয় ভাউচার ও বিক্রয় ভাউচার তদারকি করা হয়। তন্মধ্যে মূল্য তালিকা না থাকায় মেসার্স কাউছার ট্রেডার্সকে ৩ হাজার টাকা, ভাই ভাই ট্রেডার্সকে ২ হাজার টাকা এবং দধিতে পোকা- চুল পাওয়ায় জেনিথ সুইটস বেকারি মালিককে ১০ হাজার টাকাসহ সর্বমোট ১৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।

অভিযানে সহযোগিতা করেন চাঁদপুর সদর মডেল থানা পুলিশের একটি চৌকস দল। জনস্বার্থে এমন অভিযান পরিচালনা অব্যাহত থাকবে বলে এই কর্মকর্তা জানান।

টেস্ট পরীক্ষার নামে বাড়তি ফি আদায় করা যাবে না: শিক্ষামন্ত্রী

জাতীয়, 16 April 2024, 631 Views,
ফাইল ছবি

অনলাইন ডেস্ক :
টেস্ট পরীক্ষার নামে কোনো শিক্ষার্থীর কাছ থেকে অরিরিক্ত ফি আদায় করা যাবে না এবং পরীক্ষার কারণ দেখিয়ে প্রবেশপত্র দেওয়া থেকে বঞ্চিত করা যাবে না বলে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নির্দেশনা দিয়েছেন।

banner

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ থেকে সম্প্রতি এমন নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।

এতে উল্লেখ করা হয়, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে টেস্ট পরীক্ষার নামে অতিরিক্ত ফি আদায় করা এবং পরীক্ষার কারণ দেখিয়ে প্রবেশপত্র দেওয়া থেকে বঞ্চিত করাসহ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বিভিন্নভাবে আর্থিক সুবিধা নিচ্ছে মর্মে বিভিন্ন মাধ্যম থেকে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে।

নির্দেশনায় আরো উল্লেখ করা হয়, বর্ণিত অবস্থার প্রেক্ষিতে শিক্ষামন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন, টেস্ট পরীক্ষার নামে কোনো শিক্ষার্থীর কাছ থেকে অরিরিক্ত ফি আদায় করা যাবে না এবং পরীক্ষার কারণ দেখিয়ে প্রবেশপত্র দেওয়া থেকে বঞ্চিত করা যাবে না’ মর্মে শিক্ষামন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন। এই নির্দেশনার প্রতিপালন না করলে প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট ব্যবস্থা গ্রহণপূর্বক মন্ত্রণালয়কে অবহিত করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

বিচারপতি অপসারণের ক্ষমতা পেল সুপ্রিম কোর্ট জুডিশিয়াল কাউন্সিল

জাতীয়, 20 October 2024, 363 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
বহুল আলোচিত বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদ সদস্যদের হাতে এনে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করে দেওয়া আপিল বিভাগের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদন নিষ্পত্তি করেছেন আপিল বিভাগ।

banner

ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করেছেন আদালত। বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতে আর থাকছে না। বিচারপতিদের অপসারণ করা যাবে সুপ্রিম কোর্ট জুডিশিয়াল কাউন্সিলের মাধ্যমে। আজ রোববার প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে ৬ বিচারপতির আপিল বেঞ্চে ষোড়শ সংশোধনীর রিভিউ শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।

ফলে ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় বহাল থাকবে বলে জানিয়েছেন আইনজীবী। এখন থেকে বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের হাতে থাকবে। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।

আজ ২০ অক্টোবর রোববার প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে ৬ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ রায় দেন। এ রায়ের ফলে দীর্ঘ আট বছর পর নিষ্পত্তি হলো গুরুত্বপূর্ণ এ রিভিউ আপিলের।

বহুল আলোচিত বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদ সদস্যদের হাতে এনে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করে দেওয়া আপিল বিভাগের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদন শুনানির দিন গত ১৫ আগস্ট আজকের দিন ধার্য করা হয়। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে ৫ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ দিন ধার্য করেন।

আদালতে রিভিউ আবেদন শুনানির জন্য উপস্থাপন করেন রিটকারী আইনজীবী অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ।

এর আগে বেশ কয়েকবার সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করে দেওয়া আপিল বিভাগের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদন কার্যতালিকায় এলেও শুনানি হয়নি।

গত বছরের ২৩ নভেম্বর বহুল আলোচিত বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদ সদস্যদের হাতে এনে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করে দেওয়া আপিল বিভাগের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ ৬ জন বিচারপতি শুনতে পারবেন বলে সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেন আপিল বিভাগ।

২০১৭ সালের ২৪ ডিসেম্বর বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদ সদস্যদের হাতে এনে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করে দেওয়া আপিল বিভাগের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদন দাখিল করা হয়।

আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় রাষ্ট্রপক্ষ ৯০৮ পৃষ্ঠার এ রিভিউ আবেদনে ষোড়শ সংশোধনীর পক্ষে ৯৪টি যুক্তি দেখিয়ে আপিল বিভাগের রায় বাতিল চাওয়া হয়েছে।

২০১৭ সালের ৩ জুলাই তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির আপিল বেঞ্চ ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করেন। ৮ মে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে আপিল শুনানি শুরু হয়। ধারাবাহিকভাবে ১১ দিন শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।

আপিল শুনানিতে আদালতে মতামত উপস্থাপনকারী ১০ অ্যামিকাস কিউরির (আদালতের বন্ধু) মধ্যে শুধু ব্যারিস্টার আজমালুল হোসেন সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনীর পক্ষে মত দেন।

অপর ৯ অ্যামিকাস কিউরি ড. কামাল হোসেন, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এম আই ফারুকী, আব্দুল ওয়াদুদ ভূঁইয়া, প্রাক্তন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এফ এম হাসান আরিফ ব্যারিস্টার এম. আমিরুল ইসলাম, বিচারপতি টিএইচ খান, ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ, ফিদা এম কামাল, এ জে মোহাম্মদ আলী সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনীর বিপক্ষে তাদের মতামত তুলে ধরেন।

২০১৬ সালের ১১ আগস্ট সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করে দেওয়া রায় সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়। পরে এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ।

২০১৬ সালের ৫ মে বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী, বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চ সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ বলে রায় ঘোষণা করেন।

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের বিধানটি তুলে দিয়ে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী পাস হয়। ২০১৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর ৯৬ অনুচ্ছেদে পরিবর্তন এনে বিচারকের অপসারণের ক্ষমতা সংসদ সদস্যদের হাতে পুনরায় ফিরিয়ে দেওয়া হয়। যেটি ১৯৭২ সালের সংবিধানেও ছিল।

দেশের প্রথম সংবিধানে সংসদের হাতে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা রাখা হয়। তবে ১৯৭৫ সালে সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনীতে রাষ্ট্রপতিকে এ ক্ষমতা দেওয়া হয়। পরবর্তীতে আবারও পঞ্চম সংশোধনীতে বিচারক অপসারণে নিষ্পত্তির ভার দিতে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠন করা হয়। এরপর পঞ্চম থেকে পঞ্চদশ সংশোধনী পর্যন্ত বিচারপতি অপসারণ নিয়ে আর নতুন কোনো সংশোধনী আসেনি। তবে ২০১৪ সালে ষোড়শ সংশোধনীতে বিচারপতি অপসারণের ক্ষমতাপ্রাপ্ত হয় জাতীয় সংসদ। তৎকালীন প্রধান বিচারপতির এস কে সিনহার তৎপরতায় হাইকোর্ট ও আপিল বিভাগ ষোড়শ সংশোধনী বাতিল করা হয়। পরে আওয়ামী লীগ সরকার এর রিভিউতে যায়।

২০৫ রানের লিড নিয়ে দিন শেষ করলো বাংলাদেশ

জাতীয়, বিনোদন, 30 November 2023, 1466 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
দ্রুত দুই ওপেনারের বিদায়ের পর দলের হাল ধরেছিলেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুমিনুল হক। অভিজ্ঞ মুমিনুল ৪০ রানে ফিরলেও দুর্দান্ত সেঞ্চুরি করে ফেলেছেন শান্ত। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ১৯২ বলে সেঞ্চুুরি তুলে নিলেন এই বাঁহাতি ব্যাটার।

banner

শতক হাঁকাতে শান্ত খেলেছেন ৯টি চারের মার। তার সেঞ্চুরির উপর ভর করে ২০৫ রানের লিড নিয়ে তৃতীয় দিন শেষ করেছে বাংলাদেশ। দিন শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৬৮ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ২১২ রান। শান্ত খেলছিলেন ১০৪ রান নিয়ে, অপরপ্রান্তে ৪৩ রান নিয়ে ছিলেন মুশফিকুর রহিম।

এর আগে ২৬ রানে ছিল না ২ উইকেট। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে চাপে পড়েছিল বাংলাদেশ। সেখান থেকে দলকে ভালো একটা অবস্থানে পৌঁছে দিয়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত আর মুমিনুল হক। ২ উইকেটে ১১১ রান নিয়ে বাংলাদেশ যায় চা-বিরতিতে।

এরপর জুটি গড়েন শান্ত ও মুমিনুল। দারুণভাবে এগিয়ে যাচ্ছিল দুই ব্যাটারের জুটিটি। অপ্রত্যাশিত রানআউটের মাধ্যমে শতরানের (৯০) কাছাকাছি এসে ভেঙে যায় পার্টনারশিপ। ভুল বোঝাবুঝিতে ৬৮ বলে ৪ বাউন্ডারিতে ৪০ রান করে সাজঘরে ফেরত যান মুমিনুল।

দ্বিতীয় ইনিংসে নেমে লাঞ্চের আগে বেশ দেখেশুনে খেললেও বিরতির পর বেশিক্ষণ উইকেটে থাকতে পারেননি জাকির আর জয়। ৩০ বলে ১৭ রান করে অ্যাজাজ প্যাটেলের অনেক বেশি টার্ন করা বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন জাকির।

৪৬ বলে ৮ রান করে জয় হয়েছেন দুর্ভাগ্যজনক রানআউটের শিকার। সাউদির বলে ড্রাইভ খেলেন নাজমুল হোসেন শান্ত, বল বোলারের হাত স্পর্শ করে ভেঙে যায় ননস্ট্রাইকের স্টাম্প। দ্বিতীয় ইনিংসে ২৬ রানে ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়েছিল বাংলাদেশ। সেখান থেকে শান্ত-মুমিনুলের জুটি।

প্রথম ইনিংসে নিউজিল্যান্ড খুব বড় পার্থক্য গড়তে পারেনি বাংলাদেশের সঙ্গে। লিড নিয়েছে মাত্র ৭ রানের। জবাবে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে বেশ সাবধানী শুরু করেন দুই ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয় আর জাকির হাসান। উদ্বোধনী জুটিতে ১০ ওভারে মোটে ১৯ রান তুলে তৃতীয় দিনের লাঞ্চ বিরতিতে গিয়েছিলেন তারা।

এর আগে দ্বিতীয় দিন শেষে নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ ছিল ৮ উইকেটে ২৬৬ রান। কিউইরা পিছিয়ে ছিল ৪৪ রানে। স্বীকৃত ব্যাটার বলতে কেউই নেই।

বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে ছোট করে হলেও লিড পেতে যাচ্ছে, ধরে নিয়েছিলেন সমর্থকরা। তবে তাদের সেই আশায় গুঁড়েবালি। কাইল জেমিসন আর টিম সাউদির মতো লোয়ার অর্ডার দুই ব্যাটার নবম উইকেটে দলকে এনে দেন গুরুত্বপূর্ণ ৫২ রান।

নবম উইকেটে টিম সাউদি আর কাইল জেমিসনের এই জুটিটাই ক্ষতি করে দিলো বাংলাদেশের। নাহলে টাইগাররা প্রথম ইনিংসে লিড পেতে পারতো।

সেটি হয়নি। তবে নিউজিল্যান্ডও যে বড় লিড নিয়েছে, তা নয়। বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসে ৩১০ রানের জবাবে ১০১.৫ ওভার খেলে ৩১৭ রানে অলআউট হয়েছে কিউইরা। তাদের লিড ৭ রানের।

তৃতীয় দিনের সকালে প্রথম ঘণ্টা অনায়াসেই পার করে দেন সাউদি আর জেমিসন। কিছুতেই কিছু হচ্ছিল না। অবশেষে ট্রাম্পকার্ড মুমিনুল হকের হাত ধরেই সাফল্য পায় টাইগাররা। এক ওভারে জেমিসনকে (২৩) এলবিডব্লিউ আর সাউদিকে (৩৫) বোল্ড করেন বাঁহাতি এই পার্টটাইম স্পিনার।

তাইজুল ইসলাম ১০৯ রানে ৪ উইকেট আর মুমিনুল হক ৪ রানে নেন ৩টি উইকেট।