তিন হাজার দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার

নাসিরনগর, 6 May 2023, 1152 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরে ২৫ গ্রামে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। এসময় রামদা, বল্লম, এককাইট্টা, টেঁটা, ফলা, চল, সড়কিসহ প্রায় তিন হাজার দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।

২৭ এপ্রিল বৃহস্পতিবার থেকে আজ ৬ মে শনিবার ভোর পর্যন্ত পুলিশ উপজেলার নূরপুর, হরিপুর, নরহা, চিতনা, ধরমন্ডল,শংকরাদহ, গোকর্ণ, কুন্ডা, কুন্ডা জেলে পাড়া, শ্রীঘর, চাপরতলা, ভোলাউক, উরিয়াইন, আতুকুড়া, মুকবুলপুর ও পূর্বভাগসহ ২৫টি গ্রামে অভিযান পরিচালনা করে বিপুল পরিমান এই দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করে।

এদিকে শনিবার বেলা ১১টায় পুলিশের পক্ষ থেকে কৃষি কাজ ও নিত্যদিনের ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্র ছাড়া ঝগড়া-বিবাদে ব্যবহার করা হয় এমন ধরনের দেশীয় অস্ত্র যাতে তৈরী না করেন সে জন্য উপজেলার ৩৮জন কামার (কর্মকার) এবং ১৬জন বাঁশ ব্যবসায়ীর সাথে সভা করেছেন।

সভায় কামারদের বলা হয়েছে, ঝগড়া বিবাদে ব্যবহার করা হয় এমন ধরনের অস্ত্র রামদা, বল্লম, এককাইট্টা, ফলা, যেন তৈরী করা না হয়। এছাড়াও বাঁশ ব্যবসায়িরা যেন টেঁটা তৈরী না করেন সেজন্য তাদেরকে সতর্ক করে দেয়া হয়।

নাসিরনগর থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত এক মাসে নাসিরনগরে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বেশ কিছু সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসব সংঘর্ষের ঘটনায় প্রায় হাজার খানেক লোক কম বেশী আহত হন। এছাড়া ঈদ-উল ফিতরের দিন উপজেলার ভলাকুট ইউনিয়নের খাগালিয়া গ্রামে দুই দল গ্রামবাসীর সংঘর্ষে জামাল নামে একজন কৃষক নিহত ও প্রায় অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়।

এরপরই দেশীয় অস্ত্র উদ্ধারে নাসিরনগর থানা পুলিশকে নির্দেশ দেন পুলিশ সুপার। পুলিশকে নিদের্শ দেন। পুলিশ সুপারের নির্দেশ পেয়ে গত ১০ দিনে পুলিশ উপজেলার ২৫টি গ্রামে অভিযান চালিয়ে ৩ হাজার দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করেন। এসব অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় অস্ত্র আইনে তিনটি মামলায় ৮ জনকে আসামি করা হয়।

এ ব্যাপারে নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ হাবিবুল্লাহ সরকারের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, কামার ও বাঁশ ব্যবসায়ীরা যাতে ঝগড়া ফ্যাসাদে ব্যবহৃত হয় সে ধরনের দেশীয় অস্ত্র তৈরী না করেন সেজন্য তাদেরকে নিয়ে শনিবার সভা করেছি। বেলা ১১টায় অনুষ্ঠিত সভায় উপজেলার ৩৮ জন কাঁমার ও ১৬জন বাঁশ ব্যাবসায়ি অংশ নেন।

ওসি আরো বলেন, দেশীয় অস্ত্র উদ্ধারে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

Leave a Reply

নবীনগরে অগ্নিকান্ডে ১২ দোকান ভস্মিভূত

চলারপথে রিপোর্ট : নবীনগরে একটি বিপণীবিতানে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে Read more

মদসহ ভারতীয় নাগরিক আটক

চলারপথে রিপোর্ট : আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশনে অভিযান চালিয়ে বিদেশি Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় স্বচ্ছতা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে ৮৩…

চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সম্পূর্ণ স্বচ্ছতা ও সঠিক প্রক্রিয়ায় ৮৩জন Read more

জননিরাপত্তার নিশ্চিত করার জন্য রাজনৈতিক ঐক্যমত…

চলারপথে রিপোর্ট : জননিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য রাজনৈতিক ঐক্যমত একান্ত Read more

বিপুল পরিমাণ গাঁজাসহ গ্রেফতার ১

চলারপথে রিপোর্ট : বিজয়নগর উপজেলা থেকে বিপুল পরিমাণ গাঁজাসহ ১ Read more

সম্মেলনকে কেন্দ্র করে বাঞ্ছারামপুরে ১৪৪ ধারা…

চলারপথে রিপোর্ট : বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় সম্মেলনকে কেন্দ্র করে উপজেলা ও Read more

বৈষম্যহীন নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে অংশীজন ও…

চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় “বৈষম্যহীন নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে অংশীজন ও Read more
ফাইল ছবি

আশুগঞ্জে ট্রেনের ধাক্কায় বৃদ্ধার মৃত্যু

চলারপথে রিপোর্ট : আশুগঞ্জে ট্রেনের ধাক্কায় মাথায় আঘাত পেয়ে অজ্ঞাতনামা Read more

আখাউড়ায় বিনামূল্যে ধান বীজ বিতরণ চলারপথে রিপোর্ট : আখাউড়া উপজেলায় Read more

কুয়েতে সড়ক দুর্ঘটনায় আবু বাক্কার নিহত

চলারপথে রিপোর্ট : কুয়েতে প্রাইভেটকার দুর্ঘটনায় শেখ আবু বাক্কার (৩৪) Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বাস উল্টে যাত্রী নিহত

চলারপথে রিপোর্ট : সরাইল উপজেলায় বাস উল্টে গোপী কান্ত ঘোষ Read more

ট্রাক-অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ একজন নিহত

চলারপথে রিপোর্ট : ট্রাক ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে অটোরিকশার Read more

নাসিরনগরে ঐতিহ্যবাহি শুঁটকি মেলা অনুষ্ঠিত

নাসিরনগর, 17 April 2023, 1177 Views,

চলারপথে রিপোর্ট  :
নাসিরনগরে প্রতি বছরের ন্যায় এবারো সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বাংলা পঞ্জিকার নিয়ম অনুযায়ী পহেলা বৈশাখ ঐতিহ্যবাহি শুঁটকি মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই মেলার বড় বৈশিষ্ট হচ্ছে “বিনিময় প্রথা”। অর্থাৎ পণ্যের বিনিময়ে পণ্য।

উপজেলা সদরের কুলিকুন্ডা গ্রামের উত্তর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যলয় মাঠে বসে এই মেলা। মেলা উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে শুঁটকি ব্যবসায়ীরা শুঁটকি নিয়ে আসেন মেলায়। জেলার বিভিন্ন উপজেলাসহ আশপাশ জেলা থেকে ভোজন রসিকরা আসেন এই মেলায় শুঁটকি কিনতে। পছন্দের শুঁটকি কিনে ক্রেতারা তৃপ্ত হন। শুঁটকি মেলায় প্রায় দুই শতাধিক জাতের শুঁটকির পসরা নিয়ে বসেন দোকানিরা। এসব শুঁটকির মধ্যে ছিলো বোয়াল, গজার, শোল, বাইম, ছুড়ি, লইট্টা, পুটি ও টেংরাসহ নানা জাতের দেশীয় মাছের শুঁটকি। এছাড়াও মেলায় ভারত থেকে আমদানি করা বিভিন্ন প্রজাতির শুঁটকিও উঠে।

মেলায় জেলার বিভিন্ন এলাকার শুঁটকি ব্যবসায়ীরা ছাড়াও চট্টগ্রাম, সিলেট ও সুনামগঞ্জ থেকে শুঁটকি নিয়ে আসেন ব্যবসায়ীরা। মেলায় সামুদ্রিক অনেক বিরল জাতের মাছের শুঁটকি ছাড়াও ইলিশ ও কার্প জাতীয় মাছের ডিমের শুটকি উঠে।

স্থানীয়রা জানান, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বাংলা পঞ্জিকার নিয়ম অনুযায়ী প্রতি বছর পহেলা বৈশাখে উপজেলার কুলিকুন্ডা গ্রামে এই শুঁটকি মেলা অনুষ্ঠিত হয়। তারা বলেন, প্রায় দুইশ বছরেরও অধিক সময় ধরে পহেলা বৈশাখে এখানে শুটকি মেলা বসে। প্রতি বছরই দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ব্যবসায়ীরা তাদের শুঁটকি নিয়ে আসেন মেলায়। এই শুঁটকি মেলার বড় বৈশিষ্ট হচ্ছে “বিনিময় প্রথা”। অর্থাৎ পণ্যের বিনিময়ে পণ্য। ভোরে মেলা বসার পর সকাল ১০টা পর্যন্ত বিনিময়ের মাধ্যমে চলে বেচা কেনা। এ কারণেই ধারণা করা হয় এই মেলার ইতিহাস অনেক পুরনো।

মেলায় শুঁটকি কিনতে আসা উপজেলার ভলাকুট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ রুবেল মিয়া ও উপজেলার নুরপুর গ্রামের মতি মিয়া বলেন, আমরা যখন ছোট ছিলাম, তখন বাপ-দাদার সাথে এই মেলা এসেছি। এবারো শুঁটকি কেনার জন্য মেলায় আসছি।

উপজেলার কুলিকুন্ডা গ্রামের বাসিন্দা মজিবুর রহমান সর্দার বলেন, এখানে শত বছরের বেশী সময় ধরে নিয়মিত ভাবে এই মেলা বসছে। এই মেলায় এখনো বিনিময় প্রথা চালু থাকায় আমরা ধারণা করছি, এ মেলা আদিম কালের। এই মেলা আমাদের কুলিকুন্ডা গ্রামের ঐতিহ্য বহন করে।

মেলায় শুঁটকি কিনতে আসা উপজেলার কুলিকুন্ডা গ্রামের মহব্বত আলী বলেন, প্রাচীনকালে যখন কাগজের মুদ্রা প্রচলন হয়নি তখন থেকেই কৃষকরা তাদের উৎপাদিত ফসলের বিনিময়ে এখান থেকে শুঁটকি কিনতেন। কালের বির্বতনে এই মেলার জৌলুস অনেকটা কমেছে। হ্রাস পেয়েছে বিনিময় প্রথাও। তিনি বলেন, ঐতিহ্য হিসেবে এই মেলায় শুঁটকি কেনার জন্যে এসেছি। ছোট বেলায় বাবার সাথে এই মেলায় আসতাম।

মেলায় শুঁটকি নিয়ে আসা ব্যবসায়ী কৃষ্ণদাস বলেন, দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির কারনে হ্রাস পেয়েছে ঐতিহ্যবাহী পণ্য বিনিময় প্রথা। এখন নামে মাত্র এই প্রথা চালু আছে। তিনি বলেন, আমি প্রতি বছরই শুঁটকি নিয়ে মেলায় আসি।

স্থানীয়রা জানান, একদিনের মেলায় লাখ লাখ টাকার শুঁটকি বিক্রি হয়। ব্যবসায়ীরা শুঁটকি বিক্রি করে লাখ লাখ টাকা নিয়ে নির্বিঘ্নে বাড়ি ফিরে যায়। এছাড়াও মেলায় গৃহস্থালী পণ্যসহ বিভিন্ন ধরনের খেলনা বিক্রি হয়। তবে এবার শুঁটকির আমদানি বেশী হলেও দাম ছিল চড়া।

মেলা পরিচালনা কমিটির সভাপতি ওহাব আলী জানান, বিনিময় প্রথার ঐতিহ্য ধরে রাখার জন্যে আজো অল্প পরিসরে সূর্যোদয়ের সাথে-সাথে কিছুক্ষনের জন্যে পণ্য বিনিময়ের মাধ্যমে শুঁটকি বেচা-কেনা শুরু হয়। পরে চলে টাকা দিয়ে বেচা-কেনা।

তিনি জানান, “বাংলা পুঞ্জিকা অনুযায়ী বছরের প্রথম দিন পহেলা বৈশাখ উপলক্ষ্যে উপজেলার কুলিকুন্ডা গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠ সহ আশপাশের জমিতে বসে ঐহিত্যবাহী শুটকি মেলা। তিনি বলেন, পূর্ব পুরুষদের কাছ থেকে শুনেছি, মোগল আমল থেকেই এখানে শুঁটকি মেলা হয়ে আসছে।

নাসিরনগরে দেশীয় অস্ত্রসহ ৬ ডাকাত গ্রেফতার

নাসিরনগর, 31 January 2023, 1250 Views,

নাসিরনগর প্রতিনিধি :
নাসিরনগরে গত ২৭ জানুয়ারি ভোর রাতে ওরস থেকে ফেরার পথে ৩০টি সিএনজিচালিত অটোরিকশা আটক করে ডাকাতির ঘটনার পর পুনরায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ৬ ডাকাতকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৯-এর সিলেট ক্যাম্পের সদস্যরা। গত সোমবার মধ্যরাতে প্রযুক্তির সহায়তায় নাসিরনগর উপজেলার ফান্দাউক ইউনিয়নের আতুকুরা বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।গ্রেফতারকৃতরা হলেন, ডাকাত দলের মূলহোতা হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলার উড়ালকুল গ্রামের আবদু রউফের ছেলে মোঃ আবুল কালাম (২৬), একই জেলার লাখাই উপজেলার মুরিআগ গ্রামের রুহুল আমিনের ছেলে জসিম উদ্দিন (২৪), একই উপজেলার বামে কাটিয়ারা গ্রামের রতন মিয়ার ছেলে মোঃ রিপন মিয়া (২১), ফিরোজ মিয়ার ছেলে লাভলু মিয়া (২৩), একই এলাকার মৃত হাজী মলয় মিয়ার ছেলে মাহমুদুল হাসান জুয়েল (৩৫) ও নিবারন সরকারের ছেলে সবুজ সরকার (২১)। এ সময় অজ্ঞাতনামা আরো ৪/৫ জন ডাকাত পালিয়ে যায়।

আজ ৩১ জানুয়ারি মঙ্গলবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর শহরের দক্ষিণ পৈরতলায় র‌্যাব-৯ এর অস্থায়ী কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব-৯-এর অধিনায়ক উইং কমান্ডার মমিনুল ইসলাম এই তথ্য জানান।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, প্রতি বছর ২৬ জানুয়ারি নাসিরনগর উপজেলার চাপরতলা ইউনিয়নের খান্দুরা গ্রামের সৈয়দ আক্তার হুসাইনের বার্ষিক ওরস অনুষ্ঠিত হয়। ওরস মাহফিলে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজার হাজার ভক্ত উপস্থিত হন। ওরস শেষে শুক্রবার ভোর রাতে ভক্তরা সিএনজিচালিত অটোরিক্সা দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে উপজেলার চাপরতলা-ছাতিয়াইন সড়কের বুড়ইউরি গ্রামের পাশে পৌছলে ১৫/১৬ জনের একটি ডাকাত দল প্রায় ৩০টি অটোরিক্সা আটক করে যাত্রীদের চোখ বেঁধে তাদের কাছে থাকা নগদ টাকা, মোবাইল ফোন ও স্বর্ণালংকার নিয়ে যায়। এ সময় ডাকাতরা ৩০ জন যাত্রীকে মারধোর করে ও কুপিয়ে আহত করে। এ ঘটনায় পরদিন ডাকাতির শিকার এক অটোরিক্সার চালক বাদি হয়ে নাসিরনগর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
এ ঘটনার পর গত সোমবার মধ্যরাতে র‌্যাব প্রযুক্তির সহায়তায় উপজেলার ফান্দাউক ইউনিয়নের আতুকুরা বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৬জন ডাকাতকে গ্রেফতার করে। এ সময় ডাকাতদের কাছ থেকে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র ছাড়াও ৫টি বাটন মোবাইল ফোন, ৩ টি স্মার্ট টাচ মোবাইল ফোন, নগদ ৬ হাজার ১৬০ টাকা উদ্ধার করে। গ্রেফতারকৃতরা গত ২৭ জানুয়ারি ৩০টি অটোরিক্সায় ডাকাতির কথা স্বীকার করেছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসনে হেভিওয়েট স্বতন্ত্র প্রার্থীতে বেকায়দায় আওয়ামীলীগ

নাসিরনগর, রাজনীতি, 31 December 2023, 871 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১-(নাসিরনগর) : হাওর বেষ্টিত এই আসনটি আওয়ামীগের ভোট ব্যাংক হিসেবে পরিচিত। ১৩টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত এই আসনের ভোটার সংখ্যা ২লাখ ৫২হাজার ৫৪৭জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৩৩ হাজার ১০৯জন, মহিলা ভোটার ১ লাখ ১৯ হাজার ৪৩৬জন এবং হিজরা ২জন। এই আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা বদরুদ্দোজা মোঃ ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের দূর্গ হিসেবে পরিচিত এই আসন থেকে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করছেন আওয়ামীলীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলেন ৫জন প্রার্থী।

প্রার্থীরা হলেন, বর্তমান সংসদ সদস্য ও আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী বদরুদ্দোজা মোঃ ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম (নৌকা প্রতীক), বিএনপির চেয়ারপারসনের বহিষ্কৃত উপদেষ্টা ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আলহাজ্ব সৈয়দ একে একরামুজ্জামান (কলার ছড়ি প্রতীক), জাতীয় পার্টির মুহাম্মদ শাহানুল করিম (লাঙ্গল প্রতীক), বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের মোঃ ইসলাম উদ্দিন (মোমবাতি প্রতীক) ও ওয়ার্কার্স পার্টির মোহাম্মদ বকুল হোসেন-( হাতুড়ি প্রতীক)।

বর্তমানে নির্বাচনী এলাকায় বিরাজ করছে উৎসব মুখর পরিবেশ। প্রতিদ্ব›িদ্ব প্রার্থীরা তাদের প্রচার-প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রার্থীরা গণসংযোগ, উঠান বৈঠক ও নির্বাচনী সভা করছেন।

কাগজে-কলমে এই আসনে ৫ জন প্রার্থী থাকলেও ইতিমধ্যেই জাতীয় পার্টির প্রার্থী মুহাম্মদ শাহানুল করিম ঘোষনা দিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী আলহাজ্ব সৈয়দ একে একরামুজ্জামানের কলার ছড়ি প্রতীকের সমর্থনে নির্বাচনী মাঠ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন।

বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের মোঃ ইসলাম উদ্দিন (মোমবাতি প্রতীক) ও ওয়ার্কার্স পার্টির মোহাম্মদ বকুল হোসেন-( হাতুড়ি প্রতীক) এর তেমন প্রচার-প্রচারনা নেই।

নির্বাচনী মাঠে আওয়ামীলীগের প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য বদরুদ্দোজা মোঃ ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আলহাজ্ব সৈয়দ একে একরামুজ্জামান ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১-(নাসিরনগর) আসনটি ১৯৯৬ সালের পর থেকে আওয়ামী লীগের দখলে। ২০০১ সালের নির্বাচনে চট্টগ্রাম বিভাগে আওয়ামীলীগের বিপর্যয়ের সময়ও বর্ষিয়ান আওয়ামীলীগ নেতা ও সাবেক মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রী অ্যাডভোকেট ছায়েদুল হক এই আসন থেকে বিজয়ী হয়েছিলেন। অ্যাডভোটে ছায়েদুল হক ১৯৯৬ সাল থেকে টানা ৪ বারসহ মোট ৫ বার এই আসন থেকে বিজয়ী হয়েছিলেলন।
২০১৭ সালের ১৬ ডিসেম্বর অ্যাডভোকেট ছায়েদুল হক মৃত্যুবরণ করলে ২০১৮ সালের ১৩ মার্চ অনুষ্ঠিত উপ-নির্বাচনে বি.এম ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে এই আসনে প্রথমবারের মতো বিজয়ী হন। পরবর্তীতে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও বি.এম ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম বিএনপির হেভিওয়েট প্রার্থী ও বিএনপির চেয়ারপারসনের তৎকালীন উপদেষ্টা সৈয়দ একে একরামুজ্জানকে হারিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও আবার মুখোমুখী হয়েছেন আওয়ামীলীগ প্রার্থী বি.এম ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম এবং হেভিওয়েট প্রার্থী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ একে একরামুজ্জান।

এবারের নির্বাচনী মাঠে বদরুদ্দোজা মোঃ ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম অনেকটা চাপে আছেন। দলীয় অনেক নেতা-কর্মীই তার পক্ষে নেই। আওয়ামীলীগের এই বিভক্তির কারনে নির্বাচনী মাঠে সুবিধা পাচ্ছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আলহাজ্ব সৈয়দ একে একরামুজ্জামান। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন বঞ্চিত তিন নেতা কেন্দ্রীয় কৃষকলীগের অর্থ সম্পাদক আলহাজ্ব নাজির মিয়া, তার স্ত্রী ও নাসিরনগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি রোমা আক্তার এবং নাসিরনগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এটিএম মনিরুজ্জামান সরকার প্রকাশ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী আলহাজ্ব সৈয়দ একে একরামুজ্জামানের কলার ছড়ির পক্ষে মাঠে কাজ করছেন। এছাড়াও নির্বাচন থেকে সড়ে দাঁড়ানো জাতীয় পার্টির নেতা মুহাম্মদ শাহানুল করিমও কলার ছড়ির পক্ষে মাঠে কাজ করছেন। এদিকে আওয়ামীলীগের প্রার্থী বদরুদ্দোজা মোঃ ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম স্থানীয় এক সাংবাদিককে ও একজন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে দেখে নেয়ার হুমকি দেয়ায় নির্বাচনী মাঠে ব্যাপক সমালোচিত হয়েছেন। নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে গত ২৪ ডিসেম্বর সংগ্রামকে নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটি তাকে শোকজ করে। পরদিন ২৫ ডিসেম্বর তিনি স্বশরীরে অনুসন্ধান কমিটির কাছে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দেন। সব মিলিয়ে নির্বাচনী মাঠে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী বদরুদ্দোজা মোঃ ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম অনেকটা বেকায়দায় আছেন। এবারের নির্বাচনে আসনটি আওয়ামীলীগের হাতছাড়া হওয়ার আশাঙ্কা রয়েছে।

এ ব্যাপারে বাংলাদেশ কৃষকলীগের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ নাজির মিয়া বলেন, বি.এম ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম ক্ষমতায় থেকে তাদের উপর, দলের নেতা-কর্মীদের উপর অনেক অত্যাচার, অবিচার করেছেন এজন্য তারা নাসিরনগরবাসীকে নিরাপদে রাখতে এবার স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছেন।

এ ব্যাপারে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী বদরুদ্দোজা মোঃ ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম সাংবাদিকদের জানান তিনি নির্বাচনী এলাকায় উন্নয়ন কর্মকান্ড করেছেন। নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী।

এ ব্যাপারে স্বতন্ত্র প্রার্থী আলহাজ্ব সৈয়দ একে একরামুজ্জামান বলেন, নির্বাচনী মাঠে ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। জনগন পরিবর্তন চায়, এক ব্যক্তির কারাগার থেকে মুক্তি চায়। তিনি বলেন, আগে দলীয় প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেছি। বর্তমানে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করায় আমার সাথে আওয়ামীলীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীরা আছে। আওয়ামীলীগ থেকে মনোনয়ন বঞ্চিত তিন প্রার্থী আমার জন্য কাজ করছেন। ইতিমধ্যেই জাতীয় পার্টির প্রার্থী শাহানুল করিমও আমাকে সমর্থন করে নির্বাচন থেকে সড়ে দাড়িয়েছেন। সাধারন মানুষের কাছ থেকে বিপুল সাড়া পাচ্ছি। বর্তমান পরিবেশ যদি বজায় থাকে তাহলে আমি জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদি।

ধর্ম যাদের আলাদা করতে পারেনি, মৃত্যু আলাদা করে দিল

নাসিরনগর, 16 November 2023, 633 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
নজরুল ও চন্দন দুই বন্ধু, জন্মের পর থেকেই দুই জনের একসঙ্গে বেড়ে ওঠা। দু’জনেই লেখাপড়া শেষে একসঙ্গে একটি স্বনামধন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। দীর্ঘদিন যাবত লিভারজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন শিক্ষক নজরুল ইসলাম (৪৫)।

গতকাল বুধবার দুপুরে নিজ বাসায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার সদর ইউনিয়নের পশ্চিমপাড়ার বাসিন্দা নজরুল ইসলাম।

মুসলিম বন্ধুর লাশের খাটিয়া কাঁধে করে গোরস্তানে নিয়েছেন হিন্দু বন্ধু চন্দন দেব। বন্ধু নজরুলের শেষ বিদায়ে প্রতিটি কাজে অংশ নিয়েছেন চন্দন দেব।

নজরুল ইসলামের জানাযার সময় উপস্থিত মুসল্লিদের উদ্দেশ্য নাসিরনগর আশুতোষ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক চন্দন দেব বলেন, আমাদের জন্ম দুটি গর্ভে কিন্তু আমরা চলেছি ভাইয়ের মতো। নজরুলের মৃত্যুতে আমি ভেঙে পড়েছি। ধর্ম আমাদের আলাদা করতে পারেনি; কিন্তু মৃত্যু আলাদা করে দিল!

সাম্প্রতিক সময়ে দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নিয়ে বেশ আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে। এখানে শতবছর ধরে সকল ধর্মের মানুষ পারস্পরিক সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখে সুখে-শান্তিতে বসবাস করে আসছে। নজরুল ইসলামের লাশের খাটিয়া কাঁধে তুলে নিয়ে সেই কথা আবার মনে করিয়ে দিয়েছেন চন্দন দেব।

বিজয়লক্ষ্মী কলেজের প্রভাষক বরুণ কান্তি সরকার বলেন, এটাই আমাদের প্রকৃত নাসিরনগর। শুধু চন্দন দেব নয়, এর আগেও হিন্দু পরশমনি নামের একজনের শেষকৃত্যে মুসলমান যুবকরাও ভূমিকা রেখেছে।

নাসিরনগরে আটটি বৈদ্যুতিক খুঁটি রেখেই সড়ক উন্নয়ন

নাসিরনগর, 16 June 2023, 910 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
নাসিরনগরে চিতনা থেকে রসুলপুর পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার সড়কে আটটি বৈদ্যুতিক খুঁটি রেখেই চলছে উন্নয়ন কাজ। এতে ওই সড়ক দিয়ে যান চলাচলের সময় ঘটছে দুর্ঘটনা।

এ অবস্থায় বৈদ্যুতিক খুঁটিগুলো দ্রুত সরিয়ে ফেলার দাবি করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। কাজটি তদারক করছে উপজেলা প্রকৌশল বিভাগ।

নাসিরনগর উপজেলার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) সূত্রে জানা গেছে, প্রায় সাড়ে আট কোটি টাকা ব্যয়ে দুই মাস আগে এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহ থেকে রাস্তার নির্মাণ কাজ শুরু হয়। গুনিয়াউক ইউনিয়নের চিতনা গ্রাম থেকে ফান্দাউক ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রাম পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণ করা হচ্ছে। কাজটি পায় হাসান এন্টারপ্রাইজ নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এর আগে রাস্তা ছোট ছিল। তখন রাস্তার এক পাশে ছিল বৈদ্যুতিক খুঁটি। এখন যেহেতু রাস্তা প্রশস্ত করা হয়েছে তাই কিছু খুঁটি ভেতরে পড়েছে। নির্মাণ সম্পন্ন করার আগে খুঁটি সরানো হবে বলে জানিয়েছেন উপজেলা প্রকৌশলী।

গত মঙ্গলবার ওই এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, চিতনা থেকে রসুলপুর পর্যন্ত রাস্তার মাটি ভরাটের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। এই রাস্তার কাজ শুরু হয়েছে চিতনা ও চাপরতলা গ্রামের সংযোগকারী একটি সেতুর গোড়া থেকে। সেতু থেকে নামতেই রাস্তার মাঝ অংশে দাঁড়িয়ে রয়েছে একটি বৈদ্যুতিক খুঁটি। কিছু দূর যেতেই রাস্তার মাঝ অংশে আরো কয়েকটি খুঁটি দেখা যায়। বৈদ্যুতিক খুঁটি থাকায় রাস্তার ওই অংশ দিয়ে পথচারী ও যানবাহন ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। স্থানীয় বাসিন্দারা খুঁটিগুলো সরিয়ে নেওয়ার দাবি জানালেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ পদক্ষেপ নিচ্ছে না।

চিতনা গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা খায়রুল ইসলাম বলেন, রাস্তার মধ্যে ৭-৮টা খুঁটি রেখেই নির্মাণকাজ চলছে। গত দুই-তিন দিন ধরে বৃষ্টি হচ্ছে। রাস্তায় মাটির কাজ চলায় কাদা হয়ে গেছে। এই কর্দমাক্ত রাস্তায় বিদ্যুতের খুঁটি থাকায় খুবই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। প্রতিদিন ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটছে। বারবার বলার পরও খুঁটিগুলো সরানো হচ্ছে না।

অপর বাসিন্দা শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘রাস্তার মইধ্যে বিদ্যুতের খুডি (খুঁটি) রাইখা কীভাবে রাস্তার কাজ করে আমার বুঝে আসে না।’

গুনিয়াউক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জিতু মিয়া জানান, রাস্তার মাঝ অংশে বেশকিছু পল্লী বিদ্যুতের খুঁটি রেখে নির্মাণকাজ চলছে। এটা বিদ্যুৎ অফিসের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাবেন এবং দ্রুত খুঁটি সরিয়ে জনদুর্ভোগ কমাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করব।

এ বিষয়ে নাসিরনগর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জোনাল ম্যানেজার তৌহিদ উল্লাহ খান বলেন, চিতনা থেকে রসুলপুর পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণ হচ্ছে এমন কোনো তথ্য তাঁদের জানা নেই। রাস্তা নির্মাণকারী কোনো সংস্থা তাঁদের এ বিষয়ে কিছু জানায়নি। পল্লী বিদ্যুতের প্রধান কার্যালয়ে কোনো পক্ষ যোগাযোগ করেছে কিনা তাঁর জানা নেই। তবে রাস্তা নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানকে নিজ খরচে বিদ্যুতের খুঁটি সরাতে হবে।

নাসিরনগর উপজেলা প্রকৌশলী রবিউল হোসাইন বলেন, রাস্তার মাটির কাজ শেষ হয়েছে। পুরো কাজ শেষ হতে আরও সময় লাগবে। কাজ শেষ হওয়ার আগেই রাস্তায় যে সব বৈদ্যুতিক খুঁটি পড়বে তা সরিয়ে কার্পেটিংয়ের কাজ করা হবে।