চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের বাগানবাড়ির বাসিন্দা, জেলা বিএনপির সাবেক সহ- সভাপতি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জজ কোর্টের সাবেক পিপি, প্রবীন আইনজীবী হামিদুর রহমান ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
আজ ৬মে শনিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে রাজধানী ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ডায়াবেটিক, হৃদরোগসহ বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, দুই ছেলে, তিন মেয়েসহ অসংখ্য আত্মীয় স্বজন রেখে যান।
মরহুমের ছোট ছেলে আশিক আলী রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, তার বাবা ডায়াবেটিস ও হৃদরোগে ভুগছিলেন। গত বৃহস্পতিবার তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়।
শুক্রবার রাতে তিনি লাইফ সাপোর্টে ছিলেন। শনিবার সকালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
অ্যাডভোকেট হামিদুর রহমান ব্রাহ্মণবাড়িয়া আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি দীর্ঘদিন জজ কোর্টের পিপিও ছিলেন।
শনিবার বাদ মাগরিব শহরের লোকনাথ উদ্যান টেংকের পাড়) জামে মসজিদ প্রাঙ্গনে মরহুমের নামাজে জানাযা শেষে তার মরদেহ শহরের শেরপুর কবরস্থানে দাফন করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কৃতি সন্তান, ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের অগ্নিপুরুষ বিপ্লবী উল্লাস কর ১৩৮তম জন্মদিন পালিত হয়েছে।
দিবসটি উপলক্ষে “উল্লাসকর দত্ত স্মৃতি সংসদ” ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উদ্যোগে রবিবার বিকেলে জেলা শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে “উল্লাসকর দত্তের সংগ্রামী জীবন ও স্মৃতি রক্ষার আন্দোলন” শীর্ষক এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, বিশিষ্ট কবি ও গীতিকার মোঃ আবদুল কুদদূস।
উল্লাসকর দত্ত স্মৃতি সংসদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সভাপতি ও মুক্তিযুদ্ধের গবেষক, কবি জয়দুল হোসেনের সভাপতিত্বে ও ঝিলমিল একাডেমির পরিচালক মনিরুল ইসলাম শ্রাবণের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় আলোচক ছিলেন সিপিবির জেলা সাধারণ সম্পাদক কমরেড সাজিদুল ইসলাম, বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদ (সিলেট অঞ্চল)-এর সাংগঠনিক সম্পাদক সাংবাদিক মোঃ মনির হোসেন।
মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন উল্লাসকর দত্ত স্মৃতি সংসদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম স্বপন।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, হঠাৎ করে কেউ বিপ্লবী হয় না। বিপ্লবী হতে হলে দেশ এবং দেশের মানুষকে ভালোবাসতে হয়। বিপ্লবী হতে হলে সাহসী হতে হয়। বিপ্লবী উল্লাসকর দত্ত আজীবন লড়াই করে গেছেন। উল্লাসকর দত্ত ছোটবেলা থেকেই মানুষ এবং মাতৃভূমিকে ভালোবেসেছেন। তিনি ব্রিটিশ খেদাও আন্দোলনে নানা লড়াই-সংগ্রামে অংশগ্রহণ করেছেন। তিনি সশস্ত্র বিপ্লবের পক্ষে ছিলেন।
কারণ তিনি বুঝতে পেরেছিলেন সচতুর ইংরেজদের বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রাম ছাড়া পরিপূর্ণ স্বাধীনতা অর্জন সম্ভব নয়। ব্রিটিশের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে যেয়ে তিনি মামলার শিকার হন। দীর্ঘদিন কারাগারে অবর্ণনীয় নির্যাতন সহ্য করেও দেশ ও বিপ্লবের চেতনা থেকে তিনি একটুও বিরত হননি।
বক্তারা বলেন, উল্লাসকর দত্ত একটি অখন্ড ভারত চেয়েছিলেন। একটি স্বাধীন দেশ চেয়েছিলেন। যে দেশে সকল মানুষ ধর্ম, বর্ণ, জাত-পাতের ভেদাভেদ ভুলে সুখে শান্তিতে বসবাস করবে। উল্লাসকর দত্তের এই মহৎ উদ্দেশ্য আজও সফল হয়নি। তাই উল্লাসকর দত্তের বিপ্লবও শেষ হয়ে যায়নি।
এজন্য উল্লাসকর দত্তের বিপ্লবী ও দেশাত্মবোধের চেতনা আমাদের সবাইকে বুকে ধারণ করে দেশ গড়ার কাজে আত্মনিয়োগ করতে হবে। বক্তারা স¤প্রতি উল্লাসকর দত্তের বসত বাড়িটি প্রত্নতত্ত্ব দপ্তরের আওতায় নিয়ে আসায় সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
এসময় তারা উল্লাসকর দত্তের বসভিটা বাঘাবাড়িতে একটি জাদুঘর প্রতিষ্ঠার দাবি জানান। অনুষ্ঠানে সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পূর্ব বিরোধের জেরে দুই পক্ষের মধ্যে আবারও সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় ককটেলের বিস্ফোরণ ও বেশ কয়েকটি বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
আজ ৩০ মার্চ শনিবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বিরাসার গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে চারজনকে আটক করা হয়েছে।
জানা যায়, সম্প্রতি জুয়া খেলার টাকা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে বিরাসার গ্রামের বাবুল মিয়ার পক্ষের আলামিন, একই গ্রামের মিজান আনসারির সাহেব বাড়ি পক্ষের মহিদ মিয়া ও তার ছেলেকে মারধর করেন। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এরই জেরে শনিবার সকাল থেকে উভয় পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। সংঘর্ষে দেশীয় অস্ত্রের পাশাপাশি ককটেলের বিস্ফোরণসহ উভয় পক্ষের ১০ থেকে ১২টি বাড়ি ঘরে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।
ফায়ার সার্ভিসের জেলা প্রধান নিউটন দাস জানান, ভোরে অগ্নিসংযোগের খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে ছুটে আসি। এসব বাড়িতে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. বিল্লাল হোসেন বলেন, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে গ্রামের একাধিক পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে চারজনকে আটক করেছে। সংঘর্ষ এড়াতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনের আউটারে কন্টেইনার ট্রেনের একটি বগি লাইনচ্যুত হওয়ায় আপ লাইনে (ঢাকা অভিমুখে) ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
আজ ১৯ নভেম্বর রবিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশন আউটার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে নিশ্চিত করেছেন স্টেশনে কর্তব্যরত সহকারী স্টেশন মাস্টার শাকির জাহান।
সহকারী স্টেশন মাস্টার জানান, চট্টগ্রাম থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা ৬০৭ নম্বর কন্টেইনার ট্রেনটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন অতিক্রম করে ঢাকার দিকে যাওয়ার পথে তিন নম্বর লাইনে পেছন দিকের একটি বগির চারটি চাকা লাইনচ্যুত হয়।
তিনি আরো জানান, লাইনচ্যুতির কারণে রেললাইনের পাত বাঁকা হয়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।দুর্ঘটনা কবলিত বগি উদ্ধারে রিলিফ ট্রেন আসার জন্য আখাউড়া রেলওয়ে জংশনে খবর দেওয়া হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
রাজধানীতে রাজনৈতিক কর্মসূচিতে সাংবাদিকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাংবাদিক ইউনিয়নের আয়োজনে আজ ৩০ অক্টোবর সোমবার দুপুরে পৌরশহরের বঙ্গবন্ধু স্কয়ার থেকে এ বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। মিছিলটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রেস ক্লাবের সামনে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি দীপক চৌধুরী বাপ্পির সভাপতিত্বে এ সময় বক্তব্য দেন- সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক ফরহাদুল ইসলাম পারভেজ, সিনিয়র সাংবাদিক কবি জয়দুল হোসেন, সরাইল প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মাহবুব খান বাবুল, আশুগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আল মামুন, গাজী টিভির জেলা প্রতিনিধি জহির রায়হান ও জাগো নিউজের জেলা প্রতিনিধি আবুল হাসনাত মো. রাফি।
বক্তারা বলেন, সাংবাদিকদের কাজ সংবাদ সংগ্রহ করা। সেদিন তারা তাদের পেশাগত কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু স্বাধীনতা বিরোধী রাজনৈতিক অপশক্তি সাংবাদিকদের লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। আমরা এসব ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কারাগারের দেয়াল টপকে মাদক দিতে যাওয়া এক যুবককে আটক করেছে কারা কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার সদর উপজেলার উড়শিউড়ায় জেলা কারাগারে এ ঘটনা ঘটে।
আটক যুবকের কাছ থেকে একটি ছুরিও উদ্ধার করা হয়। তবে কারা কর্তৃপক্ষ তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ না দেওয়ায় সদর মডেল থানা পুলিশ তাকে অন্য এক মাদক মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করেছে।
আটক যুবকের নাম মো. সুমন হাজারী (২২)। সে সদর উপজেলার উড়শিউড়া গ্রামের মো. জাহাঙ্গীর হাজারির ছেলে। মাদক মামলায় আদালতের মাধ্যমে আজ ৩০ ডিসেম্বর শনিবার তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
কারা তত্ত্বাবধায়ক মো. শহিদুল ইসলাম জানান, শুক্রবার বিকেলে ওই যুবক জেলখানার সীমানা প্রাচীর টপকে মাদক নিয়ে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করে। এ সময় জেলখানার সিসি ক্যামেরায় বিষয়টি ধরা পড়ে। পরে তাৎক্ষণিকভাবে তাকে আটক করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে একটি চাকু ও কয়েক পুরিয়া গাঁজা উদ্ধার করা হয়। পরে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আসলাম হোসাইন জানান, ওই যুবকের কাছে কয়েক পুরিয়া গাঁজা পাওয়া যায়। তবে জেলখানা কর্তৃপক্ষ থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ দেয়নি। ওই যুবককে অন্য এক মাদক মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়।