অনলাইন ডেস্ক :
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির মা রহিমা ওয়াদুদ মারা গেছেন।
আজ ৬ মে শনিবার বেলা ১২টার দিকে রাজধানীর কলাবাগানের নিজ বাসভবনে তার মৃত্যু হয় (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রজিউন)।
শিক্ষামন্ত্রীর মায়ের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়ের জানান, শিক্ষামন্ত্রী বর্তমানে রাষ্ট্রীয় সফরে যুক্তরাজ্যে অবস্থান করছেন। তিনি আগামীকাল ৭ মে রবিবার সকালে দেশে ফিরবেন। তারপর মরহুমার দাফন করা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
পটুয়াখালীর দশমিনায় বুড়াগৌরাঙ্গ নদীতে ঝড়ের কবলে পড়ে বরযাত্রীবাহী ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটেছে। এতে এক নারী নিহত এবং বর ও বরের মাসহ চারজন নিখোঁজ রয়েছেন। নিখোঁজদের উদ্ধারে ফায়ার সার্ভিস, নৌপুলিশসহ উপজেলা প্রশাসন কাজ করছে।
আজ ২৮ এপ্রিল শুক্রবার বিকেলে উপজেলার রণগোপালদী ইউনিয়নের আউলিয়াপুর লঞ্চঘাট সংলগ্ন বুড়াগৌরাঙ্গ নদীতে এ ঘটনা।
নিখোঁজ বরের নাম রাব্বি হাওলাদার। তিনি উপজেলার রণগোপালদী ইউনিয়নের গুলি আউলিয়ার গ্রামের মনির হাওলাদারের ছেলে।
নিহত নারীর নাম লিপি বেগম (৩০)। তিনি বর রাব্বি হাওলাদারের ফুপু। লিপি বেগম উত্তর রণগোপালদী এলাকার ধলু হাওলাদারের স্ত্রী।
বরের স্বজন মঞ্জুর এলাহী জানান, কয়েকদিন আগে রাব্বি হাওলাদারের সঙ্গে চরবোরহান ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের হুমায়ুন মুন্সির মেয়ে সুমাইয়া আক্তারের বিয়ে হয়। ২৫ এপ্রিল মঙ্গলবার বর রাব্বি হাওলাদার তার স্বজনদের নিয়ে নববধূকে আনতে কনের বাড়িতে যান। শুক্রবার নববধূ সুমাইয়াসহ ১৪-১৫ জন আত্মীয়-স্বজনকে নিয়ে চরবোরহান থেকে ট্রলারযোগে বাড়ির ফিরছিলেন। এসময় তাদের ট্রলার আউলিয়াপুর লঞ্চঘাটের কাছাকাছি গিয়ে ঝড়ের কবলে পড়ে বুড়াগৌরাঙ্গ নদীতে ডুবে যায়।
নিখোঁজ অন্যরা হলেন বরের মা সেলিনা আক্তার (৪০), উত্তর রণগোপালদী এলাকার ধলু হাওলাদারের মেয়ে খাদিজা (৫) ও উত্তর চর শাহজালাল এলাকার বেল্লাল মুন্সির মেয়ে মানসুরা (৮)।
দশমিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী হাসান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
দশমিনা ফায়ার সার্ভিস স্টেশন লিডার আনোয়ার হোসেন বলেন, নিখোঁজদের সন্ধানে অভিযান চলছে। তবে এখন পর্যন্ত চারজনের কাউকে পাওয়া যায়নি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাফিসা নাজ নীরা বলেন, আমি ঘটনাস্থলে আছি। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। ফায়ার সার্ভিস ও নৌপুলিশ সদস্যরা উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
থানচিতে অভিযান চালিয়ে কাঠ পোড়ানোর অপরাধে এসবিএম নামের একটি ইটভাটা মালিকের ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। আজ ১৫ জানুয়ারি সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বান্দরবানের থানচি সদরের হেডম্যানপাড়া এলাকার এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
স্থানীয় সূত্র জানায়, সহকারী কমিশনার (ভূমি) সেন্টু কুমার বড়ুয়ার নেতৃত্বে উপজেলার থানচি হেডম্যানপাড়া এলাকার এসবিএম ইটভাটায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় ইটভাটায় অবৈধভাবে জ্বালানি হিসেবে কাঠ পোড়ানোর দায়ে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
সেন্টু কুমার বড়ুয়া সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ইটভাটায় কাঠ পোড়ানোর অপরাধে এসবিএম ব্রিকস ফিল্ডকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। ভবিষ্যতে এরূপ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।
অনলাইন ডেস্ক :
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ত্বকের একটি ক্ষত অপসারণের চিকিৎসা নিয়েছেন। ১৭ অক্টোবর বৃহস্পতিবার এ অস্ত্রোপচার করা হয়। আজ ১৮ অক্টোবর শুক্রবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রধান উপদেষ্টা বৃহস্পতিবার ঢাকার সিএমএইচে ত্বকের একটি ক্ষত অপসারণের জন্য একটি ছোট চিকিৎসা পদ্ধতি দিয়ে গেছেন। আজও ফের চিকিৎসা নিয়েছেন তিনি। এতে উল্লেখ করা হয়েছে, শুক্রবার সকালে তিনি ফের দায়িত্ব পালন করেন। চলমান সংলাপের অংশ হিসেবে ১৯ অক্টোবর শনিবার কয়েকটি রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন তিনি।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়া উপজেলায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত দুই শতাধিক পরিবারের মাঝে সরিষার বীজ, টিন ও নগদ অর্থ বিতরণ করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৩৩ পদাতিক ডিভিশন।
আজ ২৯ সেপ্টেম্বর রবিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে অস্থায়ী সেনাবাহিনীর ক্যাম্প থেকে এসব পন্য বিতরণ করেন ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম।
আখাউড়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও পৌরসভায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ১০টি পরিবারকে ৪ বান টিন, নগদ ৪ হাজার টাকা প্রদান করা হয়। এছাড়াও ২০০ পরিবারের মাঝে সরিসার বীজ ও নগদ ১ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন ১০১ পদাতিক কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবু সাঈদ আল মসউদ প্রমুখ।
অনুষ্ঠান শেষে জেনারেল মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে রিলিফ বিতরণ করেছি। এখন পুনর্বাসনের চেষ্টা করছি। ইতিমধ্যে ৫৬০টি টিন বিতরণ করা হয়েছে। আরো ২০০ জনকে টিন দেওয়া হবে। প্রতিটি পরিবারকে ৪ বান টিন ও নগদ ৪ হাজার করে টাকা সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। পরে ধানের চারা বিতরণ করা হবে। পর্যায়ক্রমে ১৭ হাজার কেজি রবিশস্য ১৭ হাজার পরিবারের মাঝে বিতরন করা হবে। পরে আখাউড়ার নারায়ণপুর এলাকায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত অসহায় বৃদ্ধ কুলসুম বেগমের (৬০) বাড়ি পরিদর্শন করেন মেজর জেনারেল মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম। এসময় তিনি কুলসুম বেগমের সাথে কথা বলেন। তার সুবিধা অসুবিধার কথা শুনেন এবং ঘর নির্মাণের জন্য টিন ও নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করেন।
চলারপথে ডেস্ক :
কালোবাজারি বন্ধে ট্রেনের টিকিটে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। অনলাইনে টিকিট কেনার সময় যাত্রীর এনআইডি যাচাই করা হবে। কাউন্টার থেকে টিকিট কিনতে আগাম নিবন্ধন করতে হবে। তারপর এনআইডি দেখিয়ে স্টেশন থেকে টিকিট পাওয়া যাবে। ট্রেনে ভ্রমণের সময়েও সঙ্গে ছবিযুক্ত পরিচয়পত্র রাখতে হবে।
আগামী ১ মার্চ থেকে এ পদ্ধতি চালু করতে চায় রেল।
বুধবার সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাবেন রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন। তাই রেলের কর্মকর্তারা কেউ নাম প্রকাশ করে আগাম কিছু জানাতে রাজি হননি। রেল সূত্র জানিয়েছে, কাউন্টার থেকে টিকিট পেতে নিবন্ধনের জন্য ইন্টারনেটের প্রয়োজন হবে না। মোবাইল ফোন থেকে এসএমএসের মাধ্যমে নিবন্ধন করা যাবে।
দেশের জনগোষ্ঠীর বড় অংশ প্রযুক্তির সুবিধার বাইরে, অনেকে প্রযুক্তি ব্যবহারে স্বচ্ছন্দ নয়। তারা কীভাবে নিবন্ধন করবেন- এমন প্রশ্নে রেলের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেছেন, ‘আজকাল সবার মোবাইল ফোন এবং এনআইডি আছে। নিবন্ধন করতে না পারার কারণ নেই।’
যাদের ফোন নেই তারা কী করবেন- প্রশ্নে ওই কর্মকর্তা বলেছেন, তারা টিকিট পাবে না। ‘টিকিট যার ভ্রমণ তার’ নীতি বাস্তবায়নে ট্রেন ভ্রমণের সময় পরিচয়পত্র রাখতে হবে। পরিচয়পত্রের সঙ্গে টিকিটে থাকা নাম না মিললে, ওই যাত্রীকে বিনা টিকিটের যাত্রী হিসেবে গণ্য করে জরিমানা করা হবে।
আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে নিবন্ধন করা যাবে। যাত্রীদের সহযোগিতায় বড় স্টেশনগুলোতে হেল্প ডেস্ক খুলবে রেল। আগেও একবার এনআইডি দেখিয়ে আন্তঃনগর ট্রেনে প্রথম শ্রেণির টিকিট কেনা বাধ্যতামূলক করা হয়েছিল। তাতে বেশি সময় লাগায় স্টেশনগুলোতে দীর্ঘ সারি তৈরি হয়ে যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ হয়েছিল।
বর্তমানে আন্তঃনগর ট্রেনের অর্ধেক আসনের টিকিট অনলাইনে বিক্রি হয়। রেলের ওয়েব সাইটে অ্যাকাউন্ট খুলে একজন যাত্রী সর্বোচ্চ চারটি টিকিট করতে পারেন। অ্যাকাউন্ট খুলতে এনআইডি ও ফোন নম্বর দিতে হয়। তবে এসব নম্বরের সত্যতা ভেরিফাইয়ের (যাচাই) সুযোগ নেই। তাই একইব্যক্তি একাধিক অ্যাকাউন্ট খুলে কালোবাজারে টিকিট বিক্রি করছে বলে অভিযোগ রয়েছে। তা ঠেকাতে এনআইডি যাচাইয়ে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে চুক্তি করেছে রেল। তাই কেউ একাধিক অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবে না।
ট্রেনে টিকিট চেকিংয়ে পরিবর্তন আসছে, যুক্ত হচ্ছে পয়েন্ট অব সেলস (পস) মেশিন। বিনা টিকিটের যাত্রীদের ট্রেনের ভেতরে তাৎক্ষনিক পস মেশিন টিকিট দেওয়া হবে। অনলাইনে ও নগদে টাকা পরিশোধ করা যাবে। এতে রাজস্ব বাড়বে বলে আশা করছে রেলওয়ে। টিকিট জাল কী না তাও ধরা পড়বে পস মেশিনে।
অনলাইনেই ফেরত দেওয়া যাবে টিকিট। নতুন পদ্ধতিতে, টিকিট ফেরত দিলে অনলাইনেই টাকা ফেরত পাওয়া যাবে। ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সী যাত্রীরা মা-বাবার এনআইডি দিয়ে টিকিট কিনতে পারবে। তবে, যার এনআইডি তাঁর সঙ্গে সম্পর্ক প্রমাণে জন্ম নিবন্ধন সনদের ফটোকপি দেখাতে হবে।