চলারপথে রিপোর্ট :
কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার মধ্যম মাঝিগাছা গ্রামে এক যুবককে ডেকে নিয়ে পিটুনি দেয় প্রেমিকার বাবা ও চাচা। এ ঘটনায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় যুবকটি মারা যায়। ছেলের মারা যাওয়ার ঘটনা শুনে যুবকের বাবাও মারা যান।
নিহত যুবকের নাম মাহিন মিয়া (২০) ও তার বাবা হিরন মিয়া (৫০)।
নিহতের ছোট ভাই আলম জনান, তার বড় ভাই মাহিনের সাথে প্রতিবেশী তন্বী আক্তারের ১ বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। গেল বৃহস্পতিবার রাতে মাহিনকে তন্বীর বাবা মুজা মিয়া ও চাচা জাহাঙ্গীর হোসেন বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায়। পরে মাহিনকে বেদম পিটুনি দিয়ে বেঁধে রাখে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত মাহিনকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়।
আজ ৭মে রবিবার সকালে কিছুটা সুস্থ বোধ করলে মাহিনকে ছাড় দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। পরে বেলা ১১ টায় বাড়ির সামনে মাথাঘুরে পড়ে যায় মাহিন। পরে আবারও তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মাহিনকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে, ছেলের মৃত্যুর ঘটনা শুনে বাবা হিরন মিয়া বাড়িতে অসুস্থ হয়ে পড়েন। বাড়ির লোকজন হিরন মিয়াকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকেও মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনার পর প্রেমিকার বাবা ও চাচাসহ স্বজনরা ঘরে তালা দিয়ে পালিয়ে যায়।
স্থানীয় ৭ নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য হাফিজ উদ্দিন জানান, এই পরিবারটি গ্রামের অত্যন্ত নিরীহ পরিবার। নিহত ছেলেটির টাইলসের কাজের পাশাপাশি স্থানীয় বাজারে ভাতের হোটেলের ব্যবসা করতো। বৃহস্পতিবার রাতে ডেকে নিয়ে ছেলেটিকে পিটিয়ে আহত করে মেয়েটির বাবা মোজাম্মেল ও চাচা জাহাঙ্গীর। এরপর থেকে ছেলেটি কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল। সকালে মৃত্যুর খবর শুনে হামলাকারীরা বাড়িঘর তালাবদ্ধ করে পালিয়ে গেছে।
মৃত্যুর খবরে ঘটনাস্থলে যান কোতোয়ালি মডেল থানার ছত্রখিল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম।
বিকেলে ঘটনাস্থলে যান কুমিল্লা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) কামরান হাসান।
তিনি বলেন, হামলার ঘটনায় নিহত ছেলেটির মরদেহ বর্তমানে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে আছে। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এ ঘটনায় মামলা হবে দোষীদের গ্রেফতারি পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
কক্সবাজারের চকরিয়ায় ভাতিজার ছুরিকাঘাতে চাচা খুন হয়েছেন। চকরিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল জব্বার জানান, শনিবার মধ্যরাতে চকরিয়া উপজেলার পশ্চিম বড় ভেওলা ইউনিয়নের দরবেশকাটা স্টেশনে এ ঘটনা ঘটেছে। নিহত আনোয়ার হোসেন (৪০) চকরিয়া উপজেলার পশ্চিম বড় ভেওলা ইউনিয়নের দরবেশকাটা উত্তর পাড়ার আবু তাহের লেদুর ছেলে।
অভিযুক্ত মোহাম্মদ এনামুল হক ওই এলাকার মোহাম্মদ আয়াজের ছেলে।
শনিবার মধ্যরাতে চকরিয়া উপজেলার দরবেশকাটা স্টেশনের একটি কামারের দোকানের সামনে স্থানীয় কয়েকজন যুবক আড্ডা দিচ্ছিল। এক পর্যায়ে ওই এলাকা দিয়ে যাওয়ার পথে আনোয়ার হোসেনকে আড্ডারত যুবকরা ‘এক কামড়ে ৬ হাজার টাকা’ বলে টিটকারি দেয়। এ নিয়ে আনোয়ার হোসেন প্রতিবাদ করলে মোহাম্মদ এনামুল হকসহ আড্ডারত যুবকরা ক্ষিপ্ত হয়ে চড়াও হয়। এতে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে এনামুল হক স্থানীয় কামার দোকান থেকে ছোরা নিয়ে আসে। তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে ছুরিকাঘাত করলে আনোয়ার হোসেন আহত হয়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানান ওসি।
অনলাইন ডেস্ক :
লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে দোকান লুট মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেফতারের পর ছেড়ে দেওয়ার ঘটনায় আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এতে কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সোলাইমানসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে সমন জারি করেছেন আদালত। আজ দুপুর আড়াইটার দিকে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী অঞ্চল কমলনগর আদালতের বিচারক তারেক আজিজ এ আদেশ দেন। থানার ওসিসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী মজিবুর রহমান একটি মামলা দায়ের করেন। এতে অজ্ঞাত আরো ৪ জনকে আসামি করা হয়।
আদালতের পেশকার মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ওসিসহ ৪ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আদালত মামলাটি আমলে নিয়েছেন। আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে সমন জারি করেছে। ২০ জুন তাদেরকে আদালতে উপস্থিত থাকার জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন বিচারক। বাদীর আইনজীবী মো. সোলাইমান মোল্লাও বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন কমলনগর উপজেলার চরজাঙ্গালিয়া গ্রামের শাহজাহান, চরমার্টিন গ্রামের নুর আলম ও চরলরেন্স গ্রামের কাউছার।
বাদী মজিবুর উপজেলার মধ্য চরমার্টিন গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে ও তোবারগঞ্জ বাজারের হার্ডওয়্যার দোকানের ব্যবসায়ী।
বাদী মজিবুর ও এজাহার সূত্র জানায়, শাহজাহানদের সঙ্গে মজিবুরদের জমি নিয়ে বিরোধ রয়েছে। এর জের ধরে শাহজাহান তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি মামলা দায়ের করে। এ মামলায় ১৮ এপ্রিল পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে লক্ষ্মীপুর আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠায়। ১৪ দিন জেল খেটে মজিবুর জামিনে মুক্ত হয়। এদিকে তিনি জেলে থাকাকালীন ২৪ এপ্রিল শাহজাহানরা তার (মজিবুর) দোকানের গ্রিল ভেঙে ভেতরে ঢুকে। একপর্যায়ে তারা ১০ লাখ টাকার মালামাল লুট করে। পরে জেল থেকে বের হয়ে ৪ জুন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে শাহজাহানসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মজিবুর মামলা দায়ের করে। মামলাটি আমলে নিয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন বিচারক। ৭ জুন আদালতের নির্দেশনা পেয়ে কমলনগর থানা গ্রেফতারি পরোয়ানা নথিভুক্ত করে। বৃহস্পতিবার বিকেলে তোরাবগঞ্জ বাজার থেকে পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) ইকবাল হোসেন মামলার আসামি শাহজাহান ও মাইন উদ্দিনকে গ্রেফতার করে। পরে তাদেরকে থানায় নিয়ে যায়। পরদিন শুক্রবার রাত ৩টার দিকে অবৈধভাবে আর্থিক লেনদেন করে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোলাইমান আসামি শাহজাহানকে ছেড়ে দেন।
একইদিন সকাল ৬টায় শাহজাহান লোকজনসহ ধারালো অস্ত্র নিয়ে বাদীর বাসার সামনে হত্যা করে লাশ গুমের হুমকি দেন। এ নিয়ে বাদী পরিবার নিয়ে আতংকে রয়েছেন।
কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সোলাইমান বলেন, মামলার বিষয়টি আমার জানা নেই। এখনো আদালতের কোন চিঠিও পাইনি। আসামি শাহজাহান হার্টের রোগী ছিল। অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাকে শর্ত দিয়ে ছাড়া হয়েছিল।
চলারপথে রিপোর্ট :
বান্দরবানের লামা উপজেলার আজিজনগরে স্বর্ণ চুরির অভিযোগে অসহায় নারী ও তার শিশুসন্তানকে পেটালেন ইউপি চেয়ারম্যান ও আজিজনগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক জসিম উদ্দীন।
চিৎকার শুনে স্থানীয়রা ৯৯৯ নাম্বারে ফোন করলে পুলিশ এসে তাদের আহত অবস্থায় উদ্ধার করে। এ ঘটনায় সোমবার রাতেই আজিজনগরে চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন স্থানীয় বিক্ষুব্ধ জনতা। আহত মা ও শিশুকে উদ্ধার করে বান্দরবান সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহতরা হলেন- আজিজনগর ইউনিয়নের সোলাইমান বাজার ৬নং ওয়ার্ডের আশরাফপাড়ার বাসিন্দার মো. মোরশেদের স্ত্রী সেলিনা আক্তার (৩০) ও তার শিশুসন্তান মো. সেলিম ওরফে সোয়াদ (৯)। শিশুটি চাম্বি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র। নির্যাতনকারী ইউপি চেয়ারম্যান জসিম উদ্দীন ৩নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা।
এ ঘটনায় সেলিনা আক্তারের স্বামী ও সোহাগের পিতা মো. মুরশেদ হাওলাদার লামা থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।
অপরদিকে ইউপি চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিনও লামা থানায় চুরির অভিযোগে করেছেন।
মো. মুরশেদ হাওলাদার বলেন, জসিম চেয়ারম্যানের স্ত্রী আমাকে ফোন করে গত শনিবার রাতে দেখা করতে বলেন। আমি আর আমার স্ত্রী দেখা করলে আমাদের ছেলে স্বর্ণ চুরি করার অভিযোগ করে আমাদের তিনজনকে মধ্যযুগীয় কায়দায় মারধর করেন এবং আমার আহত ছেলেকে আটকে রাখেন। আমার সম্পত্তি লিখে দিয়ে ছেলেকে নিয়ে যেতে বলেন। স্থানীয়দের সহায়তায় আমরা ৯৯৯ নাম্বারে ফোন করে ছেলেকে উদ্ধার করি। পরে স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় আহত মা ও ছেলেকে বান্দরবান সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তারা বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, গত দুবছর ধরে আমার ছেলেকে পড়ালেখার কথা বলে নিয়ে গিয়ে ঘরের কাজ করতে দেন চেয়ারম্যান। ঘরের কাজ করালেও দুই বছরে আমাদের কোনো টাকা দেয়নি।
আজিজনগর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক এনামুল হক ভূঁইয়া জানান, গত দুই বছর যাবত ছেলেটাকে লেখাপড়া করানোর কথা বলে চেয়ারম্যানের বাসায় রাখছে। ছেলেটা বাড়ির কাজকর্মও করত। কয়েক দিন আগে চেয়ারম্যানের বউয়ের স্বর্ণ চুরি হয়েছে। সে স্বর্ণ চুরির অপবাদে চেয়ারম্যান ছেলেটাকে পিটাইছে। তারপরে মাকে বাবাকে ডেকেও কিল ঘুসি থাপ্পড় দিছে। পরে ছেলেটাকে আটকিয়ে রাখে চেয়ারম্যান। এ সময় ৯৯৯ নাম্বারে ফোন পেয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করে তার বাবা-মায়ের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্ত আজিজনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন বলেন, শিশু সোয়াদ আমার বাসা থেকে স্বর্ণ চুরি করেছে। ছেলেটা আমার কাছে দুই বছর ধরে ছিল। আমি তো শিশুটিকে ধরে এনে বেঁধে রাখিনি যে ৯৯৯ নাম্বারে পুলিশ এসে উদ্ধার করবে- এটি সত্য নয়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে লামা থানার ওসি মো. শহীদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ৯৯৯ নাম্বারে কল পেয়ে আমরা শিশুটিকে উদ্ধার করে পিতা ও মায়ের জিম্মায় দিয়েছি। উভয়পক্ষ থানায় অভিযোগ দিয়েছে, আমরা তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব। এ ঘটনায় থানায় মামলা হবে।
প্রসঙ্গত, এ ঘটনায় সোমবার রাতে অসহায় নারী ও শিশুকে চুরির অপবাদ দিয়ে পিটিয়ে আহত করার প্রতিবাদে চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন স্থানীয় বিক্ষুব্ধ জনতা।
চলারপথে রিপোর্ট :
রিদপুরের আলফাডাঙ্গায় পাট কাটতে গিয়ে সাপের কামড়ে মো. ওয়াজ কুরুনী (২০) নামে এক কলেজছাত্রের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।
আজ ১৭ আগস্ট বৃহস্পতিবার ভোররাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। ওয়াজ কুরুনী উপজেলার বানা ইউনিয়নের রুদ্রবানা গ্রামের নেপুর মোল্যার ছেলে ও আলফাডাঙ্গা সরকারি ডিগ্রি কলেজের স্নাতক প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী।
এলাকা সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বানা ইউনিয়নের রুদ্রবানা গ্রামের নেপুর মোল্যার ছেলে ওয়াজ কুরুনী ১৬ আগস্ট বুধবার দুপুরে বাড়ির পাশের বিলে পাট কাটছিলেন। এ সময় একটি বিষাক্ত সাপ তাকে কামড় দেয়। এতে সে অসুস্থ হয়ে পড়লে পরিবারের লোকজন তাকে আলফাডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গেলে সেখান থেকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে মুমূর্ষু অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে বৃহস্পতিবার ভোর রাতে মৃত ঘোষণা করেন।
বৃহস্পতিবার বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করে সংশিষ্ট ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. বাবার আলী জানান, ওয়েজ কুরুনীকে সাপে কাটলে আলফাডাঙ্গা হাসপাতালে নিলে সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীণ অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
অপরদিকে, ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার পরমেশ্বরদী ইউনিয়নের ভাবখন্ড গ্রামে সাপের কামড়ে বর্ষন মহন্ত (১১) নামের এক কিশোর মারা গেছে। ওই কিশোর ভাবখন্ড গ্রামের দেবাশীষ মহন্তের ছেলে। বৃহস্পতিবার তার লাশ দাহ করা হয়েছে।
এলাকাবাসি সূত্রে জানা যায়, বুধবার দুপুরে ওই কিশোরের বসতঘরের ভিতর মাটির গর্তের ভিতরে পা গেলে বিষধর সাপে কামড় দেয়। পরে তাকে পাশের আলফাডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ কমপ্রেক্সে নিয়ে গেলে হাসপাতালে সাপের বিষের ওষুধ না থাকায় তাকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। পরে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। বৃহস্পতিবার বর্ষনের মরদেহ স্থানীয় শ্মশানে দাহ করা হয়েছে।
জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মসিউর রহমান রাঙ্গাঁর প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, ২০১৫ সালের জুলাই মাস থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে লিগ্যাল এইড অফিসে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি (এডিআর) কার্যক্রম শুরু হয়। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, কেবল ২০২২ সালে ৩৭ হাজার ৮৬০ জন মামলা দায়ের করার এডিআর সহায়তার জন্য লিগ্যাল এইড অফিসে এসেছেন। পরিসংখ্যান থেকে দেখা যাচ্ছে যে, সাধারণ মানুষ এখন মামলা দায়ের করার আগে এডিআরের মাধ্যমে তাদের বিরোধ মিটাতে উৎসাহ বোধ করছেন। সারাদেশের লিগ্যাল এইড অফিসসমূহ শতভাগ দায়িত্ব ও আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করছে।
দেওয়ানি কার্যবিধিতে জেলা এইড অফিসারের মাধ্যমে বিরোধ নিষ্পত্তির সুযোগ রয়েছে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেন, লিগ্যাল এইড অফিসসমূহে অসহায় সাধারণ বিচারপ্রার্থীকে আইনি পরামর্শ, বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি এবং মামলায় আর্থিক সহায়তা সেবা দেওয়া হয়েছে। ২০২২ সালে ৩২ হাজার ৫৫৪ জনকে মামলা দায়েরের জন্য আইনগত সহায়তা দেওয়া হয়েছে।
আজ ১৮ জানুয়ারি বুধবার সংসদের বৈঠকের প্রশ্নোত্তরে তিনি এসব তথ্য জানান। এর আগে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদে বৈঠক শুরু হলে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।
জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মসিউর রহমান রাঙ্গাঁর প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, ২০১৫ সালের জুলাই মাস থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে লিগ্যাল এইড অফিসে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি (এডিআর) কার্যক্রম শুরু হয়। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, কেবল ২০২২ সালে ৩৭ হাজার ৮৬০ জন মামলা দায়ের করার এডিআর সহায়তার জন্য লিগ্যাল এইড অফিসে এসেছেন। পরিসংখ্যান থেকে দেখা যাচ্ছে যে, সাধারণ মানুষ এখন মামলা দায়ের করার আগে এডিআরের মাধ্যমে তাদের বিরোধ মিটাতে উৎসাহ বোধ করছেন। সারাদেশের লিগ্যাল এইড অফিসসমূহ শতভাগ দায়িত্ব ও আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করছে। তিনি বলেন, বিদ্যমান আইন ও বিধিমালার মাধ্যমেই বিকল্প পদ্ধতিতে বিরোধ নিষ্পত্তি করা সম্ভব হচ্ছে, তাই এ পর্যায়ে প্রচলিত আইন সংশোধনের পরিকল্পনা সরকারের নেই।
গণফোরামের সংসদ সদস্য মোকাব্বির খানের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, জমির মালিকানাসংক্রান্ত বিরোধ কমিয়ে আনার জন্য আইনানুগ কর্তৃপক্ষের মাধ্যেমে ছাড়পত্র প্রদানের বিধান করার কোনো পরিকল্পনা আপাতত সরকারের নেই। তবে জমির মালিকানাসংক্রান্ত বিরোধ হ্রাস করার জন্য সরকার কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
আনিসুল হক বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে দেশের ভূমি নিবন্ধনে জনবান্ধব ‘ই-রেজিস্ট্রেশন’ কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় সাব-রেজিস্ট্রি অফিস ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসকে প্রশাসনিক এখতিয়ারের মধ্যে রেখে ইতোমধ্যে আন্তঃসংযোগ স্থাপন করা হয়েছে।
সারাদেশের দলিল নিবন্ধন ব্যবস্থাকে ডিজিটাইজড করার লক্ষ্যে ‘দলিল নিবন্ধন ব্যবস্থাপনা অটোমেশন’ শীর্ষক একটি উন্নয়ন প্রকল্পের প্রস্তাব পরিকল্পনা কমিশনে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানান আইনমন্ত্রী। তিনি বলেন, সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের সঙ্গে সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসের আন্তঃসংযোগ কার্যক্রমকে অধিক ফলপ্রসূ করার লক্ষ্যে আইন ও বিচার বিভাগ এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের মধ্যে নিয়মিত সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। উভয় মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে একটি কমিটি আন্তঃসংযোগ কার্যক্রমের অগ্রগতি নিয়মিত পর্যালোচনা করছে।
সরকারের কার্যক্রমের ফলে দেশের ভূমিব্যবস্থা স্বচ্ছ ও সমৃদ্ধ হয়েছে বলে সংসদে দাবি করেন আইনমন্ত্রী। তিনি বলেন, মানুষের ভোগান্তি লাঘব হয়েছে। আশাকরি, সুষ্ঠু ভূমিব্যবস্থাপনার মাধ্যমে জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধ ক্রমান্বয়ে হ্রাস পাবে।