অনলাইন ডেস্ক :
কুমিল্লার তিতাসে যুবলীগ নেতা জামাল হোসেন আধিপত্য বিস্তার ও পূর্ব শত্রুতার জেরে খুন হয়েছে বলে জানিয়েছে র্যাব।
আজ ৭ মে রবিবার সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর কুমিল্লা কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে এ কথা জানান র্যাবের অধিনায়ক লেফট্যানেন্ট কর্নেল মো. তানভীর মাহমুদ পাশা।
তিনি বলেন, আধিপত্য বিস্তার ও পূর্ব শত্রুতার জেরে কুমিল্লার তিতাসে পরিকল্পিত খুনের শিকার হয়েছেন যুবলীগ নেতা জামাল হোসেন।
বোরকা পরে কমান্ডো স্টাইলে গুলি করে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩ জনকে ঢাকা ও চট্টগ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। দুর্বৃত্তদের ব্যবহৃত ৩টি বোরকা জব্দ করা হয়েছে।
কর্ণেল মো. তানভীর মাহমুদ পাশা বলেন, হত্যাকাণ্ডের পর থেকে র্যাব-১১ এর একাধিক টিম তদন্তে নামে। ঘটনাস্থলসহ আশপাশের বাড়িঘর ও স্থাপনার বেশ কিছু সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়। র্যাবের গোয়েন্দা তথ্য এবং তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় শনিবার ঢাকার রায়েরবাগ থেকে শাহিনুল ইসলাম ওরফে সোহেল শিকদার (৪০) ও মো. ইসমাইল (৩৬) এবং চট্টগ্রাম থেকে শাহ আলম ওরফে পা কাটা আলমকে (৩৬) গ্রেফতার করা হয়। এদের মধ্যে শাহিনুল ইসলাম ওরফে সোহেল শিকদার তিতাস উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান।
তিনি জানান, এই হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত অপর ৬ আসামির মধ্যে সুজন ও আরিফ নেপালে, বাদল দুবাই, শাকিল ভারতে ও অলি হাসান সৌদি আরবে এবং কালা মনির অজ্ঞাত স্থানে পালিয়ে আছে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তানভীর মাহমুদ পাশা বলেন, কিলিং মিশনে অংশ নেওয়া বোরকা পরা ৩ দুর্বৃত্তের পরিচয় অনেকটা নিশ্চিত হওয়া গেছে। তবে তদন্তের স্বার্থে তাদের নাম-পরিচয় এখনই বলা যাচ্ছে না। বিদেশে পলাতক আসামিদের গ্রেফতারের বিষয়ে ইন্টারপোলের সহায়তা নেওয়া হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে ঘটনাস্থল ও আশেপাশের সিসিটিভি ফুটেজ সাংবাদিকদের দেখানো হয়। এসময় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন র্যাব ১১, সিপিসি-২ এর কমান্ডার মেজর মোহাম্মদ সাকিব হোসেন।
তিনি জানান, মাদরাসা রোড দিয়ে দুর্বৃত্তরা ঘটনাস্থলে এলেও কিলিং মিশন শেষ করে অন্য রোডে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলের অদূরের একটি ঝোপের মধ্য থেকে দুর্বৃত্তদের ব্যবহার করা তিনটি বোরকা উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারদের দাউদকান্দি মডেল থানায় হস্তান্তর করা হবে বলে জানান তিনি।
এদিকে দুপুরে দাউদকান্দি মডেল থানার ওসি আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া জানান, হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত গাড়ির চালককে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত পরে জানানো হবে।
গত ৩০ এপ্রিল রাত সোয়া আটটার দিকে কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার গৌরীপুর পশ্চিম বাজারে তিতাস উপজেলার জিয়ারকান্দি গ্রামের বাসিন্দা জামাল হোসেনকে গুলি করে হত্যা করে বোরকা পরা তিন দুর্বৃত্ত। এ ঘটনায় ২ মে রাত সাড়ে ১১টায় দাউদকান্দি থানায় ৯ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত সাত থেকে আটজনের নামে মামলা করেন নিহত জামালের স্ত্রী পপি আক্তার। জামাল হোসেন তিতাস উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক ছিলেন।
স্টাফ রিপোর্টার :
সময় টিভির বার্তা প্রধান মুজতবা দানিশ এবং সময় টিভির রংপুর অফিসের ব্যুরো প্রধান রতন সরকারের বিরুদ্ধে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক সামসুল হক কর্তৃক ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়েরকৃত হয়রানি মূলক মামলার প্রতিবাদে আজ ৬ ফেব্রুয়ারি সোমবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মানবন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সকাল সাড়ে ১০টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সামনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কর্মরত সর্বস্তরের সাংবাদিক ও সূধীজন এর ব্যানারে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
প্রেসক্লাবের সভাপতি রিয়াজউদ্দিন জামির সভাপতিত্বে মানববন্ধনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও যায়যায়দিনের স্টাফ রিপোর্টার মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা, সিনিয়র সহ-সভাপতি জসিম উদ্দিন, সহ-সভাপতি নিয়াজ মোহাম্মদ খান বিটু, সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি দীপক চৌধুরি বাপ্পি, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের আহবায়ক ও সমকালের স্টাফ রিপোর্টার আবদুন নূর, প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আ.ফ.ম কাউছার এমরান, সাংবাদিক সৈয়দ মোহাম্মদ আকরাম, শিহাব উদ্দিন বিপু, ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি অসীম কুমার বর্ধন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া নাগরিক ফোরামের সভাপতি পিযূষ কান্তি আচার্য্য, সাধারণ সম্পাদক রতন কান্তি দত্ত, সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার আবু হোরায়রাহ, খেলাঘর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাধারণ সম্পাদক নিহার রঞ্জন সরকার, মোজ্জামেল চৌধুরি, সাংবাদিক বিশ্বজিৎ পাল বাবু, জালাল উদ্দিন রুমি প্রমুখ।
সাংবাদিক হাবিবুর রহমান পারভেজের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সময় টিভির ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ব্যুরো প্রধান উজ্জ্বল চক্রবর্তী প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, আইনমন্ত্রী বলেছিলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কোনো সাংবাদিককে মামলা দিয়ে হয়রানি করা হবে না। কিন্তু বাস্তবে এই কথার উল্টো চিত্র আমরা দেখছি। সাংবাদিকদের কন্ঠরোধ করার জন্য সারা দেশেই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দেয়া হচ্ছে।
বক্তারা বলেন, মামলা দিয়ে সাংবাদিকদের কন্ঠ রোধ করা যাবেনা। বক্তারা অবিলম্বে সময় টিভির বার্তা প্রধান মুজতবা দানিশ এবং সময় টিভির রংপুর অফিসের ব্যুরো প্রধান রতন সরকারের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহার ও জিডিটাল নিরাপত্তা আইনটি বাতিল করার দাবি জানান।
অনলাইন ডেস্ক :
লক্ষ্মীপুরে বাড়ছে শীতের তীব্রতা। উত্তরীয় হিমেল হাওয়ায় কনকনে শীত এখন জেলার মানুষদের কাঁপিয়ে তুলছে। দিনভর সূর্যের দেখা কিছুটা মিললেও সন্ধ্যা নামলেই পুরো এলাকা ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়ছে।
এমন পরিস্থিতিতে শীতের দাপটে অনেকটা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে এখানকার মানুষ। হিমশিম খেতে হচ্ছে নিম্নআয়ের খেটে খাওয়া মানুষদের। একই সঙ্গে দিন দিন বেড়েই চলেছে ঠাণ্ডাজনিত রোগ বালাই। প্রতিনিয়ত বয়স্ক থেকে শুরু করে নারী-শিশুসহ সব বয়সী মানুষ আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। চিকিৎসকরা বলছেন ঠাণ্ডা এড়িয়ে চলে নিজেদের আরো সচেতন হতে হবে।
আজ ১২ জানুয়ারি শুক্রবার দুপুরে সরেজমিন লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতাল ঘুরে দেখা যায়, তৃতীয় তলার শিশু ওয়ার্ডে প্রতিটি বেডে দুজন করে রোগী। ৮টি বেডের বিপরীতে মেঝেতেসহ মোট ২৪ জন রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন ওই ওয়ার্ডে। তারা ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে। এদের কেউ জ্বর, ঠাণ্ডা, আবার কেউ সর্দি-কাশি, নিউমোনিয়া এবং শ্বাসকষ্টে ভুগছেন বলে জানান রোগীর স্বজনরা। ভর্তিকৃত রোগীদের কিছুটা উন্নতি হলেও প্রতিদিনই হাসপাতালে আসছেন নতুন নতুন রোগী। এতে করে হিমশিম খাচ্ছেন হাসপাতাল সংশ্লিষ্টরা।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিন ২০-২৫ জন রোগী ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হন। ইনডোর ও আউটডোরে প্রতিদিন শতাধিক রোগীকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। গত কয়েকদিন থেকে এমন পরিস্থিতি চলছে বলে জানায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, লক্ষ্মীপুর সদর, কমলনগর, রামগতি, রায়পুর ও রামগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ সব হাসপাতালের চিত্র এখন একই রকম। শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় পাল্লা দিয়ে হাসপাতালগুলোতে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। বিশেষ করে বয়স্কদের তুলনায় উদ্বেগজনক হারে শিশুরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে।
লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আনোয়ার হোসেন বলেন, রোগীর চাপে হিমশিম খেতে হচ্ছে। বর্তমানে শিশুদের পাশাপাশি বয়স্করাও শীতকালীন রোগে আক্রান্ত হওয়ার বড় ঝুঁকিতে রয়েছেন। বিশেষ করে শিশুদের গরম কাপড় পরানো, ঘন ঘন মায়ের দুধ সেবন করাসহ তাদের প্রতি বাড়তি নজর রাখা এবং সবাইকে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
অনলাইন ডেস্ক :
খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক বলেছেন, ‘শেখ হাসিনা সরকারের রাজনীতি ছিল গুম-খুন ও প্রতিহিংসার এবং আলেম-উলামাকে জেল-জুলুম করার। এ কারণে ভারতে পালিয়ে গেছে শেখ হাসিনা। বাংলাদেশের মাটিতে তার ঠাঁই হয়নি।’
৪ সেপ্টেম্বর বুধবার রাত ৮টায় মাধবপুর স্টেডিয়ামে খেলাফত মজলিশ আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। সভায় খেলাফত মজলিশের স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় নেতারা বক্তব্য দেন।
মামুনুল হক বলেছেন, ‘বাংলাদেশ গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা ও দেশের সব শ্রেণির মানুষের আন্দোলনে দ্বিতীয় স্বাধীনতা লাভ করেছে। এটি বাংলাদেশের মুক্তির মাইলফলক হিসেবে কাজ করবে। এই চেতনাকে ধারণ করতে হবে। ১৯৭১ সালে ইসলামের কথা বলে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল। কিন্তু ৯০ ভাগ মুসলমানের দেশে কোরআন-সুন্নাহবিরোধী কাজ করেছে আওয়ামী লীগ।’
তিনি বলেছেন, ‘১৯৭২ সালের সংবিধান সংশোধন করতে হবে। ৫ আগস্ট বিপ্লবের পর দেশের বিরুদ্ধে ফ্যাসিবাদী দোসররা অনেক ষড়যন্ত্র করেছে। কিন্তু জনতা তা ব্যর্থ করে দিয়েছে। ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে দেশবাসীকে ইস্পাতকঠিন শপথ নিতে হবে। পাড়া-মহল্লায় সংগ্রামপরিষদ গঠন করতে হবে।’
মামুনুল হক বলেছেন, ‘ভারতের বানের পানিতে এ দেশের মানুষের বিরাট ক্ষতি হয়েছে। ভারত এটি অন্যায় করেছে। বাংলাদেশকে ভারতের অঙ্গ রাজ্য করতে দেওয়া হবে না। রবীন্দ্রনাথ ও ভারতের বাবুদের সংস্কৃতি এ দেশে চাপিয়ে দেওয়া যাবে না।’
এ ব্যাপারে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হয়।
তিনি আরো বলেন, ‘শেখ হাসিনা সরকারের রাজনীতি ছিল গুম-খুন ও প্রতিহিংসার। দেশের টাকা বিদেশে পাচার করা, নিরীহ মায়ের কোল খালি করা। আলেম-উলামাকে জেল-জুলুম করা। এ কারণে শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে গেছে। বাংলাদেশের মাটিতে তার ঠাঁই হয়নি।’
আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনারা আর রাজনীতি করার চেষ্টা করবেন না। শেখ মুজিব ’৭৪ সালে মানুষ হত্যা করে বাকশাল গঠন করায় ৭৫ সালে তাকে জীবন দিতে হয়েছে।’ তিনি সারা দেশের আলেম-উলামাকে সব ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
স্মার্ট ভূমি ব্যবস্থাপনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে লালমনিরহাট জেলার ভূমি কর্মকর্তাদের নিয়ে এক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ৩ অক্টোবর মঙ্গলবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ প্রশিক্ষণের আয়োজন করে ভূমি মন্ত্রণালয় ও জেলা প্রশাসন।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্যাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে জুম অনলাইন প্লার্টফর্মে উপস্থিত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব খলিলুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে জুম প্লাটফর্মে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন রংপুর বিভাগীয় কমিশনার হাবিবুর রহমান, ভূমি সংস্কার বোর্ডের সদস্য শশাঙ্ক শেখর ভৌমিক, ভূমি মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব ড. মো: জাহিদ হোসেন পনির, উপসচিব সেলিম আহমদ প্রমুখ।
এ সময় প্রধান অতিথি বলেন, ভূমি সেবা ডিজিটাল থেকে স্মার্ট এ রুপান্তরিত করতে এ প্রশিক্ষণের আয়োজন। স্মার্ট ভূমি ব্যবস্থাপনা বাস্তবায়ন হলে জমির খাজনা প্রদান, নামজারী, জমি রেজিস্ট্রেশন ও বন্টনসহ বিভিন্ন জটিলতা দূর হবে। তবে ভূমি কর্মকর্তাদের পাশাপাশি সেবাগ্রহীতাদেরও এ বিষয়ে সচেতন করতে হবে। তাহলে স্মার্ট ভূমি ব্যবস্থাপনার সফলতা পাওয়া যাবে। এ প্রশিক্ষণে জেলার ৩৩জন ভূমি কর্মকর্তা, সহকারী কমিশনার (ভূমি) গণ অংশ নেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে না গিয়েই ঘরে বসে গাজীপুর জেলার নাগরিকগণ মাইগভ প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে অনলাইনে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ছয়টি সেবার জন্য আবেদন করতে পারবেন। সরকারের এটুআই প্রকল্পের পরিচালক অতিরিক্ত সচিব ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবির আজ ২০ জুলাই বৃহস্পতিবার দুপুরে গাজীপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের ভাওয়াল সম্মেলন কক্ষে আনুষ্ঠানিকভাবে এ সেবা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।
জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. মামুনুল করিম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (উন্নয়ন ও মানব সম্পদ) ওয়াহিদ হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোসাম্মৎ হাসিনা আক্তার, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. হুমায়ুন কবির, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ মোরাদ আলী প্রমুখ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তারা জানান, মাইগভ প্ল্যাটফর্মে ইতোমধ্যে ৩২টি মন্ত্রণালয় এবং ১৭৮ টি দপ্তর সংস্থার মোট ১৭৫৫টি সেবা নাগরিকের জন্য উন্মুক্ত আছে। প্রথম পর্যায়ে গাজীপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ছয়টি সেবা বৃহস্পতিবার নাগরিকগণের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। পর্যায়ক্রমে অপর সেবাসমূহ মাইগভ প্ল্যাটফর্মে নাগরিকগণের জন্য উন্মুক্ত করা হবে বলে আলোচনা সভায় এটুআই পরিচালক নিশ্চিত করেন।
জেলা প্রশাসক বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ এর প্রধান চারটি স্তম্ভ স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট সমাজ, স্মার্ট অর্থনীতি এবং স্মার্ট সরকার। এসপায়ার টু ইনোভেট (এটুআই) প্রোগ্রামের মাইগভ টিমের সহযোগিতায় স্মার্ট সরকারের আওতায় স্মার্ট অফিস বিনির্মাণের লক্ষ্যে পাইলট ভিত্তিতে গাজীপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নাগরিক সেবাসমূহের মধ্য হতে ১৬৮টি সেবাকে ইতোমধ্যে ডিজিটাইজড করার জন্য এ প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এটুআই এর মাইগভ টিম এবং জেলা প্রশাসকের কার্যালয় যৌথভাবে বিগত ৫ মাস নিরবিচ্ছিন্নভাবে ডিজিটাইজেশন কার্যক্রম পরিচালনা করে। মাইগভ এক ঠিকানায় সরকারি সেবার প্ল্যাটফর্ম এ নাগরিকদের জন্য ডিজিটাইজড সেবাসমূহ পর্যায়ক্রমে উন্মুক্ত করা হবে।
জেলা প্রশাসক আরো বলেন, ডিজিটাইজড সেবাসমূহ উন্মুক্তকরণের ফলে নাগরিকগণকে আবেদন করার জন্য জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আসার প্রয়োজন হবে না। ঘরে বসেই আবেদন করে নাগরিকগণ ঘরে বসেই সেবা পাবে। ফলে স্মার্ট বাংলাদেশের স্মার্ট সরকার এর সেবা গ্রহণে নাগরিকদের সময়, ব্যয় এবং যাতায়াত উল্লেখযোগ্য পরিমাণে হ্রাস পাবে এবং সেবামানের উন্নতি সাধিত হবে।
জনগণ যে ছয়টি সেবা পাবে সে গুলো হচ্ছে – ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সনদ প্রাপ্তির আবেদন, বীর মুক্তিযোদ্ধাগণের সন্তান/নাতি/নাতনীদের প্রত্যয়ন, বীর মুক্তিযোদ্ধাগণের বিবিধ আবেদন, প্যারোলে মুক্তির আবেদন, ছাপাখানার নাম ও ঠিকানা পরিবর্তনের আবেদন এবং ওয়াজ বা জিকির মাহফিল/মহাযজ্ঞ ও লীলা কীর্তন/ধর্মীয় অনুষ্ঠানে মাইক ব্যবহারের জন্য অনুমতি প্রাপ্তির আবেদন।