চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নয়টি থানার মধ্যে সামগ্রিক কর্ম মূল্যায়ন এপ্রিল- ২০২৩ মাসে শ্রেষ্ঠ অফিসার্স ইনচার্জ নির্বাচিত হলেন বিজয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রাজু আহম্মেদ।
পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আজ ৮ মে সোমবার অনুষ্ঠিত সভায় তাকে শ্রেষ্ঠ ওসি নির্বাচিত করা হয়। মাসিক কল্যাণ সভায় পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন তাকে সম্মাননা স্মারক ও পুরষ্কার তুলে দেন। এসময় জেলা পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
৯টি থানার মধ্যে তার সামগ্রীক কর্মতৎপরতায় বিজয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রাজু আহম্মেদ শ্রেষ্ঠ নির্বাচিত হয়েছেন।
বিজয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রাজু আহম্মেদ বলেন, এ পুরষ্কার বিজয়নগর উপজেলাবাসীর সার্বিক সহযোগিতা করার কারনে সম্ভব হয়েছে। পাশাপাশি বিজয়নগর থানার সদস্যদের অক্লান্ত পরিশ্রমে সামগ্রিক ভাবে আমরা জেলার সবচেয়ে ভালো করতে পারছি। আমাকে আগামিতে জনগণকে আরও বেশি সেবা দিতে অনুপ্রেরণা জোগাবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিজয়নগরে নাশকতার মামলায় চম্পকনগর ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আনোয়ার হোসেন চৌধুরীকে আটক করেছে পুলিশ।
আজ ২০ অক্টোবর রোরবার বিকাল ৩ টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার চম্পকনগর বাজার এলাকায় পুলিশি অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে কেন্দ্রীয় বিএনপির অর্থ বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামলের গাড়ি ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ ও মারধরের অভিযোগে বিএনপি নেতা এস এম রাষ্টু মিয়া বাদী হয়ে বিজয়নগর থানায় সাবেক গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি সহ ১৬৮ জনকে আসামী করে ২৭ আগষ্ট একটি নাশকতার মামলা দায়ের করে।
উক্ত মামলার এজহার ভুক্ত আসামী ছিলেন তিনি।
বিজয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: শহিদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
খুবই নিস্তব্ধ ও সুনসান নীরব দুলালপুর গ্রামটি। লালমাটির ওপর তৈরি পাঁকা সড়ক দিয়ে ভেতরে ঢুকলেই দুই পাশে দেখা যায় হরেক রকমের বাগান। আর সেখানেই স্থানীয় আলমগীর ভূঞা গড়ে তুলেছেন চায়না থ্রি জাতের কমলার বাগান। বাগানজুড়ে ধরে আছে অনেক রঙিন কমলা। গত বছরও এ বাগানে প্রচুর কমলা ধরেছিল। দ্বিতীয়বারের মতো বাগানে কমলার বাম্পার ফলন হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার বিষ্ণপুর ইউনিয়নের একটি গ্রাম দুলালপুর। ২০১৯ সালে বিজয়নগর উপজেলার বিষ্ণপুর ইউনিয়নে চায়না জাতের কমলা বাগানের যাত্রা শুরু হয়। প্রবাসফেরত আলমগীর ভূঞা এই এলাকায় সর্বপ্রথম চায়না থ্রি জাতের কমলার বাগান চাষের উদ্যোগ নেন। পরীক্ষামূলক চাষেই তিনি লাভবান হয়েছেন। ইতোমধ্যেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও বিভিন্ন গণমাধ্যমের শিরোনাম হয়েছে দুলালপুরের এই কমলা বাগান। বিভিন্ন হণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, গত মৌসুমে আলমগীর ভূঞা ১৩ লাখ ৬৫ হাজার টাকার কমলা বিক্রি করেছিলেন। কমলা বাগানে কর্মরত মো. রাসেল গণমাধ্যমকে বলেন, এ বছর আলমগীর ভূঞা দুই বিঘা জমিতে চায়না থ্রি জাতের কমলার চাষ করছেন। বিশাল এই বাগানে রয়েছে ১৭৫টি গাছ। তবে বাগানে পরিচর্যা ও যত্নে দিতে হয় অক্লান্ত শ্রম ও অর্থ। দুই বিঘা জমির কমলা চাষে খরচ পড়েছে সাড়ে ৪ থেকে ৫ লাখ টাকা। গত বছরের তুলনায় যত্ন ভালো হওয়ায় ও স্থানীয় কৃষি অফিসারের সঠিক পরামর্শে ১৬ খেকে ১৭ লাখ টাকার কমলা বিক্রি হবে বলে আশা রাসেলের। জানা যায়, আলমগীর মিয়ার চাষ দেখে অনেকেই এখন কমলা চাষে উদ্বুদ্ধ হয়েছে। বাণিজ্যিকভাবে বিষ্ণপুর গ্রামে এখন পাঁচজন কমলাচাষ করছেন। তারা হলেন—ছতুরপুর গ্রামের খোকন মিয়া, মহেশপুর গ্রামের নুরুজ্জামান, কালু মিয়া, ইগরতলির তৈয়বুর রহমান।
কথা হয় আরেক কমলা চাষি মহেশপুর গ্রামের নুরুজ্জামানের সঙ্গে। তিনি জানান, প্রবাস থেকে ফিরেছেন চার বছর আগে। এলাকায় ফিরেই চাষাবাদ শুরু করেন। গত মৌসুমে আলমগীর মিয়াকে দেখেই নতুন উদ্যোক্তা হয়ে দেড় থেকে দুই লাখ টাকা খরচ করে তিন বিঘা জমিতে চায়না থ্রি জাতের রঙিন কমলা চাষ করেন। নতুন উদ্যোক্তা হিসেবে ভালো মুনাফা হবে বলে আশা ব্যক্ত করেন নুরুজ্জামান।
বাগানে প্রবেশ করলেই বাশের বেড়া দিয়ে বানানো হয়েছে একটি ছোট ঘর। তার পাশেই টেবিল চেয়ার ও মাপ নির্ধারণের জন্য ডিজিটাল মেশিন নিয়ে বসে রয়েছেন বাগানের কর্মরত লোকজন। পাশেই একটি বিশাল ঝুড়িতে রাখা আছে কমলা। বাগানে ঘুরতে আসা দর্শনার্থী অথবা কমলা নিতে আসা ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করতেই ঝুড়িতে কমলাগুলো বাছাই করে রাখা হয়েছে। ব্যবসায়ী অথবা দর্শনার্থী সবার কাছ থেকে ২০০ থেকে ২২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয় রঙিন কমলা। তবে অনেকেই আবার ১৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছে। সেই কমলাগুলো পাকাপোক্ত হওয়ার আগেই এমন দরে বিক্রি করছে। বাগানের ভেতর ঢুকতেই দেখা মিলে মনোমুগ্ধকর অপূর্ব দৃশ্য। বাগানজুড়ে ধরে আছে অনেক কমলা। প্রতিটি গাছের থোকায় থোকায় সবুজ পাতার ফাঁকে যেন রঙিন কমলাগুলো উঁকি দিচ্ছে।
বিজয়নগর উপজেলার বিষ্ণপুর ইউনিয়নের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. আব্দুল উদুদ জানান, বিজয়নগর কৃষিতে সম্ভাবনাময় একটি উপজেলা। এ উপজেলায় নানা সবজি ও ফলমূল আবাদ হচ্ছে। ইতোমধ্যে এ অঞ্চলের লিচুর খ্যাতি পুরো দেশজুড়ে। কাঁঠাল, পেয়ারা, ড্রাগন, আম, আনারস, বড়ই, গ্রিন মাল্টা চাষ হচ্ছে। এরই মধ্যে চায়না কমলা চাষ শুরু হয়। বাণিজ্যিকভাবে নতুন করে কমলা চাষে অনেকেই আগ্রহী হচ্ছেন। এখন পর্যন্ত ৯ বিঘা জমিতে চায়না কমলা আবাদ করেছেন পাঁচজন কৃষক। এ বছর বিষ্ণপুর ইউনিয়নের এই পাঁচ বাগানে ২৫ লাখ টাকার কমলা বিক্রি লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। তবে আশা করি সেটি ছাড়িয়ে যাবে এবং সামনে কমলার বাগান আরও বাড়বে বলে কৃষি বিভাগ মনে করেন।
এদিকে কমলা বাগানগুলো এখন ভ্রমণের স্থান হিসেবে রূপ নিয়েছে। রঙিন কমলার স্বাদ নিতে ভ্রমণপিপাসুরা আসছেন প্রতিনিয়ত। বাগান পরিদর্শন শেষে টাটকা কমলা ক্রয় করে নিয়ে যাচ্ছে বাড়ি। কমলা বাগানের এমন দৃশ্য দেখতে প্রতিনিয়ত ভিড় জমান দর্শনার্থীরা।
বাগানে ঘুরতে আসা এক দম্পতি জানান, ফেসবুকের ছবি দেখে বাগানে এসেছেন নিজের চার বছরের ছেলেকে নিয়ে। কমলা বাগান দেখে অনেকটাই মুগ্ধ হয়েছেন। এই বাগানের কমলা খেতে নাকি বেশ সুস্বাদু বলে জানান তিনি।
চলারপথে রিপোর্ট :
জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক ও তার সহযোগীর ওপর হামলা করেছেন সদ্য সাবেক কমিটির নেতারা।
৭ জুলাই শুক্রবার সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-বিজয়নগরের নবনির্মিত শেখ হাসিনা সড়কের শিমরাইলকান্দি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এসময় জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক শাহিনুর রহমান তিতাস নদীতে নেমে পড়ে আত্মরক্ষা করেন। তবে সঙ্গে থাকা বিশাল (২৮) নামের এক কর্মী হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ৮ জুন দিবাগত মধ্যরাতে জেলা ছাত্রদলের সাত সদস্যের আহ্বায়ক কমিটির অনুমোদন দেয় কেন্দ্রীয় কমিটি। কমিটিতে শাহীনুর রহমানকে আহ্বায়ক ও সমীর চক্রবর্তীকে সদস্য সচিব করা হয়। তাদের নেতৃত্ব মেনে নিতে পারেননি জেলা ছাত্রদলের বিদায়ী কমিটির আহ্বায়ক ফুজায়েল চৌধুরী ও সদস্য সচিব মহসিন মিয়াসহ পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা। এরই জেরে তারা জেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক, যুগ্ম-সম্পাদক ও নবগঠিত ছাত্রদলের আহ্বায়কের বাড়িতে হামলা চালান। এসময় দুই পক্ষের মধ্যে গুলিবর্ষণের ঘটনাও ঘটে।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে শহরের লোকনাথ দীঘির পাড়ে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি দেয় উভয় পক্ষ। পরে নবগঠিত কমিটির নেতারা শহরতলীর বিরাসারে কর্মসূচি করতে চাইলে সেখানে বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা হামলা চালান। এসময় ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
শুক্রবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-বিজয়নগরের নবনির্মিত শেখ হাসিনা সড়কের শিমরাইলকান্দি তিতাস নদী এলাকায় নবগঠিত কমিটির আহ্বায়ক শাহিনুর রহমান ও আরও কয়েকজন ঘুরতে যান। খবর পেয়ে সেখানে যান সদ্য সাবেক সদস্য সচিব মহসিন মিয়া। সেখানে তাদের হাতাহাতি হয়। এরই মধ্যে সেখানে দলবল নিয়ে উপস্থিত হন সদ্য সাবেক আহ্বায়ক ফুজায়েল চৌধুরী।
এসময় আহ্বায়ক শাহিনের ওপর লাঠিসোটা দিয়ে আঘাত করলে তিনি তিতাস নদীতে নেমে আত্মরক্ষা করেন। তবে তার সঙ্গে থাকা বিশালকে পিটিয়ে আহত করা হয়। পরে তাদের উদ্ধার করে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের এক নেতা উদ্ধার করে নিয়ে যান। এদের মধ্যে বিশালকে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভর্তি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জেলা ছাত্রদলের সদ্য সাবেক সদস্য সচিব মহসিন মিয়া বলেন, বিকেলে আমরা ঘুরতে যাই। সেখানে আহ্বায়ক শাহিন আমাদের ওপর হামলা করার চেষ্টা করেন। পরে আমরা আত্মরক্ষা করেছি।
তবে এ বিষয়ে জানতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক শাহিনুর রহমানের মোবাইলে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সোহরাব আল হোসাইন বলেন, মারামারির খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। তবে সেখানে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিবসহ তিন নেতাকে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গে অভিযোগে বহিষ্কার করা হয়েছে।
২২ মে বুধবার বিকেলে যুবদলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির দফতর সম্পাদক (সহ-সভাপতি) কামরুজ্জামান দুলালের স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তি এ তথ্য জানানো হয়।
বহিষ্কৃতরা হলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব মুখলেছুর রহমান লিটন, যুগ্ম আহ্বায়ক জাবেদ আহমেদ জয় ও মোর্শেদ কামাল।
বহিষ্কারাদেশে উল্লেখ করা হয়, দলীয় শৃঙ্খলা বর্হিভূত কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার সুস্পষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে যুবদলের সকল পর্যায়ের পদ থেকে তাদের বহিষ্কার করা হয়। এর আগে, গত ১৫ এপ্রিল বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সভায় চলমান জাল জালিয়াতির নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
প্রসঙ্গত, আগামী ৫ জুন বিজয়নগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক জাবেদ আহমেদ জয় (আনারস), ভাইস-চেয়ারম্যান পদে মোর্শেদ কামাল (চশমা) ও সদস্য সচিব মুখলেছুর রহমান লিটন (বৈদ্যুতিক বাল্ব) প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
আগামী ৫ জুন অনুষ্ঠিতব্য ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রীতি খন্দকার খন্দকার ওরফে হালিমা নিখোঁজ রয়েছেন বলে পরিবারের পক্ষ থেকে বিজয়নগর থানায় জিডি করা হয়েছে। গতকাল বুধবার তার স্বামী এই জিডি করেন।
গতকাল মঙ্গলবার বেলা ২টা থেকে বুধবার বিকেল সাড়ে তিনটায় এই রির্পোট লেখা পর্যন্ত প্রার্থীর কোন খবর পাওয়া যায়নি বলে মাসুদ খন্দকার জানিয়েছেন। তিনি জানান প্রচারণা চালাতে গিয়ে তিনি নিখোঁজ হন। তবে পুলিশ বলছে বিষয়টি সাজানো হতে পারে। তবে জিডির অভিযোগ আমলে নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ওসি আসাদুল ইসলাম।
প্রীতি খন্দকারের স্বামী মাসুদ খন্দকার বলেন, ৫ জুন বিজয়নগর উপজেলা নির্বাচনে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনে তার স্ত্রী মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে (পদ্মফুল প্রতীক) নির্বাচন করছেন। সার্ভার ক্রুটির কারণে প্রীতির মনোনয়ন জমা দিতে সমস্যা হওয়ার ফলে হাইকোর্ট থেকে প্রার্থীতা ফিরে পান তিনি। মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার হরষপুর ইউনিয়নে দুইজন সহযোগী নিয়ে নির্বাচনি প্রচারনায় যান প্রীতি। হরষপুরের ঋষি পাড়ায় ঢুকে প্রচার করা অবস্থায় দুজন মহিলা বাহিরে আসেন আর প্রীতি ভোটারদের সাথে ভিতরে কথা বলছিলেন। ১০মিনিট ২০মিনিট পার হলেও যখন বের হচ্ছেনা বিধায় দুইজন মহিলা ভিতরে যান। ভিতরে গিয়ে প্রীতিকে খোঁজে পাচ্ছিলো না।
বিষয়টি সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ থানার ওসি মহোদয়কে অবগত করা হয়।
এ ব্যাপারে বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুল ইসলাম বলেন, প্রার্থীর স্বামী রাতে এসেছিলেন। তাকে নিয়ে রাতে ঘটনাস্থলে গিয়েছি। যেখান থেকে নিখোঁজ হয়েছেন সেখানে গিয়ে স্থানীয়দের সাথে কথা বলেছি। স্থানীয়রা জানিয়েছেন প্রার্থী প্রচারে এসেছিলেন। তবে নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি সন্দেহজনক মনে হচ্ছে।