চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেলওয়ের জলাশয় বালু ফেলে ভরাটের দায়ে একটি ভেকুসহ জলাশয়ে ফেলা বালু জব্দ করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। আজ ৮ মে সোমবার দুপুর দেড়টায় সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ মোশারফ হোসেন এই ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়নের বড়হরন লেবেল ক্রসিং এলাকায় রেলওয়ের জলাশয় গত কয়েকদিন ধরে বালু ফেলে ভরাট করে আসছে একটি প্রভাবশালী মহল। স্থানীয়রা বিষয়টি নিয়ে উপজেলা প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করলে সোমবার দুপুরে সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোশারফ হোসেন সেখানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।
এ সময় রেলের জলাশয় ভরাটের কাজে ব্যবহৃত একটি ভেকু জব্দ ও জলাশয়ে ফেলা বালু জব্দ করে আগামী চার কার্যদিবসের মধ্যে উম্মুক্ত নিলাম ডেকে বিক্রির জন্য নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ আলমকে নির্দেশ দেন।
এর আগে রেলওয়ের জলাশয় অবৈধভাবে ভরাটের প্রতিবাদে গত রবিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বড় হরণ লেবেল ক্রসিং এলাকায় মানববন্ধন করে এলাকাবাসী। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বড় হরণ ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি আশিকুল ইসলাম ও অভিভাবক সদস্য উম্মেদসহ প্রভাবশালীরা মার্কেট নির্মাণ করতে জলাশয়টি বালু ফেলে ভরাট করেছেন।
এ ব্যাপারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো. মোশারফ হোসেন বলেন, পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ এর আলোকে সদর উপজেলার নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়নের বড়হরণ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। সেখানে রেলগেট সংলগ্ন স্থানে বাংলাদেশ রেলওয়ের মালিকানাধীন একটি জলাশয় রাতের বেলা ভরাট করে ফেলেছে একটি চক্র।
অভিযান পরিচালনার সময় কাউকে পাওয়া যায়নি। সে সময় জলাশয় ভরাটের কাজে ব্যবহৃত একটি ভেকু মেশিন ও ভরাট করা বালু জব্দ করা হয়। এসব স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শাহ আলমের জিম্মায় রাখা হয়। আগামী চার কার্যদিবসের মধ্যে উক্ত বালু প্রকাশ্যে নিলামে বিক্রি করে জলাশয়টিকে পূর্বের অবস্থায় ফেরত নেওয়ার জন্য ইউপি চেয়ারম্যানকে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
তিনি বলেন, একই স্থানে বালু ফেলে জলাশয় ভরাটের অভিযোগে গত ১৯ ফেব্রূয়ারি অভিযান চালিয়ে খননযন্ত্র জব্দসহ এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছিল। তিনি বলেন, পরিবেশ আইনে চিহ্নিত জলাশয় কোনোভাবেই ভরাট করার সুযোগ নেই।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ফুটপাত দখল করে ফুল বিক্রির অপরাধে দুই ব্যবসায়ীকে কারাদন্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। একই সঙ্গে সেখান থেকে ফুল বিক্রেতাদের সরিয়ে দেওয়া হয় এবং জরিমানা করা হয়।
আজ ১৪ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার বেলা ২টার দিকে শহরের জেলা সাব-রেজিস্ট্রার কার্যালয় সংলগ্ন ফুটপাতে অভিযান চালান জেলা প্রশাসনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রিন্টু বিকাশ চাকমা।
দন্ডপ্রাপ্ত ফুল বিক্রেতারা হলেন- জেলা শহরের কাজীপাড়ার বাসিন্দা উত্তম কর্মকার (৪০) ও মধ্যপাড়ার বাসিন্দা রাজু মালাকার (২৫)। তাদের প্রত্যেককে সাতদিন করে কারাদন্ডসহ এক হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। অনাদায়ে আরো তিনদিনের কারাদন্ড দেওয়া হয়।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের হাসপাতাল সড়কের জেলা সাব-রেজিস্ট্রার কার্যালয় সংলগ্ন ফুটপাত দখল করে দীর্ঘদিন ধরে ফুল বিক্রি করে আসছেন ব্যবসায়ীরা। ফলে ফুটপাত দিয়ে চলাচল করতে পথচারীরা ভোগান্তি পোহাতে হতো। মঙ্গলবার সকালে জেলা প্রশাসকসহ জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা সাব-রেজিস্ট্রার কার্যালয় সংলগ্ন ফুটপাত দলখমুক্ত করতে ফুল বিক্রেতাদের নির্দেশ দেন। কিন্তু দুপুর পর্যন্ত তারা সেখান থেকে কোনো কিছু সরিয়ে নেননি। ফলে বেলা ২টার দিকে সেখানে অভিযান চালান জেলা প্রশাসনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রিন্টু বিকাশ চাকমা। এসময় ফুল বিক্রেতা উত্তম কর্মকার ও রাজু মালাকারকে সাতদিনের কারাদন্ড ও এক হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। তবে অন্য ফুল বিক্রেতারা পালিয়ে যাওয়ায় তাদের জরিমানা করা সম্ভব হয়নি। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্দেশে ফুটপাত থেকে ফুল বিক্রেতাদের সব সরঞ্জাম ও ফুল গাড়িতে তুলে নেওয়া হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রিন্টু বিকাশ চাকমা জানান, ফুটপাতটি দীর্ঘদিন ধরে ফুল বিক্রেতাদের দখলে ছিল। তাই ফুটপাত দখলমুক্ত করতে অভিযান চালানো হয়েছে। এ সময় দুই ফুল বিক্রেতাকে কারাদন্ডসহ এক হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ক্যারিয়ার কাউন্সিলিং, লক্ষ্য নির্ধারণ, যোগাযোগ ও হ্যাপিনেস নিয়ে আত্ম উন্নয়নমূলক কর্মশালা আজ ২ আগস্ট বুধবার অনুষ্ঠিত হয়েছে। দুপুর ১টার দিকে শহরের ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজের একটি শ্রেণিকক্ষে এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
হুসাইন আলি রুবেল কোচিং অ্যান্ড কনসালটেন্সি প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে আয়োজিত এই কর্মশালায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজের একাদশ ও স্নাতকের শিক্ষার্থীরা এই আত্ম উন্নয়নমূলক কর্মশালায় অংশ নেয়।
কর্মশালার উদ্বোধন করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক এ.এস.এম শফিকুল্লাহ। বক্তব্য রাখেন উপাধ্যক্ষ মোঃ ইব্রাহিম। কর্মশালা পরিচালনা করেন প্রশিক্ষক, সাক্সেস মাইন্ডসেট কোচ ও সুডেন্ট কাউন্সিলর মোহাম্মদ হোসাইন আলী রুবেল। সংগঠনের পক্ষে স্টুডেন্ট কাউন্সিল ও মোটিভেশনাল স্পিকার সাবিহা বেগম কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন।
কর্মশালায় ছাত্রীরা কিভাবে তারা নিজের ক্যারিয়ার গড়বে, তাদের ভবিষ্যতের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য কিভাবে নির্ধারণ করবে, কিভাবে যোগাযোগের দক্ষতা বৃদ্ধি করবে এবং কিভাবে নিজের উপর পুরো নিয়ন্ত্রণ রেখে একটি সুস্থ এবং সুন্দর জীবন যাপন করা যায় এসবের উপর আলোচনা হয়।
কর্মশালায় মোহাম্মদ হুসাইন আলী বলেন, আমরা নানা কারণে ব্যক্তিগত ও সামাজিক বিভিন্ন বিষয়ে ভারাক্রান্ত হয়ে থাকি। দুঃখে আমাদের মন ভারী হয়ে ওঠে। ভালো থাকার জন্য দুঃখকে সুখে রূপান্তর করা জরুরি। তাই সব কিছুর মধ্যে হ্যাপিনেস খুঁজতে হবে। একজন শিক্ষার্থীর জন্য লক্ষ্য নির্ধারণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। লক্ষ্য নির্ধারণ করতে না পারলে জীবনে উন্নতি করা যায় না।
মহিলা কলেজের একাদশ শ্রেনীর শিক্ষার্থী জান্নাতুল ফেরদৌসা, মাওয়া আক্তার বলেন, এই কর্মশালায় অংশ গ্রহন করতে পেরে আমরা আনন্দিত ও উচ্ছ্বসিত। কারণ এটা তাদের আত্ম উনয়নে, ক্যারিয়ার গঠনে এবং আমাদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে যথেষ্ট ভূমিকা রাখবে।
আশুগঞ্জ উপজেলার আশুগঞ্জ বাজার এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ হুসাইন আলি রুবেল ব্যক্তিগত উদ্যোগে দীর্ঘ এক বছর ধরে এই ধরণের কর্মশালার আয়োজন করে যাচ্ছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলা প্রশাসন ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর আয়োজনে আর্ন্তজাতিক সাক্ষরতা দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে আজ ৮ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সকালে আলোচনা ও র্যালি অনুষ্ঠিত হয়।
সকাল সোয়া ১০টার দিকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে থেকে “পরিবর্তনশীল ও শান্তিপূর্ন সমাজ সমাজ গঠনে সাক্ষরতার প্রসার” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বর্ণাঢ্য এক র্যালি বের হয়। র্যালিটি প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। র্যালি শেষে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোঃ জিয়াউল হক মীরের সভাপতিত্বে এবং সহকারী কমিশনার মোঃ ফয়সাল আহমেদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মোঃ ইকবাল হোসাইন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ এ.এস.এম. শফিকুল্লাহ, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের চিকিৎসক ডাঃ মাহমুদুল হাসান, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ শামসুর রহমান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিন, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা, সাবেরা সোবহান বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ বদিউজ্জামান, গভঃ মডেল গার্লস হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক কাজী শহিদুল ইসলাম প্রমুখ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর সহকারি পরিচালক শেখ মোঃ নাজমুল হক।
সভায় সভাপতির বক্তব্যে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোঃ জিয়াউল হক মীর বলেন, দেশে বর্তমানে সাক্ষরতার হার ৭৬ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় সাক্ষরতার হার ৭২ দশমিক শূন্য ১ শতাংশ। তিনি বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাক্ষরতার হার আশানুরূপ নয়। তিনি বলেন, আমরা সবাই মিলে কাজ করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাক্ষরতার হারকে এগিয়ে নিতে হবে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষাকে এগিয়ে নিতে নিরলসভাবে কাজ করছেন। প্রধানমন্ত্রী দেশে শতভাগ সাক্ষরতার জন্য কাজ করছেন। তিনি বলেন, আমাদের সবাইকে কাজ করে দেশের সাক্ষরতার হার শতভাগ করতে হবে। স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে আমাদের সকলকে শিক্ষিত হতে হবে।
আলোচনা সভায় সরকারি, বেসরকারি বিভিন্ন দপ্তরের প্রধানগণ, সাংবাদিক, এনজিও প্রতিনিধি, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীগণ উপস্থিত ছিলেন।
সড়ক দুর্ঘটনা, অগ্নীসংযোগ ও আকর্ষিক প্রাকৃতিক দূর্যোগে হতাহতদের চিকিৎসায় বিনামূল্যে জরুরী অক্সিজেন সরবরাহ করার জন্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাপরিষদ আজ ১৯ রবিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেড ক্রিসেন্ট ইউনিট কে ১০টি অক্সিজেন সিলিন্ডার হস্তান্তর করেছে।
এসময় জেলাপরিষদ চেয়ারম্যান যুদ্ধহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা ফিরোজুর রহমান ওলিও, উপজেলা চেয়ারম্যান রাফি উদ্দিন আহম্মদ, উপজেলা চেয়াম্যান রফিক উদ্দিন ঠাকুর, উপজেলা চেয়ারম্যান নাছিমা মুকাই আলী, উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান, পৌরমেয়র মোঃ গোলাম হাক্কানী, মেয়র শিব শংকর দাস, মেয়র মোঃ তফাজ্জল হোসেন এবং রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের পক্ষে সম্পাদক আলহাজ¦ মোঃ শাহআলম সদস্য মাসুকুল কবির, আশিকুর রহমান পাঠান ও সালাউদ্দিন সরকার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে এসে জামাই ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
৩ নভেম্বর শুক্রবার দিবাগত রাত পৌনে ১২ টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের ছয়বাড়িয়া এলাকায় মোবারক হোসেন (২৫) নামে এ ঘটনা ঘটে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে রাখা হয়েছে।
মোবারক হোসেন জেলা শহরের পীর বাড়ির আব্দুল আলীমের ছেলে।
মোবারক দুবাই প্রবাসী ছিলেন।
হাসপাতাল ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মোবারক গত ৭-৮ মাস আগে শহরের ছয় বাড়িয়ার সফর আলীর মেয়ে তানিয়া (১৮) কে পারিবারিকভাবে বিয়ে করেন। বিয়ের পর তাদের সংসারে শান্তি ছিল না। একজন আরেকজনকে বিশ্বাস করতো না। মোবারক সন্ধ্যা দিকে শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে যায়। তুচ্ছ একটি বিষয় নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। পরে মোবারক শোবার ঘরের সিলিং ফ্যানের সাথে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। মোবারকের বাবা আব্দুল আলীমের অভিযোগ, মোবারককে তার স্ত্রী তানিয়া ও শালা আশরাফুল সহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন পিটিয়ে হত্যা করে মরদেহ ঝুলিয়ে রাখে। মোবারকের বাম হাতে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে জানায় তারা। এ ঘটনায় তারা আইনগত ব্যবস্থা নেবেন।
সদর মডেল থানার ওসি মো. আসলাম হোসাইন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।