অনলাইন ডেস্ক :
সংঘাতপূর্ণ সুদান থেকে সৌদি আরবের জেদ্দা হয়ে ১৩৬ বাংলাদেশি ঢাকায় পৌঁছেছেন।
আজ ৮ মে সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তাদের বহন করা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটটি হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
গতকাল ৭ মে রবিবার সৌদি সময় রাত ১টার দিকে ফ্লাইটটি জেদ্দা এয়ারপোর্ট থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা করে।
এর আগে সুদান থেকে ১৩৬ বাংলাদেশি সৌদি এয়ারফোর্সের বিশেষ তিনটি বিমানে রবিবার জেদ্দায় পৌঁছান।
সুদান থেকে আসা এই বাংলাদেশিদের জেদ্দা বিমানবন্দরে স্বাগত জানান সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী। এ সময় জেদ্দার বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কনসাল জেনারেল মোহাম্মদ নাজমুল হকও উপস্থিত ছিলেন।
এসব বাংলাদেশিদের জন্য আগে থেকেই জেদ্দা বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ইংরেজি সেকশনে বিশ্রাম, খাবার ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। সেখানে বাংলাদেশ দূতাবাস ও জেদ্দার বাংলাদেশ কনস্যুলেট তাদের সবরকম সহায়তা দেয়।
সুদানে প্রায় দেড় হাজার বাংলাদেশি নাগরিক বসবাস করেন। এদের মধ্যে যারা দেশে আসার জন্য নিবন্ধন করেছেন, পর্যায়ক্রমে তাদের সবাইকে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে। সৌদি আরবের বাংলাদেশ দূতাবাস ও জেদ্দার বাংলাদেশ কনস্যুলেট এ বিষয়ে সব প্রস্তুতি নিয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন এমপি বলেছেন, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার প্রত্যয়ে গত দু’দিন আগে জাতীয় বাজেট পেশ করা হয়েছে। বলা হয়েছে যে, স্মার্ট বাংলাদেশের অভিযাত্রায় দেড় দশকের অর্জনকে ভিত্তি করে স্মার্ট বাংলাদেশের অভিযাত্রাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। কিন্তু স্মার্ট বাংলাদেশ কিভাবে হবে যদি তারুণ্যকে স্মার্ট হিসেবে গড়ে তুলতে না পারি ।
তিনি আজ ৩ জুন শনিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা যুবমৈত্রীর ৬ষ্ঠ সম্মেলন উপলক্ষে উদ্বোধনী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
স্থানীয় সুর সম্রাট দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গনের সরোদ মঞ্চে জেলা যুব মৈত্রীর আহবায়ক অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ নাসিরের সভাপতিত্বে ও জেলা যুবমৈত্রীর সদস্য সচিব ফরহাদুল ইসলাম পারভেজের পরিচালনায় আয়োজিত সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাশেদ খান মেনন এমপি আরো বলেন, অতীতে আমরা উন্নত অর্থনীতির কথা, নানা স্বপ্নের কথা বলেছি। কিন্তু আজ দুঃস্বপ্ন হচেছ দ্রব্যমূল্যের উর্দ্ধগতি, মূল্যস্ফীতি, নানা অপসংস্কৃতি, মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িকতার নানা আক্রমণের দাপটে। আজ বেকারত্বে যুব সমাজ হতাশা ও নিরাশায় নিমজ্জিত।
তিনি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে আমরা স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তরের ঘোষনা দিয়েছি। কিন্তু বেকারত্বের ফলে আমাদের যুব সমাজ মাদকসহ ডিজিটাল ব্যবস্থায় আসক্তিতে ভুগছে।
তিনি বলেন, বাজেটে একশ কোটি টাকা তারুণ্যের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে গবেষণা ও উদ্ভাবনীর জন্য। বলা হয়েছে ২লাখ বিরাশি হাজার কর্মসংস্থানের কথা। কিন্তু বাজেটে এ ব্যাপারে কোন সুস্পষ্ট দিক নির্দেশনা নেই । যুব সমাজকে স্বউদ্যোগী হতে বলা হয়েছে । কিন্তু স্বউদ্যোগের পাশাপাশি সরকারি সহযোগিতাও প্রয়োজন। কারণ আমাদের জনসংখ্যার শতকরা ৩৫ ভাগই হচ্ছে যুব সমাজ। তারাই দেশকে এগিয়ে নিযে যাবে। তাদের জন্য সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা না গেলে ২০৪১ সালে আমরা উন্নত বাংলাদেশ গড়তে পারবো না । তাই মাদকমুক্ত, সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গীবাদমুক্ত স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে স্মার্ট যুবশক্তি গড়ে তোলার জন্য তিনি আহবান জানান।
সম্মেলন উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ যুবমৈত্রীর সভাপতি তৌহিদুর রহমান। সম্মেলনে অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ওয়ার্কার্স পার্টির পলিট ব্যুরোর সদস্য মাহমুদুল হাসান মানিক, জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি অ্যাডভোকেট কাজী মাসুদ আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ খান, বাংলাদেশ যুবমৈত্রীর সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক আহমেদ রুবেল, বিজয়নগর উপজেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক দীপক চৌধুরী বাপ্পী প্রমুখ।
সম্মেলনে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন জেলা যুবজোটের সভাপতি জাফর আহমেদ আকসির, বাচিক শিল্পী মনির হোসনে, জেলা ছাত্রমৈত্রীর সভাপতি ফাহিম মুনতাসির। সম্মেলনে স্থানীয় বক্তারা ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং সরকরি মেডিকেল কলেজ, বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং শিল্পকারখানা প্রতিষ্ঠার দাবি জানান।
সম্মেলনের সাংগঠনিক অধিবেশনে কাজী তানভীর মাহমুদ শিপনকে সভাপতি, ফরহাদুল ইসলাম পারভেজকে সাধারণ সম্পাদক এবং অ্যাডভোকেট বাছির মিয়াকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে ৪৯ সদস্য জেলা যুব মৈত্রীরকমিটি ঘোষণা করা হয় ।
চলারপথে রিপোর্ট :
রংপুরে শিশু, কিশোর-কিশোরীদের উপর সহিংসতা এবং বাল্যবিয়ে রোধে কৌশল এবং কর্মপরিকল্পনা নিয়ে বিভাগীয় পরামর্শক সভা হয়েছে।
আজ ১৯ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার সকালে রংপুর বিভাগীয় কমিশনার সম্মেলন কক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন রংপুর বিভাগীয় কমিশনার মোঃ হাবিবুর রহমান। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসানের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ইউনিসেফ রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের প্রধান মাঠ সমন্বয়ক এএইচ তৌফিক আহমেদ, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এপিসি প্রকল্পে’র প্রকল্প পরিচালক এসএম লতিফ।
বক্তব্য রাখেন, জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সেলোয়ারা বেগম। পরামর্শক সভায় রংপুর বিভাগের বিভিন্ন দপ্তরের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, এনজিও কর্মী ও সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন। এতে বাল্যবিয়ে রোধসহ শিশু, কিশোর-কিশোরীদের উপর সহিংসতা রোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন সুপারিশ তুলে ধরা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
পৈত্রিক সম্পত্তি আত্মসাৎ করায় ভাইদের ওপর প্রচণ্ড অভিমান জমে মুজিবুর রহমানের। সেই অভিমান থেকে স্বেচ্ছা নির্বাসনে যান কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার এই বাসিন্দা। এরপর একে একে ১৬টি বছর জঙ্গলেই কাটিয়ে দিয়েছেন। সেখানে জরাজীর্ণ এক ডেরা তৈরি করে শিয়াল-সাপ-বিচ্ছুর সঙ্গে অর্ধাহার-অনাহারে কাটিয়েছেন বন্য জীবন।
মুজিবুর রহমানের স্বেচ্ছা নির্বাসনের বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশের পর ঘটনাস্থলে ছুটে যান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। এরপর মুজিবুর রহমান শুনিয়েছেন তার মানবেতর জীবনযাপনের গল্প।
উপজেলার ১০নং গুনাইঘর দক্ষিণ ইউনিয়নের মাশিকাড়া গ্রামের উত্তরপাড়ার পাশের একটি জঙ্গলে মুজিবুর রহমানে দেখা মিলেছে। বিশাল জঙ্গলের ঝোপঝাড় পেরিয়ে মধ্যভাগে গিয়ে দেখা যায় পলিথিনের ছাউনির একটি ছোট ডেরায় বসে আছেন ৬০ বছর বয়সী মুজিবুর রহমান।
প্রশাসনের লোকজন আসার খবরে ডেরা থেকে বেরিয়ে আসেন তিনি। এরপর জানিয়েছেন, সাজানো সংসার ধ্বংস হবার গল্প। তিনি জানান, সৎ ভাইরা পৈত্রিক সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করায় অভিমানে জঙ্গলেই ঠাঁই নিয়েছেন তিনি। জঙ্গলে থাকায় পাততে পারেননি সংসারও।
মুজিবুর রহমান আরও জানান, তার বাবা লাল মিয়ার প্রথম স্ত্রীর মৃত্যুর পর দ্বিতীয় বিয়ে করেন। দ্বিতীয় সংসারের একমাত্র সন্তান তিনি। বাবার প্রথম সংসারে ফরিদুল ইসলাম ও জহিরুল ইসলাম নামে তার দুই ভাই রয়েছে। বাবা লাল মিয়া রেলওয়েতে চাকরি করতেন। বড় ভাই ফরিদুল আলম পরিবার পরিকল্পনা বিভাগে চাকরি করতেন।
ষাটোর্ধ্ব এই ব্যক্তি আরও জানান, তিনি কাঁচপুর মালেক জুট মিলে চাকরি করে সৎ ভাই জহিরুল ইসলামকে বিএ পাশ করান। সেই জহিরুল ইসলামই তার পৈত্রিক সম্পত্তির ১০৫ শতাংশ জমির ৮৫ শতাংশ লিখে নেয়। এরপর তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। ভাইয়ের ওপর রাগে অভিমানে ২০০৭ সাল থেকে জঙ্গলে ডেরা বানিয়ে সেখানে ঠাঁই নেন তিনি।
মুজিবুর রহমান জানান, বিয়ে করে বউ রাখার ঘর নেই, তাই বিয়েটাও করতে পারেনি। অর্ধাহারে, অনাহারে, রোদ-বৃষ্টি-ঝড়ে, আর শেয়ালের হাঁকডাকের মধ্যেই খুপড়ির মধ্যে পড়ে থাকতেন তিনি।
তিনি বলেন, কখনও ভাত আর আলু সিদ্ধ করে লবণ-মরিচ দিয়ে, কখনও শুকনো খাবার খেয়ে থেকেছি। শিয়াল-সাপ-বিচ্ছু কখনও আমার ক্ষতি করেনি। ক্ষতি যা করার মানুষ করেছে।
এসব বিষয়ে কথা বলার জন্য মুজিবুর রহমানের ভাইদের পাওয়া যায়নি। তবে মুজিবুরের ভাই ফরিদুল আলমের ছেলে আল-আমিন বলেন, আমার কাকা খুব অভিমানী। আমার দাদার জায়গা জমি এখনও ভাগ হয়নি। তবে জহিরুল ইসলাম চাচা কিছু জমি তার নিজের নামে লিখে নিয়েছে। মুজিবুর চাচার পাওনা বুঝিয়ে দিতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিগার সুলতানা জানান, মজিবুর রহমানকে তার পৈত্রিক জমির কাগজপত্র নিয়ে এসিল্যান্ডের সঙ্গে দেখা করার জন্য বলা হয়েছে। কাগজপত্র ঠিক থাকলে তার পাওনা জমি তাকে উদ্ধার করে দেওয়া হবে। অন্যথায় তার আবাসনের ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে।
এ সময় উপজেলা চেয়ারম্যান ও কুমিল্লা (উত্তর) জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ তার চোখের চিকিৎসা করাতে ১০ হাজার টাকা প্রদান করেন। একই সঙ্গে তাকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।
অনলাইন ডেস্ক :
নোয়াখালী পৌর সদরে বাসায় ঢুকে মা-মেয়েকে কুপিয়ে হত্যার দায়ে গ্রেপ্তার আলতাফ হোসেনের স্বীকারোক্তির বরাত দিয়ে পুলিশ ঘটনার যে বর্ণনা দিয়েছে, তা নাকচ করেছে নিহতদের পরিবার।
গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় সুধারাম মডেল থানায় এক সংবাদ সম্মেলনে নোয়াখালীর পুলিশ সুপার শহিদুল ইসলাম জানিয়েছিলেন, নিহত নূর নাহার বেগমের সঙ্গে আলতাফের অনৈতিক সম্পর্কের জেরেই এই জোড়া খুন হয়েছে। মা নূর নাহারকে বাঁচাতে গিয়ে খুন হন তাঁর মেয়ে ফাতেমা আজি প্রিয়ন্তী।
তবে আজ ১৫ জুন বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের কাছে পুলিশের বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করেন নিহত নূর নাহারের স্বামী ফজলে আজিম কচি ও ছেলে রবিউল আলম হৃদয়। তাঁরা ঘটনার অধিকতর তদন্ত দাবি করেছেন।
চাঞ্চল্যকর এ জোড়া খুনের ঘটনায় ফজলে আজিম কচি বুধবার রাতে অজ্ঞাতপরিচয় আসামিদের বিরুদ্ধে সুধারাম থানায় মামলা করেন। পুলিশ ধৃত আলতাফ হোসেনকে মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে রাতেই নোয়াখালী চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এস এম মোসলেহ উদ্দিন মিজানের আদালতে হাজির করে। সেখানে আলতাফ ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়। সকালে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
এ দিন বার্লিংটন মোড় এলাকার ৫ নম্বর ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা যায়, যে দোতলা বাড়িতে হত্যাকাণ্ড হয়েছে, সেটির গেটে পুলিশের নির্দেশে নিহতদের স্বজনরা তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন। বর্তমানে পার্শ্ববর্তী এলাকা লইয়ার্স কলোনির একটি বাসায় আশ্রয় নিয়েছেন ফজলে আজিম কচি ও তাঁর নবম শ্রেণি পড়ুয়া ছেলে হৃদয়।
ফজলে আজিম সাংবাদিকদের জানান, বুধবার সন্ধ্যায় যখন পুলিশ সুপার খুনিকে জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন, সেখানে তাঁরা কথা বলতে চেয়েছিলেন। কিন্তু পুলিশ তাঁদের কথা বলতে দেয়নি।
সংবাদ সম্মেলন শেষে ওসির কক্ষে পুলিশ সুপার ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের সামনেই তাঁদের বক্তব্য নিয়ে হৃদয় প্রতিবাদ জানিয়ে বলেছিল, একজন মৃত ব্যক্তি সম্পর্কে মিথ্যাচার করা ঠিক নয়। এর জবাবে পুলিশ সুপার তাকে শান্ত হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, আলতাফের বক্তব্য তাঁর মোবাইল ফোনে রয়েছে।
ফজলে আজিম আরো বলেন, পুলিশের ভাষ্য অনুযায়ী, জনতার হাতে আটকের পর আলতাফ বাড়িতে আরও দুই ব্যক্তিকে দেখার কথা বলেছেন। ওই দুই ব্যক্তি কারা, সেটি বের করা দরকার। তা ছাড়া ঘটনার আগের দিন এক লোক বাসা ভাড়া নিতে এসেছিল। বাড়ির অপর ভাড়াটিয়ার ফোনে সে ব্যক্তির সঙ্গে আমি কথাও বলেছিলাম। তার বিষয়েও খোঁজ নেওয়া দরকার। তিনি তাঁর স্ত্রী ও মেয়ে হত্যার অধিকতর তদন্ত এবং বিচার দাবি করেন।
এর আগে হত্যাকাণ্ডের দিন দুপুরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিজয়া সেন সাংবাদিকদের বলেছিলেন, মা-মেয়ে খুনের ঘটনায় তিনজন অংশগ্রহণ করে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। তাদের মধ্যে একজনকে জনতা ধাওয়া দিয়ে গণধোলাইর পর পুলিশে সোপর্দ করে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য পাওয়া গেছে। পরে অবশ্য পুলিশ সুপারের সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ধৃত আলতাফই এই খুন করেছে।
নিহতদের স্বজনের অভিযোগ বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সুধারাম থানার উপপুলিশ পরিদর্শক প্রমোদ চৌধুরী বলেন, গ্রেপ্তার ব্যক্তিকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে যেসব তথ্য পাওয়া গেছে তাই জানানো হয়েছে। তবে তদন্তে আরও নতুন তথ্য বেরিয়ে আসতে পারে। যদি নতুন কিছু পাওয়া যায় তা পরবর্তী সময়ে জানানো হবে।
সুধারাম থানার ওসি আনোয়ারুল ইসলাম জানান, আসামি আলতাফের কথায় কোনো মিথ্যা আছে কিনা সে বিষয়টি পুলিশ মাথায় রেখে কাজ করছে। তদন্ত শেষে বিস্তারিত বলা যাবে।
অনলাইন ডেস্ক :
জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা জি এম কাদের ও বিরোধীদলীয় উপনেতা নেতা ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদকে পবিত্র ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রীর প্রটোকল অফিসার-২ মোহাম্মদ আবু জাফর রাজু বিরোধী দলীয় নেতার একান্ত সচিব শামসুল ইসলামের নিকট আজ দুপুরে জাতীয় সংসদের অফিস কক্ষে এবং বিরোধী দলীয় উপনেতার একান্ত সচিব জাহাঙ্গীর আলমের নিকট পবিত্র ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা পত্র পৌঁছে দেন।
এছাড়া সাবেক বিরোধী দলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদের গুলশানের বাসভবনে তার কাছেও ঈদের শুভেচ্ছা পৌঁছে দেন মোহাম্মদ আবু জাফর রাজু।