চলারপথে রিপোর্ট :
আশুগঞ্জে ২৩ কেজি গাঁজাসহ ৫ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল রবিবার রাতে পৃথক অভিযানে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের উপজেলার সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর টোল প্লাজার সামনে থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, কুমিল্লা জেলার লাকসাম উপজেলার শাহজালাল (২৩), ভোলা জেলার সদর উপজেলার পূর্ব চর ইলিশা গ্রামের মোঃ নূরুল ইসলাম (৩৬), মোঃ হাবিবুর রহমান (২৭), জুয়েল (২৫) ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলার মোঃ ইউসুফ (২৬)।
এ ব্যাপারে আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) আজাদ রহমান বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রবিবার রাতে পৃথক সময়ে আশুগঞ্জ টোল প্লাজার সামনে থেকে ৫ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ সময় তাদের কাছ থেকে ২৩ কেজি গাঁজাসহ উদ্ধার করা হয়। সোমবার দুপুরে তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আশুগঞ্জ সার কারখানায় সার উৎপাদনের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় গ্যাস সরবরাহের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে কারখানার শ্রমিক-কর্মচারীরা। ২২ জানুয়ারি বুধবার সকালে কারখানার প্রধান ফটকের সামনে শ্রমিক কর্মচারীরা এ মানববন্ধন ও সমাবেশ করেন। সকাল ৮টা থেকে ২ঘন্টা পর্যন্ত প্রধান ফটক দিয়ে কারখানা থেকে সার সরবরাহ বন্ধ ছিল।
মানববন্ধন শেষে প্রতিবাদ সমাবেশে আশুগঞ্জ সার কারখানা শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো. বজলুর রশিদ এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সাধারণ সম্পাদক মো. আবু কাউসার এর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন আশুগঞ্জ সার কারখানা শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সিবিএ এর সিনিয়র সহ সভাপতি মোঃ আক্তার হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল বারেক, অফিসার্স ওয়েলফার এসোশিয়েশনের মো. জহিরুল ইসলাম, ডেপুটি চিফ ইঞ্জিনিয়ার মো. আব্দুল হান্নান প্রমুখ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন এএফসিসিএল সিবিএর অন্যান্য কর্মকর্তাসহ সর্বস্তরের শ্রমিক, কর্মচারী ও কর্মকর্তাগণ।
কারখানার শ্রমিক-কর্মচারীরা জানান, কারখানাটি বিগত ৯ মাস উৎপাদন বন্ধ থাকার পর ২০ জানুয়ারি থেকে কারখানা চালু করতে চাইলে প্রয়োজনীয় গ্যাসের প্রেসার না থাকায় ইউনিয়া সার উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে। এতে প্রতিদিন প্রায় ২ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে। কারখানার উৎপাদন বন্ধ থাকায় কারখানার যন্ত্রাংশ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তাই কারখানাকে বাচাঁতে শ্রমিক-কর্মচারীগণ আন্দোলনে নেমেছে। তাদের এই দাবি না মানা হলে কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচি দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন তারা।
উল্লেখ্য, আশুগঞ্জ সার কারখানা থেকে প্রতিদিন ১২শ’ মেট্রিক টন ইউনিয়া সার উৎপাদন হয়। এই সার ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কিশোরগঞ্জ, হবিগঞ্জ সহ দেশের ৮ জেলায় সার সরবরাহ করা হয়ে থাকে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ভিটিমালিক, ব্যবসায়ী ও শ্রমিকের পুনর্বাসন, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ক্ষতিপূরণ নির্ধারণসহ পাঁচ দাবিতে সমাবেশ করেছেন আশুগঞ্জ ফেরিঘাট পুনর্বাসন মার্কেট ও ঘাট সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরা। ২৭ মে শনিবার সকালে ফেরিঘাট ও নদীবন্দর এলাকায় এসব কর্মসূচি পালিত হয়। কর্মবিরতি পালন করায় দুই ঘণ্টা নদীবন্দরে পণ্য ওঠানামাসহ সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ থাকে।
জানা গেছে, আশুগঞ্জ নৌবন্দরের অবকাঠামো উন্নয়ন, বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধি, অভ্যন্তরীণ ও আঞ্চলিক নৌপরিবহন ব্যবস্থা গতিশীল করতে প্রায় ২১০ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি আধুনিক কার্গো টার্মিনাল বাস্তবায়নের প্রকল্প হাতে নেয় বিআইডব্লিউটিএ। এ প্রকল্প বাস্তবায়নে নদীবন্দরের বর্তমান স্টিল জেটির পূর্ব-উত্তর পাশে পাঁচ একরের বেশি জমি নেয় কর্তৃপক্ষ। এ জমির মধ্যে সড়ক ও জনপথ বিভাগের চার একরে রয়েছে সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতু নির্মাণকালে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসন করা মার্কেট।
ব্যবসায়ীরা জানান, এখানে অন্তত ৬০০ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এ মার্কেট ঘিরে অন্তত তিন-চার হাজার ব্যবসায়ী ও শ্রমিকের জীবন চলে।
বক্তারা জানান, এরই মধ্যে বিআইডব্লিউটিএ’র তত্ত্বাবধানে এসব মার্কেটের ভিটিমালিক, ব্যবসায়ী ও শ্রমিকের তালিকা তৈরি ও ক্ষতিপূরণের সম্ভাব্য পরিমাণ নির্ধারণের তথ্য সংগ্রহ শুরু হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের কাছে বিতরণ করা হয়েছে ‘ক্ষতিপূরণ নির্দেশিকা’। তবে ক্ষতিপূরণের পরিমাণ অনেক কম এবং তালিকাও ত্রুটিপূর্ণ। ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবনা নেই।
ফেরিঘাট পুনর্বাসন মার্কেট ও ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসা রক্ষা কমিটির আহ্বায়ক মো. রফিকের সভাপতিত্বে বক্তব দেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. হানিফ মুন্সি, কমিটির সদস্য সচিব মো. সাইদুর রহমান, জেলা সার সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. নজরুল ইসলাম বকুল প্রমুখ।
বিশ্বব্যাংকের নির্দেশনা অনুসারে সব করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রকল্পটির পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ক আলমগীর হোসেন। তিনি বলেন, ব্যবসায়ীদের সমাবেশের কথা জেনেছেন তিনি। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট বিভাগকে অবহিত করা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আশুগঞ্জে দুর্বৃত্তরা ছুরিকাঘাত ও পায়ের রগ কেটে জনি মিয়া (৩৫) নামের এক যুবককে হত্যা করেছে। এ সময় আওয়াল মিয়া নামের (৪৭) আরো একজন আহত হয়েছেন।
১৪ আগস্ট সোমবার রাতে আশুগঞ্জ উপজেলার তালশহর পশ্চিম ইউনিয়নের তালশহর নতুন বাজার এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। নিহত জনি মিয়া ওই এলাকার মকসেন মিয়ার ছেলে।
আশুগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাহিদ আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, জনি মিয়া ও আওয়াল মিয়া সোমবার রাত পৌনে ১০টার দিকে তালশহর বাজার থেকে নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন। পথিমধ্যে বাজার-সংলগ্ন সেতু অতিক্রম করতেই কয়েকজন দুর্বৃত্ত তাদের ওপর হামলা করে। এ সময় জনি মিয়ার দুই পায়ের রগ কেটে ফেলে এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে। আওয়ালকেও কুপিয়ে আহত করা হয়। পরে তাদেরকে উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়া নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ঢাকা নেওয়ার পরামর্শ দেন। ঢাকায় নেওয়ার পথে রাত ২টার দিকে নরসিংদীতে জনি মিয়া মারা যান।
ওসি আরো বলেন, নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে রাখা হয়েছে। এই বিষয়ে এখনো কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে মেঘনা নদীর রেল সেতুতে ধাক্কা লেগে পণ্য বোঝাই একটি বাল্কহেড তলিয়ে গেছে। তবে বাল্কহেডে থাকা লোকজন নিরাপদ স্থানে চলে যাওয়ায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। আজ ১৪ জুন শনিবার ভোর পাঁচটার দিকে আশুগঞ্জ-ভৈরবের একটি সড়ক, দুটি রেলসেতুর দুটি পিলার ও একটি জাহাজের সাথে ধাক্কা বাল্কহেড নদীতে ডুবে যায়। তবে এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জেলার সরাইল উপজেলার অরুয়াইল থেকে সিলেকশন পাথরবাহী এম ভি রিফাত ইসলাম নামের একটি বাল্কহেড মেঘনা নদী দিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়।
অরুয়াইলের মো. সাইমন নামের এক ব্যক্তি বাল্কহেডটির মালিক। সড়ক ও রেলসেতুর পিলারের সঙ্গে ধাক্কা লেগে বাল্কহেডটির মাঝখান দিয়ে ভেঙে নদীতে তলিয়ে যায়। তবে বাল্কহেডে থাকা লোকজন নিরাপদ স্থানে চলে যেতে পারায় হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি।
আশুগঞ্জ নৌবন্দরের একাধিক শ্রমিক জানান, অরুয়াইল থেকে একটি বাল্কহেড আশুগঞ্জের মেঘনা নদীতে আসে। সকাল সাড়ে পাঁচটার দিকে বাল্কহেডটি প্রথমে সৈয়দ নজরুল ইসলাম সড়ক সেতুর ৩ নম্বর পিলারের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এরপর মেঘনার নদীর পুরাতন রেলসেতুর দুই নম্বর পিলার এবং সর্বশেষ নতুন রেলসেতুর ২ নম্বর পিলারের সঙ্গে বাল্কহেডের ধাক্কা লাগে। নতুন রেলসেতুর পাশে আগে থেকে একটি জাহাজ ভিড়ানো ছিল। সেটির সঙ্গেও বাল্কহেডের ধাক্কা লাগে। এতে বাল্কহেডটি মেঘনা নদীতে ডুবে যায়।
কিশোরগঞ্জের ভৈরব নৌ ফাঁড়ির পুলিশ পরিদর্শক মো. রাশেদ স্থানীয়দের বরাত দিয়ে সাংবাদিকদের জানান, আশুগঞ্জ থেকে ঢাকাগামী পণ্যবাহী একটি বাল্কহেড সড়ক ও রেলসেতুর পিলারে সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে ভেঙে বা ফুটো হয়ে বাল্কহেডটি মেঘনা নদীর আশুগঞ্জ অংশে ডুবে যায়। আজ ভোরে এ ঘটনা ঘটেছে। কেউ ভালো করে বিষয়টি দেখেওনি। ধারণা করা হচ্ছে বাল্কহেডে সিলেকশন পাথর বা বালু ছিল এবং এটি ঢাকার দিকে যাচ্ছিল। তবে এতে কেউ হতাহত হননি বা কেউ নিখোঁজ নেই। খবর পেয়ে ভৈরব নৌ পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ডুবে যাওয়া বাল্কহেডটি উদ্ধারে বিআইডব্লিউটিএ-এর সদস্যরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
সেতুর পিলারের সঙ্গে ধাক্কা লেগে একটি বাল্কহেড ডুবে গেছে বলে শুনেছেন বিআইডব্লিউটিএ-এর আশুগঞ্জ-ভৈরব বাজার নৌবন্দরের পরিদর্শক মো. মহিউদ্দিন। তিনি বলেন, ‘ভোর পাঁচটার দিকে ঘটনাটি ঘটেছে। এটি কার, কোথায় থেকে আসছিল এবং কোন দিকে যাচ্ছিল, কীভাবে এ ঘটনা ঘটেছে কিছুই জানতে পারিনি। আমাদের লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়েছে। এটি নৌপুলিশের আওতায় পড়েছে। বাল্কহেডের মালিক এটি উদ্ধারের বিষয়ে হয়তো সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন।’
চলারপথে রিপোর্ট :
হাজার হাজার মানুষের ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত হলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (আশুগঞ্জ-সরাইল) আসন থেকে নির্বাচিত স্বতন্ত্র কলার ছড়ি প্রতীকের প্রার্থী মঈন উদ্দিন মঈন।
গত সোমবার ও মঙ্গলবার আশুগঞ্জ ও সরাইল উপজেলা থেকে দিনভর সাধারণ মানুষ, সুশীল সমাজ ও নেতাকর্মীরা স্বত:স্ফূর্তভাবে উপস্থিত হয়ে প্রিয় নেতাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। এসময় নবনির্বাচিত এমপি মঈন উদ্দিন মঈনকে প্রীতি ও শুভেচ্ছা নিবেদন করেন।
গত রবিবার সন্ধ্যার পর থেকেই এই আসনের বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে ভোটের ফলাফল আসতে থাকলে বিভিন্ন এলাকা থেকে শতশত মানুষ বিজয় মিছিল করে জননেতা মঈন উদ্দিন মঈনকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানাতে থাকেন।
স্থানীয় লোকজনের ভাষ্য, শিক্ষাগত যোগ্যতা, পরিচ্ছন্ন ব্যক্তিত্ব, বিনয়, সততা, স্পষ্টবাদিতা ও জনপ্রিয়তা এবং প্রার্থীর প্রতি তরুণ-যুবসমাজ আকৃষ্ট হওয়া ইত্যাদি কারণে মঈন উদ্দিন জয়ী হয়েছেন।
উল্লেখ্য, মঈন উদ্দিন মঈন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জহিরুল হক হল শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ছিলেন। স্কুলজীবন থেকে ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হন তিনি। ১৯৯০ সালের আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রলীগের আলম-কামরুল-মেহেদী পরিষদে ছাত্র মিলনায়তন সম্পাদক পদে নির্বাচন করেছিলেন তিনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে হিসাববিজ্ঞান বিভাগে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর করেছেন তিনি।