অনলাইন ডেস্ক :
স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার কাছে ওয়ানডে সিরিজে হারলেও টি-টোয়েন্টি সিরিজে দারুণ শুরু করেছে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। মঙ্গলবার কলম্বোতে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে শ্রীলঙ্কাকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে নিগার সুলতানা জ্যোতির দল। শ্রীলঙ্কা নারী দলের দেওয়া ১৪৬ রানের লক্ষ্যে ১ বল হাতে রেখে পৌঁছে বাংলাদেশ।
সিংহলিজ স্পোর্টস ক্লাব গ্রাউন্ডে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি স্বাগতিকদের। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে দলীয় ১৬ রানেই ফিরে যান ওপেনার ভিস্মি গুনারত্নে। ফারিয়া তৃষ্ণা প্রথম উইকেট এনে দেন বাংলাদেশকে। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে দলের হাল ধরেন লঙ্কান অধিনায়ক চামারি আতাপাত্তু ও তিনে নামা হার্শিতা। তবে ব্যক্তিগত ৩৮ রানে নাহিদা আক্তারের শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরেন বাঁ-হাতি আতাপাত্তু।
তৃতীয় উইকেট জুটিতে হারশিতা ও নিলাক্ষী ডি সিলভা মিলে ৪৭ রানের আরেকটি জুটি গড়েন। হারশিতাকে ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙেন সুলতানা খাতুন। ৪৪ বলে ৫ চারে ৪৫ রান করেন, এই জুটি ভাঙার পর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় লঙ্কানরা। হাসিনী পেরেরা করেন ১ রান। কাভিশা দিলহারি ও আনুশকা সঞ্জীবনী পারেননি রানের খাতাই খুলতে। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৪৫ রান করতে সমর্থ হয় শ্রীলঙ্কা।
বাংলাদেশের পক্ষে ৪ ওভারে ২০ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন ফাহিমা খাতুন। এছাড়া একটি করে উইকেট নেন ফারিহা তৃষ্ণা, সুলতানা খাতুন, নাহিদা আক্তার ও রাবেয়া খান।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৭ রানেই প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ৫ রান করে শামিমা সুলতানা কাভিন্দির শিকারে পরিণত হন। ২৩ রানের মাথায় আরেক ওপেনার রুবিয়া হায়দারও বিদায় নেন। ১৬ বলে ৯ রান করে তিনি প্রাবোধিনির বলে ক্যাচ তুলে দেন।
চতুর্থ উইকেটে সোবহানা মোস্তারিকে নিয়ে দলের হাল ধরেন অধিনায়ক জ্যোতি। ৫১ রানের জুটির পর বিদায় নেন মোস্তারি। তার ব্যাট থেকে আসে ২৪ বলে ১৭। এরপর তৃতীয় উইকেটে রিতুমনি ও জ্যোতি যোগ করেন ৭১ রান।
ম্যাচ টাই হওয়ার পর রানআউটের শিকার হন ২৩ বলে ৩৩ রান করা রিতুমনি। তবে ৫১ বলে ৭৫ রানের ইনিংস খেলে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন জ্যোতি। তার ইনিংসে ছিল ৭টি চার ও ২টি ছক্কা। এতে দীর্ঘ ৯ বছর পর লঙ্কানদের হারিয়ে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেল টাইগ্রেসরা।
অনলাইন ডেস্ক :
ঘরে এসে সিরিজ হারিয়ে গেছে আফগানিস্তান। ওই সিরিজই বিশ্বকাপ ম্যাচ নিয়ে বাড়তি হাইপ তুলেছে। হাইপ ওঠা ওই ম্যাচে ব্যাটে-বলে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে পানসে বানিয়ে ছেড়েছে বাংলাদেশ। ৬ উইকেটের বড় জয়ে দুই পয়েন্টের সঙ্গে ১.৪৮ বোনাস পয়েন্ট নিয়ে বিশ্বকাপ মিশন শুরু করেছে।
শনিবার ধর্মশালা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে টস জিতে বল করতে নামে বাংলাদেশ। দুই আফগান ওপেনার ভালো শুরু করলেও ৩৭.২ ওভারে ১৫৬ রানে অলআউট হয়ে যায়। জবাব দিতে নেমে শুরুতে দুই উইকেট হারায় বাংলাদেশও। তিনে নামা মেহেদী মিরাজ ও চারে নামা নাজমুল শান্ত ওই ধাক্কা সামলে দলকে জয়ের প্রান্তে তুলে নেন। পরে মিরাজ ফিরলেও ফিফটি করে ম্যাচ জিতিয়ে ফেরেন শান্ত।
এর আগে দুই আফগান ওপেনার রহমানুল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরান ৪৭ রানের জুটি দেন। সাবলীল শুরু করা ওই জুটি ভাঙতে সপ্তাম ওভারে বল হাতে নেন সাকিব আল হাসান। দলকে দরকারী ব্রেক থ্রু দেন।। তরুণ ওপেনার ইব্রাহিমকে ২২ রানে ক্যাচে পরিণত করেন তিনি। এরপর রহমত শাহকেও (১৮) তুলে নেন বাঁ-হাতি স্পিন অলরাউন্ডার সাকিব।
ওই ধাক্কা সামাল দেওয়ার লড়াইয়ে ব্যর্থ হন গুরবাজ ও হাসমতুল্লাহ শাহেদী। চারে নামা শাহেদী ১৮ রান করে মিরাজের বলে ক্যাচ দেন। দলের রান তখন ১১২। সেখান থেকে ১৪ রান হতেই আরও তিন উইকেট হারায় আফগানরা। ফিরে যান ৬২ বলে ৪টি চারের সঙ্গে এক ছক্কায় ৪৭ রান করা ওপেনার গুরবাজ। ব্যর্থ হন পাঁচে নামা নাজিবউল্লাহ (৫) ও ছয়ে নামা মোহাম্মদ নবী (৬)।
ওই ধাক্কা সামাল দিতে পারেনি আফগানরা। অলআউট হয় ৩৭.২ ওভারে। জবাব দিতে নেমে ১৯ রানের মধ্যে ফিরে যান লিটন (১৩) ও তানজিদ তামিম (৫)। তিনে নামা মিরাজ ও চারে নামা শান্ত ৯৭ রানের জুটি দিয়ে ওই ধাক্কা কাটিয়ে ওঠেন। মিরাজ ৭৩ বলে পাঁচটি চারের শটে ৫৭ রান করে আউট হন। এরপর সাকিব ১৪ রান করে ফিরে যান। তাতে জয়ের পথ কঠিন হয়নি। শান্ত ৮৩ বলে তিনটি চার ও এক ছক্কায় ৫৯ রান করে ৯২ বল থাকলে দলকে জয় এনে দেন।
বাংলাদেশের পক্ষে তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন দুই অলরাউন্ডার সাকিব ও মেহেদী মিরাজ। সঙ্গে ফিফটি করে মিরাজ ম্যাচ সেরা হয়েছেন। দুই উইকেট দখল করেছেন বাঁ-হাতি পেসার শরিফুল ইসলাম। বাকি দুই উইকেট নিয়েছেন তাসকিন আহমেদ ও মুস্তাফিজুর রহমান। আফগানদের হয়ে তিন পেসার ফারুকি, নাভিন উল ও ওমরজাই একটি করে উইকেট নিয়েছেন। রশিদ খান কিংবা মুজিব উরকে উইকেট দেয়নি বাংলাদেশ।
অনলাইন ডেস্ক :
ঢাকাই সিনেমার একসময়ের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক ও সংসদ সদস্য আকবর হোসেন পাঠান ফারুক মারা গেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন)। আজ ১৫ মে সোমবার সকাল ৮টায় সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর আট মাস।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন তার ছেলে রওশন হোসেন পাঠান শরৎ। তিনি জানান, ফারুকের মরদেহ মঙ্গলবার ভোরের ফ্লাইটে দেশে আনা হবে।
দুই বছর ধরে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন বরেণ্য এই অভিনেতা। ২০২১ সালের ৪ মার্চ নিয়মিত চেকআপের জন্য সিঙ্গাপুর যান অভিনেতা ও ঢাকা-১৭ আসনের সংসদ সদস্য ফারুক। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। উচ্চ রক্তচাপ, মস্তিষ্ক, স্নায়ুতন্ত্রের নানা সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। ছিল পুরোনো বেশ কিছু শারীরিক জটিলতাও।
১৯৪৮ সালের ১৮ আগস্ট ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন ফারুক। এইচ আকবর পরিচালিত ‘জলছবি’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে ১৯৭১ সালে ঢাকাই সিনেমার তার অভিষেক হয়। প্রথম সিনেমায় তার বিপরীতে ছিলেন কবরী। এরপর ১৯৭৩ সালে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র খান আতাউর রহমানের পরিচালনায় ‘আবার তোরা মানুষ হ’ ও ১৯৭৪ সালে নারায়ণ ঘোষ মিতার ‘আলোর মিছিল’ এ দুটি সিনেমায় পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয় করেন তিনি।
পাঁচ দশকের বেশি সময়ের অভিনয় ক্যারিয়ারে অভিনয় করেন বহু দর্শকপ্রিয় চলচ্চিত্রে। ‘মিয়াভাই’ চলচ্চিত্রের সাফল্যের পর তিনি চলচ্চিত্রাঙ্গনে ‘মিয়াভাই’ হিসেবে খ্যাতি পান। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ নানা সম্মাননায় ভূষিত হন এই নন্দিত চিত্রনায়ক। অভিনয় থেকে অবসর নেওয়ার পর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে ঢাকা-১৭ আসনে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি।
স্টাফ রিপোর্টার:
দেশে এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধী টিকার বুস্টার ডোজ পেয়েছেন ৬ কোটি ৪২ লাখ ৬১ হাজার ৯১৪ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় বুস্টার ডোজ পেয়েছেন ১ লাখ ১ হাজার ৬৫৮ জন। রোববার (১১ ডিসেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন শাখার (এমআইএস) পরিচালক ও লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. মো. শাহাদাত হোসেন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা যায়। এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে প্রথম ডোজ পেয়েছেন ১৫ হাজার ৮৪৮ জন এবং দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ২১ হাজার ৭৮১ জন। তাদেরকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা, সিনোফার্ম, ফাইজার, মডার্না এবং জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকা দেওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত টিকার প্রথম ডোজ পেয়েছেন ১৪ কোটি ৮৮ লাখ ৫৬ হাজার ৪৯২ জন এবং দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ১২ কোটি ৬৪ লাখ ৫৮ হাজার ৮৪৮ জন। এ সময়ে টিকার বুস্টার (তৃতীয়) ডোজ পেয়েছেন ছয় কোটি ৪২ লাখ ৬১ হাজার ৯১৪ জন।
২০২১ সালের ১ নভেম্বর ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়। এখন পর্যন্ত এক কোটি ৭৩ লাখ ৯৭ হাজার ৫৩৯ শিক্ষার্থী টিকার প্রথম ডোজ পেয়েছে। দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছে ১ কোটি ৬১ লাখ ৯৮ হাজার ৩২৮ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে প্রথম ডোজ পেয়েছেন ২৪২ শিক্ষার্থী। দ্বিতীয় ডোজ টিকা পেয়েছেন ৬৮৯ শিক্ষার্থী। তবে এখন পর্যন্ত কোনো শিক্ষার্থীকে বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়নি।
এদিকে, এখন পর্যন্ত ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে ১ কোটি ৭৫ লাখ ৩৫ হাজার ৮০০টি। এছাড়া দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে ১০ লাখ ৩৩ হাজার ৪২১ শিশুকে। অন্যদিকে, এখন পর্যন্ত ভাসমান জনগোষ্ঠীর ৫ লাখ ৭৭ হাজার ১৮০ জনকে জনসন অ্যান্ড জনসনের সিঙ্গেল ডোজের টিকা দেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে বুস্টার ডোজ পেয়েছেন ১৪ হাজার ৭৭০ জন।
চলারপথে রিপোর্ট :
আজ ২৩ মার্চ বৃহস্পতিবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের শেষটিতে আয়ারল্যান্ডকে ১০ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ। টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ২৮ ওভার ১ বল খেলে সব উইকেট হারিয়ে ১০১ রান করে আইরিশরা। জবাব দিতে নেমে ২২১ বল হাতে রেখে ম্যাচ জিতে নেয় বাংলাদেশ। একইসঙ্গে প্রথমবারের মতো ১০ উইকেটে জয়ের কীর্তি গড়ে স্বাগতিকরা।
প্রথম ম্যাচ বাংলাদেশ জিতেছিল, দ্বিতীয়টি বৃষ্টিতে হয় পরিত্যক্ত; সিরিজের ট্রফি তাই থাকছে স্বাগতিকদের কাছে। ১০২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নামা বাংলাদেশ খেলেছে নিজেদের মতো করেই। একটি রেকর্ড অবশ্য ছোঁয়া হয়নি। ২০০৯ সালে জিম্বাবুয়েকে ৪৪ রানে অলআউট করেছিল বাংলাদেশ, সেদিন জয় এসেছিল ২২৯ বল হাতে রেখে। ওই রেকর্ড ভেঙে ফেলা সম্ভব হয়নি এদিন। কেননা জেতার সময় ২২১ বল হাতে ছিল বাংলাদেশের।
ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছাড়া অধিনায়ক তামিম ইকবাল ৫ চার ও ২ ছক্কার ইনিংসে ৪১ বলে ৪১ রান করে অপরাজিত থাকেন। ৩৮ বলে হাফ সেঞ্চুরি ছুঁয়ে অপরাজিত থাকেন লিটন দাস। এতে আয়ারল্যান্ডকে একটি তেঁতো হারের স্বাদ দেয় বাংলাদেশ। প্রথমবারের মতো ওয়ানডেতে ১০ উইকেটে হারে আইরিশরা।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ইনিংসের শুরুর দিকে দেখেশুনেই খেলে আয়ারল্যান্ড। বৃষ্টিতে ঢেকে থাকা পিচে সুইং ছিল স্বাভাবিকভাবেই। বাংলাদেশ প্রথম সাফল্য পায় পঞ্চম ওভারে এসে। ২১ বলে কেবল ৮ রান করা স্টেফেন দোহানি উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন হাসান মাহমুদের বলে। পরের দুটি উইকেটও হাসানের।
নবম ওভারের প্রথম বলে এই পেসার ফেরান পল স্টার্লিংকে। এলবিডব্লিউ হওয়ার আগে আইরিশ উদ্বোধনী ব্যাটার ১২ বলে ৭ রান করে সাজঘরে ফেরত যান। ওই ওভারেই হাসান ফেরান হ্যারি টেক্টরকে। ৩ বল খেলে কোনো রান না করা এই ব্যাটারও হন এলবিডব্লিউ।
পরের ওভারেই আইরিশ অধিনায়ক অ্যান্ডি বালবার্নিকে আউট করেন তাসকিন আহমেদ। ১ চারে ১৮ বলে ৬ রান করে তিনি ক্যাচ দেন প্রথম স্লিপে দাঁড়ানো নাজমুল হোসেন শান্তর হাতে। ২৬ রানেই চার উইকেট হারিয়ে ফেলা আয়ারল্যান্ডকে কক্ষপথে ফেরানো ছিল কঠিন এক কাজ।
ওই চেষ্টা করেন কার্টিস ক্যামফার ও লরকান টাকার। দুজন মিলে গড়ে তোলেন ৪২ রানের জুটি। কিন্তু এবারও আইরিশদের জন্য ধাক্কা হয়ে আসেন এক পেসারই। এবাদত হোসেন এলবিডব্লিউ করে ফেরান টাকারকে। সাজঘরে ফেরার আগে ৪ চারে ৩১ বলে ২৮ রান করেন তিনি।
এরপর অনেকটা সময় একাই লড়াই করেন কার্টিস ক্যামফার। নবম ব্যাটার হিসেবে আউট হন তিনি। হাসান মাহমুদের চতুর্থ শিকার হওয়ার আগে ৪ চারে ৪৮ বলে ৩৬ রান করেন ক্যামফার। ইনিংসের ২৭তম ওভারে এসে যখন আইরিশরা দলীয় সংগ্রহে তিন অঙ্ক স্পর্শ করে, ততক্ষণে ৯ উইকেট নেই তাদের।
শতরান ছাড়িয়ে যাওয়ার একটু পরই সফরকারীদের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকিয়ে দেন হাসান। ১৯ বলে ৩ রান করা গ্রাহামকে ফেরান এলবিডব্লিউ করে। এতে একটি রেকর্ডেও নাম লেখায় ম্যাচটি। টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি তিন সংস্করণ মিলিয়ে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের পেসাররা নিলেন প্রতিপক্ষের ১০ উইকেট।
৮ ওভার ১ বল হাত ঘুরিয়ে ১ মেডেনসহ হাসান মাহমুদ ৩২ রান দিয়ে পাঁচ উইকেট পান। এর বাইরে তাসকিন ১০ ওভারে ২৬ রান দিয়ে ৩ উইকেট ও এবাদত হোসেন ৪ ওভারে ২৯ রান দিয়ে নিয়েছেন দুই উইকেট। স্পিনারদের মধ্যে মেহেদী হাসান মিরাজ ১ ওভারে ৩ ও নাসুম ৩ ওভারে ১১ রান দিয়ে উইকেটশূন্য ছিলেন। বোলিং করেননি সাকিব আল হাসান।
ডেস্ক রিপোর্ট :
সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভাইস প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাখতুম। এছাড়াও তার আরেকটি পরিচয় তিনি দুবাইয়ের শাসক। বিলাসবহুল জীবনযাপনের জন্য তার কন্যা মাহরা পরিচিত। তিনি বরাবরই তার জীবন যাপন নিয়ে মানুষকে জানাতে পছন্দ করেন।
ঘোড়া ও গাড়িপ্রীতি রয়েছে এই রাজকন্যার। পৃথিবীতেই বিলাসী জীবনের স্বর্গ বানিয়েছেন তিনি। তার বাবাও ব্যাপক ঘোড়া পছন্দ করেন। ফ্যাশন সচেতন মাহরা সংযুক্ত আরব আমিরাতে নতুন নতুন পোশাকে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
ফ্যাশন শিল্পের প্রতি মাহরার ভালোবাসা বিভিন্ন সময়ে প্রকাশ পেয়েছে। ক্রমবর্ধমান ফ্যাশন শিল্পের আঞ্চলিক ডিজাইনারদের তিনি ব্যাপক সমর্থন দেন।
ঘোড়ায় চড়া মাহরার অন্যতম শখের একটি। জানা যায়, তার ব্যয়বহুল অনেক ঘোড়া রয়েছে। যেগুলোর পেছনে বছরে কোটি কোটি টাকা ব্যয় করেন তিনি। এছাড়া তার বাড়িতে রয়েছে দুইটি রয়েল বেঙ্গল টাইগারও।
বর্তমান সময়ে দুবাইয়ের সবচেয়ে বিলাসবহুল বিল্ডিং প্রিন্সেস টাওয়ার এর নিচতলায় তার জন্য স্পেশাল কমপ্লেক্স করা হয়েছে। যার মূল্য প্রায় হাজার কোটি টাকা। ল্যাম্বরগিনি ফেরারি বিএমডব্লিউসহ বিশ্বের নামীদামী গাড়ি তার গ্যারেজে রয়েছে।
১৯৯৪ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি দুবাইয়ে জন্মগ্রহণ করেন মাহরা। ৫.৭ ইঞ্চি লম্বার এই রাজকন্যা হাসি দিয়ে যে কারও মন জয় করে নিতে পারেন। বিলাসী জীবন যাপন ছাড়াও উদ্যোক্তা হিসেবে তার খ্যাতি রয়েছে।
এছাড়া মানবিক কাজের অনেক সময় ব্যয় করেন মাহরা। তিনি এখনও অবিবাহিত। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লাখ লাখ ফলোয়ার রয়েছে তার।