চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একটি মেডিকেল কলেজ, একটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ও একটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবিতে পদযাত্রা ও স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।
আজ ৯ মে মঙ্গলবার সকাল ১০টায় বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কমিটির উদ্যোগে শহরের পৌর আধুনিক সুপার মার্কেটের সামনে থেকে পদযাত্রা শুরু হয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
পরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গিয়ে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। জেলা প্রশাসকের পক্ষে স্মারকলিপি গ্রহন করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ রুহুল আমিন।
স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট কাজী মাসুদ আহমেদ, জেলা যুব মৈত্রীর আহবায়ক অ্যাডভোকেট নাসির মিয়া, বিজয়নগর উপজেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক দীপক চৌধুরী বাপ্পী, জেলা জেলা যুব মৈত্রীর যুগ্ম আহবায়ক কাজী তানভীর মাহমুদ শিপন, সদস্য সচিব ফরহাদুল ইসলাম পারভেজ, জেলা ছাত্রমৈত্রীর সভাপতি ফাহিম মুনতাসির, সাধারণ সম্পাদক সানিউর রহমান প্রমুখ।
এ ব্যাপারে জেলা যুব মৈত্রীর আহবায়ক অ্যাডভোকেট নাসির মিয়া বলেন, শিক্ষা ও সংস্কৃতির রাজধানী বলে খ্যাত ব্রাহ্মণবাড়িয়া একটি সমৃদ্ধ জেলা। এ জেলায় রয়েছে রেলওয়ে জংশন, স্থলবন্দর, নৌ-বন্দর, দেশের বৃহৎ ইউরিয়া সার কারখানা, তিতাস গ্যাস ক‚প ও বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র।
একটি সমৃদ্ধ জেলা হলেও মহান স্বাধীনতার ৫২ বছর পরেও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মেডিকেল কলেজ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ও কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা হয়নি। তিনি অবিলম্বে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একটি মেডিকেল কলেজ, একটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ও একটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবি জানান।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সদর উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উদ্যোগে ক্যান্সার, কিডনী, লিভার সিরোসিস, স্ট্রোক প্যারালাইজড, জন্মগত হৃদরোগ ও থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত ১২৩ জন রোগীর মধ্যে এককালীন অনুদানের চেক বিতরণ করা হয়েছে।
আজ শুক্রবার বেলা ১১টায় সদর উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গনে প্রধান অতিথি হিসেবে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী ১২৩ জন রোগীর প্রত্যেকের হাতে ৫০ হাজার টাকার অনুদানের চেক তুলে দেন।
সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সেলিম শেখ ও সদর উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মোঃ নূরুল মাহমুদ ভূইয়ার সঞ্চালনায় চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান লায়ন ফিরোজুর রহমান ওলিও, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট লোকমান হোসেন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শামীমা আক্তার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা, সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম ভূইয়া। বক্তব্য রাখেন ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আবদুর রশীদ ভূইয়া ও আলআমিনুল হক পাভেল।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানবতার মা। তিনি দেশের প্রতিটি সেক্টরে অভাবনীয় উন্নয়ন করেছেন। তিনি সাধারণ মানুষের জীবনমানের উন্নয়নের জন্য নিরলসভাবে কাজ করছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে অসহায় মানুষকে জায়গাসহ ঘর নির্মান করে দিচ্ছেন। করোনাকালে অসহায় মানুষের ঘরে ঘরে খাদ্য সামগ্রী পৌছে দিয়েছেন। বছরের প্রথম দিন শিক্ষার্থীদের হাতে বিনামূল্যে নতুন বই তুলে দেয়া সহ, বিধবা ভাতা, মাতৃদুগ্ধভাতা, স্বামী পরিত্যক্তাদের ভাতাসহ প্রতিবন্ধীদেরকে ভাতার আওতায় এনেছেন। শুধু তাই নয় তিনি ক্যান্সার, কিডনী, লিভার সিরোসিস, স্ট্রোক প্যারালাইজড, জন্মগত হৃদরোগ ও থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য অনুদান দিচ্ছেন।
তিনি বলেন, আগের কোন সরকারের আমলে মানুষ এতো ভাতা পেয়েছেন কিনা জানিনা, তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একজন মমতাময়ী মা, তাই তিনি সকলের খবর রাখেন। তিনি কঠিন রোগে আক্রান্তদের পাশে দাড়িয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উদ্যোগে প্রত্যেক রোগীকে ৫০ হাজার টাকা করে দেয়া হচ্ছে।
মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেন, আগের সরকারের আমলে নেতারা নিজেদের ভাগ্যের উন্নয়ন করেছেন, কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের উন্নয়নে, মানুষের কল্যাণে কাজ করছেন।
আলোচনা সভা শেষে প্রধান অতিথি র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী ১২৩ জন রোগীর প্রত্যেকের হাতে ৫০ হাজার টাকার অনুদানের চেক তুলে দেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার ১৬টি প্রকল্পের উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ ৫ নভেম্বর রবিবার সকালে প্রধান অতিথি হিসেবে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি র.আ. ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী ১৬টি উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ উদ্বোধন করেন। প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে শহরের গুরুত্বপূর্ন সড়কের সংস্কার কাজ, ড্রেন নির্মান ও বাউন্ডারী দেয়াল নির্মান কাজ।
উন্নয়ন প্রকল্পগুলো হচ্ছে শহরের পুরাতন জেলখানার মোড় থেকে মেড্ডা পীরবাড়ি পর্যন্ত (বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহবুবুল হুদা সড়ক), বীর মুক্তিযোদ্ধা র.আ. ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী সড়ক, মধ্যপাড়া মহেশ্বরী দিঘীর চতুরপাশের সড়ক, মেড্ডা তিতাসপাড়া সড়ক, পৌর শিশু মেলার বাউন্ডারী দেয়াল নির্মান কাজ, শহরের কে.দাস মোড় থেকে আনন্দ বাজার খেয়া ঘাট পর্যন্ত রাস্তার উন্নয়ন কাজ, শহীদ পলু সড়ক (কোর্ট রোড), নব-নির্মিত মসজিদ রোডের উন্নয়ন কাজ, শিমরাইলকান্দি প্রধান রাস্তা ও উন্নয়ন কাজ, ফুলবাড়িয়া প্রধান সড়ক ও আরসিসি ড্রেন নির্মান কাজ, ভাদুঘর পৌর বাস টার্মিনালের উন্নয়ন কাজ, ভাদুঘর দারোগা বাড়ি রাস্তার উন্নয়ন কাজ, পূর্ব পাইকপাড়া ধোপা বাড়ি, গগনসাহা বাড়ি, ননি সাহা বাড়ি, অধ্যাপক হরলাল রায় রোড ও কুসুম দাস সড়কের উন্নয়ন কাজ ও ড্রেন নির্মান, উত্তর পৈরতলা বাসস্ট্যান্ড থেকে দাড়িয়াপুর পর্যন্ত রাস্তার উন্নয়ন কাজ, আমিনপুর থেকে চন্ডালখিল-নয়নপুর পর্যন্ত রাস্তার উন্নয়ন ও মেয়র নায়ার কবির সড়ক ও ড্রেনের উন্নয়ন কাজ।
উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন উপলক্ষে রোববার সকালে পৌরসভার মিলনায়তনে মেয়র নায়ার কবিরের সভাপতিত্বে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি র.আ. ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি।
বক্তব্য রাখেন পৌর সভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আবদুল কুদদূস ও পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী কাউছার আহমেদ।
সভায় জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি মুজিবুর রহমান বাবুল, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম ভ‚ইয়া, সাধারণ সম্পাদক এম.এ.এইচ মাহবুব আলম, পৌর সভার কর্মকর্তাগন, পৌর কাউন্সিলরগন, ঠিকাদারগন ও আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেন, বর্তমান সরকার উন্নয়নের সরকার, বর্তমান সরকারের আমলে দেশের প্রতিটি সেক্টরেই অভ‚তপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। তিনি বলেন, ইতিমধ্যেই ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার গুরুত্বপূর্ন বেশ কয়েকটি রাস্তার সংস্কার কাজ শেষ হয়েছে। আজ ১৬টি প্রকল্পের উদ্বোধন হচ্ছে। চলতি মাসে আরো কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্পের টেন্ডার হবে। তিনি ঠিকাদারদের উদ্দেশ্যে বলেন, কাজের গুনগত মান বজায় রেখে উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়ন করবেন। উন্নয়ন কাজে কোন ধরনের অনিয়ম হলে তা বরদাস্ত করা হবেনা। তিনি বলেন, উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর কাজ বাস্তবায়িত হলে পৌরবাসীর ভোগান্তি লাঘব হবে। পরে তিনি ফিতা কেটে উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর উদ্বোধন করেন।
এ ব্যাপারে পৌর সভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আবদুল কুদদূস বলেন, প্রকল্পগুলোর প্রক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ১৬ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। তিনি বলেন, পৌর সভার সকল রাস্তার সংস্কার কাজ করা হবে। চলতি মাসেই আরো কয়েকটি রাস্তার টেন্ডার দেয়া হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আশ্রয়ণ প্রকল্পে বেঁদেদের মধ্যে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শীতবস্ত্র কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।
আজ ১৫ জানুয়ারি সোমবার দুপুরে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান প্রধান অতিথি হিসেবে সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নের কাঞ্চনপুর গ্রামে মুজিববর্ষে নির্মিত আশ্রয়ন প্রকল্পের ৩৫টি বেঁদে পরিবারসহ ৭৪টি পরিবারের মধ্যে এই কম্বল বিতরণ করেন।
এ সময় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান বলেন, মুজিববর্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অগ্রাধিকার ভিত্তিতে যাদের জমি ও ঘর নেই তাদেরকে জমি সহ ঘর দিয়েছেন। এই আশ্রয়ণ প্রকল্পে বেঁদে স¤প্রদায়ের পরিবারকে জায়গা দেয়া হয়েছে। তাদেরকে সমাজের মূলধারায় ফিরিয়ে নেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। তারা যেন বিভিন্ন কাজকর্মের মাধ্যমে সমাজে স্বীকৃতি পায় তা দেখা হচ্ছে। খুব ভালো লাগছে, সমাজে যাদের ঘর-বাড়ি ছিল না মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যাদের ঘর দিয়েছেন, আমরা তাদেরকে কম্বল জড়িয়ে দিয়ে প্রচন্ড শীত নিবারণের চেষ্টা করতে পেরে আমরা আনন্দিত। একটি ভাল কাজের সাথে যুক্ত হলাম।
এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সাইফুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) জিয়াউল হক মীর, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সেলিম শেখ, সদর উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট লোকমান হোসেন, উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোশারফ হোসেন ও ইউপি চেয়ারম্যান আলামিনুল হক পাবেল উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
এসএমই ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি’র সহযোগিতায় এসএমই উদ্যোক্তাদের অর্থায়নের সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে ফিনান্সিয়াল লিটারেসি ও ঋণ ম্যাচমেকিং বিষয়ক এক কর্মশালা আজ ২৭ জুন বৃহস্পতিবার জামে মসজিদ রোডস্থ চেম্বার কার্যালয়ের ফরিদ উদ্দিন আহমেদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি’র সভাপতি ও এফবিসিসিআই-এর পরিচালক আলহাজ্ব আজিজুল হক। এসএমই ফাউন্ডেশনের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের ডেপুটি ম্যানেজার (ফিনান্স এন্ড ক্রেডিট) ইসএমই ফাউন্ডেশন সাজু বড়ুয়া।
উক্ত কর্মশালায় চেম্বারের পরিচালকমন্ডলী, নাসিব ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সভাপতি, স্থানীয় সংশ্লিষ্ট বাজার কমিটির সভাপতি/সেক্রেটারী, নারী উদ্যোক্তা, ব্যাংকের প্রতিনিধি, স্থানীয় সংশ্লিষ্ট এসোসিয়েশনের প্রতিনিধিবৃন্দসহ সংশ্লিষ্ট উদ্যোক্তাগণ অংশ গ্রহণ করেন।
উক্ত কর্মশালায় প্রধান অতিথি বক্তব্যে চেম্বার সভাপতি আলহাজ্ব আজিজুল হক বলেন, ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদেরকে সঠিকভাবে সহযোগিতা করার লক্ষ্যে জেলা পর্যায়ে এসএমই ফাউন্ডেশনের অফিস স্থাপন করা প্রয়োজন। ক্ষুদ্র ও মাঝারী উদ্যোক্তাদের ঠিকিয়ে রাখতে হলে কর্পোরেট কোম্পানী সমূহকে ক্ষুদ্র ও মাঝারী পণ্য সামগ্রী উৎপাদনে বিরত থাকতে হবে। বৃহৎ শিল্প উদ্যোক্তারা ইস্পাত শিল্পসহ ভারী রপ্তানী মুখী শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে হবে। তাহলেই ক্ষুদ্র ও মাঝারী শিল্পের বিকাশ ঘটবে। বেকার সমস্যা দূরীকরণে বিশেষ ভূমিকা রাখবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীকে দক্ষ মানব সম্পদে রূপান্তরের মাধ্যমে দারিদ্র বিমোচন, টেকসই উন্নয়ন ও ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত দেশের কাতারে স্থান করে দেয়ার অংশ হিসেবে “স্কিলস্ ফর এমপ্লয়মেন্ট ইনভেস্টমেন্ট প্রোগাম (ঝঊওচ) এর সোশ্যাল মার্কেটিং কার্যক্রমের অংশ হিসেবে আজ ২৩ আগস্ট বুধবার দুপুরে “সেন্সিটাইজেশন ওয়ার্কশপ ফর জেন্ডার মেইনস্ট্রিমিং” বিষয়ক অবহিতকরণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত অবহিতকরণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন এসইআইপি প্রকল্পের নির্বাহী পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) ফাতেমা রহিম ভীনা।
জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অবহিতকরণ কর্মশালায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন এসইআইপির সহকারি নির্বাহী প্রকল্প পরিচালক (উপ-সচিব) আছমা আরা বেগম।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ সাইফুল ইসলামের সঞ্চালনায় কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সোশ্যাল মার্কেটিং কার্যক্রম বাস্তবায়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান বর্ণমালা কমিউনিকেশন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহমেদ পিপুল।
অবহিকরণ কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন এসইআইপির সিভিল ইঞ্জিনিয়ার মোঃ বদরুজ্জামান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আ.ফ.ম. কাউছার এমরান, অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফরিদা নাজমীন, সদর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শামীমা মুজিব, চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রির পরিচালক মোঃ শাহআলম, এনজিও কর্মকর্তা এস.এম. শাহীন প্রমুখ।
অবহিতকরণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফাতেমা রহিম ভীনা বলেন, দেশের মোট জনসংখ্যার অর্ধেকেরও বেশি নারী। বিশাল সংখ্যক নারী সমাজকে উপার্জনমূলক কাজের বাইরে রেখে দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন করা কখনোই সম্ভব হবে না।
তিনি বলেন, এসইআইপি’র দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণে নারীদের জন্য কমপক্ষে ৩০ শতাংশ আসন সংরক্ষিত আছে। এসব প্রশিক্ষণে নারীদের অংশগ্রহন নিশ্চিত করা গেলে তাদের আয়বর্ধনমূলক কাজে নিয়োজিত করার সুযোগ তৈরি হয়। তিনি দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণে নারীদের অংশগ্রহণ কে উৎসাহিত করতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ উন্নয়নের চমক দেখাতে পেরেছে। কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীকে দক্ষ মানব সম্পদে গড়ে তুলতে হবে। এসইআইপি প্রশিক্ষণার্থীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে তাদেরকে কর্মসংস্থানেরও ব্যবস্থা করছে। এসইআইপি অসংখ্য মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। এসইআইপির প্রশিক্ষণ নিয়ে অনেক বিধবা, স্বামী পরিত্যক্তা নারী সমাজে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। তিনি বলেন, সদর উপজেলার চিনাইরে টিটিসিতে এসইআইপি প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।
সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম বলেন, বাংলাদেশ এখন ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড কাল অতিক্রম করছে। দেশে বর্তমানে ১৫ থেকে ৬৪ বছর বয়সী জনসংখ্যা ৬৬ শতাংশ। বিশাল এই কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীকে দক্ষ মানব সম্পদে রূপান্তর করতে পারলে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত-সমৃদ্ধ দেশের কাতারে স্থান করে দেয়া সহজ হবে। দেশের কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীকে দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণের আওতায় এনে সম্মানজনক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করে দিতেই ঝঊওচ কাজ করছে।
অবহিত করণ কর্মশালায় জেলার বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা, বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রতিনিধি, নারী সংগঠনের প্রতিনিধি, শিক্ষক, এনজিও কর্মী, ধর্মীয় নেতা এবং গণমাধ্যমকর্মীসহ মোট ৪০ জন প্রতিনিধি অংশ নেন।