চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় ছুরিকাঘাত করে পুলিশকে আহত করার ঘটনার মামলার প্রধান আসামি সোহেল মিয়া (৩৩) আটক করেছে পুলিশ।
৮ মে সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী শিবনগর এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। আটক সোহেল শিবনগর গ্রামের মৃত তালু মিয়ার ছেলে। এ মামলায় এপর্যন্ত ৪২জনকে আটক করেছে পুলিশ।
থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার ৫ মে সন্ধ্যায় এসআই জাকির হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল শিবনগর গ্রামের মাদক কারবারী সেলিম মিয়ার বাড়িতে মাদক উদ্ধারে যায়। এ সময় সেলিম ও তার সহযোগিরা পুলিশ সদস্যদের ওপর অতর্কিতভাবে হামলা চালায়। হামলায় কনস্টেবল খায়রুলের পেটে ও মাথায় ছুরিকাঘাত করে হামলাকারীরা। তার মাথায় এবং পেটে আঘাত পায়। আহত খায়রুলকে প্রথমে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নেয়া হয়। পরে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। তবে বর্তমানে খাইরুল আশঙ্কা মুক্ত আছে।
আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আসাদুল ইসলাম বলেন, পুলিশকে আহতের মামলার প্রধান আসামী সোহেল মিয়া সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় তাকে আটক করেছে পুলিশ। এ মামলায় এ পর্যন্ত ৪২ জন আটক হয়েছে। আজ ৯ মে মঙ্গলবার দুপুরে আটক সোহেলকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন, আখাউড়া থেকে :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া পাবলিক লাইব্রেরী পুন:নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন আজ ৮ এপ্রিল মঙ্গলবার সকাল সোয়া ১০টার দিকে আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) গাজালা পারভীন রুহি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় তিন দশক আগের এ লাইব্রেরিটি এখন পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে। দেড় দশক ধরে এখানে বই পড়ার কোনো পরিবেশ নেই। লাইব্রেরি সাময়িকভাবে উপজেলা পরিষদের একটি ভবনে স্থানান্তর করা হলেও পাঠক ছিলো না। এলাকার সুধী সমাজ দীর্ঘদিন ধরে পাবলিক লাইব্রেরিটি চালু দাবি জানিয়ে আসছিলেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো. ফয়সল উদ্দিন, পৌরসভার সহকারি প্রকৌশলী মো. তানভীর ইসলাম, মোগড়া ইউনিয়ন পরিষদ প্রশাসক এনামুল হক মামুন, আখাউড়া প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি মো. রাকিবুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
পাবলিক লাইব্রেরিটি এগিয়ে নিতে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার আহবান জানানো হয় । পাবলিক লাইব্রেরিটি লাল বাজার এলাকায় অবস্থিত। এটির আয়তন ৪.৮৩ একর।
আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) গাজালা পারভীন জানান, লাইব্রেরিটি নতুন করে নির্মাণে উপজেলা পর্যায়ের সভায় সিদ্ধান্ত হয়। পরে সেই সিদ্ধান্ত জেলা প্রশাসনকেও অবহিত করা হয়। প্রাথমিকভাবে কিছু বাজেট দিয়ে এটির পুনর্নিমাণ করা হবে। নীচতলায় কমার্শিয়াল লাইব্রেরি ও উপরতলা পড়ার জন্য উন্মুক্ত রাখার পরিকল্পনা রয়েছে। আশা করছি এর মাধ্যমে মানুষের মেধা মননশীলতার বিকাশে ভূমিকা রাখা যাবে ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় খরমপুর কেল্লা শাহ মাজার এলাকায় ইয়াসিন মিয়া (১৬) নামে এক কিশোরের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে।
২৯ আগস্ট মঙ্গলবার রাত পৌনে ১২টার দিকে ওই কিশোরের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠায় পুলিশ।
নিহত ইয়াসিন মিয়া ময়মনসিংহ জেলার ফেন্সু মিয়ার ছেলে।
মাজারের পাশে ঝালমুড়ি দোকানি জরিনা বেগম জানান, ইয়াসিন দীর্ঘদিন মাজারের আশেপাশের বিভিন্ন দোকানে দৈনিক হাজিরায় কাজ করতো-এই মাজারেই থাকতো। মঙ্গলবার বিকেলে ইয়াসিন হঠাৎ বমি করলে সঙ্গে সঙ্গে তাকে আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর রাতে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আসলাম হোসাইন জানান, লাশের ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় হোটেলে রান্না করা খাবারে মরা ইঁদুর ও বাসি-পচা মাংস বিক্রির অভিযোগে ভ্রাম্যমাণ আদালত হোটেল মালিককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন। আজ ৩ সেপ্টেম্বর রবিবার দুপুরে আখাউড়া পৌর শহরের ‘অতিথি হোটেলের’ মালিক নজরুল ইসলামকে এ জরিমানা করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রশান্ত চক্রবর্তী। তিনি বলেন, ‘অতিথি হোটেলে বাসি-পচা মাংস বিক্রির বিষয়ে অভিযোগ পাই। অভিযোগকারী হোটেল থেকে মাংস এনে দেয়। সেই মাংস থেকে দুর্গন্ধ বের হচ্ছিল। পরে অভিযান চালানো হয়। এসময় খাবারে মরা ইঁদুরও পাওয়া যায়। ভোক্তা অধিকার আইন- ২০০৯ অনুযায়ী হোটেল মালিককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।’
চলারপথে রিপোর্ট :
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তাদের বরখাস্তের প্রতিবাদে ও ২ দফা দাবি আদায়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি ও ব্ল্যাক আউট কর্মসূচি পালন করছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা কর্মচারীরা।
আজ ১৭ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা থেকে তারা এই কর্মসূচি শুরু করে। ব্ল্যাক আউটের কারণে জেলার ৫টি উপজেলার প্রায় ৫ লক্ষ গ্রাহকের বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের সাথে অভিন্ন সার্ভিস কোড ও অনিয়মিত কর্মচারীদের চাকুরী নিয়মিত করণের ২ দফা দাবিতে দেশের ৮০ টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির প্রায় ৪০ হাজার কর্মকর্তা কর্মচারীরা দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করছেন।
তবে, পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড কোন দাবি পূরণ না করে বরং ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার মোঃ মকবুল হোসেন ও নবীনগরের ডিজিএম আসাদুজ্জামানসহ সারা দেশের প্রায় ২০ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করেছে।
বরখাস্তকৃত অন্য কর্মকর্তারা হলেন এজিএম রাজন কুমার দাস, ডিজিএম দিপক কুমার সিংহ, এজিএম মনির হোসেন, জুনিয়র জেনারেল ম্যানাজার মো. জাকির হোসেন, জিএম মো. হুমায়ুন কবির, ওয়ারিং পরিদর্শক আবু সালাম জাবেদ, ডিজিএম মো. রাহাত, এজিএম আবদুল হাকিম, জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার মো. হাসানুজ্জামান, জেনারেল ম্যানাজার মুশফিকুল ইসলাম, জিএম জুলফিকার, জিএম মো. আবুল হাসান, ডিজিএম মো. বেলাল হোসেন, ডিজিএম জাহিদুল ইসলাম, ডিজিএম আবদুল জলিল, এজিএম ইয়াসির আরাফাত ও ডিজিএম সামিউল কবির। এরই প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া কার্যালয়ের কর্মকর্তা কর্মচারীরা ব্ল্যাকআউটসহ কর্মবিরতি কর্মসূচি পালন করছেন।
আন্দোলনকারীরা জানান, বরখাস্তকৃত কর্মকর্তাদের স্বপদে পুনর্বহালের আগ পর্যন্ত কর্মসূচি চলবে। এদিকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকায় স্থানীয় গ্রাহকদের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। ক্ষুব্ধ গ্রাহকরা পল্লি বিদ্যুৎ সমিতির প্রধান ফটকে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। পরে উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ ও সেনাবাহিনী এসে আলোচনার মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করার চেষ্টা করলেও আন্দোলনকারীরা বরখাস্তকৃত কর্মকর্তাদের পুনর্বহালের আগ পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখার ঘোষণা দেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির নাসিরনগর আঞ্চালিক কার্যালয়ের সহকারী জেনারেল ম্যানাজার মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, ১৪ কোটি গ্রাহককে বিদ্যুৎ বিতরণ করছেন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি। বিদ্যুতায়ন বোর্ড পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিকে যাবতীয় মালামাল ক্রয় করে দেয়। এগুলির বেশীর ভাগই নিম্নমানের হয়। এতে তারা বিপুল পরিমান দুর্নীতি করে থাকে। পল্লীবিদ্যুৎ ও বিদ্যুতায়ন বোর্ড ও চাকুরী বৈষম্য দুর করতে এ আন্দোলন। আগেও বিদ্যুৎ বিতরণ কার্যক্রম চলমান রেখেই আন্দোলন করেছি। তারপরও আমাদের ২০জন কর্মকর্তাকে চাকুরীচ্যুৎ করেছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানজার মো. মুকবুল হোসেনকে চাকুরীচ্যুৎ করায় অতিরিক্ত দায়িত্ব দিয়েছেন কসবা আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) মো. মোস্তাফিকুর রহমানকে। তিনি বলেন, চাকুরীচ্যুতদের চাকুরীতে বহাল এবং দাবি আদায়ের জন্য পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি কমপ্লিট শাট দিয়েছে। বেলা ১১টা থেকে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি বিদ্যুৎ আমদানী ও বিতরণ কার্যাক্রম বন্ধ করে রেখেছে।
উল্লেখ্য, পল্লী বিদ্যুতের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা দুইটি, নাসিরনগর, নবীনগর, আখাউড়া উপজেলার ৫টি আঞ্চলিক কার্যালয় রয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
মাদক ব্যবসায়ীর ছুরিকাঘাতে আখাউড়া থানার এক পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হয়েছেন। আহত ওই পুলিশ সদস্যের নাম মোঃ খাইরুল। তিনি জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চিকিৎসাধীন আছেন।
গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়নের শিবনগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আখাউড়া থানার এসআই জাকির হোসেনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ মাদকবিরোধী অভিযান চালায়। অভিযান চলাকালে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ওই এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী সোহেল ও সেলিমসহ আরও কয়েকজন মাদক ব্যবসায়ী দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে।
এসময় পুলিশ সদস্য মোঃ খায়রুল মাদক ব্যবসায়ী সোহেলকে জড়িয়ে ধরেন। এসময় তাকে পুলিশের হাত থেকে উদ্ধার করতে অপর মাদক ব্যবসায়ী সেলিম পুলিশ সদস্য খায়রুলকে ধারালো ছুরি দিয়ে পেটের বাম পাশে আঘাত করে।
গুরুতর আহত খায়রুলকে প্রথমে আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নেওয়া হয়।
আখাউড়া থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) মোঃ আসাদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মাদক ব্যবসায়ী ও হামলাকারীদের আটক করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।
এ ব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন বলেন, উন্নত চিকিৎসার জন্য গুরুতর আহত পুলিশ সদস্যকে ঢাকায় নেওয়া হচ্ছে।