চলারপথে রিপোর্ট :
বিজয়নগর উপজেলার চান্দুরা ডাকবাংল থেকে চান্দুরা পুরাতন বাজারের রাস্তা সংস্কার কাজ চলছে। উক্ত রাস্তায় একটি কালভার্ট নির্মাণকে কেন্দ্র করে শতাধিক পরিবার দুর্ভোগে পরার আশংকা ভুক্তভোগীদের পক্ষে প্রাণেশ্বর বিশ্বাস নামে এক ব্যক্তি বিজয়নগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর কালভার্ট বন্ধের আবেদন করেন।
উক্ত লিখিত আবেদন সূত্রে জানা যায়, প্রাণেশ্বস বিশ্বাসের নিজস্ব পুকুরের তিন দিকে বসতবাড়ির লোকজন উক্ত পুকুরের পানি ব্যবহার করে গোসল ও প্রয়োজনীয় কাজ করেন। পাশাপাশি উত্তর দিকে রয়েছে একটি মসজিদ ও পূর্ব দিকে রয়েছে একটি মন্দির। উক্ত দুইটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের ও সকল কার্যক্রম উক্ত পুকুরের পানি দিয়ে করা হয়। কিন্তু দীর্ঘদিন যাবৎ কোন কালভার্ট এর পানি নিষ্কাসন এই পুকুরে না থাকলেও হঠাৎ রাস্তা সংস্কার কাজ করতে গিয়ে নতুন করে একটি কালভার্ট নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যার কারনে চান্দুরা বাজারের অধিকাংশ ময়লা আবর্জনা কালভার্ট দিয়ে পুকুরে পরবে। তাতে পুকুরের পানি ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পরবে। এবং মাছ চাষ করার ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে।
বিজয়নগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ এইচ ইরফান উদ্দিন আহমেদ জানান, উপজেলার এলজিআরডি অফিসকে সার্বিক বিষয় দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগরে নিদারাবাদ ইউনিয়ন স্কুল এণ্ড কলেজে ২০২৪ সনের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরষ্কার বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ১০ ফেব্রুয়ারি শনিবার সকালে প্রতিষ্ঠান প্রাঙ্গণ দিনব্যাপী বিভিন্ন খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলে। ক্রীড়া প্রতিযোগিতা শেষে দুপুর ২ টার দিকে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা ও পুরষ্কার বিতরণ।
ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল হান্নান মো: আজমল এর সভাপতিত্বে ও সিনিয়র শিক্ষক নান্টু কর্মকারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার আশেক মাওলা কাইজার।
অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য সাংবাদিক এস এম জহিরুল আলম চৌধুরী (টিপু), ম্যানেজিং কমিটির সদস্য জুনাইদ মিয়া, উসমান গণি, সহকারি প্রধান শিক্ষক আবদুল আহাদ প্রমুখ। পরে বিভিন্ন খেলাধুলায় অংশ নেয়া প্রতিযোগি শিক্ষার্থীদের মধ্যে পুরষ্কার বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবকগণ সহ নানা শ্রেণি-পেশার লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা তথ্য অফিসের ব্যবস্থাপনায় “বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ)’র আওতায় আজ ১ ডিসেম্বর রবিবার বিজয়নগর উপজেলার চান্দুরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে উঠান বৈঠক ও ছত্তরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাঙ্গনে নারী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। জেলার তথ্য অফিসার দীপক চন্দ্র দাসের সভাপতিত্বে নারী সমাবেশের প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ শামসুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন এমবিবিএস ডা. জাগ্রত জীবন, প্রধান শিক্ষক ছত্তরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কাজী মোঃ রফিকুল ইসলাম, সহকারি শিক্ষক শ্যামল চন্দ্র বিশ্বাস, ইউপি সদস্য শেখ মিন্টু এবং উঠান বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রধান শিক্ষক চান্দুরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবিএম মোরশেদ কামাল, সহকারি শিক্ষক মোছাঃ সেলিমা আক্তার, সহকারি শিক্ষক রুনা লাইলা, সহকারি শিক্ষক স্নিগ্ধা সাহা, সহকারি শিক্ষক রিপন দেবনাথ, সহকারি শিক্ষক মোছাঃ তাহমিনা বেগম সহ প্রায় আটশত নারী পুরুষ।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ শামসুর রহমান বলেন বৈষম্যহীন সমাজ ব্যবস্থা গঠন করার জন্য সবার আগে একটি শিক্ষিত সমাজ ব্যবস্থার প্রচলন করতে হবে। একমাত্র শিক্ষায় পারে সমাজের সকল অসংগতি দূর করতে।
তিনি আরো বলেন, অশিক্ষাই সকল অজ্ঞতার মুল। আমরা বর্তমান সমাজে যে বিভিন্ন সামাজিক সমস্যা দেখতে পায় যেমন বাল্য বিবাহ, মাদক আসক্ত, চুরি, ডাকাত, ছিনতাই, রাহাজানি ইত্যাদি তার মূলে আছে প্রকৃত নৈতিকতা সর্ম্পূণ শিক্ষার অভাব। যদি আমরা এসব সামাজিক সমস্যার মূলোৎপাটন করতে চাই, একটি বৈষম্যহীন সমাজ গঠন করতে চাই তাহলে নৈতিকতা সর্ম্পূণ শিক্ষার কোন বিকল্প নাই।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বলেন নারীদের যে দুইটি রোগ বেশি হয় তা হলো জরায়ু মুখ ক্যান্সার অন্যটি বেস্ট ক্যান্সার। তাই অবস্যই ৫ম -৯ম শ্রেণী ছাত্রীদের এবং ১০-১৪ বছর বয়সী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বহির্ভূত কিশোরীদের বিনামূল্য এইচপিভি টিকাদান ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। তিনি আরোও বলেন আমাদের দেশে, শিক্ষায় নারীরা যদিও এগিয়ে যাচ্ছে তথাপি বাল্য বিবাহের পরিমান কমানো যাচ্ছে না যা আমাদের সমাজের জন্য একটি হুমকির স্বরুপ। তাই বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ করার জন্য সবাইকে এগিয়ে আসার জন্য আহব্বান জানান।
উক্ত নারী সমাবেশ ও উঠান বৈঠকে অন্যান্য বক্তারা বলেন বাল্য বিবাহ ও মাদক আসক্তকে একটি সামাজিক সমস্যা হিসাবে আখ্যা দিয়ে অন্যান বক্তারা বলেন, বাল্য বিবাহ ও মাদক আসক্ত আমাদের জন্য একটি ভয়াভহ সমস্যা। এ সমস্যা দূর করার জন্য একটি সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। একটি বাল্য বিবাহ শুধু একটি মেয়ের জীবন ধ্বংস করেন তা নয় বরং দুটি পরিবারই শেষ হয়ে যায়, ঠিক তেমনি মাদক আসক্ত ব্যক্তি পুরো সমাজের জন্য হুমকি স্বরুপ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগরে তিতাস পাড় থেকে পরিচয়বিহীন এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ ২৯ মে সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে রামপুর এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহমেদ জানান, তিতাস নদীর তীরে এক যুবকের মরদেহ দেখে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। তার গলায় ওড়না বাঁধা ছিল। পড়নে থ্রি-কোয়ার্টার প্যান্ট ও গোল গলার গেঞ্জি। পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
তিনি আরো জানান, ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর কারণ বলা যাবে। পাশাপাশি তদন্ত শুরু করা হয়েছে। এছাড়াও মরদেহের পরিচয় শনাক্ত করতে পুলিশ কাজ করছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিজয়নগরে ভিন্ন কৌশলে ভারতে শিশু পাচারের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঈদের দিন বেলা ১১টায় দেওয়ান বাজারে আইসক্রিম আনতে গেলে দুই শিশুকে অটোরিক্সা দিয়ে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে তুলে নিয়ে যায় পাচারকারী চক্র। দুই শিশুর নাম সুবর্ণা আক্তার (৯) ও মাফিয়া আক্তার (৮)।
অভিযোগে জানা গেছে, উপজেলার হরষপুর ইউনিয়নের নিদারাবাদ গ্রামের রিপন মিয়ার মেয়ে সুবর্ণা ও মামুন মিয়ার মেয়ে মাফিয়া। সুবিধাজনক স্থানে শিশু দুটিকে পানিতে ওষুধ মিশিয়ে অজ্ঞান করে পাহাড়পুর ইউনিয়নের মনিপুর এলাকায় ভারতীয় সীমান্তে পাচার করার উদ্দেশ্যে নেয়। সেখানে একটি কুঁড়ে ঘরে তাদের আটকে রাখে। পরে জ্ঞান ফিরলে ভয়ভীতি দেখায়, যাতে চিৎকার না করে।
এদিকে দুই শিশুর বাবা-মা তাদেরকে খুঁজে না পেয়ে তাৎক্ষণিক বিজয়নগর থানায় জানান এবং এলাকায় মাইকিং ও স্যোশাল মিডিয়ায় শিশুদের ছবিসহ প্রচার করেন।
পাচারকারীর চক্র জনতার উপস্থিতি টের পেয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরে এলাকার লোকজন শিশু দুটিকে উদ্ধার করে বাড়িতে পৌঁছে দেয়। দুই শিশুর বর্ণনা অনুযায়ী অটোরিক্সাকে পাশের সোনামোড়া গ্রামের একটি অটোগ্যারেজে খুঁজে পাওয়া যায়। সেখানে চালককে খোঁজ করলে তিনি দৌড়ে পালান এবং লোকজন তাকে চিনতে পারেন।
এ নিয়ে শনিবার ১ জুলাই বিজয়নগর থানায় সুবর্ণা আক্তারের বাবা মো. রিপন মিয়া বাদী হয়ে ওই অটোরিক্সা চালক উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নের বামুটিয়া গ্রামের মৃত সফর আলীর ছেলে তকদির হোসেন প্রকাশ তছর আলীর (৪৮) নামে একটি লিখিত অভিযোগ করেন।
বিজয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. রাজু আহম্মেদ বলেন, এ বিষয়ে আমরা একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
দাড়িয়াপুর এলাকায় ঢাকাগামী মালবাহী ট্রেনের ওয়াগন লাইনচ্যুত হয়েছে। এতে ঢাকার সঙ্গে আপ লাইনে চট্টগ্রাম ও সিলেটের রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।
আজ ২৭ এপ্রিল বৃহস্পতিবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সহকারী স্টেশন মাস্টার জসিম মিয়া।
জানা গেছে, অতিরিক্ত গরমে রেললাইন বেঁকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের দাড়িয়াপুরে মালবাহী কন্টেইনারের একটি ওয়াগনের ১২টি চাকা লাইনচ্যুত হয়েছে।