অনলাইন ডেস্ক :
ওয়ানডে বিশ্বকাপ-২০২৩ ভারতের মাটিতে এ বছরের শেষ দিকে অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিযোগিতার ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১৯ নভেম্বর। সরাসরি ওঠা আট দলের সঙ্গে বিশ্বকাপে খেলবে বাছাইপর্ব পেরিয়ে আসা আরও দুই দল। বিশ্বকাপে যেসব দল সরাসরি জায়গা পেয়েছে, তাদের মধ্যে প্রথমে রয়েছে নিউজিল্যান্ড।
ইংল্যান্ডের চেমসফোর্ডে মঙ্গলবার তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে টস হেরে আগে ব্যাটিং পেয়ে ৯ উইকেটে ২৪৬ রান করে বাংলাদেশ। জবাবে আয়ারল্যান্ড ১৬.৩ ওভারে ৩ উইকেটে ৬৫ রান তোলার পরই নামে বৃষ্টি। তা আর না থামায় আম্পায়াররা খেলা পরিত্যক্ত ঘোষণা করেন। এতে আইরিশদের সরাসরি বিশ্বকাপে খেলার যে ক্ষীণ সম্ভাবনা ছিল, সেটিও শেষ হয়ে গেছে। আর শেষ দল হিসেবে বিশ্বকাপে সরাসরি খেলার টিকিট পেয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
ওয়ানডে সুপার লিগের দক্ষিণ আফ্রিকার পয়েন্ট ৯৮। আয়ারল্যান্ডের পয়েন্ট ৬৮। তিন ম্যাচের সিরিজে তারা বাংলাদেশের বিপক্ষে ৩-০ ব্যবধানে জিততে পারলে পয়েন্ট হতো ৯৮। তখন নেট রান রেটে আয়ারল্যান্ডের সরাসরি যোগ্যতা অর্জনের সম্ভাবনা বেশি থাকত।
স্বাগতিক দেশ হিসেবে ওয়ানডে বিশ্বকাপে ভারতের সরাসরি বিশ্বকাপে খেলা নিশ্চিতই ছিল। আসরে সরাসরি অংশগ্রহণের বিষয়টি আগেই নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ। ভারত-বাংলাদেশসহ ১৩ দলের আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ সুপার লিগের মাধ্যমে সরাসরি জায়গা করে নিয়েছে আরও ছয়টি দল। তারা হলো— নিউজিল্যান্ড, ইংল্যান্ড, পাকিস্তান, অস্ট্রেলিয়া, আফগানিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকা।
ভারতে অনুষ্ঠিতব্য ওয়ানডে বিশ্বকাপ হবে ১০ দলের। আট দল নিশ্চিত হয়ে যাওয়ায় রইল বাকি দুই দল। বাকি দুটি দল যোগ্যতা অর্জন পর্ব খেলে উঠবে। জিম্বাবুয়ের মাটিতে আগামী জুন-জুলাই মাসে হবে এটির বাছাইপর্ব।
সেখানে সুপার লিগ থেকে সরাসরি বিশ্বকাপে উঠতে ব্যর্থ হওয়া বাকি পাঁচ দলের (ওয়েস্ট ইন্ডিজ, শ্রীলংকা, আয়ারল্যান্ড, জিম্বাবুয়ে ও নেদারল্যান্ডস) সঙ্গে লড়বে প্রাক-বাছাই পেরিয়ে আসা আরও পাঁচ দল। তারা হলো – নেপাল, ওমান, স্কটল্যান্ড, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও যুক্তরাষ্ট্র।
অনলাইন ডেস্ক :
বিশ্বকাপ চলাকালীন ক্রিকেটার নাসুমকে চড় মারার ঘটনার তদন্ত চেয়ে বিসিবির সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। আজ ৩ ডিসেম্বর রবিবার ডাকযোগে এবং ই-মেইলে এই লিগ্যাল নোটিশটি পাঠানো হয়।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী নাহিদুর রহমানের পক্ষে ব্যারিস্টার আশরাফ রহমান এটি পাঠিয়েছেন। এতে দোষ প্রমাণ হলে জাতীয় দলের প্রধান কোচ হাথুরু সিংয়ের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে বিসিবিকে।
এছাড়াও ৭২ ঘণ্টার মধ্যে এই ঘটনায় ব্যবস্থা না নিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
এদিকে বিশ্বকাপ ব্যর্থতার কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত শুরু হয়েছেন। তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি রবিবার থেকে এ তদন্ত শুরু করে।
অনলাইন ডেস্ক :
প্রথম ইনিংসে ১৯১ রানের ইনিংসের জন্য ম্যাচসেরা হয়েছেন মুশফিকুর রহিম। এটা তাঁর সবচেয়ে সুন্দর ইনিংসগুলোর একটি, বলেছেন মুশফিক। এ জয়ের জন্য সব খেলোয়াড়কেই কৃতিত্ব দিয়েছেন তিনি, বিশেষ করে এ সিরিজের জন্য তাঁরা যেভাবে প্রস্তুতি নিয়েছেন সেজন্য। ম্যাচসেরার প্রাইজমানি বন্যার্তদের সহায়তায় দান করে দেবেন বলেও জানিয়েছেন বাংলাদেশের অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান।
২০০৩ সাল। মুলতানে পরাক্রমশালী পাকিস্তানকে হারানোর সুযোগ এসেছিল। টেস্টে তখন বাংলাদেশ ‘হাঁটি হাঁটি পা পা’। মোহাম্মদ রফিক ‘অনৈতিক’ ভেবে মানকাডিং না করায় সেবার ১ উইকেটে হেরেছিলেন হাবিবুল বাশার-খালেদ মাহমুদরা। ২১ বছর পর এবার ক্রিকেটে প্রথমবার পাকিস্তান জয় করলেন মুশফিকুর রহিম-সাকিব আল হাসান-মেহেদী মিরাজরা। আজ ২৫ আগস্ট রোববার রাওয়ালপিন্ডিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে ১০ উইকেটের ঐতিহাসিক জয় পেয়েছে টাইগাররা।
টেস্টে বাংলাদেশ ঐতিহাসিক এই জয় পেয়েছে অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিমের দুর্দান্ত ব্যাটিং, সাদমান ইসলামের সেঞ্চুরি ছোঁয়া ইনিংস ও মুমিনুল-লিটনের পর মিরাজের ফিফটিতে। সঙ্গে দ্বিতীয় ইনিংসে পাকিস্তানের ব্যাটিং ধসিয়ে দিতে মিরাজ ও সাকিব অসাধারণ বোলিং করেছেন। তাদের তোপে দ্বিতীয় ইনিংসে ১৪৬ রানে অলআউট হয় পাকিস্তান। জয়ের জন্য ৩০ রানের লক্ষ্য পায় সফরকারীরা। যে রান তুলতে পেতে হয়নি বেগ।
সিরিজের প্রথম এই টেস্টের টস পক্ষে আসে বাংলাদেশের। ম্যাচ শুরুর আগের রাতে ভারী বৃষ্টির কারণে নির্ধারিত সময়ে টস হয়নি। প্রায় দুই সেশন ভেসে যাওয়ার পর হওয়া টসে জিতে বোলিং নেন অধিনায়ক নাজমুল শান্ত। উইকেটের সুবিধা নিয়ে মাত্র ১৬ রানে স্বাগতিক পাকিস্তানের ৩ উইকেট তুলে নেন শরিফুল ইসলাম-হাসান মাহমুদরা। কিন্তু সূদ শাকিলের ১৪১ ও মোহাম্মদ রিজওয়ানের ১৭১ রানের সঙ্গে সাইম আইয়ূবের ৫৬ রানের ইনিংসে ৬ উইকেট হারিয়ে ৪৪৮ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে পাকিস্তান।
পাকিস্তানের অধিনায়ক শান মাসুদ হয়তো ভেবেছিলেন বাংলাদেশ রানের চাপায় পিষ্ট হবে। কিন্তু চোখে চোখে রেখে শুধু জবাব দেননি মুশফিক-সাদমানরা। বরং তুলে নেন ১১৭ রানের লিড। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ ৫৬৫ রান তোলে। মুশফিকুর ১৯১ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেলেন। সাদমান সেঞ্চুরি মিস করলেও ৯৩ রানের দারুণ ইনিংস খেলেন। এছাড়া মুমিনুল ৫০, লিটন ৫৬ ও মেহেদী মিরাজ ৭৭ রানের কার্যকরী ইনিংস খেলেন।
দ্বিতীয় ইনিংসে নেমে বাংলাদেশের বোলিং তোপে পাকিস্তান সুবিধা করতে পারেনি। তাদের দেড়শ’ রানের আগে ধসিয়ে দিতে বড় ভূমিকা রাখেন স্পিনার সাকিব ও মিরাজ। টেস্টে বাঁ-হাতি বোলার হিসেবে সর্বোচ্চ ৭০৬ উইকেট তুলে নেওয়ার পথে সাকিব দ্বিতীয় ইনিংসে ৩ উইকেট তুলে নেন। মিরাজ নেন ৪ উইকেট। এছাড়া শরিফুল, হাসান মাহমুদ একটি করে উইকেট নেন। ওই ইনিংসে পাকিস্তানের রিজওয়ান ৫১ রান করেন। আব্দুল্লাহ শফিক ৩৭ রান যোগ করেন। জবাবে জাকির ১৫ ও সাদমান ৯ রান করে জয় তুলে নেন।
পাকিস্তানের বিপক্ষে পাকিস্তানের মাটিতে এটি বাংলাদেশের প্রথম জয়। এছাড়া টেস্টে প্রথমবার পাকিস্তানকে হারানোর কীর্তি গড়েছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ ব্যাটে-বলে শুধু নয় ফিল্ডিংয়েও কর্তৃত্ব করে খেলেছে। লিটন উইকেটের পেছনে বাবর আজমের ক্যাচ ফেললেও সফরকারীরা এই ম্যাচে দুর্দান্ত কিছু ক্যাচ নিয়েছে। ক্রিকেট বোর্ড থেকে নাজমুল হাসান পাপনের বিদায়, বাংলাদেশ ক্রিকেটে সংস্কার কাজের শুরুতে পাওয়া জয়ের মাহাত্ম্য তাই একটু বেশিই।
অনলাইন ডেস্ক :
দেশের জনপ্রিয় অভিনেতা ও কণ্ঠশিল্পী তাহসান খানের সাথে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী মেকআপ আর্টিস্ট রোজা আহমেদের বিয়ের খবর এখনও টপ অব দ্যা কান্ট্রি। বিশেষ করে তাহসানের স্ত্রী রোজা কে নিয়ে এখনও অনুরাগীদের চর্চা তুঙ্গে। কিন্তু তাহসানের সাথে বিয়েতে বসার আগে এই রোজা আহমেদকে কতটা চিনতেন তার অনুরাগীরা? বলা বাহুল্য, তাহসানের সাথে পরিচয় হওয়ার আগে থেকেই নেটিজেনদের কাছে বেশ পরিচিত ছিলেন এই মেকআপ আর্টিস্ট।
সম্প্রতি রোজা আহমেদের একটি পুরোনো সাক্ষাৎকার ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক মাধ্যমে। সেখানে রোজা তার ক্যারিয়ার, পেশা নিয়ে বিস্তর আলাপ করেন। সেখানে তাকে বেশ কিছু প্রশ্ন ও নেটিজেনদের নানান অভিযোগ সম্পর্কে অবহিত করা হয়। সে প্রসঙ্গেই আলোচনা করেন রোজা।
জানালেন, একটা সময় পর্দায় আসার ইচ্ছে ছিল তার। শুধু তাই নয়, জয়া আহসান কিংবা মৌ এর মতো অভিনেত্রীদের সাথেও কাজ করার ইচ্ছে ছিল তার। রোজা বলেন, ‘একসময় ইচ্ছে ছিল মডেল হব, অভিনেত্রী হব।’
সেই সাক্ষাৎকারে ভ্লগারদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগের কথা ওঠে। যেমন, অনেক ক্ষেত্রে খারাপ ব্যবহার করেন ভ্লগাররা, ঠিকমতো ব্র্যান্ড প্রোমোশন করেন না- এ ধরণের অভিযোগ। সে প্রসঙ্গে রোজা বলেন, ‘এটা যে যার ব্যক্তিগত ব্যাপার, এখানে আমার বলার কিছু নেই। আমি এত বড় কোনো ভ্লগার হয়ে যাইনি কিংবা কোনো ব্র্যান্ড প্রোমোটারও হইনি। আর এটা আমার মূল পেশাও না। তবে যারা এই পেশায় আছেন, তাদের আমি অনেক সম্মান করি, তারা অনেক ভালো করছেন। আমাদের অনেক সিনিয়র ভ্লগার যারা আছেন, যাদের নিয়ে এখন বিতর্ক হচ্ছে তারা অনেক কষ্টে এই জায়গাতে এসেছেন, আর আমরা তাদের থেকেই শিখেছি। যখন আমরা ভ্লগার বলতে কিছু বুঝতাম না, তখন তাদের হাত ধরে বাংলাদেশে ভ্লগ এসেছে।’
সেই সাক্ষাৎকারে এমনও অভিযোগ উঠেছে, অনেক ইনফ্লুয়েনসার কিংবা ব্র্যান্ড প্রোমোটাররা নাকি ফটোশ্যুটে করেই লাখের মতো পারিশ্রমিক নেন। এছাড়াও মেকআপ আর্টিস্টরাও প্রতি মিনিটে হাজার টাকা পারিশ্রমিক নেন বলেও অভিযোগ।
রোজা বলেন, ‘আপনারাই তো আমাদের ভ্যালুটা বাড়িয়েছেন। একজন নামী-দামী সেলিব্রেটির কাছে না গিয়ে আপনারা আমাদের কাছে আসছেন। তাদের থেকেও যদি আমরা বেশি চার্জ করি, তারাও আমাদের নিচ্ছেন- আমরা কেন নেব না। এটা একটা ব্যাবসা আফটার অল।’ রোজা এও বলেন, ‘সে এটা ডিজার্ভ করে, হয়তো সে জন্য এটা তিনি চার্জ করেছেন।’
মেকআপ আর্ট প্রসঙ্গেও বেশ আলাপ করেন রোজা। বলেন, ‘চাই আমার কাজকে সবাই জানবে। আর আমি বেছে কাজ করি; যেহেতু আমি একজন প্রোফেশনাল মেকআপ আর্টিস্ট। তো দেখা যায় আমার ওই কাজটা আগে। ওইটার ওপরে, ওই ক্যাজুয়ালের ওপরে ডিপেন্ড করে ওই ব্রান্ডকে কাজটা দেওয়া হয়। ওরা যখন চায় তখনই করতে হবে, নইলে আমার ওই কাজটা করা হয় না; কাজ হারিয়ে যায়। কিন্তু দিনশেষে এটা নিয়ে আমার আফসোস হয় না; কারণ কাজগুলো আমি শখের বসে করছি।’
বাংলাদেশের বরিশাল জেলায় বেড়ে ওঠা রোজা আহমেদ বর্তমানে ক্যারিয়ার গড়েছেন মার্কিন মুলুকে। পড়াশোনা করেছেন নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটি থেকে কসমেটোলজির ওপর। পড়াশোনা শেষ করে কসমেটোলজি লাইসেন্স গ্রহণ করেন এবং পরবর্তীতে নিউ ইয়র্কের কুইন্সে রোজাস ব্রাইডাল মেকওভার প্রতিষ্ঠাতা করেন। তিনি একজন উদ্যোক্তা এবং সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েনসারও।
স্পোর্টস ডেস্ক :
ঘটনাবহুল একটি ম্যাচ। মুশফিকের দুরন্ত ক্যাচ, অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজের টাইমড আউটের পরও চারিথ আশালঙ্কার দুর্দান্ত সেঞ্চুরি। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশকে ২৮০ রানের চ্যালেঞ্জিং এক লক্ষ্য ছুঁড়ে দিয়েছে শ্রীলঙ্কা।
দিল্লির অরুন জেটলি স্টেডিয়ামে টস জিতে ফিল্ডিং নেয়ার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানান শ্রীলঙ্কাকে। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে চারিথ আশালঙ্কার অনবদ্য ১০৮ রানের ওপর ভর করে ৪৯.৩ ওভারে ২৭৯ রান তুলতে অলআউট হয়ে যায় লঙ্কানরা।
বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট নেন তানজিম হাসান সাকিব। ২টি করে উইকেট নেন শরিফুল ইসলাম এবং সাকিব আল হাসান। ১ উইকেট নেন মেহেদী হাসান মিরাজ।
টস হেরে ব্যাট করতে নামার পর শুরুতেই কুশল পেরেরার উইকেট নিয়ে শুভ সূচনা করেন শরিফুল ইসলাম। ৫ বলে ৪ রান করে আউট হন কুশল পেরেরা। এরপর কুশল মেন্ডিসকে নিয়ে জুটি বাধার চেষ্টা করেন আরেক ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কা। কিন্তু ৩০ বল খেলে ১৯ রান করে আউট হয়ে যান কুশল মেন্ডিস।
সাদিরা সামারাবিক্রমাকে নিয়ে শ্রীলঙ্কার রান বাংলাদেশের ধরা-ছোঁয়ার বাইরে নেয়ার চেষ্টা করেন চারিথ আশালঙ্কা। কিন্তু ২৫তমওভারের দ্বিতীয় বলে সামারাবিক্রমা আউট হয়ে যান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের হাতে ক্যাচ দিয়ে। তিনি করেন ৪১ রান।
অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজ টাইমড আউট হয়ে যান। তবে চারিথ আশালঙ্কা ১০৫ বলে ১০৮ রান করে আউট হন তানজিম সাকিবের বলে। ৩৬ বলে ৩৪ রান করেন ধনঞ্জয়া ডি সিলভা। ৩১ বলে ২২ রান করেন মহেশ থিকসানা। দুষ্মন্তে চামিরা আউট হন ৪ রান করে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আজ ২১ জানুয়ারি রবিবার কুমিল্লা জেলা স্টেডিয়াম (ভাষা সৈনিক শহীদ নীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়াম) ইয়ং টাইগার্স অনুর্ধ্ব-১৬ বিভাগীয় ক্রিকেট টুর্ণামেন্ট এর সি গ্রুপের খেলায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া ১১৭ রানে বড় ব্যবধানে কক্সবাজারকে পরাজিত করে সেমিফাইনালে খেলার গৌরব অর্জন করে। এর আগে ১৫ জানুয়ারি ১ম খেলায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২০৮ রানের ব্যবধানে বান্দরবানকে পরাজিত করে।
১৭ জানুয়ারি ২য় খেলায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া ৪৬ রানে চাঁদপুর এর কাছে হেরে যায়। সি গ্রুপ রানার্সআপ হয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া নীট রান রেটে ৪র্থ দল হিসেবে সেমিফাইনালে উন্নীত হয়।
আগামী ২৪ জানুয়ারি ২য় সেমিফাইনাল অংশ গ্রহণ করবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া বনাম চাঁদপুর।
২৩ জানুয়ারি ১ম সেমিফাইনালে অংশ গ্রহণ করবে নোয়াখালী বনাম লক্ষীপুর, ২৬ জানুয়ারি ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হবে। সবগুলো খেলা চট্টগ্রামের মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড গেইম ডেভলপমেন্ট এর আয়োজনে চট্টগ্রাম বিভাগের ১১টি জেলা ৩টি গ্রুপে ভাগ হয়ে লীগ ভিত্তিক খেলায় অংশগ্রহণ করে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা অনুর্ধ্ব-১৬ ক্রিকেট দলের সদস্যগণ হলেন : তপু দত্ত (অধিনায়ক), মেহেদী হাসান শ্রাবণ (সহ: অধিনায়ক), ইশান বনিক (উইকেট কিপার), সাকিব আল জামান, নুর আলম রাফি, আনাছ, আলিফ, সাদমান, শিমুল, ইয়াছিন আরাফাত, সজিবুর, মাহিন, সাবাব, নওশাদ, সিফাত ও নুর হোসেন কোচ মোহাম্মদ রুহুল কুদ্দুছ শামীম, ম্যানেজার নাজমুল হক ভূঁইয়া সেলিম।