চলারপথে রিপোর্ট :
আশুগঞ্জে ৭২ কেজি গাঁজা ও ৩৭৫টি ইয়াবাসহ মো. কানু মিয়া (৩১) নামে এক মাদক কারবারিকে আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-১৪ এর সদস্যরা।
আজ ১১ মে বৃহস্পতিবার দুপুরে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় র্যাব-১৪ ভৈরব ক্যাম্প।
আটক কানু মিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার চান্দুরা আলাদাউদপুর গ্রামের মো. আব্দুর রহমান কাদের মিয়ার ছেলে।
বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা গেছে, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল বুধবার রাতে উপজেলার চরচারতলা ইউনিয়নের মহরম পাড়ায় অভিযান চালিয়ে কানু মিয়াকে আটক করা হয়। সে সময় তার কাছ থেকে ৭২ কেজি গাঁজা ও ৩৭৫টি ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করা হয়। জব্দ করা হয় মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত একটি সিএনজি চালিত অটোরিক্সাও। এ ঘটনায় কানুর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
চলারপথে রিপোর্ট :
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের সাবেক এমপি মঈন উদ্দিন মঈনসহ আওয়ামী লীগের ১৩৫ জন নেতাকর্মীকে আসামী করে আশুগঞ্জ থানায় দুটি পৃথক মামলা রুজু করা হয়েছে।
২০ আগস্ট মঙ্গলবার সকালে আশুগঞ্জ উপজেলার আড়াইসিধা গ্রামের নাসির মিয়ার ছেলে মোঃ রমজান মিয়া ও মইশার গ্রামের মফিজ মিয়ার ছেলে হাসান মিয়া বাদী হয়ে এসব মামলা দায়ের করেন। তারা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সক্রিয় সদস্য বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।
মামলায় সাবেক এমপি ছাড়াও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী মোঃ সফিউল্লাহ মিয়া, সাধারণ সম্পাদক আবু নাসের, ৫জন ইউপি চেয়ারম্যানসহ আওয়ামী লীগের উপজেলা ও বিভিন্ন ইউনিয়ন শাখার নেতৃবৃন্দকে আসামী করা হয়েছে।
পৃথক দুটি মামলার অভিযোগে প্রায় অভিন্ন ভাষায় বলা হয়, গত ৪ আগস্ট (রবিবার) ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের আশুগঞ্জ গোল চত্বর এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শান্তিপূর্ণ মিছিলে অভিযুক্তরা সংঘব্ধভাবে হামলা করে। এসময় তারা বেশকয়েকটি ককটেল বিষ্ফোরণসহ ছাত্র-জনতার মিছিলে অতর্কিতভাবে গুলি ছুড়ে। এতে ককটেলের স্পিøন্টার ও গুলিতে কয়েকজন আন্দোলনকারী মারাত্মক আহত হয়। এছাড়া আক্রমণকারীরা লাঠিসোটা দিয়ে পিটিয়ে অনেক আন্দোলনকারীকে আহত করে। এসময় আক্রমণকারীরা অন্তত বিশটি মোটর সাইকেল পুড়িয়ে দেয়াসহ নানা ধরনের নাশকতা করে বলে মামলা দুটিতে উল্লেখ করা হয়।
মামলা দু’টির বাদী মোঃ রমজান মিয়া ও হাসান মিয়া জানান, ছাত্র-জনতার শান্তিপূর্ণ মিছিলে অতর্কিত হামলা করে আওয়ামী লীগ সেদিন তাদের ফ্যাসিবাদী চরিত্র পূর্ণভাবে প্রকাশ করেছে। আমরা ভিক্টিম এবং সংক্ষুব্ধ। তাই নৈরাজ্যকারীদের বিচারের জন্য মামলা করেছি।
আশুগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ সফিউল কবির জানান, লিখিত অভিযোগ পেয়ে পৃথক দুটি মামলা রুজু করা হয়েছে। তদন্ত করে আসামীদের গ্রেফতার ও পরবর্তী আইনানুগ ব্যাবস্থা নেয়া হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ ও নবীনগরে বজ্রপাতে দুইজন নিহত হয়েছেন।
আজ ১৩ জুন বৃহস্পতিবার বিকেলে আশুগঞ্জ উপজেলার আড়াইসিধা ইউনিয়নের ভবানীপুর ও নবীনগর উপজেলার বাইশমোজা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত কালু মিয়া আশুগঞ্জ উপজেলার তারুয়া গ্রামের নুরু মিয়ার ছেলে ও সরাইল উপজেলার পানিশ্বর এলাকার বাসিন্দা জনি মিয়া।
জানা যায়, বাজার থেকে গরু কিনে বাড়ি ফিরছিলেন চাচা কালু মিয়া ও ভাতিজা হোসেন মিয়া। পথে আশুগঞ্জ উপজেলার আড়াইসিধা ইউনিয়নের ভবানীপুরে বৃষ্টির সঙ্গে হঠাৎ বজ্রপাত শুরু হয়। বজ্রপাতে চাচা-ভাতিজা গুরুতর আহত হলে দ্রুত তাদের আশুগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে চিকিৎসক কালু মিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন এবং হোসেন মিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রেরণ করে।
এদিকে, বিকেলে নবীনগর উপজেলার বাইশমোজা বাজারের বৃষ্টি শুরু হলে জনি মিয়া নদীর পাশে বালুর নৌকায় উঠে। এ সময় বজ্রপাতে জনি গুরুত্বর আহত হন। পরে স্থানীয়রা জনিকে উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আশুগঞ্জ থানার ওসি নাহিদ আহম্মেদ জানান, বিকেলে গরু বিক্রি করে বাড়ি ফেরার পথে ভবানীপুরে বজ্রপাতে চাচা-ভাতিজা গুরুতর আহত হন। পরে চাচা মারা যান। ভাতিজাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভর্তি করা হয়েছে। তবে পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ সার কারখানায় অবিলম্বে গ্যাস সরবরাহের দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন শ্রমিক-কর্মচারীরা। এছাড়া তিনদিনের মধ্যে গ্যাস সরবরাহ না করা হলে কঠোর আন্দোলনেরও হুঁশিয়ারি দেন তারা।
আজ ২৩ জুলাই রবিবার সকালে কারখানার প্রধান ফটকের সামনে এ মানববন্ধন করা হয়। এজন্য সকাল ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত প্রধান ফটক দিয়ে কারখানা থেকে সার সরবরাহ বন্ধ ছিল।
কারখানার শ্রমিক-কর্মচারীরা জানান, একটি ইঞ্জিন দীর্ঘদিন চলার পর যখন কার্যক্ষমতা হ্রাস পেতে থাকে তখন যন্ত্রাংশ খুলে পরিষ্কার, মেরামত ও পরিবর্তন করে পুনঃসংযোগ করাকে ওভারহলিং বলে। গত ১ মার্চ থেকে ওভারহলিংয়ের জন্য আশুগঞ্জ সার কারখানায় দুই মাস উৎপাদন বন্ধ রাখা হয়। ওভারহলিং শেষে মে মাস থেকে কারখানা চালু করতে চাইলে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রাখে বিসিআইসি কর্তৃপক্ষ। তাই প্রায় পাঁচ মাস ধরে কারখানার উৎপাদন বন্ধ থাকায় যন্ত্রাংশ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
এদিকে, দ্রুত গ্যাস সরবরাহ না করা গেলে কারখানাটি পুনরায় চালু রাখা সম্ভব হবে না। তাই কারখানা বাঁচাতে শ্রমিক-কর্মচারীরা আন্দোলনে নেমেছেন এবং তিন দিনব্যাপী কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন। কর্মসূচির মধ্যে ২৪ জুলাই ও ২৫ জুলাই কারখানায় গেটে বিক্ষোভ মিছিল করা হবে। এছাড়া তিনদিনের মধ্যে দাবি না মানা হলে কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচি দেওয়া হবে।
আশুগঞ্জ সার কারখানা শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি বাবুল মিয়ার সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সমাবেশে শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সিনিয়র সহ-সভাপতি তৈমুর রহমান, সাবেক সভাপতি সোহরাব হোসেন, সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি জাহিদুর রহমান প্রমুখ বক্তব্য দেন।
উৎপাদন চালু থাকলে আশুগঞ্জ সার কারখানা থেকে প্রতিদিন ১ হাজার ২০০ মেট্রিক টন ইউরিয়া সার উৎপাদন করা হয়। এই সার ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কিশোরগঞ্জ, হবিগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হয়।