অনলাইন ডেস্ক :
আগামী ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত বাংলাদেশের সামুদ্রিক জলসীমায় মাছ শিকার নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আজ ১১ মে বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত সভায় এ তথ্য জানান মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
তিনি বলেন, এই ৬৫ দিন দেশি-বিদেশি মৎস্য আহরণকারীদের অবৈধ মৎস্য আহরণ যে কোনো মূল্যে বন্ধ করতে হবে। চট্টগ্রাম, বরিশাল ও খুলনা বিভাগের ১৪টি জেলার ৬৭টি উপজেলা এবং চট্টগ্রাম মহানগরে মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধের এ কার্যক্রম বাস্তবায়ন হবে। কর্মসূচি যথাযথভাবে বাস্তবায়নের জন্য ৩ লাখ ১১ হাজার ৬২ জেলের জন্য প্রথম ধাপে ১৭ হাজার ৪১৯ টন ভিজিএফের চাল এরই মধ্যে জেলা প্রশাসকদের অনুকূলে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানের জন্য সরকার উপকরণ সহায়তা দেবে।
মন্ত্রী বলেন, মাছকে বেড়ে উঠতে দেওয়া এবং অবৈধ আহরণ বন্ধে সরকারি সিদ্ধান্ত কঠোরভাবে প্রতিপালন করতে হবে। কাউকে আইনের বাইরে কিছু করতে দেওয়া যাবে না। সে ক্ষেত্রে যে কোনো চাপ মোকাবিলা করা হবে। দায়িত্ব পালনে কোনো শৈথিল্য দেখা গেলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
সভায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নাহিদ রশীদসহ কয়েকজন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া অনুষ্ঠানে অংশ নেন নৌবাহিনী, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ, পুলিশ ও কোস্টগার্ডের প্রতিনিধি, নৌ পুলিশের ডিআইজি, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বেশ কয়েকজন বিভাগীয় কমিশনার এবং জেলা প্রশাসক, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা, মেরিন হোয়াইট ফিশ ট্রলার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন, সামুদ্রিক মৎস্য আহরণকারী বোট মালিক সমিতি, বাংলাদেশ মেরিন ফিশারিজ অ্যাসোসিয়েশন ও জাতীয় মৎস্যজীবী সমিতির প্রতিনিধিরা।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাগেরহাটে মাছে রং করে বিক্রি ও মূল্য তালিকা না থাকার অপরাধে ৩টি প্রতিষ্ঠানকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। আজ ৫ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার দুপুরে বাগেরহাট শহর প্রধান ফিসারি ঘাট কেবি মাছ বাজার এলাকা ও সদর উপজেলার ফতেপুর বাজারে অভিযান চালিয়ে এ জরিমানা করা হয়। পুলিশ ও কৃষি বিপণন বিভাগের সহায়তায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর এই অভিযান পরিচালনা করে।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের বাগেরহাটের সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল ইমরান জানান, মঙ্গলবার দুপুরে বাগেরহাট শহর প্রধান ফিসারি ঘাট কেবি মাছ বাজার এলাকা ও সদর উপজেলার ফতেপুর বাজারে অভিযানকালে মাছে রং করা অস্থায় মাছ বিক্রেতাসহ মূল্য তালিকা না থাকার অপরাধে ৩টি প্রতিষ্ঠানকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠান ৩টি পুনরায় এই ধরনের অনিয়ম করা থেকে বিরত থাকবেন বলে অঙ্গীকার করেছেন। এ সময় রং করা মাছ নষ্ট করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে ট্রাকের পেছনে প্রাইভেটকারের ধাক্কায় ২ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরও ৩ জন। আজ ২৬ জুলাই বুধবার সকাল সাড়ে ৬টায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের হাদি ফকিরহাট এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- কুমিল্লার বুড়িচং পূর্বমারা এলাকার মো. মনির (৪৫) ও প্রাইভেটকারচালক মো. মাহবুব (৪০)।
আহতরা হলেন- মৌসুমি (৩০), মাহাতাফ (৮) ও মেজবা (৫)। আহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে মিরসরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঢাকাগামী একটি প্রাইভেটকার মহাসড়কের পাশে দাঁড়ানো একটি ট্রাকের পেছনে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে ২ জন নিহত হন। মিরসরাই ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে। স্থানীয়রা আহতদের হাসপাতালে পাঠান।
কুমিরা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন জানান, ঘটনাস্থল থেকে নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। দুর্ঘটনার শিকার গাড়ি দুইটি পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে স্বজনদের কাছে নিহতদের মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল এ কে এম নাজমুল হাসান বলেছেন, ‘আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সীমান্ত দিয়ে যেন অবৈধ অস্ত্র দেশে প্রবেশ করতে না পারে সে জন্য সতর্ক রয়েছে বিজিবির জোয়ানরা। এছাড়া মাদক ও চোরাচালান বন্ধে আগের থেকেও বেশি সক্রিয় আমাদের বাহিনীর সদস্যরা।’
আজ ৩১ আগস্ট বৃহস্পতিবার কুমিল্লা বিবিরবাজার সীমান্ত পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় বিজিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, পুলিশ সুপার আবদুল মান্নানসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অন্যান্য ইউনিটের সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
এসময় বিবিরবাজার সীমান্ত পরিদর্শনে গেলে ভারতের বিএসএফ গোকুলনগর সেক্টরের ভারপ্রাপ্ত সেক্টর কমান্ডার রাজেশ সিং কানওয়ার তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। বিএসএফের পক্ষে থেকে বিজিবি মহাপরিচালককে মিষ্টি উপহার দেওয়া হয়।
এর আগে বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল এ কে এম নাজমুল হাসান কুমিল্লা বিজিবির সেক্টর ও ব্যাটালিয়নের বিভিন্ন ইউনিটের অপারেশনাল, প্রশিক্ষণ ও প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।
অনলাইন ডেস্ক :
১৯৪৮ সালে পাকিস্তানিরা বাঙালির মাতৃভাষার অধিকার কেড়ে নেওয়ার পদক্ষেপ নেওয়ার পরই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশ স্বাধীনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা জানান।
বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, স্বাধীনতার পর জাতির পিতাকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল দেশের স্বাধীনতার কথা আপনি কখন থেকে চিন্তা করেন। তিনি উত্তর দিয়েছিলেন, ১৯৪৮ সালে যখন মাতৃভাষায় কথা বলার অধিকার পাকিস্তানিরা কেড়ে নিয়েছিল সেদিন থেকে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম ওদের সঙ্গে আর থাকবো না।
তিনি বলেন, ভাষা আন্দোলনের পথ বেয়েই কিন্তু স্বাধীনতা। একজন নেতা নিজের জীবনের সব বিসর্জন দিয়ে একটি জাতির জন্য দিনের পর দিন অধিকার বঞ্চিত-শোষিত মানুষের কথা বলতে গিয়ে বারবার কারাবরণ করেছেন। জেলজুলুম-অত্যাচার সহ্য করেছেন। যে লক্ষ্য তিনি স্থির করেছিলেন, সেই লক্ষ্য সামনে রেখে একটার পর একটা পদক্ষেপ নিয়েছেন।
শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধু ৫৪ সালে নির্বাচনও করেছেন, ৫৬ সালে তিনি জাতীয় পরিষদে ছিলেন। নিয়ম মেনেই কিন্তু এগিয়ে গেছেন। একটি লক্ষ্য স্থির রেখে। যেটা কখনও তিনি মুখে উচ্চারণ করেননি। কিন্তু একটি জাতিকে স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ করা বা তাদের সংগঠিত করা, ঐক্যবদ্ধ করা এটা একটি কঠিন কাজ ছিল। সেই কঠিন কাজ তিনি অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে করে যান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য জাতির পিতা যে স্বপ্ন দেখেছিলেন সেটাই আমাদের বাস্তবায়ন করতে হবে। যে কাজটা তিনি করতে গিয়েও করতে দেওয়া হয়নি। ১৫ আগস্ট তাকে নির্মমভাবে হত্যা করে মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হয়েছে। কাজেই এ দেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে আর কেউ যেন ছিনিমিনি খেলতে না পারে।
শেখ হাসিনা বলেন, যারা জয়বাংলা স্লোগানে বিশ্বাস করে না, ৭ মার্চের ভাষণকে যারা প্রেরণা বলে মনে করে না, তার অর্থ তারা স্বাধীন বাংলাদেশই চায় না। তারা দেশের উন্নয়ন চায় না। দেশের মানুষের অর্থ-সামাজিক উন্নতি চায় না।
তিনি আরও বলেন, তাদের কেন মানুষ ভোট দেবে। সেজন্যই তারা বারবার ইলেকশন বানচাল করে কীভাবে মানুষের দুর্ভোগ বাড়বে, বারবার অগ্নিসন্ত্রাস সৃষ্টি করে দেশটাকে ধ্বংস করতে চায়।
অনলাইন ডেস্ক :
টিকা না পেয়ে রাজধানীর পান্থপথ এলাকায় সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করছেন সৌদি আবরসহ মধ্যপ্রাচ্যগামী প্রবাসীরা। প্রবাসীদের আন্দোলনের কারণে যানচলাচল ব্যাহত হচ্ছে পান্থপথ এলাকায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে উপস্থিত আছেন ঘটনাস্থলে ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের পুলিশ সদস্যরা।
আজ ২১ জানুয়ারি মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার পর থেকে প্রায় ৩০০ জন প্রবাসী পান্থপথে অবস্থিত স্কয়ার হাসপাতালের সামনে এই আন্দোলন করছেন।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আন্দোলনরত প্রবাসীদের মধ্যে অধিকাংশ সৌদি প্রবাসী। এছাড়া ওমরা হজের যাত্রীরাও রয়েছেন। তাদের আজ রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে সৌদি আবরসহ মধ্যপ্রাচ্যের আরো দুই-একটি দেশে যাওয়ার জন্য টিকা নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ওইসব হাসপাতালে গিয়ে তারা দেখেন তাদের যেসব টিকা দেওয়ার কথা ছিল সেসব টিকা নেই। পরে তাদের জানানো হয় পান্থপথের স্কয়ার হাসপাতালে টিকা আছে সেখানে যেতে। সে অনুযায়ী তারা স্কয়ার হাসপাতালে আসেন। কিন্তু এসে দেখেন এখানেও টিকার সংকট। এরপর টিকা না পেয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে রাস্তায় নেমে আন্দোলন করতে থাকেন প্রবাসীরা।
এ বিষয়ে তেজগাঁও থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. জুবায়ের বলেন, টিকা না পেয়ে ক্ষুব্ধ প্রবাসীরা সড়ক অবরোধ করেছেন।
তাদেরকে বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে বলা হয়েছে যে, স্কয়ার হাসপাতালে গেলে তারা টিকা পাবেন। কিন্তু স্কয়ার হাসপাতালে থেকে প্রতিদিন ১০ থেকে ১৫টি টিকা দেওয়া হয়। তাদের কাছে তো এতো টিকার স্টক নেই। প্রায় ৩০০ জন লোক এসেছেন টিকা নিতে। তাদের অধিকাংশ সৌদি প্রবাসী। আবার অনেকে রয়েছেন ওমরা হজের যাত্রী। এর বাইরে মধ্যপ্রাচ্যের আরো দুয়েকটি দেশের প্রবাসীরা রয়েছেন।