ডেস্ক রিপোর্ট :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারি কর্মকর্তাদের অপ্রয়োজনীয় বিদেশ ভ্রমণ না করার নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। তিনি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী সরকারি কর্মচারীদের অপ্রয়োজনীয় বিদেশ ভ্রমণকে নিরুৎসাহিত করেছেন। বিকল্প রপ্তানি বাজার অন্বেষণ করতে বলেছেন। কারণ বিগত বছরগুলোতে উৎপাদন ও রপ্তানিযোগ্য পণ্যের সংখ্যা বেড়েছে।
আজ ১১ মে বৃহস্পতিবার আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) অনুমোদন দিতে গিয়ে তিনি এ নির্দেশ দেন।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী কয়েকটি বার্তা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘উই মাস্ট ফিল সেল্ফ রেসপেক্টস’। নিজের আত্মসম্মান নিজের সমুন্নত রাখতে হবে। এটা দেশের প্রতি আহ্বান এবং আমাদের জন্য নির্দেশ। প্রতিটি পয়সা যেখানে প্রয়োজন সেখানে বিধি-বিধান এবং জনগণের কল্যাণ ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য ব্যয় করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা অপ্রয়োজনীয় ব্যয় এবং বিলাসবহুল মানসিকতা পরিহার করে সরকারি ব্যয়ে সংযত থাকার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে সতর্ক থাকতে বলেছেন। প্রধানমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে মান্নান বলেন, আমরা খরচ করব, কিন্তু যেখানে প্রয়োজন সেখানে খরচ করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বৈদেশিক প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ (এফডিআই) আকৃষ্ট করার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা দূর করার ওপর গুরুত্বারোপ করে বিদেশি ঋণ সমর্থিত প্রকল্পগুলো দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট সচিবদের নির্দেশ দিয়েছেন। মান্নান বলেন, প্রধানমন্ত্রী যেসব মন্ত্রণালয় ও বিভাগে আরো প্রকল্প গ্রহণ করার পর্যাপ্ত সক্ষমতা রয়েছে তাদের আরো প্রকল্প গ্রহণের এবং সাধারণভাবে সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে প্রকল্প বাস্তবায়নের হার ত্বরান্বিত করার নির্দেশ দিয়েছেন।
আগামী সাধারণ নির্বাচনের আগে সরকার জনগণকে সন্তুষ্ট করার জন্য প্রকল্প গ্রহণ করবে কি না জানতে চাইলে মান্নান বলেন, সরকার তার নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়নের জন্য কাজ চালিয়ে যাবে। আমরা আমাদের নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী কাজ চালিয়ে যাব। আমরা জনগণের কল্যাণ নিশ্চিত করার জন্য কাজ করি।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী সম্প্রতি ওয়াশিংটন সফরকালে বিশ্বব্যাংককে বলেছেন, তারা আরো ঋণ দিলে বাংলাদেশ তা যথাসময়ে পরিশোধ করবে।
এ সময় পরিকল্পনা বিভাগের সচিব সত্যজিৎ কর্মকার বলেন, এখন থেকে তারা আনুষ্ঠানিকভাবে বৈদেশিক সাহায্যের পরিবর্তে প্রত্যক্ষ প্রকল্প ঋণ বা প্রত্যক্ষ প্রকল্প অনুদান শব্দটি ব্যবহার করবেন।
তিনি জানান, এনইসি এডিপিতে জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ডের অধীনে করা বিনিয়োগ প্রতিফলনের একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী পিছিয়ে থাকা মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোকে এডিপি বাস্তবায়নে সক্ষমতা বাড়াতে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাতে বলেছেন।
তিনি আরো বলেন, মহিলা ও শিশু বিষয়ক এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনের মতো মন্ত্রণালয়গুলো আরো প্রকল্প নিয়ে আসতে পারে। সূত্র : বাসস
চলারপথে রিপোর্ট :
বাগেরহটের শরণখোলায় একই সঙ্গে মা ও মেয়েকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এই হত্যাকাণ্ডটি ঘটেছে আজ ১১ আগস্ট শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার রায়েন্দা ইউনিয়নের উত্তর রাজাপুর গ্রামে। নিহত পাপিয়া বেগম (৩৫) ও তার মেয়ে সাওদা জেমীকে (৫) ঘরে ঢুকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় হত্যাকারীরা। ঘটনাস্থলেই মারা যায় মেয়েটি। গুরুতর অবস্থায় মা পাপিয়াকে উদ্ধার করে রাত ৮টার দিকে হাসপাতলে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পুলিশ রাত ৯টার দিকে মা-মেয়ের লাশ উদ্ধার করেছে। তবে কি কারণে কে বার কারা এই হত্যাটি ঘটেছে তা তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে পারেনি পুলিশ।
স্থানীয় গ্রাম পুলিশ স্বপন কুমার বালী জানান, খবর পেয়ে পাপিয়া বেগমকে তার ঘর থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। এ সময় বাড়ির কিছু দূরে পড়ে থাকা অবস্থায় মেয়ে সাওদা জেমীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশকে জানানো হয়।
গ্রাম পুলিশ স্বপন বালী জানান, পাপিয়ার স্বামী আবু জাফর হাওলাদার কাজের সুবাদে ঢাকায় থাকেন। তার ছেলে জিহাদ (১৫) পিরোজপুরের মঠবাড়িয়াতে একটি দোকানে কাজ করে। মেয়েকে নিয়ে পাপিয়া বাড়িতে থাকতেন। কি কারণে এই ঘটনা ঘটেছে তা বোঝা যাচ্ছে না।
রায়েন্দা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজমল হোসেন মুক্তা জানান, তার ইউনিয়নের ১ নম্বর উত্তর রাজাপুর ওয়ার্ডে মা-মেয়ের জোড়া হত্যাকাণ্ডটি ঘটেছে। পারিবারিক কারণে এটি ঘটতে পারে বলে ধারণা করছেন তিনি।
শরণখোলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. আশফাক জানান, হাসপাতালে আনার আগেই পাপিয়া বেগমের মৃত্যু হয়েছে। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর জখম পাওয়া গেছে।
শরণখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইকরাম হোসেন বলেন, মা-মেয়ের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে কোনো ক্লু পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে তদন্ত চলছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
যথাযোগ্য মর্যাদায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া মুক্ত দিবস পালিত হয়েছে। ৮ ডিসেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া মুক্ত দিবস উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে কাউতলীস্থ শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়েছে। সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসনের পক্ষে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদা আক্তার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজস্ব জেসমিন সুলতানা, জেলা পুলিশের পক্ষে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইকবাল হোসাইন, জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন পাটোয়ারী, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিফাত মোহাম্মদ ইশতিয়াক ভূইয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা গাজী মোহাম্মদ রতন মিয়া বাহার চৌধুরি, আবু হোরায়রাহ প্রমুখ। স্মৃতিস্তম্ভে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদ, সিভিল সার্জন কার্যালয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর সভা, গণপূর্ত বিভাগগ, সড়ক ও জনপথ বিভাগ সমাজসেবা বিভাগ সহ সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে পুস্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
আজ ৮ ডিসেম্বর রবিবার সকালে নানা আয়োজনে ও বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করা হয়। সকাল সাড়ে ১০টায় পৌর মুক্তমঞ্চ থেকে একটি র্যালি শুরু হয় এবং শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে গিয়ে তা শেষ হয়। এরপর দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ইউনিট, সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে এক আলোচনা সভার আয়োজন করে।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব)জেসমিন সুলতানা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিফাত মোঃ ইশতিয়াক ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার ইকবাল হোসাইন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুক্তা গোস্বামী।
সাবেক সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা আবু হুরায়রাহ এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের আহবায়ক বীরমুক্তিযোদ্ধা মো. বাহার চৌধুরী, সাবেক ডেপুটি কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা গাজী মো. রতন মিয়া, সাবেক জেলা কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা হারুন অর রশীদ, বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুল ওয়াহিদ খান লাভলু প্রমুখ। অনুষ্ঠানের শুরুতেই সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এরপর শুরু হয় আলোচনা সভা।
সভার প্রথমেই পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন হযরত মাওলানা ক্বারী আল আমীন বিন রেনু। পবিত্র গীতা পাঠ করেন, বীরমুক্তিযোদ্ধা শ্যামল দাশ গুপ্ত। অনুষ্ঠানে সকল শহীদ বীরমুক্তিযোদ্ধাদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা সহ জীবিত মুক্তিযোদ্ধাদের দীর্ঘায়ু এবং দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা করে বিশেষ দোয়া করা হয়। এর আগে শহরের কাউতলীতে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতি ফলকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। অনুষ্ঠানে বক্তারা একটি বৈষম্যহীন দেশ গড়ার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন। তারা বলেন, আমরা সবাই মিলে বৈষম্যবিহীন ও দুর্নীতিমুক্ত একটা বাংলাদেশ গড়তে চাই। এজন্য সকলের ঐক্যবদ্ধ থাকা জরুরী।
চলারপথে রিপোর্ট :
আব্দুল কাদের চিতই পিঠা বিক্রি করে মাসে আয় করেন লাখ টাকা। পিঠা বিক্রি শুরু করেন রিক্সা চালানো বাদ দিয়ে। প্রতিমাসে লাখ টাকা আয় করে হয়ে যান সফল উদ্যোক্তা। স্বামী-স্ত্রী দুইজন মিলে পিঠা বিক্রি করে তিনি এখন সফল ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত। একসাথে তিনি সাতটি চুলায় পিঠা তৈরি করেন, পিঠা বানানোর কৌশল দেথে মুগ্ধ লোকজন।
মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার পুটাইল ইউনিয়নের গোকুল নগর গ্রামের ওসমান গনির হতদরিদ্র পরিবারের সন্তান আব্দুল কাদের। রিক্সা চালিয়ে অতিকষ্টে চলতো তার সংসার। এক পিঠা বিক্রেতার কাছ থেকে পরামর্শ নিয়ে ২০১২ সালে স্ত্রী রুবি আক্তারকে সাথে নিয়ে শুরু করেন পিঠা বিক্রি । মানিকগঞ্জ বাজারের উত্তর পারে রাস্তার পাশে বসে তিনি পিঠা বিক্রি করেন। শুরুতে একটু কমহলেও এখন মাসে আয় করেন লক্ষ টাকা।
আব্দুল কাদের জানান, প্রতিদিন ৯০০-১০০০ পিঠা বিক্রি হয়। প্রতিটি পিঠা দশ টাকা দরে বিক্রি হয়। প্রতি পিঠায় কমপক্ষে লাভ হয় তিন টাকার মতো। কাদের পিঠা বিক্রি করেই নউখন্ডা এলাকায় সাড়ে পাঁচ শতক জমি ক্রয় করে নির্মাণ করেছেন বাড়ি। তিনি দুই কন্যা সন্তানের জনক। তারা স্কুলে লেখাপড়া করে। ভেজাল মুক্ত পিঠার সাথে দেয়া হয় ধনেপাতা, সরিষাবাটা, শুটকি ভর্তাসহ বিভিন্ন ভর্তা। বিভিন্ন ভর্তা দিয়ে মজাদার এই চিতই পিঠা খেতে বিভিন্ন এলাকা থেকে লোক ভিড় করেন আব্দুল কাদেরের দোকানে। বিকেল ৩টা থেকে রাত ১২টা নাগাদ বিক্রি হয় এই পিঠা। রাতেই বিক্রি বেশি হয়। পিঠা খেতে হয় সিরিয়াল ধরে। গরম গরম পিঠা দোকানে বসে খাওয়া শেষে পরিবারের জন্যও অনেকে নিয়ে যায়। দেখা যায়, পিঠার জন্য লোকজন অপেক্ষা করছেন। কেউ আবার বসে খাচ্ছেন, কেউ বা বসার জায়গা না পেয়ে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়েই সাবার করছে পিঠা।
আব্দুল কাদের ছাড়াও আজিজুল হক, ফরমান আলীসহ জেলায় শতাধিক লোক চিতই পিঠা বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করছেন। কেউ কেউ ভাপা পিঠাও বিক্রি করেন। আসল খেজুরের গুড় সংকট হওয়ায় ভাপা পিঠার কদর খুব বেশী নেই। শহরের রিজার্ভ ট্যাংকের পাশে বসে আজিজুলও প্রতিদিন পাঁচশত পিঠা বিক্রি করেন বলে জানান। আজিজুলও মাসে আয় করে থাকেন চল্লিশ থেকে পঞ্চাশ হাজার টাকা। জেলায় শতাধিক লোক পিঠা বিক্রির সাথে জড়িত। জানা যায়, তারা প্রতিজন ৫ থেকে ৬শত পিঠা বিক্রি করে থাকেন। তাদের দেয়া তথ্য মতে জেলায় প্রতিদিন প্রায় ৫ লক্ষ টাকার চেতই পিঠা বিক্রি হয়।
অনলাইন ডেস্ক :
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রার্থীদের কাছে মনোনয়নপত্রের প্রিন্ট কপি না চাওয়ার জন্য রিটার্নিং কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিল নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আইন প্রণয়ন করে অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিলের বিধান আনলেও মাঠ কর্মকর্তারা তা না মানায় এমন নির্দেশনা দিল সংস্থাটি।
ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান ইতোমধ্যে নির্দেশনাটি সকল রিটার্নিং কর্মকর্তাকে পাঠিয়েছেন।
নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়েছে, উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বিধিমালা, ২০১৩ এর বিধি ১৫ অনুযায়ী বাধ্যতামূলকভাবে অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিলের বিধান করা হয়েছে। অনলাইন মনোনয়নপত্র দাখিলের পর কোনো কোনো জেলা/উপজেলা হতে মনোনয়নপত্রের প্রিন্ট কপি প্রার্থীর নিকট হতে চাওয়া হচ্ছে, যা বিধি বহির্ভূত। উক্তরূপ বিধি বহির্ভূত প্রিন্ট কপি প্রদানে বাধ্য না করার জন্য নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত দিয়েছে।
তবে বিধি অনুযায়ী বাছাইয়ের সময় হলফনামার মূল কপি অথবা কোনো তথ্য বা কাগজপত্র অপূর্ণ থাকলে তা প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রার্থীকে অবহিত করা যেতে পারে।
বিধি ১৭ অনুযায়ী বাছাইয়ের সময় প্রার্থী বা প্রস্তাবকারী, সমর্থনকারী অথবা প্রার্থী কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তির উপস্থিতির সুযোগ থাকলেও বাধ্যতামূলক নয়।
নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, প্রথম ধাপের মনোনয়নপত্র বাছাই ১৭ এপ্রিল। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ১৮ থেকে ২০ এপ্রিল। আপিল নিষ্পত্তি ২১ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল, আর ১৫০ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে ৮ মে।
এই ধাপের নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিয়োগ করা হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দায়ের করা আপিল আবেদন নিষ্পত্তি করবেন আপিল কর্তৃপক্ষ হিসেবে জেলা প্রশাসক।
দ্বিতীয় ধাপের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিল ২১ এপ্রিল শেষ সময়, মনোনয়নপত্র বাছাই ২৩ এপ্রিল, আপিল গ্রহণ ২৪-২৬ এপ্রিল, আপিল নিষ্পত্তি ২৭ থেকে ২৯ এপ্রিল। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ৩০ এপ্রিল, প্রতীক বরাদ্দ প্রতীক বরাদ্দ ২ মে। আর ১৬১ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে ২১ মে।
এই ধাপের নির্বাচনে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকদের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ভোটারের সংখ্যা ৫ লাখের বেশি যেখানে সেখানে একাধিক সহকারী রিটার্নিং অফিসার নিয়োজিত থাকবেন।
চার ধাপের উপজেলা ভোটের পরবর্তী দুই ধাপের নির্বাচন ২৯ মে ও ৫ জুন অনুষ্ঠিত হতে পারে।
চলারপথে ডেস্ক :
প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ার অংশে রোহিঙ্গাদের সাক্ষাৎ করতে মিয়ানমারের প্রতিনিধি দল কক্সবাজারের টেকনাফে পৌছেছে। প্রত্যাবাসনের তালিকাভুক্ত পরিবারের বাদ পড়া সদস্য রোহিঙ্গাদের বিষয়ে মিয়ানমার থেকে আসা প্রতিনিধি দল যাচাই-বাছাই শুরু করেছে।
আজ ১৫ মার্চ বুধবার সকাল ১০ টায় টেকনাফ সদরের স্থলবন্দরে ভেতরে ভবনে প্রতিনিধি দলের সাথে রোহিঙ্গাদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এসময় শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের প্রতিনিধিসহ সরকারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সকালে স্পীড বোট যোগে মিয়ানমারের টেকনিক্যাল টিমের ১৭ সদস্যর প্রতিনিধি দল টেকনাফ মিয়ানমার ট্রানজিট জেটি ঘাটে পৌঁছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, নিরাপত্তা মাধ্যমে বাসে করে লেদা-নয়াপাড়া ক্যাম্পের বসবাসকারী ২০ পরিবারের ৭০জন রোহিঙ্গাকে দাফে দাফে টেকনাফ স্থল বন্দরের ভেতরে রেস্টহাউসে পেন্ডলে নিয়ে আসা হয়। এরপর তাদের সেখানে একে একে সবাই জিজ্ঞেসাবাদ করা হবে।
এ বিষয়ে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) মো. মিজানুর রহমান জানান, রোহিঙ্গাদের যাচাই-বাচাই করা হচ্ছে। মূলত ২০১৮ সালে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে মিয়ানমারকে ৮ লাখ ৮২ হাজার রোহিঙ্গাদের একটি তালিকা দেয়। এরপর মিয়ানমারের ৬৮ হাজার রোহিঙ্গা ফিরতি তালিকা পাঠায়। সেখানে অনেকের পরিবারের মধ্য সদস্য বাদ পরেছে। এ বিষয়টি তাদের (মিয়ানমারকে) অবহিত করা হয়েছি। তারই অংশ হিসেবে তাঁরা (মিয়ানমার) আগ্রহ প্রকাশ করছে, বাদপড়া রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলবেন, কেন বাদ পড়েছেন এবং তাদের দলিলপত্র দেখবেন। তারই অংশে মিয়ানমার প্রতিনিধি দলটি বাংলাদেশে আসা।’
মিয়ানমার প্রতিনিধি দলের সাথে বৈঠক অংশ নিতে আসা টেকনাফের লেদা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নেতা মো. জাফর জানান, ‘ মিয়ানমা থেকে আাসা প্রতিনিধি দলের সাথে সাক্ষাৎ করতে আামদের ডাকা হয়েছে। আমার মতো আরো অনেকে এসেছে। মূলত মিয়ানমারে ফিরে যাওয়ার বিষয়ে তাদের সাথে আমাদের আলোচনা কথা রয়েছে। বৈঠক শেষে বিস্তারিত বলা যাবে।’
অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (উপ-সচিব) খালিদ হোসেন বলেন, ‘মিয়ানমারের ১৭ জনের একটি প্রতিনিধি দল এসেছে। পরে তাদের সাথে রোহিঙ্গাদের বৈঠকে বসার কথা রয়ছে।’