অনলাইন ডেস্ক :
কোটিপতি লিগ হিসেবে বিশ্ব ক্রিকেটে জনপ্রিয় ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল)। ফ্র্যাঞ্চাইজি এ টুর্নামেন্টে বিশ্বের তারকা ক্রিকেটারদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার জন্য নতুন পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে আইপিএল কর্তৃপক্ষ।
ক্রিকেট খেলুড়ে দলগুলো তাদের তারকা ক্রিকেটারদের সঙ্গে বার্ষিক চুক্তি সই করে থাকে। সেই চুক্তির মতোই এবার বিশ্বের তারকা ক্রিকেটারদের সঙ্গে বার্ষিক চুক্তিসই করতে যাচ্ছে আইপিলের ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকরা। এ চুক্তি কার্যকর হলে ক্রিকেটাররা বিভিন্ন দেশের লিগেও খেলার সুযোগ পাবেন।
আইপিএলের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ থাকলে ক্রিকেটাররা নিজ দেশের জাতীয় দলে খেলতে গেলেও ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকদের অনুমতি নিতে হবে।
কারণ সেরা ক্রিকেটারদের ধরে রাখতে বার্ষিক চুক্তির দিকে এগোচ্ছেন আইপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকরা।
ইংল্যান্ডের একটি সংবাদমাধ্যমের দাবি, জোফরা আর্চার হতে পারেন এ ধরনের প্রথম ক্রিকেটার। যিনি দেশের আগে পাকাপাকিভাবে বেছে নিতে পারেন ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটকে। মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স তাকে ধরে রাখার জন্য বার্ষিক চুক্তির প্রস্তাব দিয়েছে। আর্চার প্রস্তাব মেনে নিতে পারেন। সেক্ষেত্রে তাকে ইংল্যান্ড দলে রাখতে হলে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে আগাম অনুমতি নিতে হবে ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডকে।
চোটের জন্য গত বছর আইপিএল খেলতে পারেননি আর্চার। এবারো কনুইয়ের চোটের জন্য প্রতিযোগিতার মাঝপথে দেশে ফিরে গেছেন। গত বছর নিলামে আর্চারকে ৮ কোটি টাকা দিয়ে কিনেও সেই অর্থে লাভ হয়নি মুম্বাইয়ের।
আগামী দিনে যাতে এমন সমস্যা না হয়, তা নিশ্চিত করতেই আর্চারের সঙ্গে বার্ষিক চুক্তির ভাবনা মুম্বাই কর্তৃপক্ষের। তাহলে আর্চার বছরে কতগুলো ম্যাচ দেশের হয়ে খেলবেন, কোন কোন সিরিজে খেলবেন- এসব কিছুই নির্ধারণ করবে মুম্বাই। ফ্র্যাঞ্চাইজির অনুমতি না নিয়ে তাকে খেলাতে পারবে না ইংল্যান্ড।
আর্চার মুম্বাইয়ের সঙ্গে বার্ষিক চুক্তিতে থাকলে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের টি-টোয়েন্টি লিগে খেলতে পারবেন।
ইংল্যান্ডের সংবাদমাধ্যমটির দাবি, শুধু আর্চার নন ইংল্যান্ডের বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার রয়েছেন ফ্র্যাঞ্চাইজির নজরে। তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন অ্যালেক্স হেলস। ২০২২ সালের নিলামে কলকাতা নাইট রাইডার্স তাকে কিনলেও আইপিএল থেকে তিনি নিজেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন। তার সঙ্গেও বার্ষিক চুক্তি করতে যাচ্ছে আইপিএলের একটি ফ্র্যাঞ্চাইজি।
সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা
চলারপথে ডেস্ক :
তানজিম সাকিব, শরিফুল ও সৌম্যের বোলিং তাণ্ডবে স্বাগতিকরা শতরানের আগেই অলআউট হয়ে যায়। ৯৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে সহজেই ৯ উইকেটের বিশাল জয় পায় বাংলাদেশ। ফলে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে প্রথমবারের মতো ওয়ানডে জয়ের স্বাদ পেলো টাইগাররা।
আজ ২৩ ডিসেম্বর শনিবার নেপিয়ারের ম্যাকলিন পার্কে বাংলাদেশ সময় ভোর ৪টায় শুরু হয় এই ম্যাচ। হোয়াইটওয়াশ এড়াতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টস জিতে আগে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল শান্ত।
টাইগারদের বোলিং তোপে ৯৮ রানে অলআউট হয়ে যায় কিউইরা। ৯৯ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শান্তর হাফ সেঞ্চুরিতে ১৫ দশমিক ১ ওভারেই জয় তুলে নেয় টাইগাররা।
ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই ব্যথা পান দুর্দান্ত ফর্মে থাকা সৌম্য। প্রথম ওভারেই অ্যাডাম মিলনের বলে আঘাত পান তিনি। তবে তা সামলে নিয়ে খেলা চালিয়ে নিলেও হঠাত বিপত্তি বাধে চোখে। ঠিকমতো দেখতে পাচ্ছেন না বলে ইঙ্গিত করেন বাংলাদেশের ড্রেসিংরুমের দিকে। ফিজিও এসে চোখে ড্রপ দিলেও শেষ পর্যন্ত এড়ানো যায়নি সমস্যা। মাঠ ছেড়ে উঠে যান সৌম্য সরকার। ৫ দশমিক ৪ ওভারে বিনা উইকেটে তখন বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৫ রান।
এরপর ক্রিজে আসা অধিনায়ক শান্ত করেন হাফ সেঞ্চুরি। এরমধ্যে ইনিংসের এগারতম ওভার করতে আসা ও’রর্ককে টানা মেরেছেন চারটি ৪! তবে সেই ও’রর্কের বলেই কট বিহাইন্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন এনামুল বিজয়। জয়ের জন্য যখন আর মাত্র ১৫ রান দরকার তখনই আউট হন তিনি। ৭টি চারের মারে ৩৩ বলে ৩৭ রান করেন এই ওপেনার।
এরপরে ক্রিজে আসেন লিটন। তবে তিনি শুধু সঙ্গ দেন শান্তকে। নিজেরের হাফসেঞ্চুরির পাশাপাশি দলের জয় নিশ্চিত করেই মাঠ ছাড়েন শান্ত। ফলে স্বাগতিকদের মাটিতে প্রথম জয়ের স্বাদ পেলো টাইগাররা।
এর আগে টস জিতে প্রথমে বোলিংয়ে নেমে সমান ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন তানজিম সাকিব, সৌম্য ও শরিফুল। বাকি একটি উইকেট নেন মোস্তাফিজ। অবিশ্বাস্য বোলিং করেছেন এই তিন পেসার।
এরমধ্যে ৭ ওভার বল করে গড়ে ২ রান করে দিয়েছেন তানজিম সাকিব। মেডেন ও নিয়েছেন ২ ওভার আর উইকেট নিয়েছেন তিনটি। হয়েছেন ম্যান অব দ্যা ম্যাচ।
সমান ওভার বল করে শরিফুলও নিয়েছেন তিন উইকেট। তিনি ওভারপ্রতি দিয়েছেন গড়ে ৩ দশমিক ১০ রান। অলরাউন্ডার সৌম্য হাত ঘুড়িয়েছেন ৬ ওভার। উইকেট নিয়েছেন ৩টি যার মধ্যে দুটোতেই উড়িয়ে ফেলেছেন কিউই ব্যাটারের স্ট্যাম্প।
শুরুতেই আঘাত হানে তানজিম সাকিব। পাওয়ারপ্লে’র মধ্যেই তুলে নেয় দুই উইকেট। অফ স্ট্যাম্প লাইনে বল করে রাচিন রবীন্দ্রকে মুশফিকের হাতে ক্যাচ বানিয়ে ফেরান সাজঘরে। তার ব্যাট থেকে আসে ১২ বলে ৮ রান।
রাচিনকে ফেরানোর পরের ওভার মেডেন, এরপরের ওভারেই ফেরান হেনরি নিকোলসকে। ২২ রানেই দ্বিতীয় উইকেটের পতন ঘটে নিউজিল্যান্ডের।
এরপরে টপাটপ তিন উইকেট তুলে নেন আরেক পেসার শরিফুল ইসলাম। ২ উইকেট হারানোর পর টম ল্যাথামকে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন উইল ইয়াং। তবে ৩ রানের ব্যবধানে জোড়া আঘাতে দুজনকেই সাজঘরে ফেরত পাঠান শরিফুল। এরপরের ওভারে আবারও উইকেট পান তিনি। এবার তুলে নেন মার্ক চাপম্যানকে। ততক্ষণে ৬৩ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ব্যাটিং বিপর্যয়ে নিউজিল্যান্ড।
তবে স্বস্তির নিঃশ্বাস নিতে পারেনি কিউইরা। দ্বিতীয় স্পেলে ফিরেই ব্যক্তিগত তৃতীয় উইকেট তুলে নেন তানজিম সাকিব। ফেরান টম ব্লান্ডেলকে।
এরপরেই দৃশ্যপটে ঢোকেন সৌম্য। ক্রিজে পড়ে ভেতরের দিকে ঢোকা বলে উড়ে যায় ক্লার্কসনের স্টাম্প। যেন কিছুই বুঝতে উঠতে পারেননি তিনি। ১৬ রানে ফেরেন তিনি আর ৮৫ রানে ৭ উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড। ১ রানের ব্যবধানে আবারও অ্যাডাম মিলনের উইকেট উপড়ে ফেলেন সৌম্য। এবারও বোল্ড করেন মিলনেকে ফেরত পাঠান সাজঘরে।
৯৭ রানে আবারও উইকেট পান গত ম্যাচে দেড়শ পার করা এই অলরাউন্ডার। এবার ফেরান অদিত্য অশোককে। ১২ বলে ১০ রান করে ফিরে যান তিনি। ফলে ৯৭ রানে ৯ উইকেট হারিয়ে কোনোমতে শতরান পার করার চেষ্টায় ছিল বিপর্যস্ত কিউইরা।
তবে কিউই শিবিরে শেষ আঘাত হানেন মোস্তাফিজ। ফলে দলীয় ৯৮ রানেই অলআউট হয়ে যায় নিউজিল্যান্ড। বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডেতে এটাই নিউজিল্যান্ডের সর্বনিম্ন স্কোর। তবে শেষ ম্যাচ জিতলেও সিরিজ ঠিকই জিতে নিয়েছে নিউজিল্যান্ড।
অনলাইন ডেস্ক :
সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে অর্ধযুগ আগে একটি ম্যাচ খেলে ৩-০ গোলে হেরেছিল বাংলাদেশ। আজ ১ ডিসেম্বর শুক্রবার ঘরের মাঠে একই ব্যবধানে জিতে সেই হারের প্রতিশোধ নিয়েছেন সাবিনারা।
তহুরা খাতুনের জোড়া আর আফিদা খন্দকারের গোলে ১৪ মাস পর আন্তর্জাতিক ম্যাচ জিতলো বাংলাদেশ। ২০২২ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর কাঠমান্ডুতে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের পর আর কোনো ম্যাচ জেতেনি সাবিনারা। এ বছর ষষ্ঠ ম্যাচে এসে প্রথম জয়ের দেখা পেলো লাল-সবুজ জার্সিধারী মেয়েরা।
একটা ভয় ছিল সিঙ্গাপুরকে নিয়ে। র্যাংকিংয়ে এগিয়ে। তারপরও আগের একমাত্র সাক্ষাতে ৩-০ গোলে হার। অর্ধযুগ পর ঘরের মাঠে সেই সিঙ্গাপুরকে পেয়ে সাবিনারা আত্মবিশ্বাসী হলেও জিতবেই এমন কথা জোর দিয়ে বলতে পারছিলেন না।
কিন্তু মাঠের লড়াইয়ে দেখা গেলো র্যাংকিংয়ে এগিয়ে থাকা সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে কর্তৃত্ব বাংলাদেশেরই। শুরু থেকে আক্রমণাত্মক খেলে বাংলাদেশ লিড নিয়ে নেয় সিঙ্গাপুরের মেয়েরা কিছু বুঝে ওঠার আগেই। আফিদা ও তহুরার গোলে বাংলাদেশ বিরতিতে যায় ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে।
দ্বিতীয় মিনিটেই এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। বাম দিক থেকে সাবিনা শট কর্নার করে বল দিয়েছিলেন মারিয়াকে। মারিয়া আবার বলটি সাবিনাকে ঠেলে দিয়ে গোলমুখে ক্রস নেন অধিনায়ক। ডিফেন্ডার আফিদা খাতুনের হেড ক্রসবারের নিচের দিকে লেগে গোললাইন অতিক্রম করলে লিড নেয় বাংলাদেশ।
ব্যবধান দ্বিগুণ করতে বেশি সময় নেয়নি সাইফুল বারী টিটুর শিষ্যরা। ১৬ মিনিটে মাঝমাঠ থেকে মারিয়া মান্ডা দুইজনকে কাটিয়ে বল নিয়ে ঢুকে ডিফেন্সচেরা পাস দেন তহুরা খাতুনকে। তহুরা গোল করে লিড বাড়িয়ে নেন স্বাগতিক মেয়েরা।
ব্যবধান ৩-০ হতে পারতো ২৫ মিনিটে। বক্সের বাইরে থেকে ডান পায়ে শট নিয়েছিলেন অধিনায়ক সাবিনা খাতুন। বল ক্রসবার উঁচিয়ে চলে যায় বাইরে।
৬০ মিনিটে তহুরা খাতুন নিজের জাত নিয়েছিলেন দারুণ এক গোল করে। নিজেদের রক্ষণভাগ থেকে লম্বা শট নিয়েছিলেন মাসুরা পারভীন। বক্সের ভেতরে উড়ে আসা সেই বল ধরে গোলরক্ষকের মাথার ওপর দিয়ে প্লেসিংয়ে নিজের দ্বিতীয় ও দলের তৃতীয় গোল করেন তহুরা।
৭৭ মিনিটে মারিয়া মান্ডা বক্সে ফাঁকায় বল পেয়েছিলেন সাবিনার কাছ থেকে। মারিয়া প্রথম পোস্টে বল মেরে সুযোগ নষ্ট করেন। বল চলে যায় গোলরক্ষকের হাতে।
রুপনা চাকমা, শিউলি আজিম, শামসুন্নাহার, আফিদা খন্দকার, মাসুরা পারভীন, মনিকা চাকমা (স্বপ্না রানী) , সানজিদা আক্তার (শামসুন্নাহার জুনিয়র) , মারিয়া মান্ডা, রিতু পর্না চাাকমা (শাহেদা আক্তার রিপা) তহুরা খাতুন (সুমাইয়া) ও সাবিনা খাতুন (আকলিমা।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের আয়োজনে জেলা ক্রীড়া সংস্থা চুয়াডাঙ্গার ব্যবস্থাপনায় চুয়াডাঙ্গা জেলা স্টেডিয়ামে গতকাল ৯ মার্চ ২০২৪ শনিবার টিয়ার ওয়ানের গুরুত্বপূর্ণ খেলায় নাটকীয় ম্যাচে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ৩ উইকেটে রাজশাহী জেলাকে পরাজিত করে টানা ৩ ম্যাচ জিতে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হিসেবে চুড়ান্ত পর্বের টিকেট পেয়ে যায়।
টসে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অধিনায়ক মো: সুমন জয়লাভ করে ১ম বল করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।
রাজশাহী ১ম ব্যাট করে ৪৮.২ ওভারে ২১৩ রানে অলআউট হয়।
আলিফ, ফারদিন, জালাল প্রত্যেকেই ২টি করে উইকেট পায়। বিরতির পর ব্যাট করতে নেমে ব্রাহ্মণবাড়িয়া অনেক নাটকীয়তার পরে ৪৮.২ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায়। উদয় সর্বোচ্চ ৪৬ রান, হেমায়েত ৩৯ রান, রোহান ৩৬ রান, সুমন ও ফারদীন উভয়েই ২০ রান করে উইকেট কিপার ব্যাটার প্রসেঞ্জিত ১৮ ও সজিব ১৭ রান করে।
১ম ২ ম্যাচে ৮ উইকেট নেয়া ঢাকা প্রিমিয়ার লীগের তারকা ক্রিকেটার বাঁমহাতি স্পিন অলরাউন্ডার শামীম মিয়া খেলতে পারেনি তার ক্লাব হতে ছুটি না পাওয়ায় কিন্তু তার শুন্যস্থান পূরণ করতে ঢাকা ১ম বিভাগ লীগে লালমাটিয়ার ক্রিকেটার সজিব মিয়া ও ঢাকা প্রিমিয়ার লীগের আশফাক আহমেদ রোহান এই দুই তারকা ক্রিকেটারকে খেলার আগের দিন রাতে ক্লাব হতে ছুটি নিয়ে জরুরী ভাবে দলের সাথে যোগ করায় দলের শক্তি বেড়ে যায়। এতে দল ও জয়লাভ করে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া দলের সদস্যগণ হলেন মো: সুমন (অধিনায়ক), প্রসেনজিত দাস (উইকেট কিপার ও সহ-অধিনায়ক), রোহান, ফারদীন, সজিব, জালাল, হেমায়েত, নিশাদ, আলিফ,উদয়, নাইম, রাহিম, বিজয়, অমি, পারভেজ ও শামীম কোচ মোহাম্মদ রুহুল কুদ্দুছ শামীম (বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড) ম্যানেজার আবুল কাসেম (সহ-সভাপতি জেলা ক্রীড়া সংস্থা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া)।
বিনোদন ডেস্ক :
ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী তানজিন তিশা আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। এমন গুঞ্জন গত মধ্যরাত থেকে ছড়িয়ে পড়ে। রাতে ঘুমের ওষুধ খেয়ে তিনি আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন বলে জানা গেছে।
একটি সূত্র জানায়, গতকাল বুধবার রাজারবাগের বাসায় এ অভিনেত্রী ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। পরে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়।
আরো জানা যায়, ছোট পর্দার আরেক জনপ্রিয় অভিনেতা মুশফিক আর ফারহানের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে তিশার। মান-অভিমানের এক পর্যায়ে নিজের বাসাতেই আত্মহত্যার চেষ্টা করেন তিশা।
বর্তমানে এই অভিনেত্রী ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এ প্রসঙ্গে জানতে সকাল থেকে মুশফিক আর ফারহান ও তিশার নম্বরে একাধিকবার কল করা হলেও তারা সাড়া দেননি।
অনলাইন ডেস্ক :
বিচ্ছেদের পরও বন্ধুত্ব বজায় রেখে চলেছেন বলিউডের মিস্টার পারফেকশনিস্ট অভিনেতা আমির খান ও তার স্ত্রী কিরণ রাও। বাসস্থান আলাদা হলেও এখনো তাদের মধ্যে যোগসূত্র রয়েছে ছেলে আজাদের জন্য। আজাদের ওপর বাবা-মায়ের বিচ্ছেদের প্রভাব পড়েছিলো কিনা তা নিয়েই সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে কথা বলেছেন কিরণ রাও।
আরও পড়ুন
দাবানলে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য অ্যাঞ্জেলিনা জোলি খুলে দিয়েছেন বাড়ি
বিচ্ছেদ নিয়ে প্রথম থেকেই খোলাখুলি কথা বলেন সাবেক আমিরপত্নী। কিরণ বলেন, বিচ্ছেদ মানে কোনো দড়ি কেটে ফেলা নয়; বরং দড়িতে গিঁট পড়লে সেটি ছাড়ানোর নামই বিচ্ছেদ। তিনি বলেন, আমাদের খুব সহজভাবেই বিচ্ছেদ হয়েছিলো। তার কারণ আমরা বিচ্ছেদের জন্য ততোদিনে প্রস্তুত ছিলাম। বিবাহিত থাকাকালীন আমাদের মধ্যে সব ঠিকই ছিল। বিচ্ছেদের সিদ্ধান্তও আমরা ভেবেচিন্তেই নিয়েছিলাম। কখনই আমরা ঝগড়া করিনি। তর্ক করেছি, যা ১২ ঘণ্টার মধ্যে আমরা মিটিয়ে নিয়েছি। এ ধরনের সমস্যা সাধারণত আমাদের বাবা-মায়ের সাথেও হয়ে থাকে।
আরও পড়ুন
তরুণীর গায়ে মদ ঢেলে তারকার টক্সিক জন্মদিন!
আমির ও কিরণ বরাবর সতর্ক থেকেছেন, আজাদের যাতে কোনো কিছুতে খারাপ না লাগে। সন্তানের এ প্রসঙ্গে কিরণ বলেন, আমাদের সম্পর্কে বাঁচিয়ে রাখার মতো অনেক কিছুই ছিল। আমরা আমাদের সন্তানকে ছুড়ে ফেলে দিতে চাইনি। আমরা এমনভাবে এগিয়েছি, যাতে একটা দড়ি টুকরো না হয়ে যায়। বরং একটা দড়ি থেকে গিঁট ছাড়ানোর চেষ্টা করেছি। তিনি বলেন, আমরা সময় নিয়ে সেই গিঁট ছাড়িয়েছি।
আরও পড়ুন
যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে দাবানলে ঘরবাড়ি হারিয়েছেন যেসব হলিউড তারকারা
বিচ্ছেদের পর বন্ধুত্ব নিয়ে সাবেক আমিরপত্নী বলেন, আমরা বিবাহিত হয়ে থাকতে চাই না ঠিকই, কিন্তু তার মানে এই নয়, আমরা পরস্পরকে ভালোবাসি না। সঙ্গীর বহু জিনিসই অপছন্দ হতে পারে, তার জন্য ঝগড়াও হতে পারে। কিন্তু এমন কারণও থাকে, যার জন্য সঙ্গীকে আপনি ভালোবাসবেন।
উল্লেখ্য, ২০০৫ সালে বিয়ে করেছিলেন আমির ও কিরণ। ২০২১ সালে তারা বিচ্ছেদের পথে হাঁটেন।