চলারপথে রিপোর্ট :
ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবেলায় ফেনী জেলায় ৪৩ আশ্রয়কেন্দ্র ও১৪ টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত রয়েছে।আজ ১১ মে বৃহস্পতিবার বিকেলে ফেনী জেলা প্রশাসকের সভাকক্ষে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরী সভায় এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
সভায় ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবেলায় বিদ্যুৎ বিভাগ, ফায়ার সার্ভিস, স্বেচ্ছাসেবী সিপিপি, স্বাস্থ্য বিভাগ, বন বিভাগ ও উপজেলা প্রশাসনসহ সকল বিভাগকে স্ব-স্ব অবস্থান থেকে দায়িত্ব পালন করার নির্দেশ দিয়েছেন ফেনী জেলা প্রশাসক।
জেলা প্রশাসক আবু সেলিম মাহমুদ উল-হাসান জানান, ঘূর্ণিঝড়ে উপকূলীয় মানুষের আশ্রয়ের জন্য ইতোমধ্যে ৪৩ আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলায় ১৪টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। প্রস্তুত রয়েছে সিপিপি ও রেডক্রিসেন্টসহ বেশ কয়েকটি স্বেচ্ছাসেবক দল। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে লোকালয় থেকে মানুষজনকে আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে আসা হবে।জেলা প্রশাসক বলেন, ইতোমধ্যে দুর্যোগে সম্ভাব্য ক্ষতি মোকাবেলায় চাল, নগদ টাকা, শুকনো খাবার বরাদ্দ দিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মোঃ জিল্লুর রহমান চৌধুরী আখাউড়া স্থলবন্দর পরিদর্শন করেছেন।
আজ ২০ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার দুপুরে সাড়ে ১২টায় তিনি আখাউড়া স্থলবন্দরে এসে পৌঁছেন।
এসময় স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য জাহাঙ্গীর কবির ও তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোঃ হাসান আলী সঙ্গে ছিলেন। তিনি স্থলবন্দর, শুল্ক ষ্টেশন, ইমিগ্রেশন এলাকা ঘুরে দেখেন। সীমান্তের শূণ্য রেখায় পর্যন্ত গিয়ে বন্দরের অবকাঠামোসহ বিভিন্ন বিষয়ে খোঁজ খবর নেন এবং সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলেন। এসময় বন্দরের ব্যবসায়ীদের সাথেও কথা বলেন। ব্যবসায়ীরাও তাদের সুযোগ-সুবিধার কথা বন্দর চেয়ারম্যানকে অবকগত করেন।
পরিদর্শন শেষে স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মোঃ জিল্লুর রহমান চৌধুরী বলেন, সরেজমিনে আখাউড়া স্থলবন্দর দেখতে এসেছি। এ বন্দরে ১৫ একর জায়গা রয়েছে। এরমধ্যে কিছু জায়গায় উন্নয়ন করা হয়েছে। বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ একটি প্রজেক্ট নিয়েছে। এ প্রজেক্টের আওতায় আখাউড়া স্থলবন্দর এবং তামাবিল স্থলবন্দরে ২১৭ কোটি টাকায় উন্নয়ন কাজ করা হবে। দ্রুত এর এ কাজ শুরু হবে। কাজ শেষ হলে আখাউড়া স্থল বন্দরে বিরাট পরিবর্তন আসবে। ফলে এখানে ব্যবসার আকার এবং সুযোগ অনেক বেশি হবে। ২০২৫ সালের মধ্যে প্রজেক্টি শেষ হবে বলে তিনি জানান।
স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য ও প্রজেক্ট পরিচালক জাহাঙ্গীর কবির জানান, এখানে পাকা ইয়ার্ড, গুদাম, কাঁচামালের পার্কিং, ওয়েব্রীজ, ট্রান্সশিপমেন্ট শেড, বিভিন্ন সরকারি সংস্থার অফিস এবং আবাসনের ব্যবস্থা করা হবে। যাতে ব্যবসায়ীরা খুব সহজে সকল সেবা নিতে পারেন।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাবেয়া আক্তার, আখাউড়া স্থলবন্দরের সহকারি পরিচালক মাহমুদুর রহমান, সিএন্ডএফ এজেন্ট সভাপতি হাসিবুল হাসান, সাধারণ সম্পাদক মোঃ ফোরকান খলিফা, ব্যবায়ী নেছার উদ্দিন ভূঁইয়া প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
‘পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত জ্বলন্ত/ ঘোষণার ধ্বনি-প্রতিধ্বনি তুলে/ নতুন নিশানা উড়িয়ে, দামামা বাজিয়ে দিগি¦দিক/ এই বাংলায়/ তোমাকে আসতেই হবে, হে স্বাধীনতা।’ কবি শামসুর রাহমানের এই কবিতা সত্যিই বাঙালির জীবনে সত্যি হয়ে এসেছে। কবি নির্মলেন্দু গুণের ভাষায় : ‘আমার ছিল না মুক্ত মাতৃভূমি/ শৃঙ্খলহীন স্বাধীন দেশ;/ শতবর্ষের শত সাধনায়/ পেয়েছি তোমায় বাংলাদেশ।’
বাঙালির ইতিহাসে সবচেয়ে বড় অর্জন স্বাধীনতা প্রাপ্তির দিন আজ ১৬ ডিসেম্বর। একাত্তরের এই দিনটিতে বাংলার আকাশে-বাতাসে ধ্বনিত হয় ‘জয় বাংলা’ শ্লোগান। সেই দিনটির ন্যায় আজ সেই শ্লোগান তুলবে পুরো জাতি। সর্বত্র উড়বে বিজয়ের লাল-সবুজ পতাকা।
বিজয়ের এইদিনে শপথ নেয়া হবে দেশ থেকে মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িক অপশক্তির সব ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করার। শপথ নেয়া হবে স্বাধীনতার স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে অসম্মানকারীদের রুখে দেয়ার। শপথ নেয়া হবে দেশের উন্নয়ন ও প্রগতির পথে বাধাদানকারীদের সমূলে উচ্ছেদ করার।
নয় মাস সশস্ত্র সংগ্রামের পর উনিশ শ’ একাত্তরের এই দিনে ৯২ হাজার পাকিস্তানি সৈন্যবাহিনী ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) আত্মসমর্পণ করে। জন্ম নেয় স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ। সেই বিজয়ের আনন্দে আজ বাংলার মানুষ ভাসবে।
সূর্যোদয়ের সাথে সাথে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের শুভ সূচনা হবে। হাজার হাজার মানুষের মিলনমেলা হবে ফারুকী পার্ক স্মৃতিসৌধ। সেখানে শহীদ বেদিতে ফুল দিয়ে শহীদদের শ্রদ্ধা জানাবে সবাই। দিনভর বাংলার পথে-প্রান্তরে বাজবে বিজয়ের গান।
জাতি আজ স্মরণ করবে স্বাধীনতা সংগ্রামের মহান নায়ক বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। তার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে আরও দৃঢ়প্রত্যয়ী হবে নতুন প্রজন্ম। গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় সমাধিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে বঙ্গবন্ধুকে শ্রদ্ধা জানাবে সর্বস্তরের মানুষ। কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করা হবে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে সহায়তাকারী বন্ধুরাষ্ট্র ভারতকে; যে দেশ এক কোটি মানুষকে আশ্রয় দিয়েছিল। মুক্তিযোদ্ধাদের ট্রেনিং আর সাহস জুগিয়েছিল।
আজ সরকারি ছুটি। যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি পালনের জন্য রাষ্ট্রীয়ভাবে বিভিন্ন কর্মসূচি উদযাপনের সর্বাত্মক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। সারা দেশে সরকারি-বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা উড়বে। ঘরের সামনে, ভবনের ছাদে কিংবা গাড়িতেও উড়বে লাল-সবুজের এই পতাকা।
অনলাইন ডেস্ক :
বিশ্ব এইডস দিবস আজ। মরণব্যাধি এইডসকে রুখে দিতে বিশ্ব সচেতনতা গড়ে তুলতে প্রতিবছর ১ ডিসেম্বর পালিত হয় দিবসটি। প্রতিবারের মতো বাংলাদেশেও যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ করার মাধ্যমে পালিত হচ্ছে এ দিবস। দেশে গত এক বছরে ১ হাজার ৪৩৮ জন নতুন করে এইডসে আক্রান্ত হয়েছেন। এ বছর এইডসে মারা গেছেন ১৯৫ জন। বাংলাদেশে ১৯৮৯ সালে প্রথম এইচআইভি (এইডসের ভাইরাস) পজিটিভ ব্যক্তি শনাক্ত হয়। এর মধ্যে এবার এইডসে আক্রান্তের সংখ্যা সর্বোচ্চ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জাতীয় যক্ষ্মা, কুষ্ঠ ও এইডস নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির (টিবি-এল অ্যান্ড এএসপি) সূত্রে এ তথ্য পাওয়া গেছে। আজ ১ ডিসেম্বর বিশ্ব এইডস দিবস। এ উপলক্ষে দেশের এইডস–সংক্রান্ত নানা পরিসংখ্যান তুলে ধরবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। বিশ্ব এইডস দিবসে এবারের প্রতিপাদ্য ‘অধিকার নিশ্চিত হলে, এইচআইভি/এইডস যাবে চলে’।
এইডসে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লেও এ বছর এ রোগে মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে। তবে বয়সে তরুণদের মধ্যে এ রোগে আক্রান্তের হার বেড়ে গেছে। বিবাহিতদের মধ্যে এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার হার বেশি।
বিশ্বের প্রতিটি দেশে ১৯৮৮ সাল থেকে বিশ্ব এইডস দিবস পালিত হয়ে আসছে। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য বিষয় হলো ‘অধিকার নিশ্চিত হলে, এইচআইডিভ/এইডস যাবে চলে’।
এ ছাড়া মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী এবং হিজড়াদের মধ্যেও সংক্রমণ কমছে না। তরুণ বয়সী এবং হিজড়া ও রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী ঝুঁকির মধ্যে আছে বলেও মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, দেশে ১৯৮৯ সালে এক ব্যক্তির এইচআইভি শনাক্ত হয়। এরপর প্রতিবছরই এইডসে আক্রান্ত ব্যক্তি পাওয়া গেছে। দু-এক বছর এইডসে আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা কমে গেলেও বেড়ে যাওয়ার প্রবণতাই ছিল বেশি। ২০২০ সালে করোনা সংক্রমণের বছর বাদ দিলে গত ১০ বছরে এইচআইভিতে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। গত বছর আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১ হাজার ২৭৬। সে অনুযায়ী, চলতি বছর ১৬২ জন রোগী বেড়েছে।
জাতিসংঘের সংস্থা ইউএন এইডসের বাংলাদেশ কান্ট্রি ডিরেক্টর ডা. সায়মা খান গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, এইচআইভি আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত ও সেবার পরিধি বেড়েছে। তবে তরুণ জনগোষ্ঠীর মধ্যে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়া রোধে প্রচারকাজ বাড়ানো যেতে পারে। আর পাঠ্যক্রমে এ বিষয়ে আরও সচেতনতামূলক বিষয় যুক্ত করা দরকার।
বিবাহিতদের মধ্যে সংক্রমণ বেশি, মৃত্যু নিয়ে শঙ্কা
চলতি বছর যতজন এইডসে আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে ৫৫ শতাংশই বিবাহিত। আর অবিবাহিত রয়েছেন ৪০ শতাংশ। বিধবা বা তালাকপ্রাপ্ত রয়েছেন ৫ শতাংশ।
গত বছর বিবাহিতদের মধ্যে সংক্রমণের হার ছিল ৬০ শতাংশ। আর অবিবাহিতদের মধ্যে তা ছিল ৩১ শতাংশ।গত বছরের মতো এবারও ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে এইচআইভিতে।
গত বছর এইচআইভিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ২৬৬। এবার এ সংখ্যা ১৯৫। মৃত্যুর সংখ্যা কমে গেলেও তা এখনো শঙ্কাজনক পর্যায়ে আছে বলেই মনে করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সাবেক উপাচার্য নজরুল ইসলাম। এই ভাইরোলজিস্ট বলেন, এখন এইচআইভির চিকিৎসার ব্যবস্থা যথেষ্ট উন্নত। তারপরও এত মৃত্যু মেনে নেওয়া যায় না। মৃত্যুর কারণ হতে পারে নিয়মিত এবং যথাযথ চিকিৎসা নিচ্ছেন না আক্রান্ত ব্যক্তিরা। আবার যেসব ওষুধ দেওয়া হচ্ছে, তা প্রতিরোধী হয়ে উঠছে কি না, সে বিষয়েও নজর দেওয়া দরকার।
এইচআইভি ভাইরাসের মাধ্যমে এই মরণব্যাধি একজন থেকে অন্যজনের মধ্যে সংক্রমিত হয়। ভাইরাসটি ধীরে ধীরে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অকার্যকর করে দেয়। ফলে এক সময় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে রোগী। তাই রোগটি থেকে বাঁচতে প্রতিরোধ এবং জনসচেতনতা সৃষ্টির বিকল্প নেই।
দেশের প্রায় সকল জেলা সদরের সরকারি হাসপাতালে এইচআইভি সংক্রমণ পরীক্ষার সুযোগ থাকলেও উপজেলা হাসপাতালে তা নেই। উপজেলা পর্যায়ে এইচআইভি পরীক্ষার ব্যবস্থা করা দরকার বলে মনে করেন অধ্যাপক নজরুল ইসলাম।
অনলাইন ডেস্ক :
রামগতিতে আট মাসে পবিত্র কোরআনে হাফেজ হয়েছেন মোহাম্মদ ওমর ফারুক নামে এক শিশু।
শিক্ষকরা জানান, অধিক আগ্রহ ও মননশীলতায় দ্রুত সময়ের মধ্যে ওমর পুরো কোরআন মুখস্থ করতে পেরেছে । তার এ সাফল্যে মুগ্ধ শিক্ষক-অভিভাবক সবাই।
ওমর লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার আলেকজান্ডার দারুল কোরআন ইসলামিয়া মাদ্রাসার হিফজ বিভাগের শিক্ষার্থী ও একই এলাকার ব্যবসায়ী জিয়া উদ্দিন রানার ছেলে।
ওমরের বাবা জিয়া উদ্দিন বলেন, আমার মা চেয়েছিলেন ওমর যেন কোরআনে হাফেজ হয়। সেই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। তবে এতো দ্রুত স্বপ্ন বাস্তবায়ন হওয়ায় বিস্মৃত হয়েছি।
শিশু ওমর ফারুক বলে, আল্লাহ রহমত ছিলো বলে চেষ্টা করে আমি সফল হয়েছি। সকলের কাছে দোয়া চাই যেন বড় হয়ে ভালো একজন আলেম হয়ে দ্বীনের প্রচারে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারি।
শিক্ষকরা জানান, ওমর মেধাবী। তার শেখার আগ্রহ সবাইকে অনুপ্রাণিত করেছে। প্রথম দিকে তাকে ২-৩ পৃষ্ঠা সবক দেওয়া হতো। এরপর সে নিজেই ৫-১০ পৃষ্ঠা পর্যন্ত সবক নিয়েছে। সবাই যখন বিকেলে খেলাধুলা করত, তখন ওমর পড়া নিয়ে ব্যস্ত থাকত। তার পড়া দেখে সবাই মুগ্ধ হয়। হাফেজ হওয়ার দিনও তাকে রুটিন অনুযায়ী পড়তে দেখা গেছে।
স্বজনরা জানিয়েছেন, ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে তাকে মাদ্রাসার হেফজ বিভাগে ভর্তি করা হয়।
অনলাইন ডেস্ক :
শৈত্যপ্রবাহের কারণে দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান কার্যক্রমের সময়সূচিতে পরিবর্তন এনেছে সরকার। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান কার্যক্রম সকাল ১০টায় শুরু হবে।
দেশে যশোর, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, টাঙ্গাইল, মাদারীপুর, কিশোরগঞ্জ জেলাসহ রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, এটি অব্যাহত থাকবে।
এসব বিভাগ-জেলাসহ অন্য জায়গায়ও সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ঘন কুয়াশা পড়ছে। এমন অবস্থায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদানের সময়সূচি পরিবর্তন করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
আজ ২২ জানুয়ারি সোমবার মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ কবির উদ্দীনের সই করা এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানা যায়।
অফিস আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে, সারা দেশে চলমান শৈত্যপ্রবাহের কারণে শিক্ষার্থীদের অসুবিধার কথা বিবেচনায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠদানের সময়সূচি পরিবর্তন করা হলো।
আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত সকাল ১০টা থেকে শুরু হবে পাঠদান কার্যক্রম। এ ছাড়া আগে মন্ত্রণালয় থেকে ১৬ জানুয়ারি জারি করা নির্দেশনা যথারীতি বহাল থাকবে।
এর আগে ১৬ জানুয়ারি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক অফিস আদেশে জানানো হয়, কোনো জেলায় তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামলে সেখানে প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ রাখা হবে। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরও (মাউশি) একই সিদ্ধান্ত নেয়।