চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বাল্য বিবাহ নিরোধ আইন-২০১৭, বিধিমালা-২০১৮, জেন্ডার সমতা ও শিশু বিষয়ক এক ওরিয়েন্টেশন আজ ১১ মে বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হয়।
বেলা ১১টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত ওরিয়েন্টেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ সাইফুল ইসলামের সঞ্চালনায় ওরিয়েন্টেশনে বাল্য বিবাহ নিরোধ আইন-২০১৭ এবং বিধিমালা ২০১৮ নিয়ে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট হেলেনা পারভীন।
জেন্ডার সমতা, শিশু অধিকার ও শিশু সুরক্ষা বিষয় নিয়ে বক্তব্য রাখেন ইয়ং পাওয়ার ইন সোশ্যাল এ্যাকশন (ইপসা) এর সিইএমবি প্রকল্পের বিভাগীয় প্রকল্প সমন্বয়কারী ফারহানা ইদ্রিস।
বক্তব্য রাখেন জেলা মহিলা বিষয়ক কার্যালয়ের উপ-পরিচালক ভিকারুন্নেছা, প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা, প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি খ.আ.ম. রশিদুল ইসলাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া টেলিভিশন জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি মনজুরুল আলম, সাংবাদিক জয়দুল হোসেন প্রমুখ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইসপার জেলা সমন্বয়কারী গোলাম ছরওয়ার।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম বলেন, বাল্য বিয়ে বন্ধে সচেতনতার কোন বিকল্প নেই। তিনি বলেন, বাল্য বিয়ে বন্ধে ইমাম ও পুরোহিতদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। তিনি বলেন, বাল্য বিয়ে বন্ধে মাঠ পর্যায়ে কাজ করতে হবে। জনগনকে সচেতন করতে হবে। আমরা সবাই যদি বাল্য বিয়ে বন্ধে যার যার অবস্থান থেকে কাজ করি তাহলে বাল্য বিয়ে প্রতিরোধ করা সম্ভব। তিনি সাংবাদিকদেরকে এ ব্যাপারে লেখনীর মাধ্যমে জনগনকে সচেতন করার আহবান জানান। ওরিয়েন্টেশনে জেলায় কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
মহান বিজয়ের মাস ব্যাপক কলেবরে উদযাপনের লক্ষ্যে নানান কর্মসূচি গ্রহণ করেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগ।
আজ ৭ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের সভায় এ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়।
শহরের হালদারপাড়াস্থ জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত প্রস্তুতি সভায় সভাপতিত্ব করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি।
জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টুর সঞ্চালনায় এসময় বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগ সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন, আওয়ামী লীগ নেতা তাজ মো. ইয়াছিন, মুজিবুর রহমান বাবুল, গোলাম মহিউদ্দিন খান খোকন, অ্যাড. মাহবুবুল আলম খোকন, সৈয়দ মিজানুর রেজা, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, শেখ মো. আনার, সৈয়দ এহতেশামুল বারী তানজিল, সেলিম রেজা হাবিব, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আবুল কালাম ভূঞা, সাধারণ সম্পাদক এমএএইচ মাহবুব আলম, পৌর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি অ্যাড. লোকমান হোসেন (ভারপ্রাপ্ত উপজেলা চেয়ারম্যান), বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল ওয়াহিদ খান লাভলু, ওয়াসেল সিদ্দিকী, গাজি রতন মিয়া, আবু হোরায়রাহ, জায়েদুল হক, মাহমুদুর রহমান জগলু, কাচন মিয়া, মো. মনির হোসেন, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. তাসলিমা সুলতানা খানম নিশাত, জেলা কৃষকলীগ আহবায়ক সাদেকুর রহমান শরীফ, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ সাধারণ সম্পাদক সাইদুজ্জামান আরিফ জেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন শোভন, জেলা মৎস্যজীবী লীগ সভাপতি আবদুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক শাহ পরান, জেলা তাঁতী লীগ সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন দুলাল।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিএনপিকর্মী রুবেল হোসাইন নামে একজনের কান কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ১৬ ফেব্রুয়ারি রবিবার রাতে শহরের রেলস্টেশন রোড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। রাতেই গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভর্তি করা হয়েছে।আহত রুবেল হোসাইন শহরের পাওয়ার হাউজ রোড এলাকার মৃত হুমায়ন কবিরের ছেলে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে জেলা বিএনপির এক নেতা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। খবর পেয়ে জেলা বিএনপির নেতা-কর্মীরা তাকে দেখতে হাসপাতালে ছুটে যান।
আহতের পরিবার ও আহত রুবেল হোসাইন অভিযোগ করে বলেন, গত শুক্রবার রাতে পৌর শহরের কাজীপাড়া এলাকার আমিনের সঙ্গে কথাকাটি হয়। এর জেরে তারা এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করে। পরে বিষয়টি সমাধানের কথা হয় দু’পক্ষের মধ্যে। এর মধ্যে ওষুধ কিনতে রেলস্টেশন এলাকায় গেলে সেখানে ফের প্রতিপক্ষের লোকজন তাকে মারধর শুরু করে। আমিন ও ইয়াছিনসহ আরো ২০-২৫ জন লোক নিয়ে হামলা করা হয়। একপর্যায়ে তার কানে আঘাত করলে কান আলাদা হয়ে যায়।
এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মোজাফফর হোসেন বলেন, এ ঘটনায় আহত রুবেলের বড় ভাই আজিম মোল্লা বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে পুলিশ চেষ্টা চালাচ্ছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কারাগারে জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সার্বিক সহযোগিতায় জেলা কারা কর্তৃপক্ষের আয়োজনে ২৫ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার মাদকের কুফল সম্পর্কে সচেতনতামূলক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় জেলা কারাগার অভ্যন্তরে মাদকমুক্ত রাখতে বক্তারা গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেন। কারাবন্দিদের বিনোদন নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন বলে জানিয়েছেন বর্তমান জেল সুপার মোঃ শাহ আলম খান।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেল সুপার মোঃ শাহ আলম খান যোগদানের পর থেকে কারাবন্দীদের জন্য চিত্তবিনোদনের ব্যবস্থা করা হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সমাজসেবা অধিদপ্তরের সহযোগিতায় নানা ধরনের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। এরমধ্য মোবাইল সার্ভিসিং বিদ্যুৎ ওয়াইরিং প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। চিত্তবিনোদনের মধ্যে রয়েছে, ফুটবল খেলা, ভলিবল ও ব্যাডমিন্টনসহ বিভিন্ন ধরনের খেলাধুলার বিষয়ে কারাবন্দীদেরকে উদ্বুদ্ধ করা। এখানে মূল আলোচ্য বিষয় ছিল, কারাবন্দিদেরকে মাদক সেবন থেকে বিরত রাখা, মাদকের কুফল সম্পর্কে ধারণা দেয়া, এবং তারা কারাগার থেকে মুক্ত হয়েও যেন পরবর্তীতে মাদকাসক্ত না হয়ে পড়ে এ বিষয়ে সঠিক পরামর্শ দেয়া।
এ ব্যাপারে সম্প্রতি কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে আসা আসামীদের সাথে কথা বললে তারা জানায়, বর্তমান জেল সুপার গত ৩০ অক্টোবর ২৪ ইং তারিখে যোগদানের পর থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কারাগারের পরিস্থিতি, আগের তুলনায় আমূল পরিবর্তন এসেছে। যা কারাবন্দীদের ও দর্শণার্থীদের চোখে পড়ার মতো। আসামিদের সাথে সাক্ষাৎ করতে আসা অভিভাবকরাও স্বাচ্ছন্দ বোধ করছে বলে জানা যায়। জেল সুপার মোহাম্মদ শাহ আলমের সভাপতিত্বে এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদা আক্তার।
বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক, মোঃ রফিকুল ইসলাম, জেলার, কামরুল ইসলাম। এছাড়াও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কারাগরের অন্যান্য কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
জেলা শহরের গভঃ মডেল গার্লস হাই স্কুলে নানা অনিয়ম দুনীর্তির অভিযোগ এনে যৌক্তিক সংস্কার ও বিদ্যালয়ের প্রশাসনসহ নানা জটিলতা নিরসনের দাবিতে বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা।
আজ ৮ সেপ্টেম্বর রোববার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে তারা বিক্ষোভ করেন।
এ সময় শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, স্বনামধন্য এই বিদ্যালয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুল লতিফের প্রশ্রয়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষক গিয়াস উদ্দিন মৃধা, সাইফুল ইসলাম, নাছিমা, বদরুন্নাহার, ফারজানা আক্তারসহ একাধিক শিক্ষকরা বিভিন্ন অনিয়ম দুনীর্তির সাথে জড়িত। শিক্ষকদের কাছে প্রাইভেট না পড়লে তারা পরীক্ষার সময় নাম্বার কমিয়ে দেয়।
এছাড়া শিক্ষকরা অবৈধভাবে বিদ্যালয়ে প্রাইভেট পড়তে বাধ্য করান এবং সেখান থেকে ১০ পার্সেন্ট টাকা প্রধান শিক্ষক নিয়ে থাকেন। এছাড়াও দেড় বছর ধরে তাদেরকে টিফিনও দেওয়া হয় না। এ অবস্থায় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ের সব ধরনের অর্থ সম্পর্কিত ধোয়াশা দূর করতে সরকারি অডিটের পাশাপাশি অভিযুক্ত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানিয়েছেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুল লতিফ বলেন, আমি জেলার বাইরে আছি। কাল এসে তাদের অভিযোগ শুনব।