চলারপথে রিপোর্ট :
নওগাঁর মহাদেবপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালতে তিন মুদি দোকানীর ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
আজ ১১ মে বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলা সদরের বাজারে এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নুসরাত জাহান।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে মেয়াদোত্তীর্ণ মালামাল বিক্রির দায়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর আওতায় মুদি দোকানী বিলাস কুমার ঘোষের ৪ হাজার টাকা, সুজিত কুমার মন্ডলের ৪ হাজার টাকা ও রঞ্জন চন্দ্রের ২ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেন।
মহাদেবপুর থানার এসআই জয় দাস তার সঙ্গে ছিলেন। ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক জানান, জনস্বার্থে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
স্টাফ রিপোর্টার:
বিশ্বকাপ উপলক্ষে বাংলাদেশে প্রিয় দলের পতাকা টানানো যেন খুবই নিয়মিত ও সাধারণ ঘটনা। বিশ্বকাপ শেষে সে পতাকা কেউ নামিয়ে ফেলে; তবে অধিকাংশ পতাকাই নামানো হয় না। যার ফলে তা রোদ-বৃষ্টির কারণে মলিন হতে থাকে। তবে এবার দেশের তরুণদের উদ্যোগে পতাকায় তৈরি হচ্ছে স্কুলগামী শিক্ষার্থীদের ‘স্কুলড্রেস’। আর ব্যতিক্রমী এ উদ্যোগ বাস্তবায়ন করছে দেশের সবচেয়ে বড় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘বিদ্যানন্দ’। সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের নিয়ে কাজ করা সংগঠনটি বলছে, পতাকা থেকে আমরা সেলাই খুলে কিংবা কেটে কাপড় উদ্ধার করি। সে কাপড় দিয়ে তৈরি করা স্কুল পোশাক দেখে কেউ বুঝবে না যে এটা পতাকার অংশ। আর বিদেশে পতাকার ডিজাইনে পোশাক তৈরির প্রচলন সাধারণ বিষয় বলেও জানায় সংগঠনটি। তারা বলছে, এতে কেউ কেউ জাতীয় পতাকার অপমান, কাপড়ের কোয়ালিটি কিংবা টাকার অপচয় বললেও অধিকাংশ মানুষই এমন উদ্যোগের প্রশংসা করছে।
বিদ্যানন্দের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে একটি ছবি শেয়ার করে জানানো হয়েছে, ড্রেস না থাকায় স্কুলে যেতে না পারা সাজেদার বাবা ট্রাকে কুলীর কাজ করতে গিয়ে পড়ে পা ভেঙে ফেলছেন। তাই স্কুলের খরচ মেটাতে পারছেন না। সেখানে স্কুলের পোশাকের আবদার জানায় কীভাবে? সে সাজেদার স্কুল ড্রেস বানানো হয়েছে ব্রাজিলের পতাকায়। আবার সে স্কুলে যাবে, হাসবে তার সহপাঠীর সঙ্গে। তারা আহ্বান করেছে, কেউ তাদের এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগে অংশগ্রহণ করতে চাইলে পতাকা কুরিয়ার করতে পারবেন। তারা চান শত শত স্কুল ড্রেস বানাতে। সঙ্গে আপনি তাদের সঙ্গে এ উদ্যোগে যুক্ত হতে পারবেন সেলাইয়ের টাকা দিয়েই।
বিদ্যানন্দের জনসংযোগ প্রধান সালমান খান ইয়াছিন বলেন, ইতোমধ্যে বিভিন্ন জায়গা থেকে পতাকা সংগ্রহের কাজে নেমেছে বিদ্যানন্দের স্বেচ্ছাসেবকরা। আমাদের উদ্দেশ্য বিশাল আকারের পতাকাগুলো সংগ্রহ করা। বিদ্যানন্দের অফিসিয়াল নম্বর ০১৮৭৮-১১৬২৩৪ নম্বরে যোগাযোগ করে যেকোনো এলাকা থেকে পতাকা পাঠানো যাবে।
অনলাইন ডেস্ক :
রাজধানীর বেইলি রোডের বহুতল ভবনে অগ্নিকাণ্ডে নিহত ৪৫টি মরদেহের মধ্যে অন্তত ৩৮ জনের পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে। বাকিদের পরিচয় এখনো পাওয়া যায়নি। এদিকে আজ ১ মার্চ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত ২৯ জনের মরদেহ পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আজ শুক্রবার ঢাকা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) মোস্তফা আবদুল্লাহ আল নূর এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং শেখ হাসিনা ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি থেকে সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত ২৯ জনের মরদেহ পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। রাত ২টা থেকে মরদেহ হস্তান্তর প্রক্রিয়া শুরু হয়।
অজ্ঞাত মরদেহের বিষয়ে তিনি বলেন, এর মধ্যে ছয় জনের মরদেহ এখনো কেউ দাবি করেনি। তাদের চেহারা বোঝা যাচ্ছে। তবে একটি মরদেহ পুড়ে একেবারে অঙ্গার হয়ে গেছে। সেই মরদেহটি ডিএনএ টেস্ট ছাড়া হস্তান্তর করা সম্ভব হবে না।
অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ঢামেক হাসপাতালের হেল্প ডেস্কে নিযুক্ত কর্মকর্তাদের একজন নূর বলেন, পরিবারের সদস্যরা মরদেহ শনাক্ত করলে তাৎক্ষণিকভাবে হস্তান্তর করা হচ্ছে। চেহারা, জামাকাপড় দেখে স্বজনরা মরদেহ শনাক্ত করেন। গুরুতর আহত ১০ জনকে বার্ন ইনস্টিটিউটের ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ৫০ মিনিটে রাজধানীর বেইলি রোডে ছয়তলা ভবনে আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের মোট ১৩টি ইউনিট ঘটনাস্থলে কাজ করে এবং রাত ১১টা ৫০ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
অনলাইন ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নির্বাচনের সময়ে যে ওয়াদা দিয়েছি তা পূরণ করব, এটা আমাদের প্রতিজ্ঞা।
আজ ৫ মার্চ মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতীয় নির্বাচনে একটি রাজনৈতিক দল ও তার জোট অংশগ্রহণ করেনি। অন্যসব দল অংশগ্রহণ করেছে। আমরা নির্বাচন উন্মুক্ত করে দিয়েছি। অনেক প্রার্থী এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে। মোট প্রার্থী ছিল এক হাজার ৯৭০ জন এবং স্বতন্ত্রপ্রার্থী ৪৭০ জন ছিলেন। এই নির্বাচনে লক্ষণীয় হলো, মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে। নারী ও প্রথম ভোটারদের উপস্থিতি ছিল উল্লেখযোগ্য।
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, আমরা শপথ গ্রহণ করি ১০ জানুয়ারি। এটা আমাদের জন্য পবিত্র দিন। তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু করার জন্য নির্বাচন কমিশন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। এছাড়া জনগণকেও জানাই আন্তরিক ধন্যবাদ।
তিনি বলেন, আগামী পাঁচ বছর মেয়াদে রয়েছে এই সরকার। নির্বাচনের সময়ে যে ওয়াদা দিয়েছি তা পূরণ করব, এটা আমাদের প্রতিজ্ঞা।
চলারপথে রিপোর্ট :
চট্টগ্রাম নগরের বন্দর থানা পুলিশ পৃথক এলাকায় অভিযান চালিয়ে দুই লাখ ৮০ হাজার টাকার জাল নোটসহ দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গতকাল বুধবার রাতে নগরের নিমতলা খালপাড় ও পাহাড়তলী থানার বৌ বাজার থেকে জাল নোট উদ্ধার ও তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলার ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের উত্তর জগন্নাথ এলাকার সেলিম মিয়ার বাড়ীর মো. শাকিব (২০) ও ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছা থানার কৃষ্ণনগর হিন্দুবাড়ীর সন্তান অন্তর বিশ্বাস (২২)।
বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সঞ্জয় সিনহা বলেন, পৃথক অভিযান চালিয়ে মো. শাকিব ও অন্তর বিশ্বাসকে ৯ হাজার টাকার জাল নোটসহ গ্রেফতার করা হয়। পরবর্তী তাদের তথ্য মতে পাহাড়তলী থানার বৌ বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে ২ লাখ ৭১ হাজার টাকার জাল নোট উদ্ধার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
সমাজ সেবায় সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পদক ‘‘মাদার অব হিউম্যানিটি’’ পরিবর্তিত নাম ‘‘জাতীয় মানব কল্যাণ পদক-২০২০’’ গ্রহণ করছেন, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার। গতকাল গণভবনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁকে এই স্বর্ণ পদক পরিয়েদেন এবং রেপ্লিকা ও সম্মাননা সনদ হস্তান্তর করেন। এসময় জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি জনাব র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, মিয়ানমারে নিপীড়িত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে মানবিকতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন, সে কারণে বিশ্বদরবারে ‘‘মাদার অফ হিউম্যানিটি’’ বা ‘‘মানবতার মা’’ হিসাবে খ্যাতি লাভ করেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক ২০১৯ সালে গেজেট বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ‘‘মাদার অব হিউম্যানিটি সমাজকল্যাণ পদক নীতিমালা-২০১৮’’ কার্যকর করে।
সমাজসেবায় সর্বোচ্চ অবদানের জন্য আল-মামুন সরকার ২০২০ সালে প্রথমবারের মত এই পদকের জন্য জাতীয় ভাবে মনোনিত হন। পরবর্তীতে নামকরণ জটিলতায় ২০২২ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে মন্ত্রী পরিষদ সভায় নামকরণ পরিবর্তন করে, ‘‘জাতীয় মানবকল্যাণ পদক’’ নির্ধারণ করা হয়। এই সম্মাননায় পঁচিশগ্রাম ওজনের একটি স্বর্ণপদক, একটি রেপ্লিকা ও সম্মাননা পত্র এবং নগদ দুই লক্ষ টাকার চেক অন্তর্ভূক্ত।