চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মাদক সেবন ও পাচারের দায়ে তিন যুবককে গ্রেফতার করেছে আইন-শৃংখলাবাহিনীর সদস্যরা। এ সময় ৭২ কেজি গাঁজা, ৩৭৫ পিস ইয়াবা উদ্ধার ও মাদকদ্রব্য পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত একটি সিএনজিচালিত অটোরিক্সা জব্দ করা হয়।
আজ ১১ মে বৃহস্পতিবার দুপুরে ও গত বুধবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল ও আশুগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, সরাইল উপজেলা সদরের পূর্ব কুট্টাপাড়া গ্রামের মিয়া হোসেনের ছেলে মোঃ আকরাম মিয়া (২৬), ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার মধ্যপাড়ার মোঃ মাহফুজুর রহমানের ছেলে ইফরাত মাহফুজ (২১) ও জেলার বিজয়নগর উপজেলার চান্দুরা ইউনিয়নের আলাদাউদপুর গ্রামের আবদুর রহমানের ছেলে কানু মিয়া-(৩১)। এর মধ্যে আকরাম মিয়া ও ইফরাত মাহফুজকে কারাদন্ড প্রদান করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। আকরাম মিয়াকে ১ বছরের ও ইফরাত মাহফুজকে ৮ মাসের কারাদন্ড দেয়া হয়।
এ ব্যাপারে সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আসলাম হোসেন বলেন, বুধবার বিকেল ৫টার সময় উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের সামনে মাদক সেবনের সময় ইফরাত মাহফুজকে গ্রেফতার করা হয়। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মুহাম্মদ সরওয়ার উদ্দীন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ৮ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন।
এছাড়া বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার পূর্ব কুট্টাপাড়া এলাকা থেকে মাদক সেবনের সময় আকরাম মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মুহাম্মদ সরওয়ার উদ্দীন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ১ বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন।
এদিকে র্যাব-১৪-এর ভৈরব ক্যাম্প থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, বুধবার রাতে আশুগঞ্জ উপজেলার চর-চারতলা গ্রাম থেকে ৭২কেজি গাঁজা এবং ৩৭৫ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ মাদক পাচারকারী কানু মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়।
এ সময় মাদকদ্রব্যবাহি একটি সিএনজি চালিত অটোরিক্সা জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় র্যাবের পক্ষ থেকে আশুগঞ্জ থানায় একটি মামলা করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে আলী বক্স এন্ড ফ্রেন্ডস ফাউন্ডেশন এর উদ্যোগে শতাধিক অসহায় দুঃস্থদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।
আজ ১৭ মে শুক্রবার সকালে জেলা পরিষদের ডাকবাংলো প্রাঙ্গনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সরাইল সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল জব্বার। সাংবাদিক শরীফ বক্সের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অতিথির বক্তব্য রাখেন, সরাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি মোহাম্মদ আলী মাষ্টার, সাধারণ সম্পাদক তৌফিক আহমেদ তফছির, উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মোহাম্মদ শফিকুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আবেদুর আর শাহীন, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আলমগীর মিয়া, মর্তুজ আলী, এম এ মজিদ বক্স, রফিকুল ইসলাম রফিক প্রমুখ।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক নারায়ণ চক্রবর্তী, মোঃ রিমন খান, পারভেজ আলম, মামুন খন্দকার, বেলায়েত হোসেন মিল্লাত, সুমন, রানা, মন্নর, আব্দুর রউফ, এলেম, জিল্লুর রহমান, ফারুক, আল আমীন, হেলাল খান প্রমুখ। অনুষ্ঠানে খাদ্য সামগ্রী মধ্যে ছিল, চাল, ডাল, আলু, পিঁয়াজ, তৈল।
আশুগঞ্জ প্রতিনিধি :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২-(সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের উপ-নির্বাচনে অন্যতম স্বতন্ত্র প্রার্থী, বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা, আশুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান (মোটর গাড়ি প্রতীক) আবু আসিফ আহমেদের সন্ধ্যান মিলেছে।
আজ ২ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার বিকেল সোয়া ৫টার দিকে আবু আসিফ আহমেদ তাঁর আশুগঞ্জের বাসায় ফিরেছেন। আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজাদ রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে আবু আসিফ আহমেদ ঢাকার বসুন্ধরায় তার নিজ বাড়িতে অবস্থান করছেন বলে আজ বৃহস্পতিবার সকালে পুলিশের কাছে তথ্য আসে।
আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আজাদ রহমান বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে একটি মাধ্যমে আমরা জানতে পারি আবু আসিফ আহমেদ ঢাকায় আছেন। বিকেল সোয়া ৫টার দিকে তিনি আশুগঞ্জের বাসায় ফিরেছেন। আবু আসিফ আহমেদ গত শুক্রবার রাত থেকে নিখাঁজ ছিলেন।
জেলা পুলিশের দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার সকালে আবু আসিফ আহমেদের স্ত্রী মেহেরুননিছা মেহেরিন আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে ফোন দিয়ে জানান, আবু আসিফ তার ঢাকার বাসায় আছেন। তিনি আশুগঞ্জে চলে আসবেন। ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিষয়টি পুলিশ সুপার মোঃ শাখাওয়াত হোসেনকে অবহিত করেন। বিকেলে তিনি আশুগঞ্জের বাসায় ফিরে আসেন।
এদিকে আবু আসিফের নিখোঁজ থাকার বিষয়টি তার স্ত্রী মেহেরুননিছা মেহেরিন উপ-নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসারকে লিখিতভাবে অবহিত করেছিলেন ও এবং ৩১ জানুয়ারি এ বিষয়ে আশুগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছিলেন।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার রাত থেকে আসিফ নিখোঁজ করার পর পরিবারের পক্ষ থেকে আসিফ নিখোঁজ বলা হলেও পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছিল আসিফ আত্মগোপনে আছেন। এনিয়ে নির্বাচনী এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়।
আবু আসিফ আহমেদ গত বুধবার অনুষ্ঠিত উপ-নির্বাচনে মোটর গাড়ি প্রতীক নিয়ে ৩ হাজার ২৬৯ ভোট পান। আসিফের স্ত্রী মেহেরিন আশুগঞ্জ শ্রমকল্যান কেন্দ্রের ভোট কেন্দ্রে গিয়েও ভোট না দিয়ে ফিরে আসেন। বাসায় চলে যাওয়ার সময় তিনি উপনির্বাচনকে “অসুস্থ নির্বাচন” উল্লেখ করে এই নির্বাচন স্থগিত করার দাবি জানিয়েছিলেন। নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছেন বিএনপির দলত্যাগী নেতা উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া।
এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার মোঃ শাখাওয়াত হোসেনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে আসিফের স্ত্রী নিজেই আশুগঞ্জ থানার ওসিকে বলেছিলেন আসিফ তার ঢাকার বাসায় আছেন। বিকেলে তিনি তার আশুগঞ্জের বাসায় ফিরে এসেছেন। আসিফকে কোন জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আসিফ নিজেই ঢাকার বাসায় গিয়েছিলেন, আবার নিজেই আশুগঞ্জের বাসায় ফিরে এসেছেন এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের কি আছে?
এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য আবু আসিফের স্ত্রী মেহেরুননিছা মেহেরিনের মোবাইল ফোনে কয়েকদফা চেষ্টা করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে ফাঁকা স্টলে অনুষ্ঠিত হয়েছে প্রাণী প্রদর্শনী। ডেকোরেশনের লাল-নীল কাপড়ে সাজানো থাকলেও মেলায় দেখা মিলেনি আশানুরূপ খামারির। একটি স্টলে বিদেশি ২টি কুকুর থাকায় কিছু লোক দাঁড়িয়ে তামাশা দেখেন। ২-১টি স্টলে দেখা মিলে কয়েকটি রোগা দেশীয় প্রজাতির গরুর। কাগজে প্রচারে দিনব্যাপী মেলা হওয়ার কথা থাকলেও দুপুরের আগেই সবশেষ। ১টার পরই অন্নদার মাঠ হয়ে পড়ে নীরব নিস্তব্ধ।
গতকাল ১৮ এপ্রিল বৃহস্পতিবার বেলা ১২টায় এমন চিত্র দেখা যায় অন্নদার মাঠের মেলায়। একাধিক খামারি বলছেন, এটি আইওয়াশ। দায় সারা মেলার নামে সরকারের টাকা লুটপাট করে খাওয়ার একটি কৌশল মাত্র। কর্তৃপক্ষ বলছেন, মেলার বাজেট বলা যাবে না।
সকল নিয়ম-কানুন মেনে সফলভাবে মেলা সম্পন্ন করেছি। পুরস্কার বিতরণের পর বেলা ১টায় মেলা শেষ করেছি। সরজমিন দেখা যায়, বৃহস্পতিার দুপুর ১২টা। সরাইল উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার কার্যালয়ের আয়োজনে সদরের সরকারি অন্নদা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে চলছে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী। রঙিন কাপড়ে তৈরি করা হয়েছে ৪০টি স্টল। বেলা তখন ১২টা। অধিকাংশ স্টলই ফাঁকা। কয়েকটি স্টলে দেশীয় প্রজাতির কয়েকটি দুর্বল গরু। মেলায় প্রদর্শন করার মতো চাকচিক্য নেই গরুগুলোর। একটি স্টলে বিদেশি ২টি কুকুর। কুকুর দেখার জন্য সেখানে দাঁড়িয়ে আছে কিছু লোক। ২টি স্টলে দাঁড়িয়ে আছেন ওষুধ কোম্পানির এমআর। তবে কোনো স্টলে চোখে পড়েনি নামি-দামি কোম্পানির কোনো এমআর। অনেক স্টলে শুধু সবুজ ঘাস ছাড়া কিছুই নেই। খাঁ খাঁ করছে মেলাস্থল। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক খামারি বলছেন, মেলাটি মূলত খামারিদের। কিন্তু প্রকৃত খামারিরা বঞ্চিত। মুখ চিনে মুগের ডালের অবস্থা। এজন্যই ১২টার সময়ই মেলা ফাঁকা। পুরস্কারসহ যা কিছু হবে সব আগেই হয়ে আছে। এখন চলছে আইওয়াশ। এটা তো মেলার বাজেটের বড় অংকের টাকা লুটপাটের একটা কৌশল মাত্র। সরাইল উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোছা. নইফা বেগম বেলা ১টার পর মেলা শেষ হওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, প্রচণ্ড তাপদাহে পানি ঢেলেও গরুগুলোকে সুস্থ রাখা যাচ্ছিল না। তাই মেলা সমাপ্ত করে দিয়েছি। ফাঁকা নয়, ৪০টি স্টলেই সক্রিয় ছিল। গবাদি পশু ছিল ৬৭টি। ৪টি স্টলে ছিলেন ওষুধ কোম্পানির এমআর’রা। ষাঁড় আর গাভী দুই ক্যাটাগরিতে আমরা পুরস্কার দিয়েছি। উভয় ক্যাটাগরিতে প্রথম পুরস্কার ৩৫০০ টাকা, দ্বিতীয় পুরস্কার ২৫০০ টাকা আর তৃতীয় পুরস্কার দেয়া হয়েছে ১৫০০ টাকা করে। এছাড়া আমরা সান্ত্বনা পুরস্কারও দিয়েছি। জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘না’ মেলার বাজেট তো বলা যাবে না।
স্টাফ রিপোর্টার:
পোল্ট্রি ফার্মে পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমোদনের অপেক্ষায় থাকা বায়োগ্যাস প্লান্টের বয়লার বিস্ফোরণে মোঃ জুবায়ের (২৮) নামে এক শ্রমিক নিহত হয়েছেন। নিহত জুবায়ের কিশোরগঞ্জ জেলার তাড়াইল উপজেলার ধলা গ্রামের মোঃ জলিল মিয়ার পুত্র। তিনি গত ৩-৪ বছর ধরে এ ফার্মে কাজ করতো। গত শনিবার রাত সাড়ে ৬টার দিকে আশুগঞ্জ উপজেলার শরীফপুর গ্রামের ৯নং ওয়ার্ড এলাকায় বিল্লাল ভুইয়ার পোল্ট্রি ফার্মে বিকট শব্দে বিস্ফোরণের এ ঘটনাটি ঘটে।
বিল্লাল ভুইয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের নবনির্বাচিত সদস্য। বিস্ফোরণ ও শ্রমিক জুবায়ের নিহতের ঘটনাটি আশুগঞ্জ থানা এলাকায় ঘটলেও বিষয়টি আশুগঞ্জ থানা পুলিশকে পাশ কাটিয়ে ময়না তদন্ত ছাড়াই নিহতের লাশ তার গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জে নিয়ে দাফনের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এদিকে এ বায়োগ্যাস প্লাণ্টটি পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমোদনের অপেক্ষায় থাকলেও এ থেকে উৎপাদিত গ্যাস আশে-পাশের বাড়িঘর ও দোকানপাটে সংযোগ দেয়া আছে। পোল্ট্রি ফার্মটি সরেজমিনে পরিদর্শন করা হবে বলে জানিয়েছে জেলা পরিবেশ অধিদপ্তর ও ফায়ার সার্ভিস।
স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, জেলা পরিষদের সদস্য মোঃ বিল্লাল ভুইয়ার পোল্ট্রি খামারে জুবায়ের শ্রমিক হিসেবে কাজ করতো। এ খামারে মুরগির বিষ্টা থেকে দুটি বায়োগ্যাস প্লান্ট চলমান। তবে এসব প্লান্ট পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। এ প্লান্টের উৎপাদিত গ্যাস ফার্মের নিজস্ব প্রয়োজন মিটিয়ে প্লাষ্টিকের পাইপের মাধ্যমে বিভিন্ন দোকান ও বাড়িতে সরবরাহ করা হতো। জুবায়ের বৈদ্যুতিক ও বায়োগ্যাসের কাজে দক্ষ থাকায় সে বায়োগ্যাসের কাজ করতো। গত শনিবার বায়োগ্যাসে কাজ করার সময় বিকট শব্দে একটি বয়লার বিস্ফোরন হয়। উদগিরিত গ্যাসে জুবায়ের উপরে উঠে গিয়ে পরে বেশ দুরে ছিটকে পড়ে। সহকর্মীরা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে জেলাসদর হাসপাতাল ও পরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার একটি বেসরকারি ক্লিনিকে নিয়ে গেলে সাড়ে রাত ৮টার দিকে সে মারা যায়।
এদিকে বিস্ফোরনের ঘটনা ও শ্রমিক নিহতের ঘটনাটি আশুগঞ্জ থানা এলাকা হলেও নিহতের লাশ তার নিজ বাড়ি কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলায় নিয়ে যাওয়া হয়। গতকাল রোববার সকালে সরেজমিনে কয়েকজন সাংবাদিক ঘটনাস্থলে গেলে ফার্মের সামনে কথা হয় মোঃ বিল্লাল মিয়ার ছোট ভাই মোঃ হাবিবুর রহমানের সাথে। তিনি মুরগির সুরক্ষার দোহাই দিয়ে সাংবাদিকদের ঢুকতে দেয়নি। তবে কিছুক্ষন আগেই ২-৩ জনকে নিয়ে ফার্ম থেকে বের হতে দেখা গেছে। দুর্ঘটনার কারণ জানতে চাইলেও তিনি এড়িয়ে যান। এদিকে বায়োগ্যাস প্লান্টটি অনুমোদনের আগেই তা থেকে উৎপাদিত গ্যাস প্লাষ্টিকের পাইপ দিয়ে প্রায় আধা কিলোমিটার দুর পর্যন্ত বিভিন্ন দোকান ও বাড়িতে বাণিজ্যিক ভাবে (মাসিক ১ হাজার টাকায়) সংযোগ দেয়া হয়েছে।
তবে এ ব্যাপারে ফার্মের মালিক মোঃ বিল্লাল ভুইয়া মোবাইল ফোনে জানায়, নিহত জুবায়ের তার ফার্মে ৩-৪ বছর ধরে কাজ করছে। তিনি লাশ নিয়ে নিহতের বাড়িতে রয়েছেন এবং তার পরিবারের সহায়তায় দাফনের প্রস্তুতি চলছে। জুবায়ের নিহতের পর লাশ আশুগঞ্জ থানায় কেন নেয়া হয়নি এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটি সবটুকুই নিহতের পরিবারের ইচ্ছা।
এ ব্যাপারে আশুগঞ্জ থানার ওসি আজাদ রহমান বলেন, লাশ থানায় নিয়ে আসার জন্য বলা হলেও ময়নাতদন্ত ছাড়াই তারা লাশ নিয়ে নিহতের গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জে নিয়ে যায়। পরে তিনি বিষয়টি তাড়াইল থানাকে অবগত করে। তাড়াইল থানার ওসির বরাত দিয়ে আরো বলেন, সেখানেও নিহতেদর স্বজনেরা লাশের ময়নাতদন্ত করতে আগ্রহ হয়নি বলে জানায়।
এ ব্যাপারে আশুগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ইনচার্জ মোঃ মিজানুর রহমান বলেন, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে পরামর্শ করে ফার্মটি সরেজমিনে পরিদর্শন করা হবে।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পরিবশে অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ খালেদ হোসাইন বলেন, বায়োগ্যাস প্লান্টটি অনুমোদনের জন্য আবেদন করা হয়েছে। পরিবেশ অধিদপ্তর বিভিন্ন কাগজপত্রসহ যোগাযোগ করতে নির্দেশনা দিয়েচে। এ সময় এ ঘটনা ঘটল। বিষয়টি সরেজমিনে তদন্ত করে দেখা হবে বলে তিনি জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জে উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে অজ্ঞাত (২৫) এক যুবক নিহত হয়েছেন। আজ ৫ ডিসেম্বর মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে আশুগঞ্জ রেলস্টেশনের দক্ষিণ পাশে এই ঘটনা ঘটে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে ফাঁড়ির (আই.সি) এসআই সাইফুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, নোয়াখালী থেকে ছেড়ে আসা ঢাকা অভিমুখী উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনটি আশুগঞ্জ স্টেশনের কাছাকাছি পৌছলে এক অজ্ঞাত যুবক ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে মারা যায়। পরে নিহতের মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠায়। ওই যুবকের লাশের পরিচয় শনাক্তের জন্য পিবিআইকে ফিঙ্গারপ্রিন্ট নিতে বলা হয়েছে।