চলারপথে রিপোর্ট :
বিজয়নগরে মাদক বিক্রি ও সেবনের দায়ে তিন যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে দুই যুবককে কারাদণ্ড প্রদান করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ.এইচ. ইরফান উদ্দিন আহমেদ উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নের সেজাপুরা এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে তাদেরকে কারাদন্ড প্রদান করেন। এ সময় ৭৪ বোতল এসকফ সিরাপ, ৮ বোতল ফেনসিডিল, ১৫ বোতল বিদেশী মদ, ৬শত পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, উপজেলার অলিপুর গ্রামের হেবজু মিয়ার ছেলে উজ্জ্বল মিয়া, একই এলাকার নান্নু মিয়ার ছেলে আলমগীর মিয়া ও সেজামুড়া গ্রামের শহীদ মিয়ার ছেলে বাবুল মিয়া।
এ ব্যাপারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট এ.এইচ. ইরফান উদ্দিন আহমেদ বলেন, বৃহস্পতিবার বিকেলে সেজামুড়া এলাকায় মাদক সেবনের দায়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে উজ্জ্বল মিয়া ও আলমগীর মিয়াকে এক মাস করে বিনাশ্রম কারাদন্ড দেয়া হয়েছে। পরে সেজামুড়া এলাকার বাবুল মিয়ার বাড়িতে টাস্কফোর্সের অভিযান পরিচালনা করে বাবুল মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার ঘরে তল্লাশী চালিয়ে ৭৪ বোতল এসকফ সিরাপ, ৮ বোতল ফেনসিডিল, ১৫ বোতল বিদেশী মদ, ৬শত পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় বাবুল মিয়ার বিরুদ্ধে বিজয়নগর থানায় মামলা দেয়া হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগরে প্রচণ্ড বৃষ্টিতে মাটির ঘর ধসে রাফিন (১২) ও মিশু (১০) নামে আপন দুই ভাইবোনের মৃত্যু হয়েছে। আজ ২৯ সেপ্টেম্বর শুক্রবার ভোরে উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
মৃত দুই ভাইবোন ওই গ্রামের মন্নাফ মিয়ার সন্তান। এ ঘটনায় বাবা মন্নাফ (৪৫), মা রোকসানা (৩০) ও বোন ইশু (১০) আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ইশুকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহমেদ জানান, মন্নাফ কৃষিকাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। স্ত্রী ও তিন সন্তান নিয়ে মাটির ঘরে থাকতেন। গতকাল রাতে অন্যান্য রাতের মতোই সবাই একসঙ্গে ঘরে ঘুমিয়ে পড়েন। ভোররাতে প্রচণ্ড বৃষ্টি হলে মাটির ঘরটি ধসে পড়ে। এতে তারা পাঁচজনই মাটির নিচে চাপা পড়েন। পরে তাদেরকে উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাফিন ও মিশুকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত তিনজনের মধ্যে ইশুকে আশঙ্কাজক অবস্থায় ঢাকায় পাঠানো হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিজয়নগর থেকে ১৭টি ভারতীয় মহিষ আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
২৩ সেপ্টেম্বর সোমবার দুপুর আড়াইটার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার চান্দুরা এলাকা থেকে সরাইল বিজিবি-২৫ ব্যাটালিয়নের সদস্যরা অভিযানে ট্রাকসহ মহিষগুলোকে আটক করা হয়।
এ সময় ট্রাকের চালক ও হেলপার পালিয়ে যান। সোমবার রাতে বিজিবির পক্ষ থেকে গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দুপুরে বিজয়নগর উপজেলার চান্দুরা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে একটি ট্রাক আটক করা হয়। পরে ট্রাক থেকে ১৭টি ভারতীয় মহিষ উদ্ধার করা করা হয়।
উদ্ধারকৃত মহিষের বাজার মূল্য প্রায় ৩৪ লাখ টাকা।
উদ্ধার মহিষগুলো আখাউড়া কাস্টমস্ অফিসে জমার পর রাতে নিলামের মাধ্যমে বিক্রি করা হয়েছে। এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ছয় দফা দাবি বাস্তবায়নের আশ্বাস দিয়ে নাটকীয় বৈঠক ও কুমিল্লা পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় কাফনের কাপড় পড়ে বিক্ষোভ করেছে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর শিক্ষার্থীরা।
আজ ১৮ এপ্রিল শুক্রবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার ইসলামপুর এলাকায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ক্যাম্পাস থেকে এই বিক্ষোভ মিছিলটি বের হয়। মিছিলটি ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ইসলামপুর এলাকার বিভিন্ন পয়েন্ট প্রদক্ষিণ করে। পরে মহাসড়কের এক পাশে বসে তারা প্রতিবাদ জানায়। এ সময় মহাসড়কে যানচলাচল স্বাভাবিক থাকে।
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন কারিগরি ছাত্র আন্দোলনের বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি মোঃ জামিল আহম্মেদ সিয়াম, মোহাম্মদ সাগর, সহকারি প্রতিনিধি এহসান এলাহি রাতুল। এ সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
শিক্ষার্থীরা জানান, যে ছয় দফা দাবি উত্থাপন করা হয়েছে তা পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের প্রাণের দাবি। এই দাবি আদায়ে শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছে। গতকাল ছয় দফা দাবি বাস্তবায়নের আশ্বাস দিয়ে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের সাথে নাটক করা হয়েছে। তাই এখন আর এসি রুমে বসে বৈঠক করে কোন সিদ্ধান্ত হবে না বরং সিদ্ধান্ত হবে রাজপথে। দ্রুত সময়ের মধ্যে ছয় দফা দাবি বাস্তবায়িত না হলে আরো কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন তারা।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার পাইকপাড়া গ্রামে ২০১৪ সালে শশুর হত্যা মামলার প্রধান আসামী দীর্ঘ ৮ বছর পরে বিজয়নগর থানা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছে।
গ্রেফতারকৃত আসামী হলো উপজেলার পাইকপাড়া গ্রামের জসিম উদ্দিন এর স্ত্রী মোছাঃ শিপু বেগম (৪৫)। তাঁকে আজ ১ জুন বৃহস্পতিবার ভোর সকালে তার বাবার বাড়ি উপজেলার খাদুরাইল গ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয়।
তার বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়া অতিরিক্ত দায়রা জজ এর প্রথম আদালতে শশুর হত্যার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়। মামলা নং দায়রা ১৩০/১৫। উক্ত মামলার ২০/১১/২০১৯ তারিখে আদালতে মোছাঃ শিপু বেগম এর যাবত জীবন সাজার রায় ঘোষণা করা হয়।
পারিবারিক কলহের জেরে পাইকপাড়া গ্রামের মোঃ জসিম উদ্দিন এর পিতা ও যাবত জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী মোছাঃ শিপু বেগম এর শশুর কাঁছা মালাকে গত ২৫/৯/২০১৪ সালে শ্বাসরুদ্ধ করে শশুরকে হত্যার অভিযোগ এনে মামলা হলে সে গোপনে বিদেশে চলে যায়। দীর্ঘ ৮ বছর বিদেশে কাটিয়ে গোপনে গত সপ্তাহে দেশে আসলে বিজয়নগর থানা পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করেন।
বিজয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রাজু আহমেদ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পলাতক আসামী প্রবাস থেকে দেশে বাবার বাড়িতে আশ্রয় নিলে বিজয়নগর থানার একটি চৌকস ঠিম তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। আসামীকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
যৌথ বাহিনীর পৃথক দুটি অভিযানে বিপুল পরিমাণ মাদক, দেশীয় অস্ত্র, পুরাতন মোবাইল ফোনসেট, ল্যাপটপসহ অন্যান্য পণ্য উদ্ধার হয়েছে। এ সময় মোট পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়। এর মধ্যে একজনের কাছ থেকেই পাওয়া যায় ৩৯টি মোবাইল ফোনসেট। গ্রেফতারকৃতরা হলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার গোকর্ণঘাটের মাদক ব্যবসায়ী নূর মোহাম্মদ (৩৮), বিজয়নগরের বিষ্ণুপুরের রুবি আলমগীর (৩৩), মো. সামি ভূঁইয়া (১৬), মো. সিয়াম ভূঁইয়া (১৪) ও মো. সানি ভূঁইয়া (২৪)।
তাদের বিরুদ্ধে মামলা করে সদর ও বিজয়নগর থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
অভিযান সূত্র জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বাধীন যৌথবাহিনী পৌর এলাকার গোকর্ণঘাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাদক ব্যবসায়ী নূর মোহাম্মদকে আটক করে। এ সময় তার কাছ থেকে তিনটি দেশীয় অস্ত্র, ৫০৪ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, একটি ক্ষুর, দুটি ল্যাপটপ, চারটি ট্যাব, ১৭টি অ্যানড্রয়েড মোবাইল ফোনসেট, ২২টি বাটন মোবাইল ফোনসেট, চারটি পাসপোর্ট ও প্রায় দুই লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়।
এদিকে বুধবার রাত আড়াইটার দিকে যৌথ বাহিনী বিজয়নগর উপজেলার বিষ্ণুপুর গ্রামের ভূঁইয়া বাড়িতে (ভূঁইয়া ফার্ম হাউস) অভিযান চালানো হয়।
এ সময় মাদক ব্যবসায়ী রুবি আলমগীর তার ছেলে সামি ভূঁইয়া, সিয়াম ভূঁইয়া ও সানি ভূঁইয়াকে আটক করে। পরে তাদের কাছ থেকে ২০টি দেশীয় অস্ত্র (কুড়াল, চাপাতি, রামদা, ছুরি, হাতুড়ি), ৫২৫ বোতল ফেনসিডিল, ৭৪৫ বোতল স্কাফ সিরাপ, ৬০০ গ্রাম গাঁজা, ৯৯ হাজার ১০০ টাকা, দুই হাজার ২৯০ ইন্ডিয়ান রুপি, ৩০ কাতার রিয়াল, দুটি পাসপোর্ট, একটি অ্যানড্রয়েড মোবাইল ফোনসেট, একটি বাটন মোবাইল ফোনসেট ও একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।