চলারপথে রিপোর্ট :
বিল শাপলা জলমহাল ইজারা নিয়ে মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছেন নাসিরনগর ও সরাইল উপজেলার জেলেরা। যেকোনো সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন তাঁরা। নাসিরনগরের জেলেরা বলছেন, বংশ পরম্পরায় ওই বিলে মাছ ধরে তাঁরা জীবিকা নির্বাহ করছেন। কয়েক দশক ধরে সরকারের কাছ থেকে ইজারাও নেন। সম্প্রতি এক রাজনৈতিক নেতার তদবিরে সরাইলের জেলেরা বিলটি ইজারা নেওয়ার চেষ্টা করছেন। তাঁরা নাসিরনগরের জেলেদের মাছ ধরতে বাধা ও হুমকি-ধমকি দিচ্ছেন। অপরদিকে সরাইলের জেলেদের ভাষ্য, তাঁরা মিলেমিশে বিলে মাছ ধরতে চান।
৩৯৬ দশমিক ৬৫ একরের বিল শাপলা জলমহালটির অবস্থান নাসিরনগর উপজেলার গোকর্ণ ইউনিয়নের জেঠাগ্রামের পূর্ব পাশে। কাছেই তিতাস নদী। জেঠাগ্রাম মৎস্যজীবী সমিতিতে নিবন্ধিত জেলে ৫৩৮ জন। এ ছাড়াও অনিবন্ধিত আরও প্রায় ৭০০ জেলে এখানে মাছ ধরেন। সব মিলিয়ে ১২০০ জেলে পরিবারের সদস্য প্রায় ১০ হাজার। তাঁরা সবাই বিলের ওপর নির্ভরশীল। বিলের দক্ষিণে সরাইল উপজেলার শাহাজাদাপুর গ্রাম। শাহাজাদাপুর মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির নিবন্ধিত সদস্য ৪৯।
জেঠাগ্রামের প্রবীণ জেলে মিলন দাস মঙ্গলবার বলেন, ‘আমার বাপের জন্ম এই বিলের পাড়ে। আমার জন্মও। ছেলেমেয়েও জন্ম নিছে এ বিলের পাড়েই। আমরার আগের পুরুষ বিলের পাড় থাইক্যা মাছ ধরত।’ নিজেদের কোনো জমিজমা না থাকায় বিলের মাছ আর পরের জমিতে শ্রম বিক্রি করেই জীবন পার করছেন মিলন। তিনি বলেন, ‘যদি আমরা বিল না পাই, মাছ ধরতাম না পারি, তইলে বাল-বাচ্চা (ছেলেমেয়ে) লইয়া না খাইয়া মরণ লাগব।’
তাঁর মতো এমন হাজারো জেলের আশঙ্কা–এবার না বিলের ইজারা সরাইলের শাহজাদাপুরের জেলেরা নিয়ে যান! এর কারণ অনুসন্ধানে জানা যায়, গত ২০ ফেব্রুয়ারি জলমহালটি ছয় বছরের (১৪৩০-১৪৩৫ বঙ্গাব্দ) উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ইজারা দেওয়ার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। এ জন্য আবেদন করে শাহাজাদাপুর গ্রামের তিতাস মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটতে পারে–এমন আশঙ্কায় জেলা জলমহাল ব্যবস্থাপনা কমিটি কোনো সুপারিশ করেনি। তাই তিতাস সমিতির আবেদন বাতিলে সিদ্ধান্ত হয়। ভূমি মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব দেলোয়ার হোসেন মাতুব্বরের সই করা চিঠি থেকে বিষয়টি জানা যায়। পরে জলমহালটি তিন বছর মেয়াদে নতুন করে ইজারা দিতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেয় জেলা প্রশাসন। এতে আগ্রহী হয়ে তদবির শুরু করে শাহাজাদাপুর মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি।
নাসিরনগরের জেঠাগ্রাম মৎস্যজীবী সমিতির নেতারা জানান, ১৯৭৭ সালে সমিতি গঠনের পর থেকে সরকার নির্ধারিত রাজস্ব দিয়ে তাঁরাই বিলটি ইজারা নিয়ে আসছেন। সম্প্রতি শাহাজাদাপুরের জেলেরা তা ইজারা নিতে চাইছেন। নাসিরনগর উপজেলা ভূমি অফিস সূত্রে জানা গেছে, জলমহাল নীতিমালা ২০০৯ এর ৪(চ) অনুযায়ী স্থানীয় প্রকৃত মৎস্যজীবী সংগঠন, নিকটবর্তী বা তীরবর্তী মৎস্যজীবীদের জলমহাল বন্দোবস্ত প্রদান করতে হবে। এ হিসেবে জেঠাগ্রাম মৎস্যজীবী সমিতির এ অধিকার বেশি।
জেঠাগ্রামের জেলে হিরামন দাস বলেন, ‘বিলে মাছ ধরনের লাইগ্যা নতুন জাল, নৌকা কিনা হয়ছে এনজিও থেইক্যা (ঋণ নিয়ে)। এই গেরামের কয়েক হাজার মানুষ কোটি টাকা ঋণ নিছে।’ এভাবে ঋণ নিয়ে মাছ ধরে তা শোধ করেন জানিয়ে হিরামন বলেন, ‘আমরার এলাকার বিল যদি সরাইলের মানুষরে দিয়া দেয় তাইলে ঋণ শোধ করতে বসতঘরটাও বেইচ্যা দিয়ন লাগব।’
জেলে নয়ন দাসের ভাষ্য, ‘আমরার লোকজন বিলে গেলেই সরাইলের লোকজন মাইরধর করে। এহন হুনতাছি সরাইলের লোকেরা নাকি বিল লইয়া যাইব। এই বিলের লগে আমরার রক্ত মিশ্যা আছে। জান থাকতে বিল কেউরে নিতে দিমু না।’
জেঠাগ্রাম মৎস্যজীবী সমিতির সভাপতি বিশ্বজিৎ বিশ্বাস বলেন, ইজারা বিষয়ে শুনানির জন্য গত ৭ মে জেলা প্রশাসন চিঠি দিয়েছে। সরাইলের জেলেদের সঙ্গে মিলেমিশে মাছ ধরারও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
বিশ্বজিৎ বিশ্বাসের অভিযোগ, জলমহালের ইজারা সরাইলের জেলেদের পাইয়ে দিতে তদবির করছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার।
সরাইলের শাহাজাদাপুর মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ দাস বলেন, ‘কাগজেপত্রে বিলের মৌজা নাসিরনগরের। মিলেমিশেই বিলের মাছ ধরতে চাই। আমরাও জেলে পরিবার। কিন্তু ওই এলাকার জেলেরা তাতে রাজি হচ্ছেন না।’
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘আমি কারও পক্ষে কথা বলিনি। বিলটি নাসিরনগরের, এটা সবাই জানে। সরাইল ও নাসিরনগরের প্রকৃত জেলেরা যেন মিলেমিশে মাছ ধরতে পারে–সে অনুযায়ী পদক্ষেপ নিতে বলেছি।’ বিভিন্ন সময়ের কাগজপত্র ঘেঁটে বিলটি দীর্ঘদিন ধরে নাসিরনগরের জেলেরাই ইজারা নিয়ে মাছ ধরছেন বলে জানান উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা শুভ্র সরকার। ইউএনও ফখরুল ইসলাম বলেন, নীতিমালা অনুযায়ী নিকটবর্তী ও তীরবর্তী হিসেবে নাসিরনগর উপজেলার জেঠাগ্রাম মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির নামই আসে।
বিল ইজারা দিতে রাজনৈতিক চাপের বিষয়ে মন্তব্য করতে চাননি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ রুহুল আমিন। জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম বলেন, জলমহাল নীতিমালা ২০০৯ অনুযায়ী যাঁরাই উপযুক্ত, তাঁরাই এ বিল (ইজারা) পাবেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরে নাইট শর্ট সার্কেল ক্রিকেট টুর্ণামেন্টের উদ্বোধন করা হয়েছে। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় “মাদকমুক্ত নাসিরনগর বিনির্মাণে” নাসিরনগর সদর বন্ধু মহল আয়োজিত স্থানীয় আশুতোষ পাইলট উচ্চবিদ্যালয় মাঠে ক্রিকেট টুর্ণামেন্টের উদ্বোধন করা হয়।
নাসিরনগর সদর বন্ধু মহলের সভাপতি খোকন চৌধুরীর সভাপতিত্বে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: ইমরানুল হক ভূইয়া খেলার উদ্বোধন করেন। ধারা ভাষ্যকার মনির হোসেনের সঞ্চালনায় এ সময় নাসিরনগর সদর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান শেখ আবদুল আহাদ, উপজেলা কৃষকলীগের সভাপতি হাজ্বী অলি মিয়া, গ্রামীণফোন চৌধুরী এন্টারপ্রাইজের সত্বাধিকারী ডিস্ট্রিবিউশন শরীফুজ্জামান চৌধুরী সুমন, সাংবাদিক আকতার হোসেন ভূইয়া,মনিরুল ইসলাম,আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার ইনকাম ট্যাক্স অফিসার মো: ইলিয়াছ মিয়া, মঈন চৌধুরী,জিয়া চৌধুরীসহ নাসিরনগর সদর বন্ধু মহলের সদস্যরা ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন নাসিরনগর সদর বন্ধু মহলের সাধারণ সম্পাদক রাকিব চৌধুরী। উদ্বোধনী খেলায় নুরপুর একাদশ নির্ধারিত ১০ ওভারে ৫ ইউকেটে ৫০ রান করে অল আউট হয়। জবাবে খেলায় নাসিরনগর সদর একাদশ ৬ ওভার ৩ বলে ৮ ইউকেটে জয় লাভ করতে সক্ষম হয়। খেলায় ম্যান অব দ্য ম্যাচ নির্বাচিত হন হৃদয় দেব। আম্পায়ার ছিলেন সুমন মিয়া,রুহুল আমিন। স্কোরার ছিলেন মাসুম মৃধা।
উল্লেখ্য, নাইট শর্ট সার্কেল ক্রিকেট টুর্ণামেন্টে মোট ৩২টি ক্রিকেট টিম অংশগ্রহণ করছে। উদ্বোধনী ম্যাচে নাসিরনগর সদর একাদশ বনাম নুরপুর একাদশ দিয়ে টুর্ণামেন্ট শুরু হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে নদী ও প্রকৃতির সুরক্ষা সামাজিক আন্দোলন তরী বাংলাদেশ সরাইল উপজেলা শাখার পক্ষ থেকে লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। আজ ২৮ অক্টোবর সোমবার দুপুরে তরী বাংলাদেশ সরাইল শাখার উদ্যোগে সোমবার ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। সকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মেজবা উল আলম ভূঁইয়ার নিজ দপ্তরের সামনে আনুষ্ঠানিকভাবে এই লিফলেট বিতরণী কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সুকের পরিচালক মোমিন হোসেন, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মোতাহার হোসেন, লেখক ও গবেষক সঞ্জিব কুমার দেবনাথ, তরী সরাইল শাখার আহবায়ক ও সরাইল মহিলা কলেজের আহবায়ক মোহাম্মদ মাহবুব খান, সদস্য সচিব শাহগীর মৃধা, সমাজসেবক শফিকুল ইসলাম সেলু, উদীচী সরাইল শাখার সভাপতি মোজাম্মেল পাঠান, সাংবাদিক জুলকার নাইন, তরীর সদস্য মোছা: নাজমা বেগম, মো: জুনায়েদ আহমেদ, শাহীন শাহ, সৈয়দ নাদির হোসেন, আনিসুর রহমান, আব্বাস উদ্দিন, শাকিল আহমেদ, দীপক কুমার দেবনাথ, মজিদ বক্স, মো: পারভেজ প্রমুখ। এ সময় সরাইল অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ও পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষার্থীদের সাথে ডেঙ্গু বিষয়ে সচেতনতা বিষয়ে মতবিনিময় করেন। পরে পথচারী ও বিভিন্ন যানবাহনের যাত্রীদের মাঝে লিফলেট বিতরণ করা হয়।
সরাইল প্রতিনিধি :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপির সাবেক এমপি উকিল আব্দুস সাত্তার ভূইয়ার পক্ষে প্রচারণায় অংশ নিয়েছেন আওয়ামী লীগের দুই এমপি। আজ ২৪ জানুয়ারি মঙ্গলবার বিকেলে সরাইলে উপজেলায় অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম মিলনায়তনে উকিল আব্দুস সাত্তার ভূইয়া সমর্থক গোষ্ঠীর ব্যানারে আয়োজিত কর্মী সভায় অংশ গ্রহণ করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এবং সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম (শিউলি আজাদ)।
সভায় স্বতন্ত্র প্রার্থী উকিল আব্দুস সাত্তার ভূইয়া, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আল মামুন সরকার, জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি হেলাল উদ্দিন, সহ-সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাজমুল হোসেন, জেলা যুবলীগের সভাপতি শাহানূর ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম ফেরদৌস, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল, সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন শোভনসহ জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় উপনির্বাচনে মনোনয়ন দাখিল করার পর প্রত্যাহার করা আওয়ামী লীগের তিন প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, সাবেক যুগ্ম-সম্পাদক মঈন উদ্দিন মঈন ও স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদ নেতা শাহজাহান আলম সাজু উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর-বিজয়নগর) আসনের এমপি র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেন, আমি হৃদয়ের অন্তস্থল থেকে উকিল আব্দুস সাত্তার ভূইয়াকে সমর্থন করি একজন সাহসী মানুষ হিসেবে। যিনি তারেক রহমানের সকল ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় এই বয়সেও শিরদাঁড়া শক্ত করে মাথা উঁচু করে আছেন। আশা করি আগামী ১ ফেব্রুয়ারি সরাইল-আশুগঞ্জের মানুষ ভোট কেন্দ্রে গিয়ে কলার ছড়া মার্কায় ভোট দিয়ে ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে দাঁতভাঙা জবাব দেবে এবং গণতন্ত্রের বিজয় ঘোষণা করবে।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির দলীয় প্রার্থী আবদুস সাত্তার ভূইয়া বিজয়ী হয়েছিলেন। গত ১১ ডিসেম্বর আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া জাতীয় সংসদ থেকে পদত্যাগ করায় আসনটি শূন্য হয়। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি এ আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশ নিয়েছেন বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত উকিল আব্দুস সাত্তার ভূইয়া। তিনি এই আসনে পাঁচ বার এমপি ছিলেন।
আব্দুস সাত্তারের সঙ্গে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আছেন জাতীয় পার্টির আব্দুল হামিদ ভাসানী, জাকের পার্টির জহিরুল ইসলাম জুয়েল ও আশুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আবু আসিফ আহমেদ।