চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইলে জাতীয় পার্টির উপজেলা সম্মেলনের প্রস্তুতি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
১১ মে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলা সদরের কালীকচ্ছ বাজারে জাতীয় পার্টির স্থানীয় কার্যালয়ে এ কমিটি গঠন করা হয়।
সরাইল উপজেলা সভাপতি হুমায়ুন কবিরের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা।
এ সময় বক্তব্য রাখেন উপজেলা জাতীয় পার্টির সহ-সভাপতি ফজলুল হক মৃধা, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হাফেজ মো. আলী নেওয়াজ, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহফুজ মিয়া, উপজেলা জাতীয় ছাত্র সমাজের সভাপতি হুসেইন মুহম্মদ শাওন, সিনিয়র সহ-সভাপতি শেখ মো. মামুন, কালীকচ্ছ ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক আবুল ফাতেহ মুহম্মদ ভুট্টো, নোয়াগাঁও ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির সহ-সভাপতি আবু তাহের, কালীকচ্ছ ইউনিয়ন জাতীয় যুব সংহতির যুগ্ম সম্পাদক সঞ্জয় দত্ত প্রমুখ।
সভায় আগামী ১৭ মে কর্মী সম্মেলনকে সফল করার জন্য হাফেজ মো. আলী নেওয়াজকে আহ্বায়ক ও মাহফুজ মিয়াকে সদস্য সচিব করে ৭ সদস্য বিশিষ্ট সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি গঠন হয়েছে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জিয়াউল হক মৃধা তাকে সিলেট অঞ্চলের সাংগঠনিক দায়িত্ব দেওয়ায় বেগম রওশন এরশাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। উপস্থিত নেতাকর্মীরা রওশন এরশাদ ও জিয়াউল হক মৃধার প্রতি তাদের দৃঢ় সমর্থন জানিয়েছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলায় ইটভাটায় সন্তানের সামনে নয়ন তারা (৩৫) নামে এক নারীকে কুপিয়ে হত্যা করেছেন তার স্বামী।
আজ ১৩ মে শনিবার ভোরে উপজেলার ধরন্তি এলাকায় দি নিউ আশা ব্রিক ফিল্ডে এ ঘটনা ঘটে। ইটভাটার অন্য শ্রমিকরা ঘাতক চাঁন মোস্তফাকে আটকের পর পুলিশের কাছে দিয়েছেন।
ইটভাটার শ্রমিকরা জানান, চাঁন মোস্তফা ধরন্তি এলাকার দি নিউ আশা ব্রিক ফিল্ডে শ্রমিকের কাজ করতেন। সেখানে অন্য শ্রমিকদের মতো ছাউনি ঘরে স্ত্রী নয়ন তারা ও একমাত্র মেয়ে তাজিনকে (১০) নিয়ে বসবাস করেন।
শুক্রবার রাতে পারিবারিক কলহ নিয়ে চাঁন মোস্তফা ও তার স্ত্রী নয়ন তারার মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। এ সময় ঘুম থেকে জেগে যায় মেয়ে তাজিন। এক পর্যায়ে সন্তানের সামনেই চাঁন মোস্তফা দা দিয়ে কোপাতে থাকে তার স্ত্রীকে। এ অবস্থায় মেয়ে তাজিন ঘর থেকে বেরিয়ে অন্য শ্রমিকদের বিষয়টি জানায়। তারা গিয়ে দেখেন নয়ন তারার রক্তাক্ত নিথর দেহ মেঝেতে পড়ে আছে। পরে চাঁন মোস্তফাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসাইন বলেন, মরদেহ সুরতহাল রিপোর্টের পর মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় তার পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে কৃষির উন্নয়েনে ফ্লাড রিকনস্ট্রাকশন ইমার্জেন্সি এসিসটেন্স প্রজেক্টের আঞ্চলিক কর্মশালা অনুষ্ঠিত।
আজ ২২ এপ্রিল সোমবার সকালে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলে ফ্লাড রিকনস্ট্রাকশন ইমার্জেন্সি এসিসটেন্স প্রজেক্ট (ফ্রিপ) এর উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয়।
এলাকায় ফসল উৎপাদনে আগাম ও আকস্মিক বন্যা, সেচের পানির অপ্রতুলতা ইত্যাদি নানাবিধ চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হয়। এ ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বাংলাদেশ সরকার ও এডিবি’র অর্থায়নে ফ্রিপ প্রকল্প গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। বিভিন্ন ধরনের সেচ অবকাঠামো নির্মান ও যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে অনবাদী জমি আবাদের আওতায় আনাতে ভূমিকা রাখতে পারবে।
সরাইল উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ একরামুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রশিক্ষক হিসবে উপস্থিত ছিলেন জেলা কৃষি অফিসার (অতিরিক্ত) এবিএম রকিবুল হাসান।
সরাইল প্রতিনিধি :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কৃতি সন্তান, সরাইল উপজেলার নীচ সরাইলের বাসিন্দা ও বাংলাদেশ জাসদের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক হোসাইন আহমেদ তফছিরের স্মরণে সরাইলে শোক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এলাকাবাসীর উদ্যোগে ২৮ জানুয়ারি শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার আলীনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত শোকসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা জাসদের সভাপতি অ্যাডভোকেট আক্তার হোসেন সাঈদ।
বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে ও আশরাফুল ইসলাম শাব্বিরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত শোকসভায় বক্তব্য রাখেন-সরাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট আবদুর রাশেদ, সরাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি মোঃ আইয়ুব খান, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মাহবুব খান, আওয়ামীলীগ নেতা মোস্তাফিজুর রহমান, জাপা নেতা অ্যাডভোকেট আবদুল হামিদ, শিক্ষক নেতা মোঃ শামছুল আলম, উদীচী সরাইল শাখার সভাপতি মোঃ মোজাম্মেল পাঠান, শিক্ষক ও সংস্কৃতি কর্মী দেওয়ান রওশন আরা লাকী, প্রভাষক জাকির আহমেদ আকছির, ন্যাপ নেতা আবদুল জব্বার, সমাজকর্মী আবদুস সুবহান মাখন, সমাজ সেবক শাহ সিরাজ, মোঃ বিল্লাল হোসেন প্রমুখ।
শোকসভায় বক্তারা বলেন, হোসাইন আহমেদ ছিলেন সৎ নিষ্ঠাবান, নিঃস্বার্থ ও পরোপকারী চিত্তের মানুষ। স্বল্প সময়ের জীবনে তিনি শুধু মানুষ ও সমাজের জন্যই কাজ করেছেন। নীতিতে আপোষহীন তফছির বৈষম্যহীন ও শোষণমুক্ত সামাজ গড়তে নির্ভয়ে রাজনীতি করে গেছেন। অন্যায় অনিয়ম দুর্নীতি কখনো তফছিরকে স্পর্শ করতে পারেনি। তিনি একজন নৈতিকতা সম্পন্ন আদর্শ মানুষ ছিলেন। তাঁর আকস্মিক মৃত্যুতে পরিবার, সমাজ ও সরাইলের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। আলোচনা সভা শেষে তফছিরের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে সাবেক উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান (মোটর সাইকেল) প্রতীকের প্রার্থী মো. শের আলম মিয়া বিজয়ী হয়েছেন। ভাইস চেয়ারম্যান পদে তালা প্রতীকের প্রার্থী হানিফ আহমেদ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে হাঁস প্রতীকের রোকেয়া বেগম বিজয়ী হয়েছেন। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রোকেয়া বেগম টানা দ্বিতীয়বার নির্বাচনে বিজয়ী হলেন। আজ ৮ মে সরাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. মেজবা উল আলম ভূইঁয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বে- সরকারি ফলাফল ঘোষণা করেছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইলে উপজেলা বিএনপি আয়োজিত সভায় যোগদান শেষে ঢাকায় ফেরার পথে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সহ-আন্তর্জািতক বিষয়ক সম্পাদক ও সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানাকে বহনকারী প্রাইভেটকারকে ধাওয়া করেছে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা।
৮ এপ্রিল শনিবার বিকেল ৫টার দিকে সরাইল উপজেলা সদরের উচালিয়াপাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। তবে, পুলিশী তৎপরতায় অল্পের জন্যে হামলার হাত থেকে বেঁচে যান তিনি।
এর আগে দুপুরে আশুগঞ্জে বিএনপির অবস্থান কর্মসূচীতে যোগদান শেষে সরাইল উপজেলা সদরের গরুর বাজার এলাকায় সরাইল উপজেলা বিএনপি আয়োজিত অবস্থান সভায় যোগ দেন তিনি।
সরাইলের সভায় ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা সম্প্রতি সরাইলে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদের উপ-নির্বাচন প্রসঙ্গে বলেন, সরাইলের মানুষ আপনাদেরকে প্রত্যাখ্যান করেছে। আগামী দিনেও আপনাদেরকে একইভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে। তিনি বলেন, সরাইলের মাটি বিএনপির ঘাঁটি, তারেক রহমানের ঘাঁটি, বেগম জিয়ার ঘাঁটি। সরাইলের মানুষকে কেউ দমিয়ে রাখতে পারবেনা।
এদিকে ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা সরাইলে আসার খবর পেয়ে সরাইল উপজেলা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা উচালিয়াপাড়া মোড়ে জড়ো হয়। পরে তারা প্রতিবাদ মিছিল বের করে। সভা শেষে পুলিশী প্রহরায় ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানার গাড়িটি উচালিয়া পাড়া মোড়ে পৌছামাত্র ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা গাড়িটিকে ধাওয়া করেন। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে এনে গাড়ীটিকে নিরাপদে স্থান ত্যাগ করার সুযোগ করে দেন।
এ সময় সরাইল উপজেলা ছাত্র ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ শরিফ উদ্দিন বলেন, ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা সরাইল-আশুগঞ্জের কেউ নন। তিনি এই এলাকায় বহিরাগত। তিনি প্রায়ই সরাইল এলাকার এসে সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করেন। পাশাপাশি সরাইল উপজেলা আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনকে নিয়ে কটুক্তি করেন। তার প্রতিবাদে আমরা তাকে প্রতিহত করার চেষ্টা করছি। আগামীদিনেও একইভাবে তার মিথ্যাচারকে প্রতিহত করা হবে।