এসএসসির সোমবারের সব বোর্ডের পরীক্ষা স্থগিত

জাতীয়, 14 May 2023, 1061 Views,
ফাইল ছবি

অনলাইন ডেস্ক :
চলমান এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় সব বোর্ডের প্রশ্ন অভিন্ন হওয়ায় সোমবারের (১৫ মে) সব বোর্ডের পরীক্ষা স্থগিত করেছে বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি। এর আগে ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ উপকূলের দিকে এগিয়ে আসায় ছয় শিক্ষাবোর্ডে আগামীকাল সোমবারের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছিল।

আজ ১৪ মে রবিবার বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি এ সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। এতে সই করেছেন কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’র কারণে চলমান এসএসসি/সমমান পরীক্ষা ২০২৩-এর কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড, যশোর শিক্ষা বোর্ড, চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড, বরিশাল শিক্ষা বোর্ড, বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড ও বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীন আগামী ১৫ মে ২০২৩ তারিখ সোমবার অনুষ্ঠিতব্য পরীক্ষাগুলো স্থগিত করা হয়েছে। কিন্তু ১৫ মে ২০২৩ তারিখে অনুষ্ঠিতব্য পরীক্ষার সব বোর্ডের প্রশ্ন অভিন্ন হওয়ায় উক্ত তারিখের সব বোর্ডের পরীক্ষা স্থগিত করা হলো।

এতে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, স্থগিত হওয়া পরীক্ষার পরিবর্তিত সময়সূচি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে পরে জানিয়ে দেওয়া হবে। ১৬ মে ২০২৩ তারিখ থেকে পূর্বঘোষিত সময়সূচি অনুযায়ী পরীক্ষা যথারীতি চলবে।

এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো।

Leave a Reply

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় স্বচ্ছতা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে ৮৩…

চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সম্পূর্ণ স্বচ্ছতা ও সঠিক প্রক্রিয়ায় ৮৩জন Read more

জননিরাপত্তার নিশ্চিত করার জন্য রাজনৈতিক ঐক্যমত…

চলারপথে রিপোর্ট : জননিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য রাজনৈতিক ঐক্যমত একান্ত Read more

বিপুল পরিমাণ গাঁজাসহ গ্রেফতার ১

চলারপথে রিপোর্ট : বিজয়নগর উপজেলা থেকে বিপুল পরিমাণ গাঁজাসহ ১ Read more

সম্মেলনকে কেন্দ্র করে বাঞ্ছারামপুরে ১৪৪ ধারা…

চলারপথে রিপোর্ট : বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় সম্মেলনকে কেন্দ্র করে উপজেলা ও Read more

বৈষম্যহীন নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে অংশীজন ও…

চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় “বৈষম্যহীন নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে অংশীজন ও Read more
ফাইল ছবি

আশুগঞ্জে ট্রেনের ধাক্কায় বৃদ্ধার মৃত্যু

চলারপথে রিপোর্ট : আশুগঞ্জে ট্রেনের ধাক্কায় মাথায় আঘাত পেয়ে অজ্ঞাতনামা Read more

আখাউড়ায় বিনামূল্যে ধান বীজ বিতরণ চলারপথে রিপোর্ট : আখাউড়া উপজেলায় Read more

কুয়েতে সড়ক দুর্ঘটনায় আবু বাক্কার নিহত

চলারপথে রিপোর্ট : কুয়েতে প্রাইভেটকার দুর্ঘটনায় শেখ আবু বাক্কার (৩৪) Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বাস উল্টে যাত্রী নিহত

চলারপথে রিপোর্ট : সরাইল উপজেলায় বাস উল্টে গোপী কান্ত ঘোষ Read more

ট্রাক-অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ একজন নিহত

চলারপথে রিপোর্ট : ট্রাক ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে অটোরিকশার Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শিশু নাট্যমের বিতর্ক প্রতিযোগিতা

চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শিশু নাট্যমের ৩৮ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে Read more

ইয়াবা ট্যাবলেটসহ দুই পাচারকারী গ্রেফতার

চলারপথে রিপোর্ট : আশুগঞ্জে ১হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ গোপাল রায় Read more

আনারস চাষে বাজিমাত

জাতীয়, 22 June 2024, 220 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
লালমাই পাহাড়ের ঢালুতে প্রথমবারের মতো বাণিজ্যিকভাবে আনারসের চাষ হয়েছে। হানিকুইন জাতের আনারসে হাসছে পাহাড়ের সদর দক্ষিণ উপজেলার বড় ধর্মপুরের বিস্তীর্ণ এলাকা। স্থানীয় কৃষকরা দুই হেক্টর জমিতে আনারসের চাষ করেছেন। প্রথমবারে ভালো ফলন পেয়ে খুশি তারা। এই ফল চাষে আগ্রহী হচ্ছেন অন্য কৃষকরাও।

সরেজমিনে শনিবার বড় ধর্মপুরে গিয়ে দেখা যায়, উদ্যোক্তা আলী নেওয়াজ, আবদুর রশিদ ও তার সহযোগীরা বাগান থেকে আনারস কাটছেন। কেটে এনে বাগানের পাশে স্তুপ করছেন। পাহাড়ি উঁচু নিচু পথ পেরিয়ে ট্রাক্টর বাগানের পাশে এসে পৌঁছেছে। স্তুপ করা আনারস ট্রাক্টরে তুলে দেয়া হচ্ছে। সেই আনারস চলে যাবে পাহাড়ি এলাকা সংলগ্ন কুমিল্লা-চাঁদপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশের দুতিয়াপুর ফিলিং স্টেশনের পাশে। সেখানে খুচরা পাইকারি আনারস বিক্রি করা হয়। পাহাড়ে আনারস চাষ দেখতে প্রতিদিন উৎসুক মানুষ ভিড় করেন। আনারস কেটে জমিতেই অনেক ক্রেতা খেতে শুরু করেন। বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে আনারসের মিষ্টি ঘ্রাণ। আনারসের রসে ভিজে যায় ক্রেতার মুখ ও হাত।

স্থানীয় দুতিয়াপুরের ক্রেতা কামাল হোসেন বলেন, লালমাই পাহাড়ে একসাথে এতো জমিতে আর আনারস চাষ হতে দেখিনি। ভালো ফলন হয়েছে। স্থানীয়রাও সাশ্রয়ী মূল্যে আনারস ক্রয় করতে পারছেন।

দত্তপুর গ্রামের ক্রেতা আবদুল হাসান। তিনি বলেন, তিনি ভ্যানে আনারস ও পেয়ারা কেটে বিক্রি করেন। পাহাড়ের আনারসের স্বাদ ও গন্ধ ভালো হওয়ায় তিনি এখান থেকে আনারস কিনে নেন।

উদ্যোক্তা আলী নেয়াজ বলেন, অন্য সবজিতে বেশি সার ও কীটনাশক দিতে হয়। খরচ বেশি হয়। তাই আমরা এলাকার কয়েকজন কৃষক মিলে আনারসের চাষ করেছি। এটাতে খরচ কম। কৃষি অফিস আমাদের পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করেছে। প্রথম বছরে ভালো ফলন হয়েছে। ৬ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। আড়াই লাখ টাকা বিক্রি করেছি। আশা করছি আরো ৬-৭ লাখ টাকা বিক্রি করতে পারবো। আমাদের দেখে অন্য কৃষকরাও আরনারস চাষে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।

উপ-সহকারী কৃষি অফিসার এম এম শাহারিয়ার ভূঁইয়া বলেন, এখানে হানিকুইন জাতের আনারসের ৬০ হাজার চারা লাগানো হয়েছে। বিভিন্ন সময়ে আমরা উদ্যোক্তাদের পরামর্শ দিয়েছি। ফলন আসার পর মাঠ পরিদর্শন করে দেখেছি। ভালো ফলন হয়েছে। এতে কৃষক খুব খুশি।

উপজেলা কৃষি অফিসার জোনায়েদ কবির খান বলেন, লালমাই পাহাড়ের প্রথমবারের মতো বাণিজ্যিকভাবে আনারসের চাষ হয়েছে। তাদের সফলতা দেখে অন্য কৃষকরাও আগ্রহী হয়েছেন। লালমাই পাহাড়ের আনারস সম্প্রসারণের ভালো সম্ভাবনা রয়েছে।

বিদ্যুৎস্পৃষ্টে শ্যালক-ভগিনীপতির মৃত্যু

জাতীয়, 13 September 2023, 642 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
লক্ষ্মীপুরে ভগিনীপতিকে বাঁচাতে গিয়ে মারা গেলেন শ্যালকও। অটোরিক্সার ব্যাটারি চার্জ দিতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মো. মঞ্জু (২১) ও বিপ্লব হোসেন (১৭) নামে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। তারা সম্পর্কে শ্যালক ও ভগিনীপতি।

আজ ১৩ সেপ্টেম্বর বুধবার দুপুর দেড়টার দিকে সদর উপজেলার তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নের ধর্মপুর গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত মঞ্জু তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নের ধর্মপুর গ্রামের বাসিন্দা। তার বাবার নাম জানা যায়নি। অপর নিহত বিপ্লব একই ইউনিয়নের শহর কসবা গ্রামের নেছার আহম্মদের ছেলে।

স্বজনদের বরাত দিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, ঘটনার সময় মঞ্জু তার অটোরিক্সার ব্যাটারি চার্জ দিতে যায়। অসাবধানতাবশত ব্যাটারি চার্জ দিতে গিয়ে তিনি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। তাকে বাঁচাতে গিয়ে তার শ্যালক বিপ্লবও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দুইজনকে মৃত ঘোষণা করেন।

সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক জয়নাল আবেদিন বলেন, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দুইজন মারা গেছেন। তাদের মৃত অবস্থায় পেয়েছি। মরদেহগুলো স্বজনরা বাড়িতে নিয়ে গেছেন।

মানবপাচারকারী চক্রের ৪ সদস্য গ্রেফতার, উদ্ধার ৭

জাতীয়, 25 September 2023, 648 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
সংঘবদ্ধ মানবপাচারকারী চক্রের কবলে পড়ে মিয়ানমারের আস্তানায় বন্দিশালা থেকে নানা প্রক্রিয়ায় সাত জনকে ফেরত এনে উদ্ধার করেছে কক্সবাজারের পুলিশ। এ ঘটনায় সংঘবদ্ধ পাচারকারী চক্রের নারীসহ চার সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

আজ ২৫ সেপ্টেম্বর সোমবার দুপুর আড়াইটার দিকে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন, কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ (সদর সার্কেল) মো. মিজানুর রহমান।

গ্রেফতার পাচারকারী চক্রের সদস্যরা হলেন, টেকনাফ উপজেলার সদর ইউনিয়নের লেঙ্গুর বিল এলাকার মৃত ওমর হামজার ছেলে মো. বেলাল উদ্দিন (২৮), সাবরাং ইউনিয়নের লাফার ঘোনার এলাকার আবদুল গফুরের মাহফুজা (২২), একই ইউনিয়নের গোলারপাড়া এলাকার মৃত আবদুল গণির ছেলে আব্দুল্লাহ (৫৫) ও মিয়ানমারের বুচিডং এলাকার নুরুল ইসলামের ছেলে মো. আয়াছ (২৬)।

পাচারকারী চক্রের আস্তানা থেকে উদ্ধার হওয়ারা হলেন, চকরিয়া উপজেলার হারবাং ইউনিয়নের স্টেশন পাড়ার আবদুর রহমানের ছেলে রায়হান উদ্দিন (২৮), সিরাজগঞ্জ জেলার কাজীপুরের মো. হোসেন আলীর ছেলে মো. হাবিব উল্লাহ (১৬), কক্সবাজার পৌরসভার বৈদ্যঘোনা এলাকার কফিল উদ্দিনের ছেলে মো. রায়হান কবির (১৬), একই এলাকার আবুল হাশেমের ছেলে মো. আলমগীর (১৮), মহেশখালী উপজেলার শাপলাপুর ইউনিয়নের সোনা মিয়ার ছেলে সফর আলী (১৭), একই এলাকার আলী আজগরের ছেলে শওকত আজিজ (১৮) ও উখিয়ার থাইংখালী এলাকার মো. ইউনুসের ছেলে মো. মামুন মিয়া (২১)।

সংবাদ সম্মেলনে কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. মিজানুর রহমান জানিয়েছেন, গত ৪ সেপ্টেম্বর থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর কক্সবাজার সদর থানায় লিপিবদ্ধ হওয়া ২ টি সাধারণ ডাইরির তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশ নিশ্চিত হয় যে একটি সংঘবদ্ধ মানবপাচারকারী চক্র কক্সবাজার সদর, চকরিয়া, মহেশখালী, উখিয়ার কিছু কিশোর ও যুবককে নানা প্রলোভ দেখিয়ে উন্নত জীবনের কথা বলে মালেয়শিয়া পাচারের উদ্দেশ্যে জিম্মি করে। তাদের প্রথমে টেকনাফের লেঙ্গুর বিল এলাকায় নিয়ে যায়। এরপর সাগর পথে মিয়ানমারের একটি আস্তানায় নিয়ে গিয়ে জিম্মি করে। ওখানে জিম্মি করার পর নির্যাতন চালিয়ে ফোনে স্বজনদের কাছ থেকে মুক্তিপণের টাকা দাবি করে।

তিনি জানান, স্বজনরা নির্যাতনের খবর পেয়ে নানাভাবে পাচারকারীদের বিভিন্ন অংকের টাকাও প্রদান করে। এই টাকা গ্রহণকারী লোকজন, তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় পুলিশ পাচারকারী চক্রের সদস্যদের চিহ্নিত করে ৪ জনকে গ্রেফতার করে। এরপর গ্রেফতারদের কৌশলে ব্যবহার করে রবিবার রাতে মিয়ানমার থেকে টেকনাফের সমুদ্র সৈকত এলাকায় ফেরত আনা হয় ৭ জনকে।

মিজানুর রহমান জানান, উদ্ধার হওয়া ব্যক্তি ও গ্রেফতারের কাছ থেকে আর নানা তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। এসব তদন্ত করে পাচারকারী চক্রের অন্যান্য সদস্যদের চিহ্নিত করে গ্রেফতার ও নিখোঁজ অন্যদের বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। এসব ঘটনায় কক্সবাজার সদর মডেল থানা ছাড়াও পৃথকভাবে উখিয়া, টেকনাফ, মহেশখালী ও চকরিয়া থানায় মামলা হয়েছে।

এই অভিযানে অংশ নেন পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) এসএম শাকিল হাসান, উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আবদুল আজিজ, সাঈদ নুর। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার সদর মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) কাইছার হামিদ ও পরিদর্শক (গোয়েন্দা) দুর্জয় বিশ্বাস।

সন্ত্রাসবিরোধী আইনে ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন

জাতীয়, রাজনীতি, 24 October 2024, 64 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
সন্ত্রাসবিরোধী আইনে আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। গতকাল ২৪ অক্টোবর বুধবার রাতে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ।

গত মঙ্গলবার ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করাসহ পাঁচ দফা দাবি জানিয়েছিল শেখ হাসিনার পতনের অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এর পরদিনই নির্বাহী আদেশে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকার। এ সিদ্ধান্তে রাতেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আনন্দ মিছিল করেন শিক্ষার্থীরা।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন উচ্ছ্বাস প্রকাশ করলেও অন্য ছাত্র সংগঠনগুলো সতর্ক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। অজ্ঞাত স্থান থেকে গতকাল রাতেই বিবৃতিতে ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান নিষিদ্ধকে ষড়যন্ত্র আখ্যা দিয়েছেন।

১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ কয়েকজন ছাত্রনেতা ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠা করেন। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, বাষট্টির শিক্ষা আন্দোলন, ছেষট্টির ছয় দফা, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, বাংলাদেশের স্বাধীনতা এবং মুক্তিযুদ্ধে সংগঠনটির গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা রয়েছে।

নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম শক্তি ছিল ঐতিহ্যবাহী এ সংগঠন। তবে স্বাধীনতাপরবর্তী সময়ে এবং ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর ছাত্রলীগের অনেকের বিরুদ্ধে অপকর্মের অভিযোগ রয়েছে। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ তৃতীয় দফায় ক্ষমতায় আসার পর এই ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দখলদারিত্ব, মারামারি, টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, অপহরণ, মাদক বাণিজ্য, বিরোধী দলগুলোর কর্মসূচিতে হামলা, দমনপীড়ন, অস্ত্রবাজির মতো অপরাধের শত শত অভিযোগ ওঠে।

এই সময়ে ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে অন্তত অর্ধশত প্রাণহানি ঘটেছে। ২০১২ সালে বিশ্বজিৎ দাস এবং ২০১৯ সালে আবরার হত্যায় সংগঠনটি ধিকৃত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ‘গেস্ট রুম’ নামে নিপীড়নের কুখ্যাতিও রয়েছে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে।

২০১৮ সালের নিরাপদ সড়ক আন্দোলন, কোটা সংস্কার আন্দোলনে ছাত্রলীগ ছিল দমনকারীর ভূমিকায়। গত জুলাইয়ে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান শুরুর পর শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে মারমুখী ছিল। গত ১৫ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীদের নজিরবিহীন মারধর করে, যা থেকে সারাদেশে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে। ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের আগের দিনেও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীর অভ্যুত্থান দমনে অস্ত্র হাতে রাজপথে দেখা যায়। অভ্যুত্থানের সময় এবং শেখ হাসিনার পতনের পর বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ নিয়ন্ত্রিত কক্ষ থেকে বিপুল সংখ্যক অস্ত্র পাওয়া যায়। মধ্য জুলাই থেকেই অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ছাত্রলীগকে বের করে দিয়েছে অভ্যুত্থানকারীরা। ৫ আগস্টের পর ছাত্রলীগের তৎপরতা দেখা যাচ্ছে না।

প্রজ্ঞাপনেও ছাত্রলীগকে গত ১৫ বছরের স্বৈরাচারী শাসনামলে হত্যা, নির্যাতন, বিশ্ববিদ্যালয়ের গণরুমকেন্দ্রিক নিপীড়ন, ছাত্রাবাসে সিট বাণিজ্য, টেন্ডারবাজি, ধর্ষণ, যৌন নিপীড়নের জন্য দায়ী করা হয়েছে। এতে উল্লেখ করা হয়েছে, জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী নানা কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল ছাত্রলীগ। এসবের প্রমাণ দেশের সব গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়েছে। কিছু সন্ত্রাসী ঘটনায় সংগঠনটির নেতাকর্মীর অপরাধ আদালতেও প্রমাণ হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে আরো উল্লেখ করা হয়, গত ১৫ জুলাই থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সাধারণ ছাত্রছাত্রী ও জনগণের ওপর আক্রমণ করে শত শত নিরপরাধ শিক্ষার্থী ও ব্যক্তিকে হত্যা করেছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মী; অসংখ্য মানুষের জীবন বিপন্ন করেছে। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরও ছাত্রলীগ রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক, ধ্বংসাত্মক, উস্কানিমূলক ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত। সরকারের কাছে এসব কর্মকাণ্ডের যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে।

রাষ্ট্রপতির আদেশে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন নামাঙ্কিত রাজনৈতিক শাখা-২-এর জারি করা প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯-এর ধারা ১৮-এর উপধারা (১)-এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হলো। নিষিদ্ধ সত্তা হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হলো।

আইনের ১৯ ধারা অনুযায়ী, নি‌ষিদ্ধের সিদ্ধান্ত পুন‌র্বিবেচনার আবেদনে ৩০ দিন সময় পা‌বে ছাত্রলীগ। আবেদন কর‌লে সরকার তা ৯০ দি‌নের ম‌ধ্যে নিষ্প‌ত্তি কর‌বে। নি‌ষি‌দ্ধের সিদ্ধান্ত বহাল থাক‌লে ৩০ দি‌নের ম‌ধ্যে হাইকোর্টে আ‌পিলের সু‌যোগ পা‌বে।

সন্ত্রাসবি‌রোধী আইনের ২০ ধারায় উল্লেখ করা হ‌য়ে‌ছে, নিষিদ্ধ ঘোষিত সত্তার কার্যালয় বন্ধ করবে সরকার। ব্যাংক হিসাব বা অন্য সম্পদ জব্দ হবে। নিষিদ্ধ সংগঠনের সদস্যরা দেশ ত্যাগ করতে পারবে না। সংগঠনের পক্ষে বা সমর্থনে বিবৃতি, বিজ্ঞপ্তি, প্রকাশনা, প্রচারণা, সংবাদ সম্মেলন বা জনসমক্ষে বক্তৃতা নিষিদ্ধ হবে।

গত ১ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার একই আইনে জামায়াতে ইসলামী এবং ইসলামী ছাত্রশিবিরকে নিষিদ্ধ করেছিল। তাদের আবেদনে অন্তর্বর্তী সরকার গত ২৮ আগস্ট নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়।

ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধে বুধবার রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আনন্দ মিছিলের পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নুসরাত তাবাসসুম বলেন, জীবনের অন্যতম আনন্দের দিন আজ। ছাত্রলীগ দীর্ঘ ১৬ বছর ধরেই সন্ত্রাসী কার্যক্রম করেছে। তাদের বিরুদ্ধে কথা বলার কেউ ছিল না। এই ছাত্রলীগ ১৫ জুলাই আমাদের ওপর হামলা করেছে। সারাদেশে তারা অসংখ্য ছাত্র-জনতাকে শহীদ করেছে। সরকারকে ধন্যবাদ জানাই ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করায়। আর কোনো ছাত্র সংগঠন যেন এমন সন্ত্রাসী না হয়।

সমন্বয়ক হাসিব আল ইসলাম বলেন, যারা কথায় কথায় আন্দোলনে জঙ্গিবাদ খুঁজত, তাদেরকেই জঙ্গি ঘোষণা করা হয়েছে। তাদের গর্ত থেকে বের করে ধোলাই দিতে হবে।

আশরিফা খাতুন বলেন, আবু সাঈদের মৃত্যুর পর ছাত্রলীগ রাজাকার দমন হয়েছে বলে উল্লাস করেছিল। যখনই কোনো ন্যায্য দাবিতে রাজু ভাস্কর্যে দাঁড়িয়েছি, ছাত্রলীগ মেরেছে। ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসার জন্য গেলে, সেখানেও মারত। কোনোভাবেই ছাত্রলীগ যেন ফিরতে না পারে।

অন্য ছাত্র সংগঠনগুলো ছাত্রলীগ নিষিদ্ধের বিরুদ্ধে না বললেও উচ্ছ্বাস দেখায়নি। ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন নাসির বলেন, ছাত্রলীগ খুন, ধর্ষণ, চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস, ভোট ডাকাতি, গণহত্যাসহ সব ধরনের মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে। সব জঙ্গি সংগঠন মিলে যত মানুষ খুন করেছে; ছাত্রলীগ এককভাবে বেশি করেছে। ছাত্রদলের শতাধিক নেতাকর্মী গুমের শিকার হয়েছে এবং শহীদ হয়েছে। ছাত্রলীগ নিষিদ্ধে ছাত্র রাজনীতি কলঙ্কমুক্ত হয়েছে। সুস্থ রাজনীতিচর্চার পথ উন্মুক্ত হয়েছে। তবে ছাত্রলীগ নিষিদ্ধই সমাধান নয়। সংগঠনটির যারা সন্ত্রাস করেছে, তাদের সবাইকে বিচারের আওতায় আনতে হবে।

ছাত্রশিবিরের প্রচার সম্পাদক ডা. সাদেক আবদুল্লাহ বলেন, ছাত্র রাজনীতিকে কলুষিত করেছে ছাত্রলীগ। সন্ত্রাস, নিপীড়ন, নির্যাতনের কারণে সাধারণ শিক্ষার্থীরা ছাত্রলীগকে চায় না। ছাত্রলীগের অপরাধীদের বিচার চায়।

ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি মশিউর রহমান রিচার্ড বলেন, ছাত্রলীগের নিষিদ্ধকে সাধুবাদ জানাই। নিষিদ্ধ হলেই অপতৎপরতা বন্ধ হবে না। অপরাপর সংগঠনের সঙ্গে আলাপে নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া প্রয়োজন ছিল। ছাত্রলীগের তৎপরতা বন্ধে জাতীয় ঐক্য প্রয়োজন।

ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি মেঘমল্লার বোস বলেন, নির্বাহী আদেশে কয়েক দিন আগে জামায়াতকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। ক্ষমতার পরিবর্তনে তা বদলেও গেছে। একটি সংগঠনকে নিষিদ্ধ করা কতখানি ফলপ্রসূ হবে, জানি না। নির্বাহী আদেশে ছাত্রলীগকে কতটুকু নিঃশেষ করা যাবে, জানি না। ছাত্রলীগকে মোকাবিলা করতে হবে আদর্শের জায়গায় এবং মাঠের রাজনীতিতে। রাজনৈতিকভাবে সতর্ক থাকতে হবে।

এক সপ্তাহ ধরে ছেলেদের অপেক্ষায় মহাসড়কে পড়ে আছেন বৃদ্ধ

জাতীয়, 15 October 2023, 565 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
ছেলেদের আসার অপেক্ষায় রোদ-বৃষ্টি মাথায় নিয়ে মহাসড়কের পাশে অনাহারে দিন কাটাচ্ছেন সত্তরোর্ধ্ব প্যারালাইসিস রোগে আক্রান্ত এক বৃদ্ধ।

মহাসড়কের ওপর দিনরাত হাজারও গাড়ি যাতায়াত করছে। অনেক গাড়ি স্টেশনে থামার পর যাত্রী নামছে। যাত্রীসহ সব পথচারীর মুখের দিকে ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে দুই চোখের পানি ঝরাচ্ছেন। চোখের পানি শুকিয়ে গেলেও আসছে না তার সন্তানরা।

তার পরও আশা ছাড়েননি এই রোগাক্রান্ত বৃদ্ধ। কেউ জানতে চাইলে বলছেন, আমার ছেলেরা এসে আমাকে নিয়ে যাবে। আমাকে এখানে বসে থাকতে বলেছে, তারা আসবে…।

গত ৬ অক্টোবর ভোর থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার বড়গোবিন্দপুর স্টেশন এলাকায় বসে আছেন সাদা চুল-দাঁড়ির এই বৃদ্ধ। পাশে এক ভাঙা হুইলচেয়ার। বেশ কয়েক দিন অযত্ন-অবহেলায় পাগলের মতো দেখা যাচ্ছে তাকে। প্যারালাইসিস রোগে আক্রান্ত হওয়ায় বাম হাত ও পা তেমন নাড়াচাড়া করতে না পেরে একই স্থানে মলমূত্র ত্যাগ করতে বাধ্য হচ্ছেন এই বৃদ্ধ। দেখতে দেখতে এক সপ্তাহ কেটে গেলেও খোঁজ নিতে আসেননি তার সন্তানরা। স্থানীয়দের মধ্যে অধিকাংশই এক নজর দেখে বাড়তি ঝামেলা মনে করে এড়িয়ে যান। আবার কারও মন কাঁদলেও আইনি ঝামেলার ভয়ে দূরে থাকেন।

তবে সবার থেকে এক ব্যতিক্রম নারী দেবিদ্বার উপজেলার বরকামতা ইউনিয়নের বাসিন্দা রাইহানা ইসলাম রুনা। তিনি জানান, গত ২৯ সেপ্টেম্বর আমার বাবা মারা গেছেন। গত ৮ অক্টোবর সকালে আমি মহাসড়কের গোবিন্দপুর স্টেশনে নেমে গ্রামের বাড়িতে যাওয়ার জন্য অটোরিকশায় উঠব, তখন দেখি এই বৃদ্ধ লোকটিকে ঘিরে রেখেছেন অনেক মানুষ। ওনাকে দেখার পর আমার বাবার কথা মনে পড়ে আবেগ ধরে রাখতে পারিনি। ওই বৃদ্ধ লোকটির সঙ্গে কথা বলার পর জানতে পারি ৫ অক্টোবর রাতে ওনার ছেলেরা নাকি হাসপাতাল থেকে বাড়ি নেওয়ার কথা বলে হুইলচেয়ারে বসিয়ে এখানে ফেলে যান।

তাকে সেবা দিতে আমি চান্দিনা থানা পুলিশের কাছে, উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ে গিয়ে যোগাযোগ করি। কিন্তু আমার কথা কেউ কানে নেয় না। এক সপ্তাহ যাবৎ বিভিন্ন স্থানে দৌড়ঝাঁপ করেও কোনো কূলকিনারা করতে না পেরে অবশেষে সাংবাদিকদের কাছে গিয়ে বিষয়টি জানাই।

গতকাল শনিবার বিকালে মহাসড়কের গোবিন্দপুর স্টেশন এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, মহাসড়কের ঠিক পাশেই বসে আছেন এই বৃদ্ধ। হুইলচেয়ার থেকে পড়ে চোট পেয়েছেন কপালের পাশে ও পায়ে। মলমূত্র ত্যাগ করে নিজেই ধুলো দিয়ে চাপা দিলেও দুর্গন্ধে একাকার। অসুস্থতার পাশাপাশি অনাহারে মুখ দিয়ে ঠিকমতো কথা আসছে না তার।

অস্পষ্ট কথায় তিনি বলেন, আমি দীর্ঘদিন অসুস্থ, আমাকে হাসপাতাল থেকে বাড়ি নিয়ে যাওয়ার কথা বলে রাতে গাড়ি থেকে নামিয়ে এখানে রেখে যায় আমার ছেলে হারুনসহ আরও দুজন।

তিনি জানান, নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলার ছয়ানী ইউনিয়নের ভবানী জীবনপুরের নয়নপুর গ্রামের বাসিন্দা তিনি। তিন ছেলে ও এক মেয়ের জনক তিনি। বড় ছেলে হারুন, মেঝ ছেলে মঈন, ছোট ছেলে জসিম উদ্দিন সবাই চাকরি করে।

চান্দিনা থানার ওসি মো. সাহাবুদ্দীন খান জানান, এ ঘটনায় আমাকে কেউ অবহিত করেনি। যেহেতু এখন জেনেছি নিশ্চয়ই ঘটনাস্থলে গিয়ে খোঁজ নেব।

চান্দিনা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) তাপস শীল জানান, আমি এখনই (শনিবার রাত সাড়ে ৯টা) গিয়ে বিস্তারিত জেনে ব্যবস্থা নেব।