অনলাইন ডেস্ক :
ঢাকাই সিনেমার একসময়ের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক ও সংসদ সদস্য আকবর হোসেন পাঠান ফারুক মারা গেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন)। আজ ১৫ মে সোমবার সকাল ৮টায় সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর আট মাস।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন তার ছেলে রওশন হোসেন পাঠান শরৎ। তিনি জানান, ফারুকের মরদেহ মঙ্গলবার ভোরের ফ্লাইটে দেশে আনা হবে।
দুই বছর ধরে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন বরেণ্য এই অভিনেতা। ২০২১ সালের ৪ মার্চ নিয়মিত চেকআপের জন্য সিঙ্গাপুর যান অভিনেতা ও ঢাকা-১৭ আসনের সংসদ সদস্য ফারুক। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। উচ্চ রক্তচাপ, মস্তিষ্ক, স্নায়ুতন্ত্রের নানা সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। ছিল পুরোনো বেশ কিছু শারীরিক জটিলতাও।
১৯৪৮ সালের ১৮ আগস্ট ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন ফারুক। এইচ আকবর পরিচালিত ‘জলছবি’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে ১৯৭১ সালে ঢাকাই সিনেমার তার অভিষেক হয়। প্রথম সিনেমায় তার বিপরীতে ছিলেন কবরী। এরপর ১৯৭৩ সালে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র খান আতাউর রহমানের পরিচালনায় ‘আবার তোরা মানুষ হ’ ও ১৯৭৪ সালে নারায়ণ ঘোষ মিতার ‘আলোর মিছিল’ এ দুটি সিনেমায় পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয় করেন তিনি।
পাঁচ দশকের বেশি সময়ের অভিনয় ক্যারিয়ারে অভিনয় করেন বহু দর্শকপ্রিয় চলচ্চিত্রে। ‘মিয়াভাই’ চলচ্চিত্রের সাফল্যের পর তিনি চলচ্চিত্রাঙ্গনে ‘মিয়াভাই’ হিসেবে খ্যাতি পান। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ নানা সম্মাননায় ভূষিত হন এই নন্দিত চিত্রনায়ক। অভিনয় থেকে অবসর নেওয়ার পর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে ঢাকা-১৭ আসনে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি।
অনলাইন ডেস্ক :
পাঁজরের চোটে ব্র্যান্ডন কিং ছিটকে না গেলে এই ম্যাচে হয়তো খেলাই হতো না শাই হোপের। সেই হোপ ঘরের মাঠ বার্বাডোজে সুযোগের সদ্ব্যবহার কী দারুণভাবেই না করলেন! ওপেনিংয়ে নেমে একাই মারলেন ৮ ছক্কা। ৩ ছক্কা মেরে তাতে যোগ দিলেন নিকোলাস পুরান।
এবারের বিশ্বকাপে দারুণ ক্রিকেট খেলছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। গ্রুপপর্বের চার ম্যাচের চারটিতেই জয় পেয়েছে তারা। সুপার এইটের প্রথম ম্যাচেও দারুণ ক্রিকেট খেলেছিল দলটি। যদিও শেষ পর্যন্ত ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সেই ম্যাচে জয় পাওয়া হয়নি তাদের। সেমির রেসে টিকে থাকতে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে জিততেই হতো তাদের। সেই কাজটিই এবার করে ফেলেছে তারা। যুক্তরাষ্ট্রকে ১২৮ রানে থামিয়ে আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে ম্যাচে জয় তুলেছে ৫৫ বল ও ৯ উইকেট হাতে রেখে। তাতে সেমির রেসে রান রেটেও অনেকটা এগিয়ে গেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দুই স্বাগতিকের লড়াইয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের এমন ছক্কা-বৃষ্টিতেই উড়ে গেল যুক্তরাষ্ট্র। কেনসিংটন ওভালে আজ টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে ১২৮ রানে অলআউট হয় যুক্তরাষ্ট্র। ওয়েস্ট ইন্ডিজ মাত্র ১ উইকেট হারিয়ে ৫৫ বল হাতে রেখেই লক্ষ্য টপকে গেল।
এ জয়ে সেমিফাইনালে ওঠার দৌড়ে ভালোভাবেই টিকে রইল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আর টানা দুই হারে যুক্তরাষ্ট্রের বিদায় প্রায় নিশ্চিত হয়ে গেল।
হোপ ৩৯ বলে ৮২ রানের বিস্ফোরক ইনিংস খেলেছেন। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এটি তাঁর ক্যারিয়ার সেরা। তবে ম্যাচ সেরা হয়েছেন বার্বাডোজের আরেক সন্তান রোস্টন চেজ। এই অফ স্পিন অলরাউন্ডার করেছেন ক্যারিয়ার সেরা বোলিং। ১৯ রানে ৩ উইকেট নিয়ে তিনিই যুক্তরাষ্ট্রের সংগ্রহকে বড় হতে দেননি।
সেন্ট লুসিয়ায় গত বৃহস্পতিবার ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১৮০ রান করেও বাজেভাবে হেরে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। জন বাটলারের দল রান তাড়া করে ৮ উইকেট আর ১৫ বল বাকি রেখে। ওই হারে ওয়েস্ট ইন্ডিজের নেট রানরেটেও নেতিবাচক প্রভাব পড়েছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে আজ তাই আগের ম্যাচের ক্ষতিই যেন পুষিয়ে দিতে নেমেছিল ক্যারিবীয়রা। হোপ-পুরানের ব্যাটিং–তাণ্ডব সেটা পুষিয়ে তো দিয়েছেই; সঙ্গে সুপার এইটের গ্রুপ ২-এ নেট রানরেটেও সবাইকে ছাড়িয়ে গেছে। এই গ্রুপে টানা দুই জয়ে ৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে দক্ষিণ আফ্রিকা। সমান ২ পয়েন্ট করে হলেও নেট রানরেটে ইংল্যান্ডকে পেছনে ফেলে দুইয়ে উঠে এসেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
রান তাড়ায় আজ জনসন চার্লসকে নিয়ে পাওয়ারপ্লেতে ৫৮ রান এনে দেন হোপ। সপ্তম ওভারের শেষ বলে চার্লস ব্যক্তিগত ১৫ রানে আউট হলেও এরপর যুক্তরাষ্ট্রের বোলারদের ওপর দিয়ে ‘মহাপ্রলয়’ বইয়ে দিয়েছেন হোপ ও পুরান। ৮ ওভার শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান ছিল ১ উইকেট ৭৫। জয়ের জন্য দরকার ৭২ বলে ৪৯। হোপ-পুরান এখান থেকে বাকি কাজ সেরেছেন মাত্র ১৭ বলেই।
এর আগে টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নামা যুক্তরাষ্ট্র শুরুতে স্টিফেন টেলরকে হারালেও আন্দ্রিস গুস ও নীতীশ কুমারের দারুণ ব্যাটিংয়ে পাওয়ারপ্লেতে তোলে ৪৮ রান। কিন্তু সপ্তম ওভারে এ জুটি ভাঙতেই মার্কিনদের ইনিংসে মড়ক লাগে। সব ব্যাটসম্যান যেন আসা-যাওয়ার মিছিলে যোগ দেন। শেষ পর্যন্ত ১২৮ রান করতে পারলেও ওয়েস্ট ইন্ডিজকে থামানোর জন্য তা মোটেও যথেষ্ট ছিল না।
ছক্কা মারা ক্যারিবিয়ানদের নেশা—তা সবার জানা। এ ম্যাচ সেটাই নতুন করে মনে করিয়ে দিল। চারের (৭টি) চেয়ে তাদের ছক্কার (১১টি) সংখ্যাই বেশি।
এই গ্রুপ থেকে দক্ষিণ আফ্রিকা টানা দুই ম্যাচ জিতে অনেকটাই সেমি নিশ্চিত করে ফেলেছে। কাজেই ওয়েস্ট ইন্ডিজকে এখন সেমির জন্য লড়তে হবে ইংল্যান্ডের সঙ্গে। যেখানে নিজেদের শেষ ম্যাচে সেমি নিশ্চিত করতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে লড়তে হবে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। অন্যদিকে ইংল্যান্ড তাদের শেষ ম্যাচটি খেলবে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে। যেখানে দু’দলই জয় পেলে তখন হিসেবে আসবে নেট রান রেট। তবে আপাতত দারুণ জয়ে নেট রান রেটে ইংল্যান্ডকে পেছনে ফেলেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
যুক্তরাষ্ট্র: ১৯.৫ ওভারে ১২৮ অলআউট
(গুস ২৯, নীতীশ ২০, মিলিন্দ ১৯, শালকভিক ১৮; চেজ ৩/১৯, রাসেল ৩/৩১, জোসেফ ২/৩১, মোতি ১/১৪)।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ১০.৫ ওভারে ১৩০/১
(হোপ ৮২*, পুরান ২৭*, চার্লস ১৫; হারমিত ১/১৮)
ফল: ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৯ উইকেটে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: রোস্টন চেজ (ওয়েস্ট ইন্ডিজ)।
অনলাইন ডেস্ক :
রিয়াল মাদ্রিদ লা লিগা শিরোপার লড়াই থেকে আগেই ছিটকে গেছে । বার্সেলোনাকে কতক্ষণ অপেক্ষায় রাখতে পারে সেটাই ছিল দেখার। কিন্তু মঙ্গলবার রাতে আর্জেন্টাইন তরুণের চার গোলে জিরোনার বিপক্ষে ৪-২ গোলে বিধ্বস্ত হয়েছে লস ব্লাঙ্কোসরা। লিগ শিরোপাও তুলে দিয়েছে বার্সার ঘরে।
জিরোনার মাঠে ম্যাচের ১২ মিনিটে প্রথম গোল হজম করে রিয়াল মাদ্রিদ। গোল করেন নিউ ইয়র্ক সিটি থেকে ধারে স্প্যানিশ ক্লাব জিরোনায় যোগ দেওয়া ২৪ বছর বয়সী আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড ভ্যালেন্টিন মারিয়ানো জোসে। যিনি ট্যাটি কাস্তেলানোস নামে পরিচিত।
এরপর ২৪ মিনিটে ব্যবধান ২-০ করেন পাঁচ ফিট ১০ ইঞ্চি উচ্চতার এই ফরোয়ার্ড। ৩৪ মিনিটে রিয়ালের ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড ভিনিসিয়াস গোল করে দলকে ম্যাচে ফেরান। ২-১ গোলে প্রথমার্ধ শেষ করে রিয়াল।
দ্বিতীয়ার্ধে আবার ভালেন্টিন শো। দ্বিতীয়ার্ধের প্রথম মিনিটেই তিনি দলকে ৩-১ গোলের লিড এনে দেন। এরপর ৬২ মিনিটে নিজের ও দলের পক্ষে চতুর্থ গোল করেন চিলি ও উরুগুয়ের লিগ হয়ে নিউইয়র্ক সিটিতে গিয়ে ১০৮ লিগ ম্যাচে ৫০ গোল করা এই ফরোয়ার্ড।
পরে ম্যাচের ৮৫ মিনিটে ভিনির সহায়তায় গোল করে লুকাস ভাসকেস হারের ব্যবধান কমান। তার আগে ২১ শতকের প্রথম ফুটবলার হিসেবে রিয়ালের বিপক্ষে চার গোল করার কীর্তি গড়েন ট্যাটি। জয়ে জিরোনা পয়েন্ট টেবিলে নয়ে উঠেছৈ। আর এক ম্যাচ বেশি খেলে রিয়াল ১১ পয়েন্টে বার্সার চেয়ে পিছিয়ে গেছে।
অনলাইন ডেস্ক :
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্ব শুরুর আগে প্রতিযোগী দেশগুলো নিজেদের মধ্যে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলছে। বাংলাদেশও আজ ২৮মে মঙ্গলবার নিজেদের প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচে স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে খেলার কথা ছিল। কিন্তু একটি বলও মাঠে গড়ানোর আগে পরিত্যক্ত হয়ে গেছে ম্যাচটি। বৃষ্টির বাগড়ায় ম্যাচের ভেন্যু ডালাস প্রেইরি স্টেডিয়ামও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা গেছে।
এক বিবৃতিতে ম্যাচ পরিত্যক্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। তারা জানিয়েছে, ডালাসের গ্র্যান্ড প্রেইরি স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ–যুক্তরাষ্ট্রের পূর্বনির্ধারিত ওয়ার্মআপ ম্যাচটি পরিত্যক্ত হয়েছে। প্রতিকূল আবহাওয়ায় আক্রান্ত হয়েছে পুরো এলাকাটি।
এর আগে ইএসপিএন ক্রিকইনফোর যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি পিটার ডেলা পেনা টর্নেডো ও বৃষ্টি হওয়ার কথা জানিয়ে এক টুইট বার্তায় লিখেছেন, ‘টর্নেডো, মারাত্মক বজ্রবৃষ্টি, বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার। সকাল থেকে ডালাস ও গ্র্যান্ড প্রেইরি এলাকায় বৃষ্টির কারণে বন্যা সতর্কতা চলছে। স্টেডিয়ামে সাময়িকভাবে বসানো জায়ান্ট স্ক্রিন, গ্রাফিক্স সরঞ্জামসহ মাঠের কিছু অংশও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’
ম্যাচটি শুরু হওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৯টায়। কিন্তু বৈরি আবহাওয়ার কারণে নির্ধারিত সময়ের বেশ আগেই খেলাটি বাতিল করা হয়েছে।
এর আগে হিউস্টনে তিন ম্যাচের সিরিজ খেলেছিল বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র। যেখানে টাইগাররা টপ অর্ডার ব্যাটিংয়ে ব্যর্থতার কারণে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ হেরে যায়। তবে নতুন ভেন্যু ডালাসে বাংলাদেশের খেলার অভিজ্ঞতার পাশাপাশি ব্যাটারদের ফর্মে ফেরার সম্ভাবনাও ছিল। তা হাতছাড়া হলো বৈরি আবহাওয়ার কারণে।
আগামী ১ জুন ভারতের বিপক্ষে একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। পরদিন ২ জুন শুরু হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। বাংলাদেশ অবশ্য প্রথম ম্যাচে মাঠে নামবে ৮ জুন। সেদিন টাইগারদের প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড টুর্ণামেন্ট কমিটির আয়োজনে জেলা ক্রীড়া সংস্থা চুয়াডাঙ্গার ব্যবস্থাপনায় ৪২ তম ন্যাশনাল ক্রিকেট চ্যাম্পিয়নশীপ ২০২৩-২৪ টিয়ার ওয়ান (উপরের সারির ৩২ জেলা) এর উদ্বোধনী খেলা গত ৩ মার্চ ২০২৪ চুয়াডাঙ্গা জেলা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়। খেলায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া ৭ উইকেটে ঝালকাঠি কে পরাজিত করে। ১ম ব্যাট করে ঝালকাঠি ৪৩.৫ ওভারে ১৩৯ রানে অলআউট হয়। ঢাকা প্রিমিয়ার লীগে গাজী টায়ার্স ক্রিকেট একাডেমির খেলোয়াড় বাঁমহাতি স্পিনার শামীম মিয়া ৯.৪ ওভার বল করে ১ মেডেন সহ ২৮ রানে ৬টি উইকেট পায়। লাঞ্চের পরে ব্যাট করতে নেমে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২২.৩ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ডানহাতি ব্যাটার নাইম ইসলাম অপরাজিত ৫৬ ও উইকেট কিপার ব্যাটার প্রসেঞ্জিত দাস জুনিয়র অপরাজিত ৫০ রান করে।
২য় খেলা আজ ৬ মার্চ ২০২৪ একই মাঠে অনুষ্ঠিত হয় হাড্ডাহাড্ডি লড়াই শেষে শেষ পর্যন্ত বিজয়ের হাসি হাসে ব্রাহ্মণবাড়িয়া। ব্রাহ্মণবাড়িয়া মাত্র ১ উইকেটে মুন্সিগঞ্জকে হারিয়ে টানা ২য় জয় নিয়ে গ্রুপের শীর্ষে অবস্থান করছে। গতকাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অধিনায়ক মো: সুমন টসে জয়লাভ করে ১ম বল করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। মুন্সিগঞ্জ ৩৮.৩ ওভারে ১৪৫ রানে অলআউট হয়। বাঁম হাতি স্পিনার জালাল ৪টি উইকেট শামীম ও আলিফ ২ করে উইকেট পায় লাঞ্চের পরে ব্যাট করতে নেমে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ৩৭.৫ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায়। নিশাদ ২৩, উদয় ও জালাল ১৯ রান করে। নাইম ১৮ শামীম ১৭ ও প্রসেঞ্জিত ১৬ রান করে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ক্রিকেট দলের সদস্যগণ হলেন মো: সুমন (অধিনায়ক), প্রসেঞ্জিত দাস জুনিয়র (সহ: অধিনায়ক ও উইকেট কিপার), জালাল, ফারদীন, শামীম, হেমায়েত, নিশাদ, বিজয়, রাহিম, উদয়, নাইম, পারভেজ, অমি ও আলিফ কোচ মো: রুহুল কুদ্দুছ শামীম (বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড), ম্যানেজার আবুল কাসেম (সহ-সভাপতি, জেলা ক্রীড়া সংস্থা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া)।
ডেস্ক রিপোর্ট :
বাঁহাতি পেসার মারুফ মৃধার তোপে দুইশ’র নিচে থামতে হলো ভারতকে। জবাবে ৩৪ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ল বাংলাদেশ। শঙ্কা উড়িয়ে এরপর দলকে টানলেন ডানহাতি ব্যাটসম্যান আরিফুল ইসলাম। তাকে যোগ্য সঙ্গ দিলেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান আহরার আমিন। বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ভারতকে হারিয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ফাইনালে উঠল টাইগার যুবারা।
দুবাইতে আজ ১৫ ডিসেম্বর শুক্রবার আসরের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে লো স্কোরিং ম্যাচে ভারতকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ। টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৪২.২ ওভারে মাত্র ১৮৮ রানে অলআউট হয় ভারতীয়রা। লক্ষ্য তাড়ায় ৪৩ বল হাতে রেখে ৬ উইকেটে ১৮৯ রান তুলে জয় নিশ্চিত করে লাল-সবুজ জার্সিধারীরা। এই নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ফাইনালের টিকিট পেয়েছে তারা। এর আগে ২০১৯ সালের প্রতিযোগিতায় ভারতের কাছে হেরেই রানার্সআপ হয়েছিল বাংলাদেশ।
অথচ যুব এশিয়া কাপের গত ৯ আসরে আটবারের চ্যাম্পিয়ন ছিল ভারত। এর মধ্যে কেবল ২০১৭ সালে ফাইনালে উঠতে পারেনি তারা। ওইবার গ্রুপ পর্বে বিদায় নিয়েছিল দলটি। আর দশম আসরে এসে আরেকবার ফাইনালে উঠতে ব্যর্থ হলো তারা। তাদের নবম শিরোপার স্বপ্ন ভেঙে দিল বাংলাদেশের যুবারা।
একই সময়ে শুরু হওয়া আসরের প্রথম সেমিতে চমক দেখিয়ে জিতে শিরোপা নির্ধারণী মঞ্চে জায়গা করে নিয়েছে আয়োজক সংযুক্ত আরব আমিরাত। রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে তারা পাকিস্তানকে হারিয়ে দিয়েছে ১১ রানে। আমিরাতের করা ১৯৩ রানের জবাবে শক্ত অবস্থান থেকে পথ হারিয়ে পাকিস্তানিরা থামে ১৮২ রানে। আগামী রোববার ফাইনালে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও আমিরাত।
প্রতিপক্ষের ইনিংসের প্রথম তিনটি উইকেটই যায় মারুফের ঝুলিতে। শেষদিকে বল হাতে ফিরে আরও একবার উচ্ছ্বাস করেন তিনি। সব মিলিয়ে ৪ উইকেট নিতে ১০ ওভারে তিনি দেন ৪১ রান। চারে নামা আরিফুল অল্পের জন্য সেঞ্চুরিবঞ্চিত হন। ৯০ বলের আক্রমণাত্মক ইনিংসে তিনি করেন ৯৪ রান। তার ব্যাট থেকে ৯ চারের সঙ্গে আসে ৪ ছক্কা। ব্যাটিংয়ের শুরুতে ভারত কেঁপে ওঠে মারুফের তীব্র আঘাতে। ডানহাতি পেসার রোহানাত দৌলা বর্ষণ উইকেট শিকারে যুক্ত হলে মহাবিপর্যয়ে পড়ে তারা। এরপর মুশির খান ও মুরুগান অভিষেকের ফিফটিতে তিন অঙ্কের নিচে গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কা এড়ায় দলটি।
তবে শেষ পর্যন্ত লক্ষ্যটা নাগালের মধ্যেই রাখে বাংলাদেশ। বর্ষণ ৭ ওভারে ৩৯ রানের বিনিময়ে পান ২ উইকেট। অফ স্পিনার শেখ পারভেজ জীবন ধারাবাহিকতা বজায় রেখে আঁটসাঁট বোলিং উপহার দেন। ৮.৪ ওভারে ২৯ রানে তার শিকার নিচের সারির ২ উইকেট। মাঝে বাংলাদেশকে গুরুত্বপূর্ণ ব্রেক থ্রু পাইয়ে দেন অধিনায়ক মাহফুজুর রহমান রাব্বি। মুশির ও অভিষেকের ৮৪ রানের জুটি ভাঙেন বাঁহাতি বোলিং অলরাউন্ডার। বাকিটি রানআউট। প্রথম ওভারেই উইকেট হারিয়ে ধাক্কা খায় আসরের বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। টাইগার পেসারদের তোপ সামলানোর কোনো উপায় খুঁজে পাচ্ছিল না তারা। একের পর এক ব্যাটার সাজঘরে ফেরায় ১৬তম ওভারে দলীয় ৬১ রানে পতন হয় তাদের ষষ্ঠ উইকেটের।
সপ্তম উইকেট জুটিতে প্রতিরোধ গড়েন মুশির ও অভিষেক। তাদের ব্যাটে দুইশর কাছাকাছি পর্যন্ত যেতে পারে ভারত। ছয়ে নামা মুশির ৩ চারে ৬১ বলে করেন ৫০ রান। আটে নামা অভিষেকের ব্যাট থেকে ৬ চার ও ২ ছয়ে আসে ৭৪ বলে ৬২ রান। ভারতের ইনিংসের তৃতীয় সর্বোচ্চ রান আসে অতিরিক্ত খাত থেকে। বাই, লেগ বাই ও ওয়াইড মিলিয়ে ২০ রান পায় তারা। এছাড়া, দুই অঙ্কে যেতে পারেন দলটির আর মাত্র তিন খেলোয়াড়।