চলারপথে ডেস্ক :
বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় করা হত্যা, নাশকতা ও রাষ্ট্রদ্রোহসহ ১১ মামলার অভিযোগ গঠনের ওপর শুনানি ফের পিছিয়েছে। আগামী ১৫ জুন শুনানির নতুন তারিখ ধার্য করেছেন আদালত।
খালেদা জিয়ার পক্ষে করা আবেদনের প্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কেএম আছাদুজ্জামান আজ ১৫ মে সোমবার এ আদেশ দেন।
সংশ্লিষ্ট আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
আজ মামলার চার্জ গঠনের ওপর শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু খালেদা জিয়ার পক্ষে অধিকাংশ মামলার কার্যক্রম উচ্চ আদালতে স্থগিত থাকায় ফের সময় চেয়ে আবেদন করেন তার আইনজীবীরা। আদালত তা মঞ্জুর করে শুনানির পরবর্তী দিন ধার্য করেন। খালেদা জিয়া এসব মামলায় বর্তমানে জামিনে আছেন।
মামলাগুলোর মধ্যে রয়েছে রাজধানীর দারুস সালাম থানায় করা নাশকতার ৮টি, যাত্রাবাড়ী থানার দু’টি ও রাষ্ট্রদ্রোহের একটি মামলা। খালেদা জিয়ার পক্ষে হাইকোর্ট এসব মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউট-পিআইবির সহযোগিতায় পঞ্চগড়ে তিন দিনব্যাপী অনুসন্ধানমূলক রিপোর্টিং প্রশিক্ষণ কর্মশালা রবিবার শেষ হয়েছে। পঞ্চগড় প্রেসক্লাব আয়োজিত এই প্রশিক্ষণে প্রথম দিন সকালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারম্যান ড. প্রদীপ কুমার পান্ডে প্রশিক্ষণার্থীদের কাছে অনুসন্ধানমূলক রিপোর্রির্টং-এর বিভিন্ন ধরণ, প্রকরণ, অনুসন্ধানী ও ডেপথ রিপোর্টিংয়ের মধ্যে পার্থক্য, ডেপথ রিপোর্টিংয়ের সঙ্গা, অনুসন্ধানসাংমূলক রিপোর্টিংয়ের প্রয়োজনীয়তা ও সমাজে এর প্রভাব, তিনি দ্বিতীয় দিন তথ্য অধিকার আইনের বিস্তারিত ধারণা দেন প্রভৃতি বিষয়ের ওপর ধারণা দেন, কোর্স সমন্বয়কারী ও পিআইবির প্রশিক্ষক জিলহাজ উদ্দিন নিপুন অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা ও ফ্যাক্ট চেকিং বিষয়ে ধারণা দেন।
কর্মশালায় তৃতীয় সমাপনী দিনে নিউইয়র্ক টাইমসের স্ট্রিংগার জুলফিকার আলী মানিক অনুসন্ধানমূলক রিপোর্টিংয়ের সংগা, প্রকৃতি ও বৈশিষ্ট্য, ধরণ, কৌশল, রিপোর্ট তৈরির ক্ষেত্রে তথ্য সংগ্রহের কৌশল ও পদ্ধতি, তথ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতা ও করণীয় এবং সোর্সের ব্যবহার সম্পর্কে ধারণা দেন। সাংবাদিকতার ইতিহাস বিষয়ে আলোচনা করেন পিআইবির পরিচালক (প্রশাসন ও অধ্যয়ন-প্রশিক্ষণ) শেখ মজলিশ ফুয়াদ।
আজ বিকালে প্রশিক্ষনের সমাপনী অনুষ্ঠান প্রধান অতিথি হিসেবে সনদপত্র বিতরণ করেন জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলাম।
পিআইবির পরিচালক (প্রশাসন ও অধ্যয়ন-প্রশিক্ষণ) শেখ মজলিশ ফুয়াদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাপনী অনুষ্ঠানে কোর্স সমন্বয়কারী জিলহাজ উদ্দিন নিপুন, পঞ্চগড় প্রেসক্লাবের সভাপতি সাজ্জাদুর রহমান সাজ্জাদ, সিনিয়র সংবাদিক এ রহমান মুকুল বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন পঞ্চগড় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জামিল চৌধুরী ডলার। প্রশিক্ষণে জেলার পাঁচ উপজেলার ৩৫ জন সাংবাদিক অংশ নেয়।
অনলাইন ডেস্ক :
দ্বাদশ জাতীয় সংসদের ৫০টি সংরক্ষিত নারী আসনে বিজয়ীদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশিত হয়েছে।
আজ ২৭ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার নারী আসনে বিজয়ীদের নিয়ে গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
বিজয়ী প্রার্থীদের নামে গেজেট প্রকাশের পর তা জাতীয় সংসদের সচিবালয়ে পাঠানো হবে। এরপর সংসদ সচিবালয় এই সদস্যদের শপথ গ্রহণের আয়োজন করবে।
নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্ত রিটার্নিং কর্মকর্তা (যুগ্ম সচিব) মুনিরুজ্জামান তালুকদার জানান, দ্বাদশ জাতীয় সংসদের ৫০টি সংরক্ষিত নারী আসনের নির্বাচন উপলক্ষে মনোনয়নপত্র দাখিলের নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী গত ১৮ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ/জোটের মনোনীত ৪৮ জন এবং জাতীয় পার্টি মনোনীত দুইজন অর্থাৎ মোট ৫০ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিল করেন।
তিনি আরো জানান, দাখিল করা মনোনয়নপত্রসমূহ পূর্ব ঘোষিত সময়সূচি অনুসারে বাছাইপূর্বক ৫০ প্রার্থীর মনোনয়নপত্রই বৈধ ঘোষণা করা হয়। ঘোষিত সময়সূচি অনুযায়ী প্রার্থিতা প্রত্যাহারের নির্ধারিত সময় ২৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে কোনো প্রার্থী প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেননি। ফলে জাতীয় সংসদ (সংরক্ষিত নারী আসন) নির্বাচন আইন, ২০০৪ এর ধারা ১২ এর উপধারা (১) অনুসারে প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হলো।
নির্বাচনের বিধি অনুযায়ী, সরাসরি ভোটে জয়ী দলগুলোর আসন সংখ্যার অনুপাতে নারী আসন বণ্টন করা হয়। জোট শরিক ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের সমর্থনে ৪৮টি সংরক্ষিত নারী আসনে প্রার্থী মনোনয়ন দিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। বিরোধী দল জাতীয় পার্টি মনোনয়ন দিয়েছে ২টি আসনে।
সংরক্ষিত নারী আসনে আওয়ামী লীগের এমপিরা হলেন-
১. রেজিয়া ইসলাম (পঞ্চগড়), ২. দ্রোপদী দেবি আগরওয়াল (ঠাকুরগাঁও), ৩. আশিকা সুলতানা (নীলফামারী), ৪. রোকেয়া সুলতানা (জয়পুরহাট) – আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য সম্পাদক, ৫. কোহেরী কুদ্দুস মুক্তি (নাটোর), ৬. জারা জেবিন মাহবুব (চাঁপাইনবাবগঞ্জ), ৭. রুনু রেজা (খুলনা), ৮. ফরিদা আক্তার বানু (বাগেরহাট), ৯. ফারজানা সুমি (বরগুনা), ১০. খালেদা বাহার বিউটি (ভোলা), ১১. ফরিদা ইয়াসমিন (নরসিংদী), ১২. উম্মে ফারজানা সাত্তার (ময়মনসিংহ), ১৩. নাদিরা বিনতে আমির (নেত্রকোনা), ১৪. মাহফুজা সুলতানা মলি (জয়পুরহাট), ১৫. পারভীন জামান কল্পনা (ঝিনাইদহ) – আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য, ১৬. আরমা দত্ত (কুমিল্লা), ১৭. লায়লা পারভীন (সাতক্ষীরা), ১৮. মুন্নুজান সুফিয়ান (খুলনা) – সদ্য সাবেক শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী, ১৯. বেদৌড়া আহমেদ সালাম (গোপালগঞ্জ), ২০. শবনম জাহান (ঢাকা), ২১. পারুল আক্তার (ঢাকা), ২২. সাবেরা বেগম (ঢাকা), ২৩. শাম্মী আহমেদ (বরিশাল) – আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক সম্পাদক, ২৪. নাহিদ ইজহার খান (ঢাকা), ২৫. ঝর্ণা আহসান (ফরিদপুর), ২৬. ফজিলাতুন নেছা (মুন্সীগঞ্জ) – সদ্য সাবেক মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী, ২৭. সাহেদা তারেক দিপ্তী (ঢাকা), ২৮. অনিমা মুক্তি গোমেজ (ঢাকা), ২৯. শেখ আনার কলি পুতুল (ঢাকা), ৩০. মাসুদা সিদ্দিক রোজি (নরসিংদী), ৩১. তারানা হালিম (টাঙ্গাইল) – আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য, ৩২. শামসুন নাহার (টাঙ্গাইল) – আওয়ামী লীগের শিক্ষা সম্পাদক, ৩৩. মেহের আফরোজ চুমকি (গাজীপুর)- নির্বাচনে পরাজিত, ৩৪. অপরাজিতা হক (টাঙ্গাইল), ৩৫. হাসিনা বারী চৌধুরী (ঢাকা), ৩৬.নাজমা আক্তার (গোপালগঞ্জ), ৩৭. ফরিদুন্নাহার লাইলী (লক্ষ্মীপুর) – আওয়ামী লীগের কৃষি সম্পাদক, ৩৮. আশরাফুন নেছা (লক্ষ্মীপুর), ৩৯. কানন আরা বেগম (নোয়াখালী), ৪০. শামীমা হারুন লুবনা (চট্টগ্রাম), ৪১. ফরিদা খানম (নোয়াখালী), ৪২. দিলারা ইউসুফ (চট্টগ্রাম), ৪৩. ডরথি তঞ্চঙ্গা (রাঙামাটি), ৪৪. সানজিদা খানম (ঢাকা) – আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য, নির্বাচনে পরাজিত, ৪৫. নাছিমা জামান ববি (রংপুর), ৪৬. নাজনীন নাহার রোশা (পটুয়াখালী), ৪৭. ওয়াসিকা আয়শা খান (চট্টগ্রাম) – আওয়ামী লীগের অর্থ সম্পাদক, ৪৮. রুমা চক্রবর্তী (সিলেট)। অন্যদিকে জাতীয় পার্টি থেকে আগেরবারের সংসদ সদস্য সাবেক প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম ও দলের ভাইস চেয়ারম্যান নুরুন নাহার এমপি নির্বাচিত হয়েছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
চলতি মাসে শেষ হচ্ছে বাংলাদেশ-ভারতের আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ প্রকল্পের কাজ। প্রথমে ট্রায়াল রান (পরীক্ষামূলক) ট্রেন চালানো হবে। যাতে কোনো ত্রুটি না থাকে। চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে রেলপথটি চালুর আশা করছেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন ও সচিব ড. মো. হুমায়ুন কবীর।
ভারত-বাংলাদেশ রেলওয়ে সংযোগ প্রকল্পটি আখাউড়া-ঢাকা হয়ে আগরতলা এবং কলকাতার মধ্যে ভ্রমণের সময় ও দূরত্ব কমিয়ে দেবে। প্রকল্পটি চালু হলে ৩১ ঘণ্টার পরিবর্তে সময় লাগবে ১০ ঘণ্টা এবং আগরতলা-কলকাতার দূরত্ব ১ হাজার ৬৫০ কিলোমিটার থেকে দূরত্ব কমে দাঁড়াবে মাত্র ৫১৩ কিলোমিটার।
স্থানীয় বাসিন্দাদের কর্মসংস্থানের পাশাপাশি দুই দেশের মধ্যে রেলপথে বাণিজ্যের দ্বার খুলবে, কমবে পরিবহণ খরচ- এমনটাই দাবি করছেন রেলপথ মন্ত্রী ও সচিবসহ সংশ্লিষ্টরা।
গেল মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে আখাউড়া-আগরতলা রেললাইন প্রকল্প কাজ প্রথমে পরিদর্শন করেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন। পরে পরিদর্শন করেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. হুমায়ুন কবীর। তারা দু’জনই জানিয়েছেন, সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এ প্রকল্প উদ্বোধন করবেন।
প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের দাবি, ইতোমধ্যে প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৯০ শতাংশের বেশি শেষ হয়েছে এবং চলতি জুন মাসের মধ্যে বাকি কাজও সম্পূর্ণ হবে। তবে এ রেলপথটি চালু হলে প্রথমে শুধু দুই দেশে পণ্য পরিবহণ হবে।
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আখাউড়া থেকে আগরতলার নিশ্চিন্তপুর পর্যন্ত ডুয়েল গেজ রেলপথ নির্মাণের জন্য ২০১৮ সালের ২১ মে ভারতের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান টেক্সমেকো রেল অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তি হয়। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ২০১৮ সালের ২৯ জুলাই প্রকল্পের কাজ শুরু করে।
দুই দেশের এ রেলপথের দৈর্ঘ্য ১২.২৪ কিলোমিটার। এর মধ্যে বাংলাদেশ অংশে ৬.৭৮ কিলোমিটার। এ প্রকল্পটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ৪৭৭ কোটি ৮১ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ৫৭ কোটি ৫ লাখ টাকা এবং ভারতীয় ঋণ ৪২০ কোটি ৭৬ লাখ কোটি টাকা।
২০১০ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের সময় এ রেলপথ নির্মাণের বিষয়ে উভয় দেশের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই হয়।
আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ প্রকল্পের পরিচালক ও ভারতীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান টেক্সমেকো রেল অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের প্রকৌশলী ভাস্কর বকশী জানান, করোনার কারণে আমাদের দীর্ঘদিন কাজ বন্ধ রাখতে হয়েছিল। প্রকল্পের কাজের মালামালও ভারত থেকে আনা যায়নি। পরবর্তীতে করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও মালামাল আনার অনুমতি পেতে বিলম্ব হয়েছিল। এখন আমাদের শেষ পর্যায়ের কাজ চলছে।
তার দাবি, বাংলাদেশ সরকারের বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যেই আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ প্রকল্পের কাজ শেষ করতে পারব।
গত ১৭ মে প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের রেলপথ মন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ দুই দেশের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা আশা করছি, চলতি জুন মাসের মধ্যে আখাউড়া-আগরতলা রেলপথের নির্মাণ কাজ শেষ হবে। সেপ্টেম্বরের পরে জাতীয় নির্বাচন রয়েছে। তাই সেপ্টেম্বরের মধ্যে আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আনুষ্ঠানিকভাবে এ রেলপথ উদ্বোধন করবেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
নাটোরের সিংড়ার কলেজপাড়ায় ঘুমন্ত অবস্থায় সাপের কামড়ে আনুসা ঘোষ নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আজ ১২ জুন সোমবার সকালে এই দুর্ঘটনা ঘটে। মৃত শিশু কলেজপাড়া মহল্লার বাসুতোষ ঘোষের মেয়ে।
শিশুর কাকা সমির ঘোষ জানান, প্রতিদিনের মত শিশু আনুসা ঘোষ তার মা বাবার সাথে ঘুমিয়ে ছিল। সকাল সাড়ে ৭ টার দিকে আনুসা ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় সে চিৎকার দিলে তার মা-বাবাসহ পরিবারের সদস্যরা এসে জানতে চাইলে সে শুধু কান্না করতে থাকে। পরে আনুসার পায়ে রক্তসহ সাপের কামড়ের দাগ দেখতে পায় তারা। দ্রুত তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশু আনুসাকে মৃত ঘোষণা করেন।
সিংড়া থানার ওসি মিজানুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সাপের কামড়ে এক শিশুর মৃত্যুর খবর তিনি শুনেছেন।
অনলাইন ডেস্ক :
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে প্রায় সব ধরনের অপরাধ কাজ সংঘটিত হচ্ছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জায়গাগুলো ধর্মান্ধতার জন্য প্রজনন স্থান হয়ে উঠেছে।
ধর্মান্ধ গোষ্ঠীগুলোর লোকবল সংগ্রহের একটি জায়গা হয়ে উঠেছে এটি।
আজ ২৬ আগস্ট শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সেন্টার ফর জেনোসাইড স্টাডিজের উদ্যোগে ‘জেনোসাইড অ্যান্ড জাস্টিস : বাংলাদেশ রেসপন্স টু দ্য রোহিঙ্গা ক্রাইসিস’ শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরগুলো ধর্মান্ধতার জন্মস্থান ও জঙ্গি গোষ্ঠীগুলোর লোকবল সংগ্রহের জায়গা হয়ে উঠেছে। এটি একটি অনেক বড় সমস্যা। এটি শুধু বাংলাদেশের জন্য সমস্যা নয়, পুরো অঞ্চলের জন্য সমস্যা। এজন্য রোহিঙ্গা সমস্যার দ্রুততম সময়ের মধ্যে সমাধান জরুরি৷
তিনি আরো বলেন, আমাদের বুঝতে হবে কিছু রোহিঙ্গা শরণার্থী বাছাই করে কানাডা, ইউরোপ, আমেরিকায় নিয়ে যাওয়া কোনো সমাধান নয়। এটি বরং সমস্যাকে আরো বাড়িয়ে তুলছে। কারণ মিয়ানমারে শরণার্থীরা এটি জানতে পারলে তারা বাংলাদেশে আসতে উৎসাহ বোধ করে। এই সমস্যার সমাধান হলো রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মর্যাদা, সম্মান ও পূর্ণ নাগরিক অধিকারের সঙ্গে প্রত্যাবাসন। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছ থেকে মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টি করা গুরুত্বপূর্ণ, যাতে তারা তাদের দায়িত্ব এড়াতে না পারে। এরা তাদের নাগরিক, তাদের ফিরিয়ে নেওয়া উচিত।
এ সময় জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, বর্তমানে রোহিঙ্গারা যেই এলাকায় বসবাস করছে সেখানে নিরাপত্তা একটি বড় ইস্যু। সেই এলাকাগুলোতে নিয়মিতভাবে হত্যা, খুন, গুম, মানবপাচারসহ নানা রকমের অনৈতিক ও অবৈধ কার্যক্রম চলছে। সেখানে ১০টির মতো জঙ্গি গ্রুপ সক্রিয় রয়েছে৷ আমরা সেই বিষয়গুলোকে আমলে নিয়ে কাজ করার চেষ্টা করছি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. আখতারুজ্জামান রোহিঙ্গা শরণার্থীদের অবিলম্বে দেশে ফেরত নিতে মিয়ানমারের ওপর চাপ প্রয়োগের জন্য বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান। এ সময় রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে কার্যকর উপায় বের করার ওপরও তিনি গুরুত্বারোপ করেন।
সেন্টার ফর জেনোসাইড স্টাডিজের পরিচালক অধ্যাপক শেখ হাফিজুর রহমান কার্জনের সভাপতিত্বে সেমিনার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. জিয়া রহমান, ইউএনএইচসিআর-এর প্রতিনিধি জোহার ভ্যানদার ক্ল্যাও নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ এয়ার কমোডর (অব:) ইশফাক এলাহী চৌধুরী, মাইগ্রেশন বিশেষজ্ঞ আসিফ মুনির ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সিপিজের (গবেষণা) পরিচালক ড. এম সঞ্জীব হোসেন প্যানেল আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. জামিলা এ চৌধুরী স্বাগত বক্তব্য দেন।