চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগরে অদক্ষ, প্রশিক্ষণবিহীন ও অপ্রাপ্তবয়স্ক ড্রাইভার কর্তৃক অটো থ্রি হুইলার চালানোর কারণে নবীনগরে যানজট সমস্যা বেড়েই চলেছে যানজট নিরসনে আজ ১৬ মে নবীনগর পৌরসভায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়।
মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন উপজেলা সহকরি কমিশনার (ভূমি) মাহম্মুদা জাহান।
এসময় ড্রাইভারদের সতর্ক করার পাশাপাশি ৬ জনকে ১৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া, ক্যাফে রিভার ভিউ রেস্টুরেন্টের একটি পাইপ ফেটে নিচে ময়লা পানি পড়ে জনগণের চলাচলে বিঘ্ন ঘটানোর দায়ে ২০০০ টাকা জরিমানা করা হয় ও আজ বিকেলের মধ্যেই এই সমস্যা সমাধানের জন্য কঠোর নির্দেশনা দেয়া হয়। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগর উপজেলার সলিমগঞ্জ ইউনিয়নের কাদৈর গ্রামের এন্তাজ মিয়ার ছেলে অটোরিকশা চালক আরাফাত হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে নারায়ণগঞ্জে অভিযান চালিয়ে ছিনতাই হওয়া অটোরিকশাসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে নবীনগর থানা পুলিশ।
আজ ৬ নভেম্বর বুধবার দুপুরে নবীনগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. সিরাজুল ইসলাম প্রেস ব্রিফিং করে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার রতনপুর গ্রামের মাঈনুদ্দিন, আড়াই হাজার থানার ইসাক মিয়া ও সোনারগাঁও থানার হোসেন মাহমুদ।
হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে একালাবাসী নবীনগর প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করছে। আরাফাতের মা- বাবা খুনিদের ফাঁসি দাবি করেছেন।
উল্লেখ, গত ৩০ নভেম্বর বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে নবীনগরের খাগাতুয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ছুরিকাঘাতে আরাফাতকে হত্যা করে তার অটোরিকশা নিয়ে পালিয়ে যায় খুনিরা।
চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগরে মদ্যপান করিয়ে এক বন্ধু অপর বন্ধুকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে খুন করেছে। খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর সদস্যরা নিহতদের লাশ উদ্ধার করেছে। পাশাপাশি ঘটনার সঙ্গে জড়িত দুই জনকে আটক করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর থানা পুলিশের হাতে সোপর্দ করেছে। ১১ আগস্ট রোববার রাত ৯টার দিকে নবীনগর পৌরসভার নারায়ণপুর গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটেছে।
জানা যায়, নবীনগর পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ড নারায়ণপুর গ্রামের বাসিন্দা ইসমাইল মিয়ার ছেলে ওয়ার্কশপ মিস্ত্রি রাহিম (২২) ও একই মহল্লার বাসিন্দা পল্লী বিদ্যুতের ইলেকট্রিশিয়ান জামাল পাশার দুই ছেলে শাকিল (২২) ও ফারুক (২০) তিনজনই ঘনিষ্ঠ বন্ধু। পার্টি দেওয়ার কথা বলে এরা তিন বন্ধু রোববার রাত সাড়ে ৮টায় নিউ টাউন নামে পরিচিত নারায়ণপুর পূর্বপাড়া জামাল পাশার বাগানবাড়িতে একটি দোচালা ঘরে একত্রিত হয়ে মদ্য পান করে। অতিরিক্ত মদ্য পান করে রাহিম মাতাল হয়ে যায়। এ তাদের মাঝে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ সময় শাকিল ও মারুফ তাদের ঘরে থাকা ধারালো ছুরি দিয়ে রাহিমের বুকে পেটে ও মাথায় প্রায় ২০টি আঘাত করে তাকে নৃশংসভাবে খুন করে। রাহিমকে খুন করে শাকিল ও মারুফ দুই ভাই লাশের পাশেই বসে ছিল। পরে আশপাশের লোকজন থেকে নবীনগর ক্যাম্পে থাকা সেনাবাহিনী খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে রাত ১২টায় নিহতের লাশসহ শাকিল ও মারুফকে আটক করে নবীনগর থানা পুলিশের হাতে সোপর্দ করেছে। শাকিল ও মারুফ পেশায় ইলেকট্রিক মিস্ত্রি।
শাকিল ও মারুফের মা জায়েদা বেগম জানান, রাহিম আমার ছেলেদের বন্ধু ছিল। রাত ৮ দিকে আমার দুই ছেলে ঘর থেকে বের হয়ে গেছে। রাহিমের মায়ের চিৎকার শুনে আমি ঘর থেকে বের হয়ে খুনের কথা জানতে পেরেছি।
নিহত রাহিমের মা রত্না বেগম জানান, আমার ছেলে দুপুরেও ভাত খায়নি, মাগরিবের পর খাবার খেয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে গেছে। আর ফিরে আসে নাই, রাত ৯টা বেজে গেল, বাড়িতে না আসায় তার মোবাইলে ফোন দিলাম, ফোন বন্ধ বলে। এর কিছুক্ষণ জানতে পারি আমার ছেলেরে মাইরা লাইছে জামালের দুই পোলা। গিয়া দেখি মাটিতে আমার কলিজার ধন ঘুমিয়ে আছে।
নবীনগর থানার অফিসার্স ইনচার্জ মাহবুব আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, খুনের সাথে জড়িত দুই জন আটক রয়েছে। লাশ ও রক্ত মাখা ছুরিসহ আরও কিছু আলামত উদ্ধার করা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য আজ ১২ আগস্ট সোমবার সকালে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া শুরু হয়েছে।
স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে মুক্তিযোদ্ধা আবুল হাশেমকে (৭৩) রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয়েছে। শনিবার দিবাগত রাত ৯টার দিকে উপজেলার শাহবাজপুর গ্রামে নিজ বাসভবনে তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। পারিবারিক সূত্র জানায়, আবুল হাশেম দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন। গত শনিবার রাতে নিজ বাসভবনে তিনি শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন। গতকাল রোববার দুপুরে স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের মাঠে তাকে নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভারপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মুহাম্মদ সরওয়ার উদ্দীনের নেতৃত্বে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দেয়া হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মো. ইসমত আলী, সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আসলাম হোসেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ৫ ছেলেসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগরে দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার ১৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করা হয়েছে। দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার উপজেলা ফ্রেন্স ফোরামের উদ্যোগে ৭ জুন শুক্রবার সন্ধ্যায় নবীনগর প্রেসক্লাবে কেক কাটা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রেসক্লাব সভাপতি শ্যামা প্রসাদ চক্রবর্তী শ্যামলের সভাপতিত্বে ও প্রেসক্লাবের সহ-সাধারণ সম্পাদক মো. দেলোয়ার হোসেন এর সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন যায়যায়দিন পত্রিকার নবীনগর প্রতিনিধি গোলাম মোস্তফা, প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আবু কামাল খন্দকার, প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মাহাবুব আলম লিটন, প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি আরিফুল ইসলাম মিনাজ, নবীনগর ইচ্ছাময়ী পাইলট উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সদস্য তাজুল ইসলাম মনা, মোহাম্মদ হোসেন শান্তি, প্রেসক্লাবের কার্যকরী কমিটির সদস্য পিয়াল হাসান রিয়াজ, সাংবাদিক খানজাহান আলী চৌধুরী প্রমুখ।
আলোচনা শেষে কেক কাটা অনুষ্ঠিত হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগরের বড়াইল ইউনিয়নের খারঘর গ্রামে ১৯৭১ সালে ১০ অক্টোবর পাক হানাদার বাহিনী মহান মুক্তিযোদ্ধে ৪৩ জনকে একসাথে নির্মমভাবে হত্যার ৫৪তম দিবস উপলক্ষ্যে এক স্মরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
আজ ১০ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় উপজেলার ১নং বড়াইল ইউনিয়নের খারঘর গ্রামের আত্নদানকারী শহীদদের স্মরণে গণকবর সংরক্ষণ ও বাস্তায়ন কমিটি আয়োজনে পাগলা নদীর তীরে অবস্থিত মুক্তিযুদ্ধের ৭১ স্মৃতিসৌধ এবং খারঘর গণকবর জামে মসজিদ ও মাদরাসার সামনে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহ্ফিলসহ বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করা হয়েছে।
খারঘর গণহত্যা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্টানে খারঘর গণকবর সংরক্ষণ ও বাস্তায়ন কমিটি সভাপতি সিনিয়র সাংবাদিক মোঃ ইমরুল কায়েস সুমনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর ফরহাদ শামীম।
গণকবর সংরক্ষণ ও বাস্তায়ন কমিটি সাধারণ সম্পাদক মোঃ মহিউদ্দিন আহমেদ জীবনের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিশেষ অতিথি বিএনপি’র জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য তকদির হোসেন মোহাম্মদ জসিম, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মেজর ডা. আসাদুজ্জামান রিফাত, নবীনগর উপজেলার সহকারী কমিশনার ভূমি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবু মুছা, নবীনগর থানা কর্মকর্তা(ভারপ্রাপ্ত) সজল কান্তি দাস,নবীনগর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি এডভোকেট রেজাউল করিম সবুজ, বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী মোখলেছুর রহমান, খারঘর যুদ্ধে যুদ্ধাহত রিনা বেগম,সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, রজব আলী মোল্লা, বড়াইল ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. আবুল বাশার, বড়াইল কেন্দ্রীয় ঈদগাহ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. নাছির উদ্দীন মীর, বড়াইল ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. মহিউদ্দিন প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী কর্তৃক গণহত্যার শিকার বাংলাদেশে যতগুলো গণকবর রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম খারঘর গণকবর। এটি বড়াইল ইউনিয়নের খারঘর গ্রামের স্বাধীনতা যুদ্ধের ঐতিহ্যবাহী জায়গা। এই জায়গাটি স্বাধীনতা পরবর্তী অনেকেই ক্ষমতায় এসেছে কিন্তু উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে গঠিত সরকার কাছে এই এলাকা মুক্তিযোদ্ধা ও তরণ প্রজন্মের ও খারঘর গণকবর সংরক্ষণ কমিটির দাবি একটি গণকবর কমপ্লেক্স নির্মাণ ও অবহেলিত ৪৩ জন শহীদ পরিবারের পুনর্বাসন করা।
বক্তারা আরো বলেন, খারঘর অনেক মুক্তিযোদ্ধা পরিবার রয়েছে যাদের পরিবারের সদস্যরা মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহন করতে গিয়ে শহীদ ও আহত হয়েছেন। সেই শহীদ ও আহত পরিবার সদস্যদের প্রতি সরকারের মানবিক দৃষ্টি ও সহযোগিতা কামনা করেন।