চলারপথে রিপোর্ট :
নদীতে ভেসে উঠেছে পচাগলা মরদেহ৷ পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। ময়নাতদন্তের পর মরদেহটি দাফনের জন্য খবর দেওয়া হয় ‘ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাতিঘর’ সংগঠনকে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পরিচয়বিহীন মরদেহ উদ্ধার হলেই দাফন কাফনের জন্য ডাক পড়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাতিঘরের। সংগঠনটি গত দুই বছরে ১০১টি পরিচয়বিহীন মরদেহ দাফন করেছে। ১১ মে শহরের মেড্ডায় তিতাস নদীর পাড়ে কবরস্থানে ১০১তম পরিচয়বিহীন মরদেহটি সংগঠনের সদস্যরা দাফন করেন।
সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রকৌশলী আজহার উদ্দিন জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাতিঘর সংগঠনটি মূলত প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল ব্লাড ডোনেশনের জন্য৷ এ পর্যন্ত প্রায় ৭০০০ ব্যাগ রক্ত দান করেছেন সংগঠনের সদস্যরা। কিন্তু মহামারি করোনার সময় প্রথম দিকে কেউ আক্রান্ত হয়ে মারা গেলে মরদেহের কাছে আসতে অনেকেই ভয় পেতেন। সে সময় নিজ সন্তানও মা-বাবার মরদেহের কাছে আসেননি। এ অবস্থায় পরিবারের সদস্যরা মরদেহ দাফনে অপারগতা জানালে আমরা করোনা আক্রান্ত মরদেহ দাফনের কাজ শুরু করি। ওই সময় ৮টি করোনা আক্রান্ত মরদেহ দাফন করেছি।
আজহার উদ্দিন জানান, একদিন কবরস্থানে দেখলাম অজ্ঞাত পরিচয়বিহীন মরদেহ কোনো প্রকার কাফন এবং জানাজা ছাড়া মাটি খুঁড়ে চাপা দেওয়া হচ্ছে। একটা মরদেহ সম্মানের সঙ্গে দাফন না করায় খারাপ লেগেছিল। এরপর বন্ধু-বান্ধব সহকর্মীদের নিয়ে ‘ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাতিঘর’ থেকে উদ্যোগ নেওয়া হলো অজ্ঞাত পরিচয়ের মরদেহ গোসল, কাফন ও ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী দাফনের। কাফন ও দাফনের আনুষঙ্গিক ব্যয় আমাদের সদস্যদের ব্যক্তিগত চাঁদায় হয়ে থাকে।
এছাড়া মাঝে মাঝে বাইরে থেকেও স্বেচ্ছায় কেউ দিয়ে থাকেন। এখন জেলার কোনো জায়গায় অজ্ঞাত মরদেহ উদ্ধার হলেই হাসপাতাল মর্গে ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাতিঘরের ডাক পড়ে। ধীরে ধীরে সেই অজ্ঞাত মরদেহের দাফনের সংখ্যা শতাধিকে দাঁড়িয়েছে।
২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তত্ত্বাবধায়ক ডা. ওয়াহীদুজ্জামান বলেন, ‘ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাতিঘর’ যে কাজটি করছি তা খুবই মানবিক। তাদের কাজের অবশ্যই প্রশংসা করতে হয়। অজ্ঞাত মরদেহগুলো দাফনের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের অভিনন্দন জানাই। সমাজের সবার উচিত তাদের এসব কাজে পাশে দাঁড়িয়ে উৎসাহ দেওয়া।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম বলেন, আমার জানা মতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অজ্ঞাত মরদেহ দাফনের একমাত্র সামাজিক সংগঠন ‘ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাতিঘর’। পুলিশ যখনই অজ্ঞাত মরদেহ উদ্ধার করে, তাদের খবর দেওয়া হয় দাফন কাফন করতে। তাদের উত্তরোত্তর সফলতা কামনা করি। আমাদের পক্ষ থেকে তাদের প্রতি যেকোনো সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
যুক্তিবাদী হতে হলে বিতর্ক শিখনের মাধ্যমে বাস্তববাদী মানুষ হওয়া যাবে। লেখাপড়ার পাশাপাশি বিতর্কসহ বিভিন্ন কারিকুলামে অংশ গ্রহণ করতে হবে। প্রতিষ্ঠার ৩৮ বছর উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শিশু নাট্যম আয়োজিত দুই দিনব্যাপী প্রথম স্কুল ভিত্তিক বিতর্ক প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি জাবেদ রহিম বিজন।
গভঃ মডেল গার্লস হাই স্কুলের সিনিয়র শিক্ষক মোঃ গিয়াস উদ্দিন মৃধার সভাপতিত্বে বিতর্ক প্রশিক্ষণ কর্মশালার প্রথম দিন বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া শিশু কল্যাণ পরিষদের সভাপতি মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন।
সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক নিয়াজ মোঃ খান বিটুর পরিচালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের উপদেষ্টা চিত্রশিল্পী মোঃ আসাদুর রহমান আলমগীর। গভঃ মডেল গার্লস হাই স্কুলের সহায়তায় ও-ই স্কুলের ১৫৫ জন ছাত্রী অংশগ্রহণের মাধ্যমে ১৭ জানুয়ারি শুক্রবার সকাল নয়টায় শুরু হওয়া বিতর্ক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় উচ্চারণ ও পূর্ব প্রস্তুতি বিষয়ক বিতর্ক প্রশিক্ষণ কর্মশালা পরিচালনা করেন বিতার্কিক তৌহিদুর রহমান আদিল ও আবৃত্তি শিল্পী অমর আহমেদ। সকাল আটটায় শুরু হবে দ্বিতীয় দিনে সারা দিনব্যাপী বিতর্ক প্রশিক্ষণ কর্মশালা পরিচালনা করবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও রুয়েট এর বিতার্কিক। বিকাল চারটায় সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক মোঃ সাইফুল ইসলাম।
চলারপথে রিপোর্ট :
মাদক সেবনরত অবস্থায় আটক করে ৭ যুবককে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। একই সাথে তাদেরকে অর্থদন্ডও করা হয়। আজ ১১ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার সকালে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুনতাহা তাসনিম মৌ এই অভিযান পরিচালনা করেন।
এ সময় তাদেও কাছ থেকে গাঁজা উদ্ধার করা হয়। কারাদন্ড ও অর্থদন্ডে দন্ডিতরা হলো, মোঃ অনিক, মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, মোঃ সাজিদ, মোঃ হেলাল উদ্দিন, মোঃ শাওন মিয়া, মোঃ সফিকুল ইসলাম ও মোঃ রিমন মিয়া। তাদেরকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর সূত্র নিশ্চিত করেছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক মোঃ রফিকুল ইসলাম জানান, পৌর এলাকার পুনিয়াউট ও কাউতলী সেতু এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে গাঁজা সেবনরত অবস্থায় ওই ৭জনকে আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৩৫ গ্রাম গাঁজা পাওয়া যায়। পরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাদেরকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা প্রদান করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছেলের মৃত্যুর খবরে মায়ের মৃত্যু হয়েছে। হৃদয় বিদারক এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নের দক্ষিণ জগৎসার গ্রামের ইদ্রিস মিয়ার ছেলে সাগর মিয়া (৩৮) এর হার্টের সমস্যা ছিলো।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে বাড়িতে সাগর মিয়ার স্ট্রোক করলে তাকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভর্তি রাত হয়। রাত ৯টার দিকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাগর মিয়া মারা যান।
সাগরের চাচাতো ভাই মনির হোসেন বলেন, হাসপাতালে সাগর মারা গেছেন এই খবর শুনে সাগরের মা মুর্শিদা বেগম-(৬৫) ও হৃদরোগে আক্রান্ত হন। পরে তাকে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আনার পথে রাত ১০ টার দিকে তিনিও মারা যান।
এ ব্যাপারে মাছিহাতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আল-আমিনুল হক পাবেল বলেন, সাগর মিয়া পেশায় একজন অটোচালক ছিলো। সাগরের মৃত্যুর খবর পেয়ে তার মা মুর্শিদা বেগমও মারা গেছেন। ঘটনাটি খুবই হৃদয়বিদায়ক। এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার বিভিন্ন কার্যক্রম পরিদর্শন করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম। তিনি গতকাল মঙ্গলবার বিকাল ৩টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার অস্থায়ী কার্যালয়ে আসেন। এ সময় তাঁকে ফুলের তোড়া দিয়ে স্বাগত জানান ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার মেয়র মিসেস নায়ার কবির। জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার কার্যক্রমের বিভিন্ন দিক খতিয়ে দেখেন। এ সময় তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার ট্যাক্স আদায় জোরদার করার পরামর্শ দেন। তিনি সরকারী বিধিমালা অনুসরণ করে পৌরসভার প্রশাসনিক কর্মকান্ড পরিচালনা করার ব্যাপারেও গুরুত্বারোপ করেন। এ সময় তিনি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতার করার আশ্বাস প্রদান করেন।
পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আঃ কুদ্দূস, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ইয়ামিন হোসেন, পৌরসভার সংরক্ষিত কাউন্সিলর হোসনে আরা বেগম, শাহানা বেগম, মিনারা বেগম, নিলুফা ইয়াছমিন, কাউন্সিলর মোঃ জামাল হোসেন, শেখ মোঃ মাহফুজ মিয়া, আক্তার হোসেন চৌধুরী, মিজানুর রহমান, মোঃ আবদুল মালেক, ওমর ফারুক জীবন, ফারুক আহমেদ, মীর মোঃ শাহীন মিয়া, মোঃ ফারুক মিয়া, মোঃ কাওসার মিয়া, মোঃ সাকিল, মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম, নির্বাহী প্রকৌশলী কাউছার আহমেদ, পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সামছুদ্দিন, হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মোঃ গোলাম কাউছার, সহকারী প্রকৌশলী সবুজ কাজীসহ অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।
চলারপথে রিপোর্ট :
নদী ও প্রকৃতি সুরক্ষা সামাজিক আন্দোলন ‘তরী বাংলাদেশ’ এর উদ্যোগে আজ ১৫ অক্টোবর মঙ্গলবার ডেঙ্গু প্রতিরোধে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর শহরের বিভিন্ন স্থানে জনসচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করা হয়। সকাল সাড়ে ১০টায় শহরের পৌর কার্যালয়ের সম্মুখে লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি উদ্বোধন করেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক ও পৌর প্রশাসক মোহাম্মদ রুহুল আমিন।
উদ্বোধন শেষে পৌর প্রশাসকের কার্যালয়ে একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় বক্তব্য রাখেন পৌর প্রশাসক মোহাম্মদ রুহুল আমিন, উপ-পরিচালক জেলা মহিলা অধিদপ্তর নিরূপা ভৌমিক, উপ পরিচালক কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ সুশান্ত সাহা, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস মো. শামসুর রহমান, তরী বাংলাদেশ এর আহবায়ক শামীম আহমেদ, শহর পরিকল্পনাবিদ জান্নাতুল ফেরদৌস আরা এবং তরী বাংলাদেশ এর আহবায়ক কমিটির সদস্য খালেদা মুন্নী। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার সমাজ উন্নয়ন কর্মকর্তা মুখলেছুর রহমান। সভায় পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন।
তরী বাংলাদেশ এর পক্ষে আরো উপস্থিত ছিলেন আহবায়ক কমিটির সদস্য হৃদয় কামাল, সোহেল রানা ভূইয়া, সুশান্ত পাল, আব্দুল হেকিম, সদস্য সঞ্জীব চন্দ্র সাহা,শাকিল আহমেদ, মো. মোশারফ হোসেন, মো. বাচ্চু মিয়া প্রমুখ।
সভায় বক্তারা ডেঙ্গুর ভয়াবহতা নিয়ে আলোচনা করেন এবং ডেঙ্গু প্রতিরোধে সবার সহযোগিতা কামনা করেন। যার যার অবস্থান থেকে ব্যক্তি পর্যায়ে সচেতন হওয়ার গুরুত্ব তুলে ধরেন। জনস্বার্থে ডেঙ্গু প্রতিরোধে এই সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ কার্যক্রম এবং বিভিন্ন সময়ে জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য ‘তরী বাংলাদেশ’ কে ধন্যবাদ জানান পৌর প্রশাসক মোহাম্মদ রুহুল আমিন।
তরী বাংলাদেশ এর আহবায়ক শামীম আহমেদ জানান – আমাদের ধারাবাহিক কাজের অংশ হিসেবে জনস্বার্থে এই সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ কার্যক্রম তরী বাংলাদেশ এর বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা শাখা সমূহের মাধ্যমে অব্যাহত থাকবে।