চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় বোরো মৌসুমে ধান সংগ্রহ অভিযান শুরু করেছে সরকার। আজ ১৬ মে মঙ্গলবার বিকালে উপজেলা পরিষদ চত্বরে সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ধান ক্রয়ের মাধ্যমে ধান সংগ্রহ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহ অফিসার অংগ্যজাই মারমা। প্রথম দিন চার জন কৃষকের কাছ থেকে ১০ মেঃ টন ধান কেনা হয়। প্রতি কেজি ধানের মুল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০ টাকা। প্রতি মন ধান ১ হাজার ২০০ টাকায় ক্রয় করবে সরকার। একজন কৃষক সর্বোচ্চ ৩ মেঃ টন ধান বিক্রি করতে পারবেন। আগামী ৩১ আগষ্ট পর্যন্ত ধান সংগ্রহ অভিযান চলবে।
এবছর ধান সংগহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪৬৬ মেঃ টন। যে কোন কৃষক ধান সরকারি মূল্যে ধান বিক্রি করতে পারবেন।
এ উপলক্ষে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহানা বেগম, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কাউছার সজীব, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা তাপস কুমার চক্রবর্তী ও ভারপ্রাপ্ত খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা মোছাঃ নাজমুন্নাহার প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় সারা দেশের ন্যায় এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা আজ ১৫ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলার ৫ টি কেন্দ্রে এসএসসি, ১ টি কেন্দ্রে দাখিল ও ১ টি কেন্দ্রে ভোকেশনাল কারিগরি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম দিনের পরীক্ষায় ২৪ জন পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিল।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সুত্রে জানা যায়, প্রথম দিনের এসএসসির বাংলা পরীক্ষার্থী ছিল ১ হাজার ২৫২ জন, অনুপস্থিত ছিল ১০ জন, দাখিলে কোরআন মজিদ বিষয়ের পরীক্ষার্থী ছিল ৩২০ জন, অনুপস্থিত ১৩ জন এবং ভোকেশনাল পরীক্ষায় ৬৬ জনের মধ্যে ১ জন অনুপস্থিত ছিল।
আখাউড়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মেঃ আবুল হোসেন বলেন নকলমুক্ত শান্তিপূর্ণ পরিবেশে এসএসসি সমমান প্রথম দিনের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় কৃষি প্রণোদনার আওতায় ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে আউশ ধানের বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে আজ ২২ মার্চ বুধবার দুপুরে উপজেলা পরিষদ চত্বরে উপকারভোগী ৭’শ জন কৃষকের হাতে এসব কৃষি উপকরণ হস্তান্তর করা হয়।
বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোঃ মুরাদ হোসেন ভূঁইয়া, বিশেষ অতিথি উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসরিন সফিক আলেয়া।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার অংগ্যজাই মারমার সভাপতিত্বে এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহানা বেগম, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক মোঃ সেলিম ভূঁইয়া, ধরখার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ সফিকুল ইসলাম সাফিক, ছাত্রলীগের সভাপতি শাহাবউদ্দিন বেগ শাপলু প্রমুখ।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, আখাউড়ায় পৌরসভায় ৫০ জন, উত্তর ইউনিয়নে ১০০ জন, দক্ষিণ ইউনিয়নে ১৯০ জন, মোগড়া ও মনিয়ন্দ ইউনিয়নে ১৫০ জন এবং ধরখার ইউনিয়নে ৬০ জন কৃষককে বিনামূল্যের সার ও বীজ দেওয়া হয়। প্রত্যেক কৃষককে ৫ কেজি উন্নত জাতের উফশী বীজ, ১০ কেজি ডিএপি সার এবং ১০ কেজি এমওপি সার দেওয়া হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় শাহপীর কল্লা শহীদ উচ্চ বিদ্যালয়ের ১৯৯৩ ব্যাচের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের সংগঠন ‘প্রিয়মুখ ৯৩’ ব্যাচের বন্ধু মিলন মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলার উত্তর ইউনিয়নের আজমপুর সীমান্তবর্তী আর্মি বাগানে আজ ২ জুলাই রবিবার দিনব্যাপী আয়োজন আনন্দ উচ্ছাসে সম্পন্ন হয়।
গান, কৌতুক, কবিতা, স্মৃতি চারণ, খেলাধুলা এবং র্যাফেল ড্র এসবের মাধ্যমে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে একটি আনন্দময় দিন কাটায় সহপাঠীরা।
দীর্ঘদিন পর হারিয়ে যাওয়া বন্ধু-বান্ধবীদেরকে কাছে পেয়ে উচ্ছ্বাসে মেতে উঠেন সহপাঠীরা। অনুষ্ঠানে অনেকেই জীবনসঙ্গী ও ছেলে মেয়েদেরকে নিয়ে আসেন। পুরনো বন্ধুকে কাছে পেয়ে একে অপরকে জড়িয়ে ধরে আনন্দ উচ্ছাস প্রকাশ করেন প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা। অনুষ্ঠানটি যেন হারিয়ে যাওয়া বন্ধুদের মিলন মেলায় পরিনত হয়। ছোট্ট ছোট্ট ছেলে মেয়েরা বাবা মায়ের সাথে এসে আনন্দ উপভোগ করে।
অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে ছিল পরিচিতি, গান, কৌতুক, স্মৃতিচারণ। দুপুরে নামাজের বিরতির পর প্রীতিভোজ। তারপর শুরু হয় মজার মজার সব খেলা। মিউজিক্যাল চেয়ার, সুইয়ের মুখে সুতা ঢুকানো, হাড়ি ভাঙ্গাসহ আরও কত কী।
পুরনো দিনের স্মৃতিচারণ করার সময় অনেকের কন্ঠের স্বর ভারি হয়ে আসে। চোখের কোণ গড়িয়ে নেমে আসে পানি। আবার অনেকে মজার কৌতুক বলে হাসিয়ে তুলেন সবাইকে। লাউড স্পিকারে করুন সুরে বেজে উঠে ‘পুরানো সেই দিনের কথা ভুলবি কি রে হায়। ও সেই চোখে দেখা, প্রাণের কথা, সে কি ভোলা যায়। আয় আর একটিবার আয় রে সখা, প্রাণের মাঝে আয়।’
অনুষ্ঠানের আয়োজনস্থলটি খুবই মনোমুগ্ধকর। সীমান্তঘেঁষা বিভিন্ন ফল ফলাদির বাগানটি খুবই সুন্দর। অনুষ্ঠানের ফাঁকে ফাঁকে বাগানটি ঘুরে দেখেন আগতরা। পূর্ব দিকে চোখ ফেরাতেই চোখে পড়ের কাঁটাতারের বেড়া। তারপরেই আগরতলার বিমানবন্দরের রানওয়ে। সব মিলিয়ে এলাকাটি ছিল খুবই চমৎকার।
পুরস্কার বিতরণ ও সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন আজমপুরের কৃতি সন্তান, ঢাকা গুলশানের সাবেক সাব- রেজিস্ট্রার মোঃ রমজান খান। বিশেষ অতিথি ছিলেন অধ্যাপক মোবারক খান, হংকং প্রবাসী বিশিষ্ট শিল্পপতি এ.এম.ডি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মোঃ আজমল হোসেন খান, এ.এমডি ফাউন্ডেশনের ম্যানেজিং ডিরেক্টর নাজমুল হোসেন সুমন, প্রভাষক সায়েদুর রহমান, আক্তার হোসেন, সার্জেন্ট (অব.) মোঃ সফিউল আলম স্বপন, ইকরাম হোসেন, কামাল ভূইয়া প্রমুখ।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন মোহাম্মদ মুন্না।হাসি আনন্দ আর নিজেদের সুখ দু:খ ভাগাভাগি করে এক বুক ভালোবাসা নিয়ে যে যার নীড়ে ফিরে যান আবারও দেখা হবে সেই প্রত্যাশায়।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়া পৌরসভার সরু সড়কের ওপর ফুটপাত দখল ও অটোরিক্সা স্ট্যান্ড থাকায় প্রতিদিনই ভোগান্তিতে পড়তে হয় জনগণের। রেলস্টেশন, পৌর কার্যালয়, পোস্ট অফিস ও মায়াবী সিনেমা হলের সামনে থাকা অটোরিক্সা স্ট্যান্ডের কারণে সড়ক বাজারের প্রধান সড়কটিতে নিয়মিতই লেগে থাকে যানজট।
সম্প্রতি ড্রেন নির্মাণের কারণে এ সড়কের পৌর কার্যালয়ের সামনে চলাচল দায়। কয়েকমাস ধরেই অপরিকল্পিত ভাবে ড্রেন গুলোর নির্মাণ কাজ চলছে। এতে ভোগান্তি পোহাচ্ছেন ক্রেতা-বিক্রেতারা। আর এসব বিষয় ধরা পরে এই এলাকার সংসদ সদস্য আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের চোখে।
জনগণের ভোগান্তি দূর করতে আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুল ইসলামের সঙ্গে কথা বলেন আইনমন্ত্রী। এরপর ৩ জুলাই সোমবার বিকেলে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে ঈদ পরবর্তী ভার্চুয়ালি মত বিনিময়ের সময়ও মন্ত্রী প্রসঙ্গটি তুলে ধরেন।
এ সময় তিনি আখাউড়া পৌর সভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. তাকজিল খলিফা কাজলকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘মেয়র সাহেব, জনগণ রেলস্টেশনে নামার পর খুব বিরক্ত হয়। কারণ একপাশে বাজার, আরেক পাশে সিএনজি স্ট্যান্ড। আমি ওসি সাহেবকে বলেছি, স্টেশনের পাশে মাইক্রোবাস যেখানে থাকে সেখানে সিএনজি স্ট্যান্ড নিয়ে যেতে। যেন সড়কটা ফাঁকা থাকে। এই সড়কটি সংস্কার করতে এরই মধ্যে টেন্ডার হয়ে গেছে। কসবা-আখাউড়া জনপ্রতিনিধি হিসেবে আমার অনুরোধ সেখানে বাজার বসাবেন না। আপনি এখানে প্রতিনিধি আমি জানি। আপনি ব্যবস্থা না নিলে আমি ব্যবস্থা নিবো।’
মন্ত্রীর এমন নির্দেশনার কয়েক ঘণ্টা পরই সন্ধ্যা থেকে যানজট নিরসনে উদ্যোগ নেয় পুলিশ। এতে করে স্বস্তি ফিরে এসেছে এলাকায়। অনেক দোকানি নিজ থেকে অস্থায়ী দোকানগুলো সরিয়ে নিতে শুরু করেছেন।
এ বিষয়ে আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুল ইসলাম বলেন, ‘স্টেশন থেকে বেরুনোর পথটি যেন পরিষ্কার থাকে সে বিষয়ে মন্ত্রী মহোদয় নির্দেশনা দিয়েছেন। নির্দেশনা পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’
চলারপথে রিপোর্ট :
জেলাপরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার বলেছেন, বিএনপি-জামাত জোটের অপশাসন ও দুর্নীতি ইত্যাদি অপসারণ করে, করোনা মহামারী, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ জনিত বিশ^ব্যাপী অর্থনৈতিক বিপর্যয় মোকাবেলা করে বিগত একযুগের ও অধিককাল সময় আওয়ামীলীগের নেতৃত্বে জননেত্রী শেখ হাসিনার রাষ্ট্র পরিচালনায় সফলতার ধারাবাহিকতায় দেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়কে দন্ডায়মান। আগামী ডিসেম্বর জাতীয় নির্বাচন। আর এই নির্বাচনকে সামনে রেখে অতীতের মতো দেশী ও বিদেশী ষড়যন্ত্রকারী আবার তৎপর হয়েছে আওয়ামীলীগকে ক্ষমতাচ্যুত করতে।
তাই আজকের এই দিনে আওয়ামীলীগের সকল নেতা-কর্মীদেরকে মান অভিমান ও ভুলবুঝাবুঝির অবসান ঘঠিয়ে এক ও ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশী ও বিদেশী ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীকের বিজয় নিশ্চিত করতে হবে। ১৭ মে জননেত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আখাউড়া উপজেলা আওয়ামীলীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এই আহবান জানান।
উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক পৌরমেয়র, তাকজিল খলীফা কাজলের সভাপতিত্বে এবং মনির হোসেন বাবুলের সঞ্চালনায় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগ নেতা মাহমুদুল হক ভূঁইয়া, আখাউড়া উপজেলার ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মুরাদ হোসেন ভূঁইয়া। অন্যান্যের মধ্যে সফিকুল ইসলাম সোহাগ, এড. আব্দুল্লাহ ভূঁইয়া বাদল, আতোয়ার রহমান নাজিম, এম এ মতিন চেয়ারম্যান, মোঃ শাহ আলম, শাকিলা সুলতানা ভুলন, সাহাবুদ্দিন বেগ সাবুল ও শাখাওয়াত হোসেন নয়ন প্রমুখ বক্তৃতা করেন। বক্তারা আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কসবা-আখাউড়া আসনে আইন মন্ত্রী অ্যাড. আনিসুল হক এম.পিকে বিপুল ভোটে জয়যুক্ত করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।