চলারপথে রিপোর্ট :
জেলাপরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার বলেছেন, বিএনপি-জামাত জোটের অপশাসন ও দুর্নীতি ইত্যাদি অপসারণ করে, করোনা মহামারী, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ জনিত বিশ^ব্যাপী অর্থনৈতিক বিপর্যয় মোকাবেলা করে বিগত একযুগের ও অধিককাল সময় আওয়ামীলীগের নেতৃত্বে জননেত্রী শেখ হাসিনার রাষ্ট্র পরিচালনায় সফলতার ধারাবাহিকতায় দেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়কে দন্ডায়মান। আগামী ডিসেম্বর জাতীয় নির্বাচন। আর এই নির্বাচনকে সামনে রেখে অতীতের মতো দেশী ও বিদেশী ষড়যন্ত্রকারী আবার তৎপর হয়েছে আওয়ামীলীগকে ক্ষমতাচ্যুত করতে।
তাই আজকের এই দিনে আওয়ামীলীগের সকল নেতা-কর্মীদেরকে মান অভিমান ও ভুলবুঝাবুঝির অবসান ঘঠিয়ে এক ও ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশী ও বিদেশী ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীকের বিজয় নিশ্চিত করতে হবে। ১৭ মে জননেত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আখাউড়া উপজেলা আওয়ামীলীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এই আহবান জানান।
উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক পৌরমেয়র, তাকজিল খলীফা কাজলের সভাপতিত্বে এবং মনির হোসেন বাবুলের সঞ্চালনায় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগ নেতা মাহমুদুল হক ভূঁইয়া, আখাউড়া উপজেলার ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মুরাদ হোসেন ভূঁইয়া। অন্যান্যের মধ্যে সফিকুল ইসলাম সোহাগ, এড. আব্দুল্লাহ ভূঁইয়া বাদল, আতোয়ার রহমান নাজিম, এম এ মতিন চেয়ারম্যান, মোঃ শাহ আলম, শাকিলা সুলতানা ভুলন, সাহাবুদ্দিন বেগ সাবুল ও শাখাওয়াত হোসেন নয়ন প্রমুখ বক্তৃতা করেন। বক্তারা আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কসবা-আখাউড়া আসনে আইন মন্ত্রী অ্যাড. আনিসুল হক এম.পিকে বিপুল ভোটে জয়যুক্ত করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়া উপজেলাকে ‘ক’ শ্রেণীর ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত ঘোষণা উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলন করেছে উপজেলা প্রশাসন। গতকাল শনিবার সকালে উপজেলা পরিষদ সম্মেলন এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে জনপ্রতিনিধি ও উপজেলার প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকেরা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার অংগ্যজাই মারমা বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, মুজিব বর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় আখাউড়া উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীন করার লক্ষ্যে ৬৬৩টি পাকা ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। চরচনারায়নপুর, চাঁনপুর, দেবগ্রাম, রুটি, সাতপাড়া, ঘাগুটিয়াসহ ২৬টি স্থানে ২ শতক ভূমিতে এসব ঘর নির্মাণ করা হয়। উপকারভোগীকে দলিলসহ এসব ঘর দেওয়া হয়েছে। আগামী ২২ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আখাউড়া উপজেলাসহ সারাদেশের ২২টি উপজেলাকে আনুষ্ঠানিকভাবে ভূমিহীন ও গৃহহীন ঘোষণা করবেন।
এসময় সাংবাাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আখাউড়া উপজেলায় এ পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী যেসকল ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার পাওয়া গেছে। তাদের ঘরের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এরপরও যদি কেউ নতুন করে গৃহহীন হয় তাহলে পর্যায়ক্রতে তাদেরকেও আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা হবে।
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এসব পরিবারের সুপেয় পানি, বিদ্যুৎ, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ সকল সুবিধার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাদের কর্মসংস্থানের জন্য সরকারের পরিকল্পনা রয়েছে।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদ সদস্য মোঃ সাইফুল ইসলাম, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা তাপস চক্রবর্তী, মনিয়ন্দ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহবুল আলম চৌধুরী, মোগড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম.এ. মতিন, দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ জালাল হোসেন, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক হান্নান খাদেম, সাংবাদিক নাসির উদ্দিন, জুটন বনিক, এম.এ. জলিল, জালাল হোসেন মামুন, রুবেল আহমেদ, ফজলে রাব্বি প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
এক শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষর জালিয়াতির অভিযোগে মনোনয়নপত্র বাতিল হয়ে যাওয়া স্বতন্ত্র প্রার্থী ফিরোজুর রহমান ওলিও’র প্রার্থিতা বৈধ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
কমিশনে করা আপিলের শুনানি শেষে ১৩ ডিসেম্বর বুধবার বিকেলে তার মনোনয়নপত্রটি বৈধ ঘোষণা করা হয়।
সম্প্রতি ফেসবুক লাইভে মদ ব্যবসাকে হালাল বলে মন্তব্য করে ব্যাপক সমালোচিত হন তিনি।
ফিরোজুর রহমান ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য। তিনি জেলা সদর উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) পাঁচবারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান ছিলেন। সর্বশেষ ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন ফিরোজুর। তবে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর-বিজয়নগর) আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করেন তিনি। এছাড়া তিনি আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেন।
গত ৩০ নভেম্বর মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে স্বাক্ষর জালিয়াতির অভিযোগে ফিরোজুর রহমানের মনোনয়নপত্র বাতিল করেন জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. শাহগীর আলম। পরবর্তী সময়ে প্রার্থিতা ফিরে পেতে নির্বাচন কমিশনে আপিল করেন ফিরোজুর রহমান।
প্রার্থিতা ফেরত পাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে ফিরোজুর রহমান ওলিও বলেন, আপিলে আমার মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেছে ইসি। এই অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। সবাই আমার পাশে থাকায় ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানাই।
এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. সাদেকুল ইসলাম বলেন, ফিরোজুর রহমানের করা আপিলের রায়ের বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে চিঠি পাঠাবে ইসি। বৈধ প্রার্থীদের তালিকায় তার নাম যুক্ত হবে। প্রতীক বরাদ্দের দিন তাকেও প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে।
এদিকে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর-বিজয়নগর) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপত্র পেয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।
চলারপথে ডেস্ক :
একটা ভোটও কারচুপির চেষ্টা হলে তাৎক্ষণিক ভোট বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
আজ ২৩ ডিসেম্বর শনিবার বরিশাল জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জাতীয় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, আচরণবিধি কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একটা ভোটও কারচুপির চেষ্টা করা হলে ভোট বন্ধ করে দেওয়া হবে। নানা কারণে এবার ভোট নিয়ে বিতর্ক হয়েছে। বিভিন্ন দেশ কথা বলেছ, আমাদের দেশ নিয়ে। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোট করার দাবি আছে বিদেশিদের। প্রার্থীদের সহায়তায় জাতীয় নির্বাচন সফল করতে চাই।
সিইসি বলেন, নির্বাচনে পক্ষপাতীত্বের কোনো সুযোগ নেই। অনেকে বলেন প্রশাসন সরকারি দলের পক্ষপাতিত্ব করেন। এটা আসলে সঠিক নয়। সবাই সচেতন থাকলে এবং চোখ কান খোলা রাখলে এটা বোঝা যাবে।
কাজী হাবিবুল আউয়াল আরও বলেন, প্রচারণার সময় কিছু অপ্রত্যাশিত ঘটনা ঘটে। নির্বাচন কমিশন থেকে এগুলো নিয়ন্ত্রণ করতে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
ভোটের মাঠে অনিয়ম করতেই হবে, এই বিশ্বাস থেকে প্রার্থীদের বেরিয়ে আসার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, আপনাদের বলব সিস্টেমের ওপর আস্থা রাখুন। ভোটারদেরই ভোট দিতে হবে, অন্য কেউ দিয়ে দেবে এটা হবে না। রিটার্নিং কর্মকর্তা ভোট পাল্টাতে পারে না। কেন্দ্রে কেন্দ্রে ফল ঘোষণা হয়। প্রার্থীরা ঘরে বসেই জানতে পারেন ফলাফল।
মতবিনিময় সভায় নির্বাচন কমিশনের সচিব, বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, নির্বাচন কমিশনের স্থানীয় পর্যায়ের কর্মকর্তা এবং প্রার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
অনলাইন ডেস্ক :
চট্টগ্রাম বিভাগীয় যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল আয়োজিত তারুণ্যের সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন আমরা ক্ষমতার জন্য নয়, জনগণের অধিকার ফিরিয়ে দিতে আন্দোলন করছি। অচিরেই এই স্বৈরাচার সরকারের পতন ঘটিয়ে জনগণের অধিকার জনগণকে ফিরিয়ে দেয়া হবে।
আজ ১৪ জুন বুধবার বিকেল ৫ টায় চট্টগ্রাম মহানগর কাজীর দেউড়িতে অনুষ্ঠিত তারুণ্যের সমাবেশে তিনি আরও বলেন, তরুণ প্রজন্ম দেব ভোট, ভোটের জন্য যুদ্ধ হোক’ এ শ্লোগানে চট্টগ্রাম নগরীর কাজীর দেউড়ীর চোরাস্তার মোড়ে ‘তারুণ্যের সমাবেশের আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী যুবদল স্বেচ্ছাসেবকদল ও ছাত্রদল ।
সমাবেশে মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে আর বিশ্বাস করা যায় না। নতুন বাংলাদেশ নতুন সরকার গঠন তরতে হবে। সকল মানুষকে এক করতে হবে সকল রাজনৈতিক দলকে এক করতে হবে, সবাইকে নিয়ে আন্দোলনে ঝাপিয়ে পড়তে হবে।
তিনি বলেন, আমার ভোট আমি দিতে পারবো, ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা হবে, আমার শিক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত হবে, আমার সন্তানের ভবিষ্যত তৈরী হবে, একটি নতুন গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়তে হবে, যে বাংলাদেশে আমার কথা বলার অধিকার প্রতিষ্ঠা হবে, চাকুরির ব্যবস্থা হবে, আমার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিশ্চিত হবে সেই বাংলাদেশ আমরা চাই, নতুন কলকারখানা গড়ে উঠবে যেখানে মানুষের চাকুরির নিশ্চয়তা হবে। মানুষ তাদের রুটি রুজির নিশ্চয়তা পাবে। যেখানে শান্তি থাকবে ন্যায় বিচার থাকবে। বড়লোড় বড়লোক হবে না, হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার হবে না, একটি সাম্যের বাংলাদেশ তৈরী হবে। আমরা সবাই সে লক্ষ্যে এগিয়ে যাবো। সবাইকে সঙ্গে নিয়ে তরুণদেরকে সামনে এগিয়ে যেতে হবে এবং সংগ্রাম করে লড়াই করে যুদ্ধ করে এদেশের শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
বেলা বাড়ার সাথে চট্টগ্রাম বিভাগের চট্টগ্রাম জেলার বিভিন্ন উপজেলাসহ খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি, বান্দরবান নোয়াখালী, কুমিল্লা ফেনীসহ পুরো বিভাগ থেকে লোকজন সমাবেশস্থল কাজীর দেউড়ি মোড় জড়ো হতে শুরু করে। সকাল থেকে সমাবেশ স্থলে মঞ্চে উপস্থিত জাতীয়তাবাদী যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি এস এম জিলানীসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা উপস্থিত।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাংলাদেশের ৫৩ম মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার জেলার আখাউড়া চেকপোস্টের সীমান্তের শূন্য রেখায় বিজিবি-বিএসএফ যৌথ রিট্রিট সিরিমনি প্যারেড অনুষ্ঠিত হয়েছে।
২৬ মর্চা মঙ্গলবার বিকাল ৫টায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) সদস্যদের চৌকস দল প্যারেড ও সালাম প্রদান শেষে বিউগলের সুরের সঙ্গে সঙ্গে উভয় দেশের জাতীয় পতাকা নামানো হয়। ৬০ বিজিবি সুলতানপুর ব্যাটালিয়নের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় সিরিমনি অনুষ্ঠিত হয়। প্যারেড শেষে মহান স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) বিএসএফ’র হাতে ফুল, ফল ও মিষ্টি বিনিময় করেন। বিএসএফও বিজিবিকে ফুল, মিষ্টি উপহার দেয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিজিবি কুমিল্লা সেক্টর কমান্ডার কর্ণেল মো. শরিফুল ইসলাম মেরাজ। বিশেষ অতিথি ছিলেন ৬০ বিজিবি সুলতানপুর ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মুহাম্মদ আশিক হাসান উল্লাহ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা) এস.এম. শান্তুনু চৌধুরী, আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাবেয়া আক্তার, বিএসএফ ৪২ ব্যাটালিয়নের কমানডেন্ট এর প্রতিনিধি গানেট সিং সহ বিএসএফ-বিজিবির বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
বিজিবি-বিএসএফ প্যারেড দল মনোমুগ্ধকর এক প্যারেড প্রদর্শন করেন। প্যারেড শেষে বিউগলে চমৎকার এক সুর বেজে ওঠে। এসময় সীমান্তের দুই পাশে শত শত দর্শনার্থী দু-দেশের সীমান্তক্ষী বাহিনীর প্যারেড উপভোগ করেন ও করতালির মাধ্যমে তাদের অভিনন্দন জানান।
এসময় বিএসএফ ৪২ ব্যাটালিয়নের কমানডেন্ট এর প্রতিনিধি ভারতবাসীর পক্ষ হতে স্বাধীনতা দিবসে বাংলাদেশের মানুষকে শুভেচ্ছা জানান। এটা দেখে খুব ভালো লাগছে যে, বাংলাদেশ দিন দিন উন্নতি করছে। আমরা আশা করি বাংলাদেশ স্বাধীনতার শতবর্ষ উদযাপন করবে।
বিজিবি কুমিল্লা সেক্টর কমান্ডার কর্ণেল মোঃ শরিফুল ইসলাম মেরাজ বলেন, আজকে বাংলাদেশের জন্য একটি আনন্দের দিন। আজকে আমাদের ৫৩তম স্বাধীনতা দিবস। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে দেশের আপামর জনগণ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ করে স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছিল। মহান মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অবদানকে আমি কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করি। উভয় দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে অত্যন্ত সুসম্পর্ক রয়েছে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এই সীমান্তে সীমান্ত হত্যা শূণ্যের কোটায় রয়েছে।