চলারপথে রিপোর্ট :
লক্ষ্মীপুরে বিয়ের দাওয়াতে দই টক হওয়াকে কেন্দ্র করে কনে পক্ষের আমন্ত্রিত অতিথিদের হামলায় আহত হয়েছেন অন্তত ২০ জন। আজ ১৭ মে বুধবার দুপুরে সদর উপজেলার পৌর শহরের বাঞ্চানগর এলাকায় কুটুমবাড়ি চাইনিজ রেস্টুরেন্ট ও পার্টি সেন্টারে এমন ঘটনা ঘটে।
বাধা দিতে এসে হামলার শিকার হন কুটুমবাড়ি চাইনিজ রেস্টুরেন্ট ও পার্টি সেন্টারের সত্তাধিকারী রাকিবুজ্জামান রাকিব, সোহেল, পরান, মাজেদ, শাহাদাত, ইউনুস ও রাসেলসহ ২০ জন। পরে অন্যরা এগিয়ে এলে তাদেরও মারধর করার অভিযোগ পাওয়া যায়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
পুলিশ ও বিয়েতে আমন্ত্রিত অতিথিরা জানান, সদর উপজেলার শাহ্পুর এলাকার খোকন মিয়ার মেয়ে বৃষ্টির সঙ্গে একই উপজেলার মহাদেবপুর গ্রামের জাফর চৌধুরীর ছেলে আল আমিনের বিয়ে উপলক্ষে দুপুরে কুটুমবাড়ি চাইনিজ রেস্টুরেন্ট ও পার্টি সেন্টারে দু’পক্ষের মধ্যাহ্নভোজ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। বিয়ে শেষ হলে খাওয়ার পর্বে দই টক হয়েছে বলে কনে পক্ষের অতিথিরা অভিযোগ তোলেন। এ সময় উত্তেজিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রতিষ্ঠানটির সত্তাধিকারী রাকিবুজ্জামান রাকিব এগিয়ে এলে কনে পক্ষের লোকজনও উত্তেজিত হয়ে ওঠে। পরে প্রতিষ্ঠানের চেয়ার টেবিলসহ আসবাবপত্র ভাঙচুর করা হয়। এ সময় অতর্কিত হামলা ও হুড়োহুড়িতে নারী-পুরুষসহ ২০ জন আহত হয়। পরে তাদের বিভিন্ন ক্লিনিক ও সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হামলার পরপরই দ্রুত রেস্টুরেন্ট ছেড়ে যায় কনে ও বর পক্ষের অতিথিরা।
আহত রাকিবুজ্জামান রাকিব জানান, বিয়ের প্রথম পর্ব শেষে খাওয়ার সময় দই টক হয়েছে এমন অভিযোগে উত্তেজিত হয়ে পড়েন লোকজন। এসময় তিনি পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করলে কনে পক্ষের লোকজন অতর্কিত হামলা শুরু করে। তাদের হামলায় তিনিসহ প্রতিষ্ঠানের ১৫ থেকে ২০ জন আহত হন। রাকিব জানান, হামলায় তার মাথা ফেটে যায়। হামলাকারিরা সেখানে থাকা কাচের প্লেট ও প্লাস্টিকের চেয়ার দিয়ে এ হামলা চালায়। এসময় তার প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন ধরনের আসবাবপত্র ভাংচুর করা হয়। এ ঘটনায় তিনি থানায় মামলা করবেন বলে জানিয়েছেন। তবে কনের বাবা খোকন ও বর আল আমিন এ ঘটনায় সংবাদ প্রকাশে অনাগ্রহ জানিয়ে কোনো বক্তব্য দিতে রাজি হননি।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোসলেহ্ উদ্দিন জানান, লক্ষ্মীপুর পৌর শহরের কুটুমবাড়ি চাইনিজ রেস্টুরেন্ট ও পার্টি সেন্টারে হামলার ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ পাঠানো হয়। পরিস্থিতি বর্তমানে শান্ত রয়েছে। হামলাকারীদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
অনলাইন ডেস্ক :
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আমাদের দেশে এখন তাড়াতাড়ি বড়লোক হওয়ার প্রবণতা বাড়ছে। এর পেছনে ‘ডেমোনেস্ট্রেশন অভ ওয়েলথ’ বা বিত্ত-বৈভব প্রদর্শনীর মতো মনস্তাত্ত্বিক বিষয় যেমন আমার এতো সুন্দর বাড়ি, এতো সুন্দর গাড়ি -সেটিকে ‘ডেমোনেস্ট্রেট’ করা, এটি সমাজকে কলুষিত করছে, অসুস্থ প্রতিযোগিতা তৈরি করছে।
বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ক্র্যাব) প্রতিষ্ঠার ৪ দশক উপলক্ষে আজ ২৩ জুলাই রবিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) নসরুল হামিদ মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ক্র্যাবের ৪ দশক উদযাপন উপলক্ষে দ্বিতীয় অধিবেশনের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, রাজনীতির নামে মানুষ পোড়ানো, সম্পত্তিতে আগুন দেওয়া কিংবা রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য অপরের উপর আক্রমণ করা, এগুলো রাজনৈতিক অপরাধ। এসব অপরাধের বিরুদ্ধে লেখা প্রয়োজন। তাহলে ক্রাইম রিপোর্টারদের ভুমিকা আরও শাণিত হবে এবং দেশ, সমাজ, রাষ্ট্রকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে সহায়ক হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
এ সময় রাজনৈতিক অপরাধ ও বিত্ত-বৈভব প্রদর্শনীর কলুষতা থেকে সমাজ রক্ষায় কাজ করতে সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, নানাভাবে অর্থ উপার্জন করতে গিয়ে মানুষ অর্থনৈতিক ও সামাজিক অপরাধের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে, অন্যায্যভাবে দ্রব্যমূল্য বাড়াচ্ছে, মুনাফা লুটছে; যা পুরো সমাজ ও রাষ্ট্রকে কলুষিত করছে।
এসব রাষ্ট্রের স্বাভাবিক বিকাশকে বাধাগ্রস্ত করছে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, এটি যেন না হয় সেজন্য এর বিরুদ্ধে আপনারা সাংবাদিকরা লিখবেন।
সামাজিক অপরাধের পাশাপাশি কিছু ক্ষেত্রে রাজনৈতিক অপরাধও বৃদ্ধি পেয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, রাজনীতির নামে মানুষ পোড়ানো, মানুষের সহায়-সম্পত্তিতে আগুন দেওয়া পৃথিবীর কোথাও ঘটেছে কি-না আমি জানি না। কোনো জায়গায় কমিটি নিয়ে বিরোধ হলে রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া কি সমীচীন! কমিটি পছন্দ হলো না বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটে তালা লাগিয়ে দিলো, এটি কি সমীচীন! এগুলো কোনভাবে সমীচীন নয়।
হাছান মাহমুদ বলেন, আমি যখন এ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ছিলাম না, তখনও আপনাদের পাশে ছিলাম। যখন মন্ত্রী থাকবো না তখনও আপনাদের পাশে থাকবো এবং আমি কখনও কোনো সাংবাদিক বা কোনো সাংবাদিক সংগঠনকে রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে দেখি না।
ক্র্যাব সভাপতি মির্জা মেহেদী তমালের সভাপতিত্বে সংগঠনটির সহসভাপতি মিজানুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রশীদ, সাবেক সভাপতি খায়রুজ্জামান কামাল, মিজান মালিক ও আবুল হোসেন, ডিআরইউ সভাপতি মুরসালিন নোমানী, সাবেক সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন বাদশা প্রমুখ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন এবং ক্র্যাবের ৪০ বছর পূর্তি উপলক্ষে মন্ত্রীর সঙ্গে কেক কাটায় অংশ নেন।
অনলাইন ডেস্ক :
আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে সবসময় দেশের জনগণের কথা চিন্তা করতে হবে এবং জনবান্ধব আইন প্রণয়ন করতে হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী অ্যাড. আনিসুল হক এম.পি। তাহলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ ও উদ্দেশ্য উভয়ই বাস্তবায়ন হবে বলেও জানান তিনি। আনিসুল হক বলেন, কারও চোখের দিকে তাকিয়ে কিংবা কারও ব্যক্তিগত স্বার্থ রক্ষা করে ভালো আইন তৈরি করা যায় না।
আজ ৫ মে রবিবার সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) ২০২৪-২৫ এর খসড়া চূড়ান্তকরণ বিষয়ক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। মানসম্পন্ন আইন প্রণয়নে দক্ষতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, লেজিসলেটিভ কর্মকর্তাদের দক্ষতা বাড়াতে দেশি-বিদেশি প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। পাশাপাশি লেজিসলেটিভ ক্যাডার সার্ভিস গঠনের বিষয়েও কাজ করতে হবে।
বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে কর্মকর্তাদের আন্তরিকভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে আনিসুল হক বলেন, ‘লজ অব বাংলাদেশ’ লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের খুবই জনবান্ধব একটি কাজ। এর মাধ্যমে জনগণ মুহূর্তেই বাংলাদেশে প্রচলিত সকল আইন দেখে নিতে পারেন। এখন ‘লজ অব বাংলাদেশ’ এর আলোকে ১৯৭২ সাল থেকে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে জারিকৃত সকল এসআরও ও অন্যান্য বিধি-বিধানের সংকলনে অনলাইন ভিত্তিক ‘রুলস অব বাংলাদেশ’ তৈরি করা গেলে জনগণ খুবই উপকৃত হবে। এটি খুব তাড়াতাড়ি তৈরি করতে হবে।
লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিব ড. হাফিজ আহমেদ চৌধুরীর সভাপতিত্ব অনুষ্ঠিত কর্মশালায় আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এতে উভয় বিভাগের বিভিন্ন কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন।
অনলাইন ডেস্ক :
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে ৪-১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত জাতীয় স্মৃতিসৌধে সব ধরনের দর্শনার্থীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে কর্তৃপক্ষ।
আজ ৪ ডিসেম্বর সোমবার দুপুরে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধের মূল ফটকে এ সংক্রান্ত একটি নোটিশ দেখা গেছে।
নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে, মহান বিজয় দিবস ২০২৩ উদযাপন উপলক্ষে ভিআইপির নিরাপত্তা এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কাজের জন্য ৪-১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত জাতীয় স্মৃতিসৌধে সব ধরনের দর্শনার্থীদের প্রবেশ বন্ধ থাকবে।
গণপূর্ত বিভাগ জানায়, বিজয় দিবসে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানাবেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী। এরপর জাতীয় স্মৃতিসৌধের প্রধান ফটক উম্মুক্ত করা হবে জনসাধারণের জন্য। এ কারণে আগামী ১২ দিন জাতীয় স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ করা হবে। তাই নির্দিষ্ট সময়ের জন্য দর্শনার্থীদের প্রবেশাধিকার সংরক্ষিত থাকবে।
জাতীয় স্মৃতিসৌধের গণপূর্ত বিভাগের ইনচার্জ উপসহকারী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বলেন, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীসহ দেশি-বিদেশি কূটনীতিকদের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য স্মৃতিসৌধকে ধুয়ে মুছে পরিষ্কার করা হবে। প্রস্তুতির নানা ধরনের কাজ রয়েছে। এছাড়া নিরাপত্তার বিষয়ও আছে। তাই আগামী ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত দর্শনার্থীদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। আগামী ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস থেকে যথারীতি সবাই প্রবেশ করতে পারবেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
নৈশকোচে ডাকাতির সাথে জড়িত ৫ ডাকাতকে গ্রেফতার করেছে পীরগঞ্জ থানা পুলিশ। সোমবার রাতে তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে এদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতদের জেল হাজতে পাঠানো হয়।
আজ ১৬ জানুয়ারি মঙ্গলবার দুপুরে পীরগঞ্জ থানায় এক প্রেস ব্রিফিংয়ে রংপুরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাজিয়া সুলতানা এ তথ্য জানান।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন পীরগঞ্জ উপজেলার চতরা ইউনিয়নের আগাচতরা গ্রামের সাইদুর রহমানের ছেলে ফিরোজ মিয়া (২৮), কাবিলপুর ইউনিয়নের জয়পুর গ্রামের মৃত আব্দুর রহমান ওরফে খোকা মিয়ার ছেলে মেহেদি হাসান (২৫), বড়আলমপুর ইউনিয়নের বড়আলমপুর গ্রামের মিয়ামত আলীর ছেলে মোহাম্মদ আলী (৩৮), টুকুরিয়া ইউনিয়নের গোপিনাথপুর গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে শাহজাহান আলী (৩০), লুন্ঠিত স্বর্ণ ক্রয়কারী রুহুল আমিনের ছেলে মনোয়ার হোসেন ওরফে মজিদ (৩৮)।
পুলিশ জানায়, ঢাকা গাবতলী থেকে ছেড়ে আসা কুড়িগ্রাম ভুরুঙ্গামারিগামী পরিবহনের নৈশকোচে ১৩ জানুয়ারি ভোর রাতে ডাকাতি হয়। ওই ঘটনায় বড়দরগাহ হাইওয়ে থানা পুলিশ গাড়িটি আটক করে ড্রাইভার, হেলপার ও গাড়ির মালিককে পলাশবাড়ি থানা পুলিশের নিকট সোপর্দ করেন। প্রাথমিক তদন্তের পর সীমানা নির্ধারণ বিষয়ক জটিলতার কারণে ১৫ জানুয়ারি পীরগঞ্জ থানায় মামলা রুজু হয়। এ সময় ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত ৫টি চাকু ও মালামালের মধ্যে স্বর্ণ সাদৃশ্য কানের দুল, স্বর্ণের নাকফুলসহ ৮টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। যাত্রীদের নিকট থেকেঅর্থ উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। উল্লেখ্য, গ্রেফতারকৃত ফিরোজের বিরুদ্ধে আরও ৩টি ডাকাতির মামলা, গ্রেফতারকৃত মেহেদির বিরুদ্ধে ২টি ডাকাতির মামলাসহ ৩টি ওয়ারেন্ট, ব্যবসায়ী গ্রেফতারকৃত মনোয়ারের বিরুদ্ধে ১টি ডাকাতির মামলা রয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘সকলের আরও ভালো ও উন্নত জীবন নিশ্চিত করতে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থার উদ্বোধন করা হলো।’
আজ ১৭ আগস্ট বৃহস্পতিবার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থার উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা পেনশন স্কিম চালু করেছি যাতে দেশের প্রতিটি মানুষ একটি উন্নত জীবনযাপন করতে পারে। প্রাথমিকভাবে ছয়টির মধ্যে চারটি স্কিম প্রগতি, সুরক্ষা, সমতা ও প্রবাসী উদ্বোধন করা হয়েছে। অন্য দু’টি পরে চালু করা হবে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আগামী দিনেও আমার প্রতি আস্থা, বিশ্বাস ও ভালোবাসা অব্যাহত রাখার জন্য আমি বাংলাদেশের জনগণকে অনুরোধ করছি।’
সরকারপ্রধান বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একমাত্র লক্ষ্য ছিল দেশবাসীকে একটি উন্নত জীবন উপহার দেওয়া, যার জন্য তিনি তাঁর সমগ্র জীবন উৎসর্গ করেছেন।’
সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা নিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা শোকের মাসে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা চালু করেছি। জনগণকে একটি সুন্দর ও উন্নত জীবন দেওয়ার আমাদের প্রচেষ্টা দেখে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং বঙ্গমাতার আত্মা শান্তি পাবে।’
প্রধানমন্ত্রী প্রত্যেক দেশবাসীর জীবনকে অর্থবহ করার লক্ষ্যে তাঁর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসমাপ্ত কাজগুলো সম্পন্ন করতে জনগণের কাছে দোয়া চান। দেশের প্রতিটি মানুষকে আরও ভালো ও উন্নত জীবন দিতে ব্যর্থ হলে বঙ্গবন্ধুর দেওয়া দেশের স্বাধীনতা বৃথা যাবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা দেশের স্বাধীনতাকে ব্যর্থ হতে দেব না, এটি ব্যর্থ হবে না এবং এটি ব্যর্থ হয়নি। তাঁর (বঙ্গবন্ধুর) আদর্শ অনুসরণ করে আমরা স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি।’ সূত্র : বাসস