চলারপথে ডেস্ক :
‘মানুষ বন্ধক’ রেখে বাংলাদেশে ইয়াবা আনার মূলহোতা ও এক সহযোগীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। তাদের কাছ থেকে ৪০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার মধ্যরাতে কক্সবাজারের ঈদগাঁও ইউনিয়নে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে।
তারা হলেন- টেকনাফ সদর ইউনিয়নের হাজমপাড়া এলাকার বাসিন্দা জাকির আহমেদ জকির ও তার সহযোগী একই এলাকার বাসিন্দা মো. ইসমাইল।
র্যাব-১৫ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (আইন ও গণমাধ্যম) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আবু সালাম চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গত ১৫ জানুয়ারি জসিম নামে এক বাংলাদেশি নাগরিককে মিয়ানমারের ইয়াবা ডিলার নির্যাতন করে। পরে সেই ভিডিও ভাইরাল হয়।
ওই ভিডিওতে জসিম জানান, টেকনাফ হাজমপাড়ার বাসিন্দা জকির নামে এক মাদক কারবারি তাকে মিয়ানমারের ইয়াবা ডিলারের কাছে বন্ধক রাখে। পরে ২৫ লাখ টাকার ইয়াবা নিয়ে আসে। ইয়াবার টাকা পরিশোধ না করায় জসিমকে শারীরিক নির্যাতন করে ডিলাররা। ভিডিও প্রকাশের পরেই মাদক কারবারিরা আত্মগোপনে চলে যায়। বিষয়টি র্যাবের নজরে আসার পর র্যাব-১৫ গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানোসহ একটি দল অভিযান অব্যাহত রাখে।
তিনি আরও জানান, একটি সূত্র ধরে র্যাব জানতে পারে জাকির হোসেন জকির মিয়ানমার থেকে ইয়াবার চালান নিয়ে সাগরপথে মহেশখালী হয়ে চৌফলদণ্ড ঘাটে আসবে। তারপর ঈদগাঁওতে ইয়াবার চালান পৌঁছে দেবে। র্যাব মঙ্গলবার রাতে আল মাছিয়া ফাজিল ডিগ্রি মাদ্রাসার মসজিদের সামনে অভিযান শুরু করে। একপর্যায়ে একটি সিএনজিচালিত অটোরিক্সা থেকে নেমে দুজন লোক কৌশলে পালানোর চেষ্টা করে। র্যাব তাদের গ্রেফতার করে। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় ৪০ হাজার ইয়াবা। এরপর তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পরিচয় মেলে।
আবু সালাম চৌধুরী বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জকির জানায় সে টেকনাফ ও উখিয়া থানা এলাকার ‘ইয়াবা গডফাদার’। তার সহযোগীদের সহায়তায় বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন লোককে সীমান্তবর্তী মিয়ানমার এলাকায় বন্ধক রেখে ইয়াবার বড় বড় চালান নিয়ে আসে। জকিরের নামে টেকনাফে থানায় পাঁচটি মামলা রয়েছে। দুজনের নামে মামলা করে তাদের কক্সবাজার সদর থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
দেশে কর্মবিরতির ডাক দিয়েছেন চিকিৎসকরা। ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভাঙচুর ও চিকিৎসকদের মারধরের ঘটনায় এ ঘোষণা দিয়েছেন ঢামেকের নিউরো সার্জারি বিভাগের আবাসিক সার্জন আব্দুল আহাদ।
ঢাকা মেডিকেলের চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি ঘোষণা করে তিনি বলেন, শনিবার হাসপাতালের পরিচালকের অনুরোধে রাত ১১টায় কর্মক্ষেত্রে ফিরে যাই। আমরা সকাল ৮টা পর্যন্ত ইমার্জেন্সি সার্ভিস দিয়েছি। হাসপাতালে আমরা ছিলাম। কিন্তু আমরা কোনো নিরাপত্তা ফোর্স এখানে দেখি নাই। ইমার্জেন্সি কমপ্লেক্সের সামনে নিরাপত্তা ফোর্স থাকার কথা ছিল। কিন্তু আমরা দেখি নাই। তাই আমরা বাধ্য হয়ে নিরাপত্তার জন্য আজ থেকে সারা দেশে কর্মবিরতিতে যাচ্ছি।
হামলাকারীদের আটক ও শাস্তির পাশাপাশি সারা দেশে চিকিৎসক ও রোগীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাসহ দুই দফা দাবি জানানো হয় চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে। কিন্তু দাবি পূরণের আশ্বাস না মেলায় দুপুরে সারা দেশে সব চিকিৎসাকেন্দ্রে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ ঘোষণা করে ৬ দফা দাবি জানানো হয়।
সারা দেশের সব হাসপাতালে চিকিৎসক ও রোগীর নিরাপত্তা নিশ্চিতে স্বতন্ত্র স্বাস্থ্য পুলিশ নিয়োগের দাবি জানান ডা. আব্দুল আহাদ বলেন। আজ ১ সেপ্টেম্বর রোববার দুপুর ২টায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের প্রশাসনিক ভবনের সামনে আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন ঢামেকের নিউরো সার্জারি বিভাগের ডা. আব্দুল আহাদ।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, শনিবার নিউরো সার্জারি বিভাগের তিন চিকিৎসককে মারধরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় চিকিৎসকরা দোষীদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তার ও কর্মস্থলে নিরাপদ নিশ্চিতের দাবিতে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেন। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ চিকিৎসকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ব্যর্থ হওয়ায় রোববার সারাদেশে কর্মবিরতিতে যাচ্ছেন চিকিৎসকরা।
এর আগে চিকিৎসকদের ওপর হামলার বিচার ও নিরাপত্তার দাবিতে রোববার সকালে ইন্টার্নি চিকিৎসক এবং পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সব চিকিৎসক কর্মবিরতি শুরু করেন। এর সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেন, ঢামেকের নার্স ও কর্মচারীরা। নার্সদের পক্ষ থেকে জামাল উদ্দিন বাদশা বলেন, আমরা চিকিৎসকদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করছি। আমাদের দাবি, সকল কর্মস্থলে নার্সদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
কর্মবিরতির কারণে চিকিৎসাসেবা নিতে আসা রোগীরা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। চিকিৎসা না পেয়ে ফিরে যেতে দেখা গেছে অনেক রোগীকে। সকাল থেকে দূর দূরান্ত থেকে আসা রোগীরা জরুরি বিভাগে দুর্ভোগে পড়তে দেখা গেছে।
হামলার ঘটনায় যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছিলেন চিকিৎসক ও কর্মচারীরা। তবে তার আগেই রোববার সকাল থেকে কর্মবিরতি শুরু করেন তারা। সকালে চিকিৎসকরা হাসপাতালে এসে কাজ শুরু করলেও ধীরে ধীরে তারা হাসপাতাল ত্যাগ করেন। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে জরুরি বিভাগের কর্মকর্তারা কক্ষ বন্ধ করে দেন। এক পর্যায়ে জরুরি টিকিট কাউন্টারটিও বন্ধ হয়ে যায়। এতে ঢামেকে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের ভিড় বাড়তে থাকে।
আব্দুল আহাদ বলেন, প্রথম ঘটনা আমাদের নিউরো সার্জারি বিভাগে। একজন আবাসিক ডাক্তার অপারেশন করার জন্য অপারেশন থিয়েটারে যায়। রোগীর লোক তাকে বের করে তার উপর ধস্তাধস্তি করে, ডাক্তারকে মারে। তাকে রক্ষা করার জন্য আমাদের আরেক ডাক্তার ওখানে যান, তখন তার ওপরও অতর্কিতে আক্রমণ করে। কলার ধরে তাকে ২০১ নম্বর অপারেশন থিয়েটারের সামনে থেকে পরিচালকের সামনে নিয়ে আসে।
তিনি বলেন, আমরা এ নিয়ে বৈঠকে বসেছিলাম, দুইটা সিদ্ধান্ত, আমাদের চিকিৎসকদের ওপর যারা আক্রমণ করেছে, অবিলম্বে তাদের গ্রেপ্তার করতে হবে এবং আমাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। আমরা যারা ইমার্জেন্সি সার্ভিস দিই, আপনারা দেখেছেন, সেখানে কত লোক থাকে। ইমার্জেন্সি সার্ভিস দেওয়ার জন্য আমাদের যথেষ্ট আর্মি পুলিশ এবং অন্যান্য ফোর্স এখানে থাকবে। সশরীরে উইথ আর্মস সেখানে উপস্থিত থাকবে। কিন্তু ঢাকা মেডিকেল প্রশাসন এটা করতে ব্যর্থ হয়েছেন।
এই চিকিৎসক বলেন, কালকে রাতে আরও দুটি ঘটনা ঘটে, একটা ঘটনা হচ্ছে, একটি গ্রুপ বাইরে আরেকটা গ্রুপকে আক্রমণ করেছিল। সেই গ্রুপ সেবা নেওয়ার জন্য হাসপাতালে এসেছিল। ঢাকা মেডিকেল কলেজের ইমার্জেন্সিতে এসেছিল চিকিৎসা সেবা নিতে, তাদের যে বিরোধী পক্ষ ছিল, তারা ইমার্জেন্সি কমপ্লেক্সের ভেতরে ঢুকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা নিশ্চিত করে চলে গেছে। তাই, আমরা দেখছি এখানে রোগীও নিরাপদ না। আপনারা কোথায় সেবা নিতে আসবেন। এখানে রোগীও নিরাপদ না।
তিনি বলেন, আরেকটা ঘটনা, ইমার্জেন্সি রুমে একজন কিডনি রোগী এসেছিল, অনেক ইমার্জেন্সি রোগী মারা যায়। মারা যাওয়ার পরে ডক্টর ও মেডিকেল অফিসারের উপর হামলা হয়। ইমার্জেন্সি কমপ্লেক্স ওসেক ভাঙচুর করা হয়। তাই আমরা দেখতে পাই এখানে ডক্টর রোগী কেউই নিরাপদ না।
চলারপথে রিপোর্ট :
কক্সবাজারের চকরিয়ায় ১০ মামলার আসামি মো. শাহাব উদ্দিনকে (৪৫) গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। এসময় তার দেওয়া তথ্যমতে ঘরের খাটের নিচ থেকে উদ্ধার করা হয় দেশীয় তৈরি দুটি বন্দুক, তিন রাউন্ড তাজা কার্তুজ, তিনটি কিরিচ ও দুটি দা।
রবিবার সন্ধ্যায় উপজেলার বদরখালী ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড নতুন ঘোনা এলাকা থেকে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে। শাহাব উদ্দিন ওই এলাকার আবদুল করিমের ছেলে।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাবেদ মাহমুদ বলেন, গ্রেফতার শাহাব উদ্দিনের বিরুদ্ধে চকরিয়া থানায় ১০টি মামলা রয়েছে। সে এলাকার ত্রাস হিসেবে পরিচিত। তার বিরুদ্ধে এলাকার লোকজন মুখ খুলতে সাহস পায় না।
তাকে একটি মারামারি মামলায় গ্রেফতার করতে গিয়ে তার ঘরের খাটের নিচ থেকে বন্দুক ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। এ বিষয়ে তার বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা করা হয়েছে। আজ ৩১ জুলাই সোমবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, আওয়ামী লীগের শাসনামল ছিল আইয়ামে জাহেলিয়াতের সময়। গুম-খুন ও নিপীড়নসহ জাহেলিয়াতি যুগের সব অপকর্ম বিদ্যমান ছিল এ শাসনামলে। ১০ ফেরাউনকে একত্রে করলেও হাসিনার মতো জুলুমবাজ হবে না। তাই আওয়ামী লীগের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করে চিরকালের মতো বাংলাদেশ থেকে তাদের রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে।
আজ ২৪ মার্চ সোমবার সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবায় মহিলা কলেজ মাঠে জাতীয় নাগরিক পার্টির ইফতার ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। এসময় হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদ বিরোধী রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জাতীয় নাগরিক পার্টির সহবস্থান থাকবে। কিন্তু যারা ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করতে চাইবে তাদের শত্রু বলে গণ্য করা হবে। ৫ আগস্টের পর তারাই শত্রু যারা আওয়ামী লীগকে বন্ধু বলে জ্ঞান করে। রাষ্ট্রীয় কোনো প্রতিষ্ঠানের প্রতি নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় ৫ আগস্ট বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ছাত্র জনতার পাশে ছিল। এ অবস্থায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে মানুষের বিরুদ্ধে অবস্থান না নিতে অনুরোধ জানান তিনি।
তিনি বলেন, গত দেড় দশকে যে জুলুম হয়েছে, আমি-ডামি নির্বাচনের মাধ্যমে দিনের ভোট রাতে হয়েছে সে সময় কোনো জেনারেল-সচিবকে পদত্যাগ করতে দেখা যায়নি। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ যে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে নষ্ট করে দিয়েছে দেশের মানুষকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিষ্ঠানগুলোকে জনমানুষের প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা হবে। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী থেকে শুরু করে রাষ্ট্রীয় সব প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে জনতাকে যাতে কেউ দাঁড় করিয়ে দিতে না পারে সেজন্য সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
এ সময় তিনি আওয়ামী লীগের চালানো গণহত্যার বিচার কাজ কতটুকু এগিয়েছে তাই স্পষ্ট করতে প্রধান উপদেষ্টার প্রতি আহ্বান জানান। একই সঙ্গে দেশের সংস্কারের রোডম্যাপ দেশের মানুষের সামনে স্পষ্ট করতে হবে। দ্রুত সময়ের মধ্যে আওয়ামী লীগের বিচার না হলে ধরে নেওয়া হবে এখনো দেশে আওয়ামী লীগের দোসররা সক্রিয় রয়েছে। তাই দ্রুত সময়ের মধ্যে আওয়ামী লীগের বিচার করে নাৎসি পার্টির মত আওয়ামী লীগকে ও বাংলাদেশ থেকে চিরকালের মত নিষিদ্ধ করতে হবে।
জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ পরিবারের সদস্য, আহত যোদ্ধা ও তাদের পরিবারের সদস্যসহ সব শ্রেণিপেশার মানুষের সম্মানে এ ইফতার পার্টির আয়োজন করা হয়।
মনিরুল হকের সভাপতিত্বে ইফতার মাহফিলে বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় নাগরিক পার্টি এনসিপির (দক্ষিণাঞ্চল) যুগ্ম মুখ্য সংগঠক মো. আতাউল্লাহ, দক্ষিণাঞ্চল সংগঠক ডাক্তার আশরাফুল ইসলাম সুমন, জিহান মাহমুদ, কসবা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শরিফুল হক স্বপন, কসবা উপজেলা জামাতের নায়েবে আমির শিবলী নোমান প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে ট্রেনের ধাক্কায় অজ্ঞাত পরিচয়(১৪) এক কিশোর নিহত হয়েছেন। আজ ৭ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজশাহী- জয়দেবপুর রেললাইনের উপজেলার বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটি রেল স্টেশনে ট্রেন থেকে নামার সময় ঢাকাগামী অপর একটি ট্রেনের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
নিহতের পরিচয় জানা যায়নি। পড়নে সাদা পায়জামা পাঞ্জাবী ছিল। পোশাক দেখে ধারনা করা সে কোন মাদ্রাসার ছাত্র।
প্রত্যক্ষদর্শী ও রেলওয়ে পুলিশ সুত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টার দিকে ঈশ্বরদী থেকে ছেড়ে আসা ঢাকা গামী লোকাল ট্রেন ৯৯ বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটি রেল স্টেশনের প্লাটর্ফমে এসে দাড়ায়। এ সময় ওই লোকাল ট্রেন থেকে অজ্ঞাত পরিচয় ওই কিশোর নামতেছিল। এ সময় ঢাকাগামী বনলতা এ·প্রেস নামের অপর একটি ট্রেন দ্রুতগতিতে ওই রেলষ্টেশন অতিক্রম করার সময় ট্রেনের ধাক্কায় কিশোর ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। পরে খবর পেয়ে রেলওয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য গাজীপুর শাহীদ তাজউদ্দিন আহম্মদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায় ।
গাজীপুর রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপ পরিদর্শক মুহাম্মদ শহিদুল্লাহ জানান, ছেলেটি স্টেশনে দাড়ানো লোকাল ট্রেন থেকে নামার সময় ঢাকাগামী চলন্ত বনলতা এ·প্রেসের সাথে ধাক্কা খেয়ে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। লাশ উদ্ধার করে গাজীপুর মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের পরিচয় এখনো পাওয়া যায়নি। তবে পোশাক দেখে ধারনা করা হচ্ছে সে কোন মাদ্রাসার ছাত্র হতে পারে।
আখাউড়া প্রতিনিধি :
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন ‘একটি গণতান্ত্রিক দেশে যে কোন রাজনৈতিক দল তার রাজতৈনিক কর্মকান্ড করতে পারে। তাতে আওয়ামীলীগ এবং জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকারের কোন আপত্তি নাই। কারণ আওয়ামীলীগ গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে। আওয়ামীলীগ বাংলাদেশে গণতন্ত্র স্থাপন করেছে।
আজ ২৭ জানুয়ারি শুক্রবার সকালে আখাউড়া রেলওয়ে স্টেশনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপি’র পদযাত্রী কর্মসূচি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বাংলাদেশে একটি সংবিধান আছে। বাংলাদেশের সংবিধানে জাতীয় নির্বাচন কিভাবে হবে তা সম্পূর্ণ ভাবে লিখা আছে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ী হবে।
এর আগে তিনি সকাল সোয়া দশটায় আন্ত:নগর মহানগর এক্সপ্রেস ট্রেনে ঢাকা থেকে আখাউড়া স্টেশনে এসে পৌঁছেন। এসময় ষ্টেশনে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ অংগ সংগঠনের নেতাকর্মীসহ উপস্থিত লোকজনকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানান।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আইন সচিব গোলাম সারোয়ার, পুলিশ সুপার সাখাওয়াত হোসেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল, আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরী, উপজেলা নির্বাহী অফিসার অংগ্যজাই মারমা, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি এড. আব্দুল্লাহ ভূইয়া বাদল, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল মমিন বাবুল, ছাত্রলীগের সভাপতি শাহাব উদ্দিন বেগ শাপলু, সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন নয়ন প্রমুখ।
আখাউড়া থেকে সড়ক পথে কসবা যাওয়ার পথে পৌরশহরের রাধানগর হাজী মহল্লায় পুন: নির্মিত মসজিদে নূর এর উদ্বোধন করেন।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক কসবায় কয়েকটি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগদান করবে।