অনলাইন ডেস্ক :
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে তার বাসভবন গণভবনে গেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ ২০ মে শনিবার রাতে সরকারপ্রধান বঙ্গভবনে পৌঁছালে রাষ্ট্রপ্রধান তাকে স্বাগত জানান।
দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হয়ে মো. সাহাবুদ্দিন বঙ্গভবনের বাসিন্দা হওয়ার পর তার সঙ্গে এটাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রথম সৌজন্য সাক্ষাৎ।
অনলাইন ডেস্ক :
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে বিদেশিরা নাক গলাতে এলে মেনে নেবেন না বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ ডিসেম্বর ৩০ শনিবার দুপুরে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় নিজের দাদার নামে প্রতিষ্ঠিত শেখ লুৎফর রহমান আদর্শ সরকারি কলেজ মাঠে উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় তিনি এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, নির্বাচন বানচালের যারা ষড়যন্ত্র করছে, তাদেরও একদিন উপযুক্ত শাস্তি পেতে হবে। তারাও শাস্তি পাবে একদিন। আর আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কেউ যদি নাক গলাতে আসে, আমরা সেটা মেনে নেব না। বাংলাদেশ মানে নাই।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, জনগণের অধিকার নির্বাচনের অধিকার; ভোটের অধিকার। আওয়ামী লীগ, আমরাই স্লোগান দিয়েছি—আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দেব। আমরাই স্লোগান দিয়েছি—ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠা করব। আজকে আমরা ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছি।
তিনি বলেন, জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করেছি। আর এই লক্ষ্য নিয়েই আমরা সামনে এগিয়ে যাব।
যারা নির্বাচন বানচাল করতে চায় তাদের বিষয়ে সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, এই দেশকে নিয়ে, দেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে আর কেউ যেন ছিনিমিনি খেলতে না পারে, তার জন্য সবাইকে সজাগ থাকার আমি আহ্বান জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, যে যেখানে আছেন, আগুন যারা দেয় বা যারা ক্ষতিগ্রস্ত করে, নির্বাচন বানচাল করার ষড়যন্ত্র করে, ওদেরকে ধরিয়ে দিন। ওদের উপযুক্ত শাস্তি দিন।
বিএনপি-জামায়াতের সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, আজকে অত্যন্ত দুর্ভাগ্যের বিষয়, ওই বিএনপি-জামায়াত জোট মিলে অগ্নিসন্ত্রাস শুরু করেছে। মানুষ হত্যা শুরু করেছে। রেললাইনে মা-শিশুকে পুড়িয়ে মারে। রাস্তা-ঘাটে যেখানে-সেখানে আগুন দেয়। বাসে আগুন দিয়ে পোড়ায়। এই দুর্বৃত্তপরায়ণতা আমাদের বন্ধ করতে হবে।
এবার যারা প্রথমবারের ভোটার তাদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, প্রথমবারের ভোট, এ ভোট যেন ব্যর্থ না হয়। তাই যারা নতুন ভোটার, শুধু কোটালীপাড়া-টুঙ্গিপাড়া না, সারা বাংলাদেশের জন্য আমার আহ্বান; নতুন ভোটাররা নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে সরকার গঠন করার সুযোগ করে দেবে। বাংলাদেশ যেভাবে উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে, সেই উন্নয়নের পথে বাংলাদেশকে এগিয়ে যেতে সাহায্য করতে হবে। কারণ তারুণ্যের শক্তি, বাংলাদেশের অগ্রগতি। সেটাই আমরা বিশ্বাস করি।
নিজের নির্বাচনী এলাকার প্রার্থীদের কাছে ভোট চেয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আপনারা সব সময় আমাকে ভোট দিয়েছেন। আর আমার দায়িত্ব তো আপনারা নিয়েছেন। আমার নির্বাচন তো সব সময় আপনারাই করে দেন। আজকেও আমি আপনাদের কাছে এসেছি প্রার্থী হিসেবে। নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আপনাদের সেবা করার সুযোগ দেন। আমি সেটাই আপনাদের কাছে আবেদন করি।
জনসভা মঞ্চে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধুর ছোট মেয়ে শেখ রেহানা। কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ভবেন্দ্রনাথ বিশ্বাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগেরা যুগ্ম সাধারন সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, উপজেলা চেয়ারম্যান বিমল কৃষ্ণ বিশ্বাস, পৌর মেয়র মতিয়ার রহমান হাজরা, সাবেক পৌর মেয়র শেখ কামাল হোসেন, অহিদুল ইসলাম হাজরা প্রমুখ। জনসভায় সঞ্চালক ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আয়নাল হোসেন শেখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
বগুড়ার নন্দীগ্রামে ডাকাতির প্রস্তুুতিকালে চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার দিবাগত রাতে নন্দীগ্রাম উপজেলার কাথম-কালিগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কের ভাগবজর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার ও তাদের কাছ থেকে একটি সিএনজিসহ চাকু, লোহার রড উদ্ধার করে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- সিরাজগঞ্জ জেলা সদরের মিরপুর গ্রামের ইব্রাহীম হোসেন (৩৩), সুমন শেখ (২০), আসলাম শেখ (২২) ও জিয়াউল হক শুভ (২০)।
বগুড়ার নন্দীগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আনোয়ার হোসেন জানান, সোমবার রাতে উপজেলার কাথম-কালিগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কের ভাগবজর এলাকায় একদল ডাকাতদল ডাকাতির প্রস্তুতি শুরু করে। এমন সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পৌঁছে চারজনকে গ্রেফতার করে। এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যাওয়ার মুখে চারজনকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ তাদের কাছ থেকে দুইটি চাকু, একটি কাঠের বাটযুক্ত লোহার চাকু, দুইটি লোহার রড, তিনটি সাদা রংয়ের নাইলনের রশি এবং একটি সবুজ রংয়ের সিএনজি উদ্ধার করে।
অনলাইন ডেস্ক :
দুই দশক আগে ঢাকার বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলা মামলার বিচারিক আদালতের রায়ের ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের আবেদন) ও আপিলের রায় ঘোষণা হয়েছে। রায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ সব আসামিকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আজ ১ ডিসেম্বর রবিবার বিচারিক আদালতের রায় বাতিল করে বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার পর আসামিপক্ষের আইনজীবীরা সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
আইনজীবীরা জানান, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ সব আসামিকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এর আগে গত ৩১ অক্টোবর শুরু হওয়া আপিল শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. জসিম সরকার, রাসেল আহমেদ ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল লাবনী আক্তার।
লুৎফুজ্জামান বাবর ও আবদুস সালাম পিন্টুসহ দণ্ডিত বেশ কয়েকজনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান ও মোহাম্মদ শিশির মনির।
প্রায় ছয় বছর আগে বিচারিক আদালতের রায়ের পর ডেথ রেফারেন্সের ও আসামিদের আপিল-জেল আপিলের শুনানি শুরু হয় ২০২২ সালের ৪ ডিসেম্বর।
গত দেড় বছর বিচারপতি সহিদুল করিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ মামলার শুনানি হয়েছে।
ছাত্র-জনতার প্রবল আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। তার ক্ষমতাচ্যুতির পর বিচার বিভাগেও পরিবর্তন আসে। প্রধান বিচারপতির পদ থেকে ওবায়দুল হাসানের পদত্যাগের পর আপিল বিভাগের আরো পাঁচ বিচারপতি পদত্যাগ করেন।
নতুন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ গত ১১, ১২ ও ১৫ আগস্ট এখতিয়ার পরিবর্তন করে হাইকোর্টের ৫৪টি হাইকোর্ট বেঞ্চ পুনর্গঠন করেন। বেঞ্চ পুনর্গঠনের পর মামলাটি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চে আসে।
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সমাবেশে গ্রেনেড হামলা চালিয়ে ২৪ জনকে হত্যা করা হয়। আওয়ামী লীগের দাবি, এ হামলা ছিল রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। হামলার পরদিন মতিঝিল থানার তৎকালীন এসআই শরীফ ফারুক আহমেদ বাদী হয়ে একটি মামলা করেন।
থানা পুলিশ, ডিবির হাত ঘুরে সিআইডি এই মামলার তদন্তভার পায়। ঘটনার চার বছর পর তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে ২০০৮ সালের ১১ জুন হত্যার অভিযোগ এবং বিস্ফোরকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে আলাদা দুটি অভিযোগপত্র দেন সিআইডির জ্যেষ্ঠ এএসপি ফজলুল কবির।
জঙ্গি দল হরকাতুল জিহাদ বাংলাদেশের নেতা মুফতি আব্দুল হান্নানসহ ২২ জনকে সেখানে আসামি করা হয়। দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে ২০০৮ সালের ২৯ অক্টোবর অভিযোগ গঠন করে তাদের বিচারও শুরু হয়।
২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর রাষ্ট্রপক্ষ মামলাটির অধিকতর তদন্তের আবেদন করলে ট্রাইব্যুনাল তা মঞ্জুর করে। সিআইডির বিশেষ সুপার আব্দুল কাহার আকন্দ অধিকতর তদন্ত শেষে ২০১১ সালের ৩ জুলাই আসামির তালিকায় আরো ৩০ জনকে যোগ করে সম্পূরক অভিযোগপত্র দেন।
সেখানে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ চারদলীয় জোট সরকারের কয়েকজন মন্ত্রী ও বিএনপি-জামায়াতের নেতাদের নাম আসে। দুই মামলায় মোট ৫২ আসামির বিচার শুরু হলেও অন্য মামলায় তিনজনের ফাঁসি কার্যকর হওয়ায় মোট ৪৯ আসামির বিচার করেন বিচারিক আদালত।
২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর ওই মামলার রায় হয়। রায়ে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।
তারেক রহমান, খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরীসহ ১৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেন বিচারিক আদালত। সেই সঙ্গে ১১ পুলিশ ও সেনা কর্মকর্তাকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
রায়ের পর ওই বছরের ২৭ নভেম্বর বিচারিক আদালতের রায় প্রয়োজনীয় নথিসহ হাইকোর্টের ডেথ রেফারেন্স শাখায় এসে পৌঁছে। দণ্ডিতরাও রায়ের বিরুদ্ধে আপিল-জেল আপিল করেন। পরে পেপারবুক প্রস্তুত করা হয়। সূত্র : কালেরকণ্ঠ
অনলাইন ডেস্ক :
ছাগলকাণ্ডে আলোচিত মতিউর রহমান, স্ত্রী লায়লা কানিজ ও পুত্র আহম্মেদ তৌফিকুর রহমান অর্নবের বিদেশে গমনে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।
আজ ২৪ জুন সোমবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালত আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই আদেশ দেন।
এদিন দুদকের উপপরিচালক মো. আনোয়ার হোসেন তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আবেদন করেন।
আবেদনে বলা হয়েছে, ড. মো. মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মাধ্যমে দেশে ও বিদেশে অবৈধ সম্পদ অর্জনসহ হুন্ডি ও আন্ডারইনভয়েসিং/ ওভারইনভয়েসিং এর মাধ্যমে বিদেশে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধানের জন্য তিন সদস্য বিশিষ্ট অনুসন্ধান টিম গঠন করা হয়েছে। মতিউর রহমান ও তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা দেশত্যাগ করার চেষ্টা করছেন। তাই সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে মতিউর রহমান এবং তার পরিবারের সদস্যদের বিদেশ গমন রহিত করা আবশ্যক।
চলারপথে রিপোর্ট :
প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের জন্য নির্বাচন কমিশন চেষ্টা করে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
তবে নির্বাচন কতটা প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে, তা এ মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না।
এজন্য কমিশনের চেষ্টা অব্যাহত থাকবে বলেও জানান, সিইসি।
আজ ২০ ডিসেম্বর বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রাজশাহীর ছয়টি সংসদীয় আসনের প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা জানান।
এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটাররা কেন্দ্রে ভোট দিতে আসবেন। সেই পরিবেশই থাকবে। নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করতে প্রার্থীদের বার্তা দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি প্রার্থীদের পারস্পরিক সম্পর্ক বজায় রেখে আচরণবিধি মেনে অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে সব ধরনের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।
রাজশাহী সার্কিট হাউসে অনুষ্ঠিত এ মতবিনিময় সভা শেষে সিইসি সাংবাদিকদের আরও বলেন, কোথাও যদি আচরণবিধি লঙ্ঘন হয়ে থাকে, তাৎক্ষণিকভাবে যেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যেন ব্যবস্থা নেয়, সেভাবে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আপনারা বিশ্বাস রাখুন, নির্বাচন সুন্দর হবে।
তিনি বলেন, সবার প্রয়াসে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে। আপনারাও (সাংবাদিকরা) কিন্তু সব সময়ই স্বচ্ছতার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে থাকেন। আপনাদের চেষ্টায়, আমাদের চেষ্টায়, প্রার্থীদের চেষ্টায় এবং ভোটারদের চেষ্টায় এ নির্বাচন সফল হবেই। আজকের মতবিনিময় সভায় আলোচনা শেষে আমরা সবাই এ আশাবাদ ব্যক্ত করেছি।
তিনি বলেন, মতবিনিময় সভায় প্রার্থীদের সবাইকে আচরণবিধি মেনে চলার অনুরোধ জানানো হয়েছে। তারাও যথেষ্ট আন্তরিক। তবে কিছু সমস্যার কথা এসেছে। আমরা শুনেছি। স্থানীয় প্রশাসন কথা বলেছে। সমস্যাগুলো কীভাবে নিরসন করা যায়, সে গাইডলাইনও আমরা দিয়েছি। আশা করি, তারা আমাদের যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, শেষ পর্যন্ত তা তারা আন্তরিকভাবে পালনের চেষ্টা করবেন।
এর আগে সকাল ১০টায় রাজশাহী সার্কিট হাউসের সম্মেলন কক্ষে প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন সিইসি। এ সময় নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা, নির্বাচন কমিশন সচিব জাহাংগীর আলম, রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর, রাজশাহী জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ, পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) আনিসুর রহমান ও রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার বিপ্লব বিজয় তালুকদার, রাজশাহীর পুলিশ সুপার (এসপি) সাইফুল ইসলামসহ নির্বাচন কমিশনের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং রাজশাহীর স্থানীয় প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এ সভায় প্রার্থীদের অনেকে নানা অভিযোগ তুলে ধরেছেন বলে তারা জানিয়েছেন। সিইসি এসব বিষয়ে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। সার্কিট হাউজে মতবিনিময় শেষে রাজশাহী জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করেন সিইসি।