চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগরে গতকাল শনিবার পৃথক অভিযানে ৩৮ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়েছে।
নবীনগর থানার এস. আই শেখ কামাল উদ্দিন ও এস.আই আব্দুল হান্নান সঙ্গীয় ফোর্স সহ অভিযান পরিচালনা করে শিবপুর বাজারের পশ্চিম পাশ থেকে ৮ কেজি গাঁজা উদ্ধার করেন।
অপর অভিযানে বিটঘর ইউনিয়ন এলাকা হতে ৩০ কে.জি গাঁজা উদ্ধার করা হয়।
আটককৃতরা হলেন নাসরিন আক্তার, পিতা- মো. নুর আলম, মোছা. হাফিজা আক্তার, পিতা- মো. হানিফ, মো. আশিক ভূঁইয়া, পিতা- সুবাহান ভূঁইয়া, মো. কাউসার মিয়া, পিতা- আব্দুর রাজ্জাক।
এ বিষয়ে নবীনগর থানায় মামলার দায়ের করে আসামীদেরকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে নবীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইফুদ্দিন আনোয়ার বলেন- মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের জিরো টলারেন্স, অভিযান অব্যাহত থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগরের সীতারামপুর নতুন ব্রিজ সংলগ্ন সড়কের ভূমি অধিগ্রহণকৃত ১২টি চেকের মাধ্যমে, ভূমি মালিকের হাতে ক্ষতিপূরণের ১ কোটি ৭২ লাখ ৪৮ হাজার নয়শত ৬৬ টাকা হস্তান্তর করা হয়েছে। এদিকে ভূমি মালিকগণ টাকা না পেলে জমি ছাড়বেন না এই মর্মে দীর্ঘদিন ধরে সড়কের কাজ বন্ধ ছিল। এবাদুল করিম বুলবুল এম.পি’র সার্বিক প্রচেষ্টায় কোনো রকম হয়রানি ছাড়াই আজ ২৬ মে শুক্রবার দুপুরে উপজেলার সিতারামপুরে নিজ হাতে ক্ষতিগ্রস্ত ভূমি মালিকদের কাছে চেক বিতরণ করেন এবং আজ থেকে আবার বন্ধ থাকা কাজের শুভ সূচনা করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোহাম্মদ এবাদুল করিম বুলবুল এম.পি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনামলেই দুর্নীতিমুক্ত, স্বচ্ছ ও জবাবদিহিতামূলক সরকার ব্যবস্থার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী দ্রুত অধিগ্রহণের টাকা ক্ষতিগ্রস্ত ভূমি মালিকদের কাছে হস্তান্তর করা হচ্ছে। সভাপতির বক্তব্যে নবীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একরামুল সিদ্দিক বলেন, এই চেক বিতরণে কোনো প্রকারের দুর্নীতি ও হয়রানির শিকার কোনো ভূমি মালিককে হতে হয়নি।
এই ক্ষতিপূরণ পাওয়ার জন্য কেউ কোনো টাকা দাবি করে থাকলে তা সরাসরি অবহিত করার জন্য আহ্বান জানান তিনি। নবীনগর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান বলেন, কোনো দালাল বা তৃতীয়পক্ষ না ধরে ভূমি অধিগ্রহণে ক্ষগ্রিস্ত ব্যক্তি জমির প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের এলএ শাখায় যোগাযোগ করলে অতি সহজে স্বল্প সময়ের মধ্যে ক্ষতিপূরণ পাবেন।
চেক হস্তাস্তরকালে বিশেষ অতিথি ছিলেন নবীনগর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (ভূমি) মাহমুদা জাহান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদ সদস্য মো. নাসির উদ্দিন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জাকির হোসেন, নবীনগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক মো. নজরুল ইসলাম নুজু, ত্রাণ সম্পাদক নিয়াজুল হক কাজল,উপ-প্রচার সম্পাদক প্রণয় কুমার ভদ্র সদস্য মো.সুহেল, মডেল প্রেসক্লাব সভাপতি আবু কাউসার, প্রেসক্লাব সিনিয়র সহ- সভাপতি আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া মিনাজ প্রমুখ।
অধিগ্রহণকৃত ভূমি মালিকরা হচ্ছেন, মোহাম্মদ ইয়াকুব আলী, ইয়াসিন মিয়া, জয়নালউদ্দিন, হাসান মিয়া, মকবুল হোসেন, আক্কাস আলী, মোজাম্মেল মিয়া, মাইনুদ্দিন, ওসমান গনি, আব্দুল মোতালিব, রিপন মিয়া, রাবিয়া খাতুন।
চলারপথে রিপোর্ট :
প্রতিদিন সকাল থেকে রাত ১০-১১টা পর্যন্ত চলছে ঈদের কেনাকাটা। গত ৩ এপ্রিল বুধবার দুপুরে উপজেলার সদর বাজারসহ অন্যান্য কয়েকটি বাজার ঘুরে এমন চিত্রই দেখা গেছে। ছোট বড় শপিং মলের পাশাপাশি বিক্রি বেড়েছে ফুটপাতেও।
পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে নবীনগর উপজেলার শপিংমল, মার্কেট, বিপণিবিতান ও রাস্তার পাশের ফুটপাতে গড়ে ওঠা অস্থায়ী দোকানগুলোতে জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা। ঈদের নতুন চালান থেকে বেছে নিচ্ছেন অভিভাবকসহ তরুণ তরুণীদের ড্রেস ও প্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রী। এক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই শিশুরাও, অভিভাবকরা শিশুদের জন্য কিনছেন বাহারি রকমের পোশাক। ঈদ বাজার জমজমাট হওয়ায় খুশি বিক্রেতারাও। আধুনিক সমবায় সুপার মার্কেটে গিয়ে দেখা যায়, ঈদকে সামনে রেখে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। পুরো পরিবার নিয়েই অনেকে হাজির হয়েছেন শপিং মার্কেটে। নবীনগর পৌর এলাকার পূর্ব পাড়ার মুসা মিয়া বলেন, প্রবাস থেকে দেশে ফিরে এসেছি বন্ধুবান্ধবসহ পরিবারের সাথে ঈদ উদযাপন করব। পরিবার ও নিজের জন্য ঈদের কেনাকাটা করছি।
ঈদের শপিং করতে আসা বিদ্যাকুট গ্রামের ইব্রাহিম মিয়া বলেন, ঈদের কেনাকাটা করবো বলেই উপজেলার সদর বাজারে আসছি কিন্তু এ বছর তুলনামূলক সবকিছুর দাম বেশি মনে হচ্ছে। সমবায় মার্কেট থেকে শার্ট ও প্যান্ট কিনেছি, এখন জুতা কিনতে সালাম রোডের দিকে যাচ্ছি।
রসুলাবাদ থেকে আসা আফরোজা বেগম বলেন, ঈদের কেনাকাটা করতে নবীনগর বাজারে আসছি। ঈদের জন্য জামা কাপড় কিনেছি। ছেলে ভাইনা করেছে নীল রঙের ঘড়ি কিনবে, ঘড়ির দোকানে যাচ্ছি। দামের বিষয়ে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, দাম একটু বেশি।
পৌর এলাকা রাজ্জাক মিয়া বলেন, গত দুই মাস আগে যে শার্ট ৫০০-৭০০ টাকায় কিনেছি এখন তা ৮০০-১০০০ টাকায় কিনতে হচ্ছে।
খাজানগর গ্রামের রহিছ মিয়া জানান, ঈদের কেনাকাটা করতে পরিবার নিয়ে শপিংমলে আসছি। গত বছরের তুলনায় এবছর পোশাকের দাম বেশি মনে হচ্ছে। একটি থ্রি পিস কিনতে গেলে ৩২০০ টাকা দাম বলেন, যা পরে আমার কাছে ১১০০ টাকা বিক্রি করেন। নির্ধারিত মূল্য তালিকা না থাকায় ঈদকে সামনে রেখে কিছু দোকানদাররা এই সুবিধা নিচ্ছেন বলে তার অভিযোগ। তুলনামূলক রাস্তার পাশের অস্থায়ী দোকানগুলোতে এবছর বেড়েছে বিক্রির পরিমাণ। শপিংমল গুলোতে মূল্য বেশি হওয়ায় অনেকেই ভিড় জমাচ্ছেন ফুটপাতের অস্থায়ী দোকানগুলোতে। এদিকে বিক্রেতারা বলছেন, বর্তমানে বৈশ্বিক মন্দার কারণে আগের চেয়ে সব পণ্যের দাম চওড়া। তাই আমাদের কিনতে হয় বেশি দামে। দাম বেশি হওয়ায় ক্রেতারাও দেখে শুনে যাচাই করে নিচ্ছেন
চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগরের জিনদপুর ইউনিয়নের চারপাড়া এলাকায় গতকাল ২৪ জুলাই বুধবার রাতে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে ৩ জন নিহত হয়েছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, বুধবার রাত সাড়ে সাতটায় পাশ্ববর্তী মুরাদনগর উপজেলার টংকি ইউনিয়নের বাইরা গ্রামের সেলিম মিয়ার ছেলে ছাব্বির (২০) মোটরসাইকেল যোগাযোগ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর আসার পথিমধ্যে চারপাড়া ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় বিপরীত থেকে আসা রাব্বির মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনা ঘটেছে। এতে দুইটি মোটরসাইকেলে থাকা ৩জন নিহত হয়েছে।
নিহতরা হচ্ছে ছাব্বির (২০), জিনদপুর গ্রামের হাফেজ মিয়ার ছেলে রাব্বি (২১) ও জিনদপুর ইউনিয়নের মালাই গ্রামের কাদির মেম্বারের ছেলে পিয়াস। ঘটনাস্থলে ছাব্বির ও কুমিল্লা নেওয়ার পথে রাব্বি ও পিয়াস মারা যায়।
নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাবুব আলম বলেন, দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে ৩ জন মারা গেছে।ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগর উপজেলায় কথা কাটাকাটির জেরে লতিফা বেগম (৪২) নামে এক নারীকে পেট্রল ঢেলে পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে দেবরের বিরুদ্ধে। তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ ২২ মার্চ বুধবার তিনি মারা যান।
গত রবিবার উপজেলার রসুলুল্লাহবাদ ইউনিয়নের উত্তর দাররা গ্রামে ভাবির শরীরে পেট্রল ঢেলে পুড়িয়ে দেন বলে জানা গেছে।
লতিফা বেগম ওই এলাকার মো. জাকারিয়ার স্ত্রী।
মো. জাকারিয়া জানান, কয়েক দিন আগে আমার ছোট ভাই জালাল মিয়ার সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়েছিল। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ ছিল জালাল। দুপুরে আমি বাড়িতে ছিলাম না। লতিফা পিঠা তৈরি করছিল। এ সুযোগে জালাল পেছন থেকে লতিফার গায়ে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে আগুনে তার সারা শরীর ঝলসে যায়।
নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইফুদ্দিন আনোয়ার বলেন, এ বিষয়ে থানায় একটি মামলা হয়েছে। তাকে ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। খুব শীঘ্রই তাকে গ্রেফতার করা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগরে মুক্তি প্রাইভেট হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা: পারভেজ আহমেদকে হাত-পা বেঁধে ও নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে হাসপাতালের মালিক মো: হাবিবুর রহমান খন্দকার ও পরিচালক জসিম উদ্দিন সরকারের এর বিরুদ্ধে। ১৩ অক্টোবর রবিবার দুপুরে হাসাপতালের একটি রুম থেকে হাত পা বাঁধা অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে নবীনগর থানা পুলিশ। এ ঘটনায় হাসপাতালের মালিক মো: হাবিবুর রহমান খন্দকার ও পরিচালক জসিম উদ্দিন সরকারসহ আরো ৪/৫ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর থানায় মামলা দায়ের করেছেন চিকিৎসক পারভেজ আহমেদ।
মামলার সূত্রে জানা যায়, ডাক্তার পারভেজ আহমেদ দুপুর দেড়টা পর্যন্ত নির্ধারিত ডিউটি শেষ করে তার রুমে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। ওই সময় মুক্তি হাসপাতালের মালিক হাবিবুর রহমান খন্দকার ডাক্তার পারভেজ আহমেদকে ডাকাডাকি করলে তিনি অনীহা প্রকাশ করেন। এসময় বিবাদী জসিম উদ্দিনসহ অজ্ঞাত আরো ৪/৫ রুমে জোরপূর্বক ঢুকে ডাক্তার পারভেজ আহমেদকে এলোপাথারি পিটিয়ে মারাত্মক জখম করে হাত-পা বেধেঁ রাখে। এ ঘটনায় হাসপাতালের পরিচালক জসিম উদ্দিন সরকারকে গ্রেফতার করে আজ ১৪ অক্টোবর সোমবার দুপুরে আদালতে প্রেরণ করা হয়। গ্রেফতারকৃত জসিম উদ্দিন সরকার নবীনগর উপজেলার ইব্রাহিমপুর গ্রামের রফিক উদ্দিন সরকারের ছেলে।
হাসপাতালের ম্যানেজার ঝরনা ঘোষ জানান, একজন রোগী এলে আমি রিসিট কেটে ডাক্তার সাহেবকে গিয়ে বলি, স্যার একজন রোগী এসেছে, তখন ডাক্তার সাহেব উত্তেজিত হয়ে আমাকে জানান, আমার এখন কোন ডিউটি নেই, আমি যেতে পারবো না, তোমার মালিককে জানিয়ে দাও, পরে হাসপাতালের মালিক হাবিব স্যার এসেও ডাক্তার সাহেবকে অনুরোধ করেন রোগী দেখার জন্য। কিন্তু ডাক্তার সাহেব কারও কোন কথাই মানতে নারাজ। এনিয়ে ডাক্তার সাহেব ও হাবিব স্যার তর্কবিতর্কে জড়িয়ে পড়ে। পরে তাদের মাঝে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এসময় হাবিব স্যারও আহত হয়েছেন।
নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির বলেন, আমাকে একজন ফোন করে জানান মুক্তি প্রাইভেট হাসপাতালে মারামারি হয়েছে। এই সংবাদের ভিত্তিতে হাসপাতালে যায়। হাসপাতালে গিয়ে ডাক্তারকে হাত পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় পরিচালক জসিম উদ্দিনকে গ্রেফতার করলেও হাসপাতালের মালিক হাবিবুর রহমান পালিয়ে যাই। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।