অনলাইন ডেস্ক :
মেক্সিকোতে গোলাগুলিতে অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন আরো ৯ জন। দেশটির উত্তরাঞ্চলে একটি কার রেসিং শোতে এ ঘটনা ঘটে। আজ ২১ মে রবিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, শনিবার মেক্সিকোর উত্তরাঞ্চলে বাজা ক্যালিফোর্নিয়ায় একটি কার-শোতে বন্দুক হামলায় কমপক্ষে ১০ জন নিহত এবং ৯ জন আহত হয়েছেন বলে স্থানীয় পৌর সরকার জানিয়েছে।
রয়টার্স বলছে, এনসেনাডা শহরের সান ভিসেন্টে এলাকায় অল-টেরেন কার রেসিং শো চলাকালীন এই হামলার ঘটনা ঘটে। ৯১১ তে রিপোর্ট করা বিবরণ অনুসারে, দুপুর সোয়া দুইটার পর লম্বা বন্দুকধারী লোকেরা একটি ধূসর ভ্যান থেকে বেরিয়ে গ্যাস স্টেশনে কার রেসিং শোতে অংশগ্রহণকারীদের ওপর গুলি করতে শুরু করে।
মিউনিসিপ্যাল ও স্টেট পুলিশ, মেরিনস, ফায়ার ডিপার্টমেন্ট এবং মেক্সিকান রেড ক্রসসহ অন্যান্য সংস্থা ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে।
মেয়র আরমান্দো আয়ালা রোবেলস বলেছেন, প্রাদেশিক অ্যাটর্নি জেনারেল রিকার্ডো ইভান কার্পিও সানচেজ গোলাগুলির ঘটনার তদন্তের জন্য একটি বিশেষ দল গঠন করেছেন।
অনলাইন ডেস্ক :
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ইস্যুতে নিজের অবস্থান পরিবর্তন করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের পিয়ার্স মরগানকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সাথে শান্তি সংলাপে বসতে তিনি প্রস্তুত।
সাক্ষাৎকারে জেলেনস্কি বলেন, যদি ইউক্রেনে শান্তি ফিরিয়ে আনা এবং প্রাণহানি ঠেকানোর এই একটি মাত্র পথই খোলা থাকে, সে ক্ষেত্রে আমি বলব, আমরা এই সেটআপে যেতে এবং শান্তি সংলাপে বসতে প্রস্তুত।
পুতিনের সাথে সংলাপে বসার আগ্রহ প্রকাশের মাধ্যমে নিজের পূর্ব অবস্থান থেকে কার্যত ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গেছেন জেলেনস্কি। কারণ এর আগে তুরস্ক, বেলারুশ, ভারতসহ বিভিন্ন দেশ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বেশ কয়েকবার রাশিয়ার সঙ্গে শান্তি সংলাপের জন্য জেলেনস্কিকে আহ্বান জানিয়েছিলেন। জেলেনস্কি সেসব আহ্বান ও আয়োজনে সাড়া দেননি। মঙ্গলবার জেলেনস্কি জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত যুদ্ধে ৪৫ হাজার ১০০ সেনা নিহত হয়েছে। আহতের সংখ্যা ৩ লাখ ৯০ হাজার। যুদ্ধে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অপরিসীম– বলেন তিনি। এদিকে কিয়েভের জন্য শক্তিশালী অবস্থান নিশ্চিত করতে নতুনভাবে ৬ কোটি ৮৭ লাখ মার্কিন ডলার আর্থিক সহায়তা করবে লন্ডন। গতকাল বুধবার ইউক্রেন সফরকালে এ বিষয়ে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি ঘোষণা দেবেন।
ল্যামি বলেছেন, ইউক্রেনের প্রতি আমাদের সমর্থন অটুট রয়েছে। যে কোনো ক্ষেত্রে ইউক্রেনকে শক্তিশালী পর্যায়ে নিতে আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ। খবর দ্য গার্ডিয়ানের।
অনলাইন ডেস্ক :
মেক্সিকোর মুভমেন্ট পার্টির নির্বাচনী প্রচারণার মঞ্চ ভেঙে নিহত হয়েছেন পাঁচজন। ২২ মে বুধবার বিকেলে দেশটির নুয়েভো লিয়নে এ ঘটনা ঘটে। সূত্র : রয়টার্স
স্থানীয় গভর্ণর স্যামুয়ের গারসিয়া বলেন, মঞ্চ দুর্ঘটনায় আরো ৫০ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় ক্লিনিকে চিকিৎসা নেওয়া হয়েছে।
সেন্ট্রিস্ট সিটিজেনস মুভমেন্ট পার্টির প্রেসিডেন্ট প্রার্থী জর্জ আলভারেজ মেনেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে বলেন, সান পেদ্রো গারজা গার্সিয়া শহরে চালানো নির্বাচনী প্রচারণায় হঠাৎ করে একটি ঝড়ে মঞ্চটি ভেঙে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় আহত হয়েছেন প্রেসিডেন্ট প্রার্থী জর্জ আলভারেজ নিজেও। তিনি স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার পর সুস্থ আছেন বলে জানান। তবে তার কর্মীরা আহত হওয়ায় তিনি নির্বাচনী প্রচারণা স্থগিত করেছেন।
এ দুর্ঘটনার জন্য ঝড় বৃষ্টিকে দায়ী করেছেন গভর্ণর গারসিয়া। এছাড়া স্থানীয় বাসিন্দাদের বজ্রপাত ও ঝড় বৃষ্টি থেকে নিরাপদে থাকতে ঘরে থাকার আহ্বান জানান।
মেক্সিকোতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২ জুন।
অনলাইন ডেস্ক :
বাংলাদেশে যুক্তরাজ্যের নতুন বাণিজ্য দূত হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন ব্যারোনেস রোজি উইন্টারটন। যুক্তরাজ্য এবং বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক জোরদারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন তিনি। আজ ২৯ জানুয়ারি বুধবার ঢাকার যুক্তরাজ্য হাইকমিশন এক বার্তায় এ তথ্য জানিয়েছে।
বার্তায় উল্লেখ করা হয়, আমরা আনন্দের সাথে ঘোষণা করছি ব্যারোনেস রোজি উইন্টারটনকে বাংলাদেশে যুক্তরাজ্যের নতুন বাণিজ্য দূত হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছে। তিনি যুক্তরাজ্য এবং বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক জোরদারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন।
বাংলাদেশে বাণিজ্য দূত হিসেবে নিযুক্ত হওয়া প্রসঙ্গে ব্যারোনেস উইন্টারটন বলেন, বাংলাদেশে যুক্তরাজ্য সরকারের বাণিজ্য দূত হিসেবে নিযুক্ত হতে পেরে আমি আনন্দিত। আমি জানি বাংলাদেশ ব্যবসা, চাকরি এবং উভয় দেশের বাজারে ভোক্তাদের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ, যেখানে মোট বাণিজ্যের পরিমাণ তিন বিলিয়ন পাউন্ডেরও বেশি এবং প্রবৃদ্ধির সুযোগ রয়েছে। এ গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য অংশীদারিত্বকে আরো উন্নত করার জন্য আমি অন্তর্বর্তী সরকার, ব্যবসা-বাণিজ্য বিভাগ এবং বাংলাদেশের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর সােথ ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার জন্য উন্মুখ’।
অনলাইন ডেস্ক :
সব দিক থেকে আক্রমণ শুরু করেছে দখল ইসলাইলি বাহিনী। গাজার মানুষ পালানোর সুযোগ পাচ্ছে না। পথে পথে লাশ আর লাশ। লাশ দাফনের সুযোগ পাচ্ছে না। টানা বিমান, স্থল হামলায় বিধ্বত গাজা। নগরী বলতে আর কিছু অবশিষ্ট রইলো না। সব খানে মৃত মানুষের মরদেহ। কোনো এলাকায় পচে গন্ধ ছড়াচ্ছে। অন্য এমন হয়েছে যে একই পরিবারে সবাই বোমা হামলায় নিহত হয়েছেন। এমন অন্তন ২৫ টি পরিবারে রয়েছে যাচ্ছে পরিবারের আর কেউ বেঁচে নেই। কিন্তু এত বর্বরতার পর থামছে না হামলা।
এদিকে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত নবম দিনে গড়িয়েছে। ইসরায়েলের অব্যাহত বিমান হামলায় কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে গাজা। এ যেন মৃত্যু আর আতঙ্কের উপত্যকা। আকাশে যুদ্ধবিমানের বিকট শব্দ। চারদিকে বিধ্বস্ত ভবনের ইট-পাথর। ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় গত ২৪ ঘন্টায় ৩০০ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২,২২৮ জনে। এমন তথ্য জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ৭২৪ শিশুসহ অন্তত ২,২২৮ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে প্রায় ৯ হাজার মানুষ।
চিকিৎসা সরঞ্জামের অভাব ও বিদ্যুৎ সরবরাহের ঘাটতির কারণে গাজার হাসপাতালগুলো ‘কবরস্থানে’ পরিণত হয়েছে বলে জানিয়েছে মানবিক সহায়তা সংস্থা রেড ক্রস।
জ্বালানির অভাবে গাজার একমাত্র বিদ্যুৎকেন্দ্রটি বন্ধ হয়ে গেছে। জেনারেটর দিয়ে হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসাসেবা চালিয়ে নেয়া হচ্ছে। তবে বেশিরভাগ স্থানে জেনারেটরের জ্বালানীও ফুরিয়ে গেছে।
ইসরায়েলের দাবি, গত ৭ অক্টোবর থেকে বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) পর্যন্ত তারা গাজায় চার হাজার টন ওজনের অন্তত ছয় হাজার বোমা হামলা চালিয়েছে।
এদিকে ইসরায়েলে হামাসের হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৪০০ জনে পৌঁছেছে। আহত হয়েছেন প্রায় সাড়ে তিন হাজারের বেশি ইসরায়েলি।
গত শনিবার (৭ অক্টোবর) সকালে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামীদের সংগঠন হামাস কয়েক বছরের মধ্যে ইসরায়েলের ওপর সবচেয়ে বড় হামলা চালায়। ইসরায়েলের ভূখণ্ডে ৫ হাজারেরও বেশি রকেট হামলা করে সংগঠনটি। এ রকেট হামলার ৫ ঘণ্টা পর জনগণের উদ্দেশে দেয়া এক বিবৃতিতে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু যুদ্ধের ঘোষণা দেন।
জাতিসংঘ বলছে, সাম্প্রতিক সময়ের এই সংঘাতে এখন পর্যন্ত ৪ লাখ ২৩ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছে। সংস্থাটির মানবিক বিষয়ক সমন্বয়ের কার্যালয় (ইউএনওসিএ) জানিয়েছে, গাজায় বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা বৃহস্পতিবার আরও ৮৪ হাজার ৪৪৪ জন বেড়েছে। ফলে বর্তমানে এই সংখ্যা ৪ লাখ ২৩ হাজার ৩৭৮ এ পৌঁছেছে।
ইসরায়েল-হামাসের চলমান যুদ্ধে গাজার শরণার্থী শিবিরগুলোতে সংকট বেড়েই চলেছে। এই অবস্থায় উদ্বাস্তুদের জন্য জরুরি ভিত্তিতে ১০ কোটি ৪০ লাখ ডলার সহায়তা চেয়েছে ফিলিস্তিনের শরণার্থীদের সহায়তা প্রদান সংক্রান্ত জাতিসংঘভিত্তিক সংস্থা ইউনাইটেড নেশন্স রিলিফ অ্যান্ড ওয়ার্কস এজেন্সি ফর প্যালেস্টাইনি রেফিউজি ইন দ্য নেয়ার ইস্ট (ইউএনআরডব্লিউএ)। সূত্র: রয়টার্স
অনলাইন ডেস্ক :
ইরানের প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন সংস্কারপন্থী মাসুদ পেজেশকিয়ান। তিনি ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির আশীর্বাদপুষ্ট রক্ষণশীল সাঈদ জালিলিকে বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে ইরানের ১৪তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। খবর আল-জাজিরার
ইরানের নির্বাচন কমিশনের দেওয়া তথ্যানুসারে, প্রথম দফার নির্বাচনে সংস্কারপন্থী হিসেবে পরিচিত মাসুদ পেজেশকিয়ান ১ কোটি ৪ লাখ ১৫ হাজারে বেশি ভোট পেয়ে এগিয়েছিলেন। প্রতিদ্বন্দ্বী খামেনি সমর্থিত কট্টরপন্থী সাঈদ জালিলি পেয়েছিলেন ৯৪ লাখ ৭৩ হাজার ২৯৮ ভোট।
ইরানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত তথ্য অনুসারে, দ্বিতীয় দফার ভোটে মাসুদ পেজেশকিয়ান পেয়েছেন প্রায় ১ কোটি ৬৩ লাখ ভোট। বিপরীতে তার প্রতিদ্বন্দ্বী সাঈদ জালিলি পেয়েছেন মাত্র ১ কোটি ৩০ লাখের বেশি ভোট। অর্থাৎ মাসুদ পেজেশকিয়ান প্রায় ৩৩ লাখ ভোটের ব্যবধানে খামেনি সমর্থিত প্রার্থী সাঈদ জালিলিকে হারিয়েছেন।
গত সপ্তাহে অনুষ্ঠিত ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রথম দফায় কোনো প্রার্থীই ৫০ শতাংশের বেশি ভোট নিশ্চিত করতে পারেননি। তাই নিয়ম অনুসারে নির্বাচন গড়ায় দ্বিতীয় দফায় তথা রান-অফে। এই রান-অফে অংশ নেন প্রথম দফার নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি ভোট পাওয়া দুই প্রার্থী মাসুদ পেজেশকিয়ান ও সাঈদ জালিলি।
কট্টরপন্থীদের ব্যাপক নির্বাচনী প্রচারণার মাঝে নারীর অধিকার, অধিক সামাজিক স্বাধীনতা, পশ্চিমের সঙ্গে বৈরিতায় সতর্কতা ও অর্থনৈতিক সংস্কারের প্রতি সমর্থন জানিয়ে ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন মধ্যপন্থী মাসুদ পেজেশকিয়ান।
মাসুদ পেজেশকিয়ানের বয়স ৬৯ বছর। তিনি হৃদ্রোগবিষয়ক সার্জন। ইরানের পার্লামেন্টে ২০০৮ সাল থেকে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় তাবরিজ শহরের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করছেন তিনি। ইরানের প্রধান সংস্কারপন্থী জোট তাঁকে সমর্থন দিয়েছে। সাবেক দুই সংস্কারপন্থী প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ খাতামি ও হাসান রুহানিরও সমর্থন পেয়েছেন তিনি।
অন্যদিকে ৫৮ বছর বয়সী জালিলি পশ্চিমাবিরোধী অবস্থানে অনড়। তিনি কট্টরপন্থী সমর্থকদের যথেষ্ট সমর্থন ধরে রেখেছেন। অন্য রক্ষণশীল নেতাদের কাছ থেকেও সমর্থন পেয়েছেন তিনি।