ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঐতিহ্যবাহী ব্রাদার্স ইউনিয়ন ক্লাবের সভাপতি বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ, সমাজসেবক ও সংগঠক ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বারের সিনিয়র আইনজীবী জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ্ব এড. মাহবুবুল আলম খোকন জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিজ্ঞ পাবলিক প্রসিকিউটর মনোনীত হওয়ায় ব্রাদার্স ইউনিয়ন ক্লাবের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে।
গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ব্রাদার্স ইউনিয়ন ক্লাবের উদ্যোগে ক্লাব প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, এড. মাহবুবুল আলম খোকন সারাজীবন মানুষের কল্যাণে আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছেন, বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক রাজনৈতিক সংগঠনের দক্ষ সংগঠক মাহবুবুল আলম খোকন মানুষের সাথে সম্প্রীতির বন্ধন রেখে সমাজ উন্নয়নে মানুষের সেবায় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন, দক্ষ ব্যক্তিকে বিজ্ঞ পিপি মনোনীত করা হয়েছে উল্লেখ করে বক্তারা বলেন তিনি বিজ্ঞ পিপি মনোনীত হওয়ায় বিচারপ্রার্থীরা উপকৃত হবেন।
সংবর্ধনার জবাবে বিজ্ঞ পিপি এড. আলহাজ্ব মাহবুবুল আলম খোকন বলেন, মানুষের সেবা ও দেশের কল্যাণকে জীবনের ব্রত হিসেবে নিয়ে আমি আমার দায়িত্ব পালনের চেষ্টা করেছি এবং আগামীতেও করবো। মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে আমার চাওয়া একটাই জীবনের শেষ শ্বাস পর্যন্ত আমি মানুষের সেবায় যেন নিবেদিত থাকতে পারি। তিনি সকল মহলের সহযোগিতা ও দোয়া কামনা করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার মেয়র মিসেস নায়ার কবীর।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক, ব্রাদার্স ইউনিয়ন ক্লাবের উপদেষ্টা মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ব্রাদার্স ইউনিয়ন ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এম, আবদুল বাছেদ।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন সাবেক পৌর মেয়র জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ সভাপতি মোঃ হেলাল উদ্দিন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ডাঃ মোঃ আবু সাঈদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া আইন কলেজের অধ্যক্ষ এড. মোঃ হাবিব উল্লাহ, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা বারের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এড. আবদুর রহমান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আইনজীবি সমিতির সাধারণ সম্পাদক সামসুজ্জামান চৌধুরী কানন, সাবেক সভাপতি এড. ওসমাণ গণি, সাবেক সভাপতি এড. সারোয়ার ই আলম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক এড. মিন্টু ভৌমিক,এড. আবদুল করিম, এড. সৈয়দ তানভীর, ব্রাদার্স ইউনিয়ন ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও উচ্চ পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ কামাল উদ্দিন ভূঁইয়া, ৫ নং ওয়ার্ডের পৌর কাউন্সিলর ও ব্রাদার্স ইউনিয়ন ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এম . এ মালেক চৌধুরী, জেলা যুবলীগের সভাপতি এড. শাহানুর ইসলাম, সাবেক ভিপি হাসান সোরোয়ার প্রমুখ।
বক্তব্য রাখেন ৫ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি রফিবকুল ইসলাম, মধ্যপাড়া বাজার ব্যবসায়ী কমিটির সাধারণ সম্পাদক হাজী জাহাঙ্গীর আলম, ব্রাদার্স ইউনিয়ন ক্লাবের সহ সভাপতি তাপশ পাল প্রণব। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ব্রাদার্স ইউনিয়ন ক্লাবের সদস্য আল আমীন শাহীন।
অনুষ্ঠানে এড. মাহবুবুল আলম খোকনকে সম্মাননা ক্রেস্ট, উত্তরীয়, এবং সম্মাননা পত্র প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে এড. মাহবুবুল আলম খোকনকে ফুলেল অভিনন্দন জানান হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
অতিরিক্ত তাপমাত্রার কারণে বেঁকে যাওয়া রেললাইন সোজা করা হয়েছে। গতকাল শনিবার রাত থেকে চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও সিলেটের সঙ্গে ঢাকা অভিমুখী রেলপথে (আপলাইন) ট্রেন চলছে। তবে, গতি কমিয়ে দুর্ঘটনাকবলিত এলাকা অতিক্রম করছে ট্রেন। আজ ৩০ এপ্রিল রবিবার ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম ও সিলেট অভিমুখী রেলপথ (ডাউনলাইন) দিয়েও ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
আখাউড়া রেলওয়ের সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী মেহেদী হাসান আহমেদ তারেক বলেন, অতিরিক্ত তাপমাত্রার কারণে দারিয়াপুর এলাকায় শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রেললাইন আবার বেঁকে যায়। চট্টগ্রাম-সিলেটমুখী ডাউনলাইনও কয়েকটি জায়গায় বেঁকে গেছে। পানি ও কচুরিপানা দিয়ে রেললাইন শীতল করা হয়। এতে শনিবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ডাউনলাইন দিয়ে ঢাকা, সিলেট, ময়মনসিংহ ও চট্টগ্রামের গতি কমিয়ে সব ট্রেন চলাচল করেছে। দারিয়াপুরে রেললাইনের তাপমাত্রা ৪৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস পাওয়া যায়। সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিটে দারিয়াপুর এলাকায় বেঁকে যাওয়া রেললাইন সোজা করা হয়।
রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার বেলা পৌনে একটার দিকে দারিয়াপুর এলাকায় রেললাইন বেঁকে কনটেইনার বহনকারী ট্রেনের সাতটি বগি লাইনচ্যুত হয়। ২৮ ঘণ্টা পর গত শুক্রবার বিকেল পাঁচটার দিকে লাইনচ্যুত হওয়া ট্রেনের সাতটি বগি উদ্ধার করা হয়। শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে অতিরিক্ত তাপমাত্রার কারণে আবার একই স্থানে রেললাইন বেঁকে যায়।
সূত্রে জানা গেছে, শনিবার আখাউড়া থেকে আশুগঞ্জ পর্যন্ত গতি কমিয়ে ট্রেন চলানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে তালশহর পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার গতিতে, আশুগঞ্জ থেকে নরসিংদী পর্যন্ত ৪০ কিলোমিটার গতিতে ও নরসিংদী থেকে টঙ্গী পর্যন্ত সব ট্রেনকে ৩০ কিলোমিটার গতিতে চালানোর জন্য লোকোমাস্টারদের (ট্রেনচালক) নির্দেশনা দেওয়া হয়।
রেলওয়ের কর্মচারী (কিম্যান) ইব্রাহীম খলিল উল্লাহ বলেন, বেঁকে যাওয়া রেললাইন স্বাভাবিক করতে শনিবার রাতে অনেক স্লিপার লাগানো হয়েছে। এখনো চলছে কাজ। আপ ও ডাউনলাইন স্বাভাবিক রয়েছে। কোনো সমস্যা নেই।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনমাস্টার জসিম উদ্দিন বলেন, আপলাইন দিয়ে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। শুধু গোকর্ণ লেবেল ক্রসিং এলাকা থেকে দুর্ঘটনাকবলিত দারিয়াপুর পর্যন্ত আপলাইনের সব ট্রেন ১০ কিলোমিটার গতিতে চলাচল করছে।
এদিকে, বৃহস্পতিবারের দুর্ঘটনা তদন্তে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটিতে রেলওয়ের ঢাকা বিভাগীয় কর্মকর্তা মো. খায়রুল কবিরকে প্রধান করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ১৪৯ তম বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা আজ ১৪ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সকাল ১০টা থেকে বিকাল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত বিদ্যালয়ের খেলার মাঠে (বোর্ডিং মাঠ) অনুষ্ঠিত খেলার উদ্বোধনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, পৌর মেয়র মিসেস নায়ার কবির।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফরিদা নাজমীন। উক্ত ক্রীড়া প্রতিযোগিতার ইভেন্টসমূহ ছিল দৌড়, নিক্ষেফ, লাফ-ঝাঁপ ও স্মৃতি শক্তি পরীক্ষা।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম বলেন, ভবিষ্যত স্মার্ট বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় শিক্ষার্থীদেরই এগিয়ে আসতে হবে। তাই শিক্ষার্থীদের পড়াশুনার পাশাপাশি সুস্থ সবল হয়ে উঠতে হবে। খেলাধুলা শরীর ও মন সুস্থ রাখতে কার্যকর ভূমিকা রাখে। ক্রীড়া প্রতিযোগিতা শিক্ষার একটি বড় অংশ। নিজের মেধাকে বিকশিত করতে হলে স্ব-শিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে। শিক্ষার্থীদের জীবনের লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য পড়াশোনায় অধিকতর মনোযোগী হওয়ারও আহ্বান জানান তিনি।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে দুস্থদের মাঝে কম্বল বিতরণ করেছে ডক্টরস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখা।
আজ ১৯ জানুয়ারি রবিবার বিকালে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রাঙ্গণে দুস্থদের মাঝে কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ডক্টরস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার প্রতিষ্ঠাকালীন সাবেক সভাপতি ডা. মেজবাহউদ্দিন চৌধুরী।
ডক্টরস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার সভাপতি ডা. মকবুল হোসেনের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. হিমেল খানের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন ড্যাবের সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. জহিরুল ইসলাম ও ড্যাবের উপদেষ্টা ডা. আমান উল্লাহ আমান, ডা. এ.এস.এম. মুসা, সহ-সভাপতি ডা. রহিমা খাতুন শেফালী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. আকতার হোসেন, কোষাধ্যক্ষ ডা. মনির হোসেন, ডা. পিবি রায় সুপ্রিয়, ডা. কাজী শান্তুনু সায়হম অর্নব ও দপ্তর সম্পাদক ডা.কাজী আশরাফুর রহমান প্রমুখ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডক্টরস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সদস্য ডা. সৈয়দ আরিফুল ইসলাম, ডা. জাকিয়া সুলতানা রুনা, ডা. মাহবুবুর রহমান এমিল, ডা. মাইনুল হক উপল, ডা. সারোয়ার, ডা. কিরণ, ডা. সাদ্দাম, ডা. রাকিব, ডা. তৌফিকা তামান্না প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ‘শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের জন্ম না হলে এদেশ স্বাধীনতা অর্জন করতে পারতো না। জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষক এটা চিরন্তন সত্য। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান যখন মারা গেছেন তখন তার বাসায় একটি স্যুটকেস পাওয়া যায়নি কিন্তু ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার সরকার যখন দেশ ছেড়ে পালিয়ে যায় তখন তার হেলিকপ্টারে ১৪টি ব্রিফকেসে করে মালামাল নিয়ে পালিয়ে যায়। এই হচ্ছে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে পার্থক্য। পরে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল শেষে এসব কম্বল বিতরণ করা হয়।’
চলারপথে রিপোর্ট :
সড়ক প্রশস্ত হচ্ছে। তবে বিদ্যুতের খুঁটি থাকায় প্রশস্ততা কোনো কাজে লাগছে না। সড়ক নির্মাণ করতে গিয়ে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে পানি নিষ্কাশন। অথচ বিকল্প কোনো ব্যবস্থা না করায় কৃষি সেচ কাজে ব্যাঘাত ঘটছে, সৃষ্টি হচ্ছে জলাবদ্ধতা।
বিভিন্ন দপ্তরের সমন্বয়হীনতার কারণে এভাবেই উন্নয়নকাজের ব্যাঘাত ঘটছে বলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের পদস্থ কর্মকর্তারা তাদের আলোচনায় তুলে ধরেছেন। পাশাপাশি এসব থেকে উত্তরণে বেশ কিছু পরামর্শও দিয়েছেন তারা।
আজ ২২ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সার্কিট হাউস সম্মেলনকক্ষে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ‘ফোকাস গ্রুপ ডিসকাশনে’ এসব বিষয় তুলে ধরা হয়। ‘স্ট্রেনথেনিং ইন্টার ডিপার্টমেন্ট ইমপ্লেমেন্টিং ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট : এ ডিস্ট্রিক্ট লেভেল অ্যানালাইসিস’ শীর্ষক গবেষণার এ আয়োজনটির ব্যবস্থাপনায় ছিলো মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
আয়োজন করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসন। সভায় জেলার বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথি থেকে সকাল সোয়া ১০টার দিকে এ আয়োজনের উদ্বোধন করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান। দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. শামসুন্নাহার।
স্বাগত বক্তব্য দেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. সাইফুল ইসলাম। গ্রুপ পর্যায়ে আলোচনা করে উন্নয়নকাজ বাস্তবায়নে বিভিন্ন দপ্তরের সমন্বয় বিষয়ে নিজেদের মতামত তুলে ধরেন সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মীর নিজাম উদ্দিন, এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল মান্নান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সোনাহর আলী, পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক বিশল চক্রবর্তী, আশুগঞ্জ-কুমিল্লা ছয় লেন মহাসড়ক প্রকল্পের ডেপুটি ম্যানেজার শামীম আহমেদ।
এ সময় জানানো হয়, একটি উন্নয়ন কাজ করতে গেলে একাধিক দপ্তরের সংশ্লিষ্টতা থাকে। কিন্তু সাধারণত যে দপ্তর কাজটি করে এর বাইরে কাউকে এতে সম্পৃক্ত করতে দেখা যায় না। এক দপ্তরের কর্মকর্তা আরেক দপ্তরের কাছে যেতে কুণ্ঠাবোধ করেন।
সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের ক্ষেত্রে বেশির ভাগ সময়ই গোঁজামিল দেওয়া হয়। সময়ের কাজ সময়ে করা হয় না। ঠিকমতো অর্থ বরাদ্দ পাওয়া যায় না। আগের কাজ পরে পরের কাজ আগে করা হয়। এমন সব সমন্বয়হীনতার কারণে উন্নয়ন কাজে ব্যাঘাত ঘটে। এমন অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের ক্ষেত্রে আরো গুরুত্ব দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। পাশাপাশি কোনো একটি কাজের জন্য পরামর্শক নিয়োগ করা যারা সবগুলো দপ্তরের সমন্বয় করে কাজটি এগিয়ে নিয়ে যাবে।
অধ্যাপক ড. শামসুন্নাহার বলেন, ‘দপ্তরগুলোর মধ্যে সমন্বয়হীনতার কারণে উন্নয়নকাজে ব্যাঘাত ঘটার অনেক উদাহরণ আছে। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে কাজ করতে হবে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে যে মতামতগুলো উঠে আসবে সেগুলো গবেষণায় কাজে লাগানো হবে।’
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান বলেন, ‘ওয়ান বাই ওয়ান কথা বলেও কাজের সমন্বয় করা যায়। প্রয়োজনে জেলা প্রশাসন এ কাজে সহযোগিতা করবে। আমরা তো ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেখেও ব্যবস্থা নিই। আমরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে এমন একটা গবেষণা চাই যেটা সারা দেশে কাজে লাগবে।’
চলারপথে রিপোর্ট :
আগামী ১৮জুন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শুরু হবে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন। এ বছর ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাঁচ লাখের বেশি শিশুকে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। এর মধ্যে ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সি শিশু সংখ্যা চার লাখ ৬২ হাজার ২৮৯ জন এবং ৬ থেকে ১১ মাস বয়সি শিশুর সংখ্যা ৫৫ হাজার ২৬৫ জন।
আজ ১৪ জুন বুধবার সকালে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মিলনায়তনে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সিভিল সার্জন ডাঃ মোহাম্মদ একরাম উল্লাহ এই তথ্য জানান।
প্রেস ব্রিফিংয়ে সিভিল সার্জন ডাঃ মোহাম্মদ একরাম উল্লাহ জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ৯টি উপজেলা ও একটি পৌর এলাকার (ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভা) মোট ৩০৬ টি ওয়ার্ডের ২হাজার ৪৩৩টি কেন্দ্রে ১৮জুন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত একযোগে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন শুরু হবে। এ সব কেন্দ্রে ৪১২জন স্বাস্থ্য সহকারি, ৯৬জন এ.এইচ.আই এবং ৪ হাজার ৮৬৬জন স্বেচ্ছাসেবক দায়িত্ব পালন করবেন। তিনি বলেন, ক্যাপসুলে কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই। ক্যাম্পেইন নিয়ে কেউ যাতে কোন ধরনের গুজন ছড়াতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখার জন্য সাংবাদিকদের আহবান জানান।
প্রেসব্রিফিং প্রদর্শন করেন সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডাঃ মুনতাসির মনসুর।
বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা, সাংবাদিক সৈয়দ মোহাম্মদ আকরাম, মফিজুর রহমান লিমন, নজরুল ইসলাম বিল্লাল প্রমুখ।