চলারপথে রিপোর্ট :
বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার দ্বি-বার্ষিক কাউন্সিল গতকাল শনিবার অনুষ্ঠিত হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত কাউন্সিলে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব আলহাজ্ব অধ্যক্ষ আল্লামা আলী মোহাম্মদ চৌধুরী।
জেলা ইসলামী ফ্রন্টের সভাপতি অধ্যাপক নাজিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সাধারন সম্পাদক আলহাজ্ব অ্যাডভোকেট ইসলাম উদ্দিন দুলালের পরিচালনায় কাউন্সিল অধিবেশনে বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মোঃ রেজাউল করিম তালুকদার। প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় সহ দপ্তর সচিব ইঞ্জিনিয়ার নুর হোসাইন।
বক্তব্য রাখেন মাওঃ আবু জাফর রেদওয়ানী, অধ্যক্ষ কাজী মহিউদ্দিন মোল্লা, মাওঃ হাসানুজ্জামান, অ্যাডভোকেট সৈয়দ ছায়েদুর রহমান আওলাদ, অধ্যাপক আবদুল ওয়াদুদ, সৈয়দ আবুল বাশার প্রমুখ।
কাউন্সিলে সর্বসম্মতিক্রমে মাওঃ নূরুল ইসলাম আল কাদেরীকে সভাপতি ও আলহাজ্ব মাওঃ মোস্তাক আহমদ ওয়াইসীকে সাধারণ সম্পাদক করে ৫১ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি ঘোষণা করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুটি মোটর সাইকেলের মুখোমুখী সংঘর্ষে মোঃ আলাউদ্দিন (২৫) নামে এক যুবক নিহত এবং মোহন মিয়া (৩২) নামে অপর মোটর সাইকেল যাত্রী আহত হয়েছেন।
গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় রাধিকা-শিবপুর সড়কের সদর উপজেলার বিরামপুর নামক স্থানে এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত আলাউদ্দিন জেলার নবীনগর উপজেলার বিদ্যাকুট গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে। আহত মোহন মিয়াকে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভর্তি করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর থেকে নবীনগরে যাওয়ার পথে রাধিকা-শিবপুর সড়কের বিরামপুরে দুটি মোটর সাইকেলের মুখোমুখী সংঘর্ষ হয়।
এ সময় মোটর সাইকেল আরোহীরা সড়কে এবং সড়কের পাশের খাদে পড়ে যায়।
স্থানীয়রা আহতবস্থায় আলাউদ্দিন ও মোহন মিয়াকে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আলাউদ্দিনকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত মোহন মিয়াকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিজয়নগরে চলন্ত ট্রেন থেকে পড়ে যাওয়া আনুমানিক ১০ বছর বয়সী অজ্ঞাতনামা শিশুটি অবশেষে মারা গেছে।
আজ ২২ জুলাই শনিবার বেলা ১১টার দিকে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুটি মারা যায়। শিশুটি দুইদিন জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অচেতন অবস্থায় ছিলো।
আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ জসিম উদ্দিন খন্দকার বলেন, গত বৃহস্পতিবার দুপুরে সিলেট থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস ট্রেনটি বিজয়নগর উপজেলার মেরাশানি রেলওয়ে স্টেশনে অতিক্রমকালে চলন্ত ট্রেন থেকে পড়ে যায় ১০ বছর বয়সী ছেলে শিশুটি। স্থানীয়রা শিশুটিকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে গ্রাম্য চিকিৎসক ও পরে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে আসে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার দুপুরে শিশুটি মারা গেছে।
তিনি আরো বলেন, শিশুটির নাম-পরিচয় সনাক্ত করার চেষ্টা করছি। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাতিঘর নামক একটি সংগঠনের কাছে তার লাশ দাফনের জন্য হস্তান্তর করেছি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ক্যারিয়ার কাউন্সিলিং, লক্ষ্য নির্ধারণ, যোগাযোগ ও হ্যাপিনেস নিয়ে আত্ম উন্নয়নমূলক কর্মশালা আজ ২ আগস্ট বুধবার অনুষ্ঠিত হয়েছে। দুপুর ১টার দিকে শহরের ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজের একটি শ্রেণিকক্ষে এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
হুসাইন আলি রুবেল কোচিং অ্যান্ড কনসালটেন্সি প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে আয়োজিত এই কর্মশালায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজের একাদশ ও স্নাতকের শিক্ষার্থীরা এই আত্ম উন্নয়নমূলক কর্মশালায় অংশ নেয়।
কর্মশালার উদ্বোধন করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক এ.এস.এম শফিকুল্লাহ। বক্তব্য রাখেন উপাধ্যক্ষ মোঃ ইব্রাহিম। কর্মশালা পরিচালনা করেন প্রশিক্ষক, সাক্সেস মাইন্ডসেট কোচ ও সুডেন্ট কাউন্সিলর মোহাম্মদ হোসাইন আলী রুবেল। সংগঠনের পক্ষে স্টুডেন্ট কাউন্সিল ও মোটিভেশনাল স্পিকার সাবিহা বেগম কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন।
কর্মশালায় ছাত্রীরা কিভাবে তারা নিজের ক্যারিয়ার গড়বে, তাদের ভবিষ্যতের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য কিভাবে নির্ধারণ করবে, কিভাবে যোগাযোগের দক্ষতা বৃদ্ধি করবে এবং কিভাবে নিজের উপর পুরো নিয়ন্ত্রণ রেখে একটি সুস্থ এবং সুন্দর জীবন যাপন করা যায় এসবের উপর আলোচনা হয়।
কর্মশালায় মোহাম্মদ হুসাইন আলী বলেন, আমরা নানা কারণে ব্যক্তিগত ও সামাজিক বিভিন্ন বিষয়ে ভারাক্রান্ত হয়ে থাকি। দুঃখে আমাদের মন ভারী হয়ে ওঠে। ভালো থাকার জন্য দুঃখকে সুখে রূপান্তর করা জরুরি। তাই সব কিছুর মধ্যে হ্যাপিনেস খুঁজতে হবে। একজন শিক্ষার্থীর জন্য লক্ষ্য নির্ধারণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। লক্ষ্য নির্ধারণ করতে না পারলে জীবনে উন্নতি করা যায় না।
মহিলা কলেজের একাদশ শ্রেনীর শিক্ষার্থী জান্নাতুল ফেরদৌসা, মাওয়া আক্তার বলেন, এই কর্মশালায় অংশ গ্রহন করতে পেরে আমরা আনন্দিত ও উচ্ছ্বসিত। কারণ এটা তাদের আত্ম উনয়নে, ক্যারিয়ার গঠনে এবং আমাদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে যথেষ্ট ভূমিকা রাখবে।
আশুগঞ্জ উপজেলার আশুগঞ্জ বাজার এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ হুসাইন আলি রুবেল ব্যক্তিগত উদ্যোগে দীর্ঘ এক বছর ধরে এই ধরণের কর্মশালার আয়োজন করে যাচ্ছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
উৎসাহ-উদ্দীপনা ও আনন্দঘন পরিবেশের মধ্য দিয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অষ্টমী গঙ্গাস্নান অনুষ্ঠিত হয়েছেন।
দিবসটি উপলক্ষে আজ ১৬ এপ্রিল মঙ্গলবার সকাল থেকে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে ভক্ত ও পুণ্যার্থীরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার গোকর্নঘাট তিতাস নদীর তীরে এসে সমবেত হয়। পরে তারা তিথি অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে গঙ্গাস্নানে অংশ নেয়।
এসময় ভক্তরা পিতৃ-পুরুষের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনায় নদীর তীরে বসে পুরোহিতের মাধ্যমে তর্পনবিধি পালন করে পবিত্র মন্ত্র জপ করেন। নদীর পবিত্র জলে এই গঙ্গাস্নানের মধ্য দিয়ে ভক্তরা পরিবারের মঙ্গল কামনার পাশাপাশি দেশ ও জাতির জন্য বিশেষ প্রার্থনা করেছেন।
গঙ্গাস্নানে অংশ গ্রহন শেষে খোকন কান্তি আচার্য্য বলেন, প্রতিবছরের ন্যায় এবারো বৈশাখ মাসের শুক্ল পক্ষের অষ্টমী তিথিতে এই গঙ্গাস্নান অনুষ্ঠিত হয়েছে। শাস্ত্রে বলা হয়েছে এই গঙ্গা স্নানের মধ্য দিয়ে জড়ো দেহের পাপ মোচন হয়। যেখানে ভক্তি সহকারে ভক্তরা সমবেত হন, সেখানে ভগবান বিরাজমান থাকেন। গঙ্গাস্থানের মধ্য দিয়ে মনের বাসনা পূর্ণ হয়। সকলেই পরম সুখ লাভ করে থাকেন।
মায়া রানী মোদক জানান, গঙ্গাস্নানের মধ্য দিয়ে আমি নিজের পরিবারের জন্যে মঙ্গল কামনা করেছি। দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনায় শান্তি কামনা করেছি। ভগবান যেন সবার মঙ্গল করেন।
সুবল দাস বলেন, তিতাস নদীর পবিত্র জলে স্নানের মধ্যদিয়ে ভগবানের কাছে পাপ মুক্তির জন্যে প্রার্থনা করেছি। তিনি সকলের যেন মঙ্গল করেন সেই প্রার্থনা ও করেছি।
গঙ্গাস্নান পরিচালনা কমিটির সভাপতি রতন রায় কর্মকার জানান, গঙ্গাস্নানের জন্য একটি পাকা ঘাট জরুরি দরকার। আমরা স্থানীয় ভাবে বালির বস্তা ফেলে ঘাটটিকে স্নানের জন্য উপযোগী করেছি।
এছাড়া গঙ্গাস্নানের জন্য যে ঘাটটি আছে, সেটি দখল দূষণের কবলে পড়ে অনেকটাই শীর্ণকায়ে পরিণত হয়ছে। আমরা এ ব্যাপারে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রীর কাছে ঘাটটি রক্ষায় সার্বিক সহযোগিতা কামনা করছি।
এদিকে ঐতিহ্যবাহী এ গঙ্গাস্নানকে কেন্দ্র করে তিতাস নদীর তীর ঘেষে বসেছে লৌকজ মেলা। মেলায় নাগরদোলা, হরেক রকম বাহারী খাবার মুড়ি-চিড়া, মাঠা, তিল্লাই, বাতাসাসহ মাঠির তৈরী বাহারী খেলনা দোকানের পসরা সাজিয়ে বসেছে দোকানীরা।
চলারপথে রিপোর্ট :
মুজিব বর্ষ উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আশ্রয়ণ প্রকল্প-২-এর আওতায় ৬৬২টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মধ্যে জায়গার দলির ও ঘরের চাবি হস্তান্তর করা হয়েছে।
এর মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় ১০৫ টি পরিবার, বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় ১২৬ টি পরিবার, নবীনগর উপজেলায় ১০০ টি পরিবার, আখাউড়া উপজেলায় ০৮ টি পরিবার, সরাইল উপজেলায় ৪৯ টি পরিবার, আশুগঞ্জ উপজেলায় ২০ টি পরিবার ও নাসিরনগর উপজেলায় ২৫৪টি পরিবারের মধ্যে জমির দলিল ও ঘরের চাবি হস্তান্তর করা হয়।
আজ ২২ মার্চ বুধবার সকালে গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর উদ্বোধন করেন। এই সময়ে প্রধানমন্ত্রী ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ৬টি উপজেলাকে “ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করেন।
“ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত উপজেলাগুলো হচ্ছে বিজয়নগর উপজেলা, নাসিরনগর উপজেলা, সরাইল উপজেলা, বাঞ্ছারামপুর উপজেলা, আশুগঞ্জ উপজেলা ও আখাউড়া উপজেলা।
প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের পর পরই ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা, বাঞ্ছারামপুর উপজেলা, নবীনগর উপজেলা, আখাউড়া উপজেলা, সরাইল উপজেলা, আশুগঞ্জ উপজেলা ও নাসিরনগর উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে উপকারভোগীদের মধ্যে জমির দলিল ও ঘরের চাবি হস্তান্তর করা হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার ১০৫জন উপকারভোগীর মধ্যে জমির দলিল ও ঘরের চাবি হস্তান্তর উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে স্থানীয় সুর সম্রাট দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গনে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার ড. মোঃ আমিনুর রহমান।
জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান,যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফিরোজুর রহমান, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সেলিম শেখ, সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোঃ মোশারফ হোসেন, সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট লোকমান হোসেন, মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান শামীমা আক্তার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা।
অনুষ্ঠানে সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নের কাঞ্চনপুর আশ্রয়ণ প্রকল্পে ঘর পাওয়া বেদে সঙ্গীতা বেগম বলেন, আগে আমরা নৌকায় থাকতাম। যাযাবর জীবন ছিলো আমাদের। এখন থেকে নিজের ঘরে থাকব, এর চেয়ে আনন্দের আর কি হতে পারে। তিনি তাকে ঘর দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।
একই আশ্রয়ণ প্রকল্পে ঘর পাওয়া বেদে শিল্পী বেগম বলেন, জীবনে অনেক কষ্ট করেছি। প্রধানমন্ত্রী আমাকে আপন ঠিকানা দিয়েছেন। যতদিন বেঁচে থাকব, ততদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য দোয়া করব। তিনি বলেন, আমি জীবনেও নিজের জায়গায় পাকা ঘরে থাকতে পারব ভাবিনি, প্রধানমন্ত্রী আমার সেই স্বপ্ন পূরণ করেছেন।
সদর উপজেলার সুলতানপুর আশ্রয়ণ প্রকল্পে ঘর পাওয়া প্রতিবন্ধী হিরন মিয়া বলেন, আগে ভাইয়ের বাড়িতে থাকতাম। এখন নিজের ঘরে থাকব। শেখ হাসিনা আমাকে জায়গাসহ ঘর দিয়েছে, আমি অনেক খুশি।
ঘর পাওয়া আনোয়ার, রবিউল ও শফিক মিয়া জানান, আজ প্রধানমন্ত্রীর ঘর পেয়ে ঈদের আগেই ঈদ মনে হচ্ছে। আজ থেকে আমরা আমাদের স্বপ্নের নিজের ঘরে থাকব। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের স্বপ্ন পূরণ করে দিয়েছেন। যত দিন বেঁচে থাকব তত দিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য প্রাণভরে দোয়া করব।
উল্লেখ্য, বুধবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হস্তান্তর করা ১০৫টি ঘরের মধ্যে সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নের কাঞ্চনপুরে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৩৫টি ঘর বেদে পরিবারকে দেয়া হয়।