চলারপথে রিপোর্ট :
একই বিদ্যালয়ে পাশাপাশি দুটি ভবন। একটি নির্মাণের চার বছর পর আরেকটি নির্মাণ করা হয়। পুরাতন ভবনটির সব ঠিক থাকলেও পরবর্তীতে নির্মাণ করা ভবনটি মাত্র ১৭ বছরে জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। ভবনের পিলারে পলেস্তারা খসে পড়ে দেখা দিয়েছে ফাটল এবং বের হয়ে এসেছে রড। বিদ্যালয়ের ছাদ থেকেও খসে পড়ছে পলেস্তারা। ছাদের বেশ কয়েকটি জায়গায় ফাটল দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় নতুন ভবনের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে চিঠি দেওয়া হলেও মেলেনি কোনো সাড়া। ঝুঁকি নিয়ে চলছে বিদ্যালয়ের পাঠদান।
এমন চিত্র ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের খড়িয়ালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের।
বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, আশুগঞ্জ উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের খড়িয়ালা পূর্বপাড়ায় ১৯৬৮ সালে খড়িয়ালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। বিদ্যালয়ে ২৪৭ জন শিক্ষার্থী পড়াশোনা করে। এর মধ্যে ছেলে শিক্ষার্থী ১০৮ ও মেয়ে শিক্ষার্থী ১৩৯ জন আছে। বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক ও একজন সংযুক্তি শিক্ষকসহ পাঁচজন আছেন।
২০০১-২০০২ অর্থ বছরে বিদ্যালয় চত্বরের পূর্বদিকে একটি পাকা ভবন এবং ২০০৫-০৬ অর্থবছরে পশ্চিমদিকে আরেকটি পাকাভবন নির্মাণ করা হয়। দুটি ভবনই পিলারের ওপর দাঁড়িয়ে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ২০০৫-২০০৬ সালে নির্মাণ করা বিদ্যালয়ের পশ্চিমদিকের ভবনের নিচের পিলার, বিমের পলেস্তরা খসে পড়েছে। বেশ কয়েকটি জায়গায় রড বের হয়ে গেছে। পশ্চিমদের ভবনে শ্রেণিকক্ষ, বারান্দা, দপ্তরের ছাদের ওপর একাধিক জায়গায় ফাটল আছে। খসে পড়ছে পলেস্তরা। এর মধ্যেই প্রধান শিক্ষক হাসিনা বেগমসহ অন্য শিক্ষকরা ঝুঁকি নিয়েই সেখানে পাঠদান চালিয়ে যাচ্ছেন। পশ্চিমদিকের জরাজীর্ণ ভবনে দুটি শ্রেণিকক্ষ, একটি দাপ্তরিক কাজ ও শিক্ষকদের বসার জন্য একটি কক্ষ এবং শৌচাগার আছে।
বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, পশ্চিমদিকের ভবনে সকাল ৯টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত প্রাক প্রাথমিকের এবং সাড়ে ১২টা থেকে সোয়া ৪টা পর্যন্ত পঞ্চম শ্রেণির পাঠদান চলে। পাশের ভবনে দ্বিতীয় থেকে চতুর্থ শ্রেণির পাঠদান চলে। প্রধান শিক্ষক হাসিনা বেগম গত বছরের শেষ দিকে বিদ্যালয়ের জরাজীর্ণ ভবনের কথা উল্লেখ করে নতুন ভবনের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে চিঠি লিখেন। একাধিকবার সংশ্লিষ্ট দপ্তরে ভবনটির দুরবস্থার কথা জানালেও কোনো কাজ হয়নি। অনেকটা ঝুঁকি নিয়েই সেখানে পাঠদান চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষকরা।
পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী আবদুল হাই, রোমান মিয়া, জোনাকি আক্তার জানায়, ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে ক্লাস করতে তাদের ভয় লাগে। ছাদের রড বের হয়ে গেছে। স্কুলের ছাদ থেকে সিমেন্ট খসে খসে পড়ে। সিঁড়ির দেওয়ালও ভেঙে গেছে। সিঁড়ির দিকের ফাটল দেখলে ভয় লাগে। ভয় নিয়ে আমরা ক্লাস করি।
স্থানীয় হানিফ মিয়া বলেন, চার বছর আগে নির্মাণ করা ভবন ভালো আছে। পরে নির্মাণ করা ভবন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। জরাজীর্ণ ভবনে আতঙ্ক নিয়ে চলে শিক্ষা কার্যক্রম।
খড়িয়ালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাসিনা বেগম বলেন, সর্বশেষ ২০২২ সালের শেষের দিকে বিদ্যালয়ের একটি ভবনের জরাজীর্ণের অবস্থা উল্লেখ করে নতুন ভবনের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে চিঠি দিয়েছি। আগেও বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার চিঠি দেওয়া হয়েছে। পাঠদান চালানোর জন্য বিকল্প কোনো ভবন নেই। তাই বাধ্য হয়েই জরাজীর্ণ ভবনে শ্রেণির কার্যক্রম এবং দাপ্তরিক কার্যক্রম চালাতে হয়।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা খোরশেদ আলম বলেন, জেলা ও সব উপজেলার জরাজীর্ণ ভবনের তালিকা সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। নতুন প্রকল্প বাস্তবায়নের তালিকায় এ বিদ্যালয়ের নামও আছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কারাগারে গ্রিলে গামছা পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছেন মো. জুয়েল নামে এক হাজতি। আজ ২৫ অক্টোবর শুক্রবার সকালে ময়নাতদন্তের শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এর আগে, ২৪ অক্টোবর বৃহস্পতিবার রাতে জেলা কারাগারে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এক কারারক্ষীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি দুজনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করা হয়েছে। মৃত মো. জুয়েল ব্রাহ্মণবাড়িয়া আশুগঞ্জ উপজেলার চরচারতলা গ্রামের আবু চাঁন মিয়ার ছেলে। জুয়েল ২০২০ সালে স্ত্রী হত্যার দায়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কারাগারে ছিলেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কারাগারের (ভারপ্রাপ্ত) জেল সুপার মো. ইকরামুল হক নাহিদ জানান, স্ত্রী হত্যা মামলায় বিচারাধীন ছিলেন জুয়েল। তাকে কারাগারে সেলে রাখা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার রাতে তিনি সেলের গ্রিলে গামছা পেঁচিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।
এ সময় কারারক্ষীরা তাকে উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিলে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। তিনি আরো জানান, এ ঘটনায় কর্তৃপক্ষের নির্দেশে রিপন বড়ুয়া নামে এক কারারক্ষীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এছাড়াও প্রধান কারারক্ষী আব্দুর রশিদ ও সহকারী কারারক্ষী উত্তম কান্তি বড়ুয়ার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতেই সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে। শুক্রবার ময়নাতদন্তের শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
আশুগঞ্জ থানার পুলিশের মাদকবিরোধী অভিযানে ২১ কেজি গাঁজা এবং ১ টি পিকআপ আটক করা হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ মিডিয়া উইংস-এর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আজ ৭ অক্টোবর সোমবার ১২টা ৪৫ মিনিটে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ থানার পুলিশের মাদকবিরোধী অভিযানে এসআই (নিরস্ত্র) মো. মহিউদ্দিন শেখ তার সঙ্গীয় ফোর্সসহ মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করে। বগইর এস আলম এগ্রো ফুড-এর দক্ষিণ পাশে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ঢাকাগামী রাস্তার বাম পাশ থেকে একটি পিকআপের অজ্ঞাতনামা চালক ও মালিকের এর ফেলে যাওয়া ২১ কেজি গাঁজাসহ পিকআপটি উদ্ধার করে।
পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার লক্ষ্যে আশুগঞ্জ থানায় জব্দকৃত পিকআপ অজ্ঞাতনামা চালক ও মালিকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
চলারপথে রিপোর্ট :
আশুগঞ্জে ১০৪ কেজি গাঁজাসহ দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ১৭ আগস্ট শনিবার সকাল ৮টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর টোল প্লাজার সামনে থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার মো. মমিন শেরপুর জেলার সদর উপজেলার নয়াপাড়া (মোকচ্ছেদপুর) এলাকার ফজল হকের ছেলে ও একই উপজেলার তেতুলতলা এলাকার নওশের মিয়ার ছেলে মো. নয়ন মিয়া।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চত করে আশুগঞ্জ থানার ওসি সফিউল কবির বলেন, শনিবার সকালে জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর টোল প্লাজার সামনে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করা করা হয়। অভিযানকালে টোল প্লাজার সামনে থেকে পিকআপভ্যানসহ দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়। পরে পিকআপভ্যান তল্লাশি করে ১০৪ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মাদকের বিরুদ্ধে এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ২৪ কেজি গাঁজা এবং ৩ হাজার ৭৭৩ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ চার মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আজ ১৬ জুলাই রবিবার সকালে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের আশুগঞ্জ উপজেলার সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর টোল প্লাজার সামনে ও গতকাল শনিবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সুলতানপুর-আখাউড়া আঞ্চলিক সড়কের কোড্ডা রেলগেইটের পাশ থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, নারায়নগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ উপজেলার ডহরগাঁও গ্রামের মোঃ জালাল উদ্দিন (৩২), একই জেলার আড়াইহাজার উপজেলার বাটিকবালিয়াপাড়ার মোঃ রবিন মিয়া রনি (২৩), কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরবপুর গ্রামের নিবির মিয়া (২১) ও ভৈবর টিনবাজার এলাকার অন্তর দাস (১৯)।
এ ব্যাপারে আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাহিদ আহাম্মেদ বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রবিবার সকালে আশুগঞ্জ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর টোল প্লাজার সামনে অভিযান চালিয়ে একটি প্রাইভেটকার আটক করা হয়। পরে প্রাইভেটকারে তল্লাশী চালিয়ে ২৪ কেজি গাঁজাসহ জালাল উদ্দিন ও রবিন মিয়া রনিকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে থানায় মাদক আইনে মামলা হয়েছে।
অপর দিকে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ এমরানুল ইসলাম বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার দুপুরে সদর উপজেলার সুলতানপুর-আখাউড়া আঞ্চলিক সড়কের কোড্ডা রেলগেইটের পাশে অভিযান চালিয়ে নিবির মিয়া-ও অন্তর দাসকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জে ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে মো. কবির মিয়া নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন।
আজ ২৫ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার সকালে আশুগঞ্জ রেলস্টেশনের অদূরে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত যুবক উপজেলার যাত্রাপুর এলাকার মো. আমির হোসেনের ছেলে।
পরিবার ও স্থানীয়রা জানান, নিহত কবির পেশায় একজন প্লাম্বার মিস্ত্রি ছিলেন। সকালে কবির যাত্রাপুর থেকে রেলপথ ধরে আশুগঞ্জে যাওয়ার পথে এই ঘটনার শিকার হন। ধারণা করা হচ্ছে ঘন কুয়াশায় কিছু দেখতে না পাওয়ায় তিনি ট্রেনের নিচে কাটা পড়েন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে কোন ট্রেনের নিচে তিনি কাটা পড়েছেন তা জানা যায়নি। তিনি আরো জানান, ঘটনার তদন্ত চলছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।