চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার শ্রেষ্ঠ শিক্ষার্থী নির্বাচিত হয়েছেন নাসিরনগর উপজেলার সাদিয়া সাবাহ জেসি। সে নাসিরনগর আশুতোষ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী। জেসির বাড়ি নাসিরনগর উপজেলার সদর ইউনিয়নের কুলিকুন্ডা গ্রামে।
তার পিতা মোঃ আমির আলী ভূইয়া উপজেলার মকবুলপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও মাতা তাছলিমা বেগম উপজেলার পূর্বভাগ দক্ষিণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা।
স্কুল সূত্র জানায়, সাদিয়া সাবাহ জেসি জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ-২০২৩ সালে প্রথমে নাসিরনগর উপজেলার শ্রেষ্ঠ শিক্ষার্থী ও পরে জেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ শিক্ষার্থী নির্বাচিত হয়েছেন। জেসি জানান, তার এই অর্জনে পিতা-মাতাসহ বিদ্যালয়ের শ্রদ্ধেয় শিক্ষকদের বিরাট ভ‚মিকা রয়েছে।
জেসি চট্টগ্রাম বিভাগেও নিজের শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রাখতে পারেন এজন্য সকলের কাছে দোয়া চেয়েছেন।
উল্লেখ্য, সাদিয়া সাবাহ জেসি ২০১৮ সালে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেয়েছিল।
চলারপথে রিপোর্ট :
পাবনার টেবুনিয়া রেল স্টেশন এলাকা থেকে আন্তঃজেলা ছিনতাইকারী চক্রের চার নারী সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃত ছিনতাইকারী নারী সদ্যরা সবাই ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর থানা বাসিন্দা। তাদের নামে দেশের বিভিন্ন থানাতে একাধিক চুরি ও ছিনতাইয়ের মামলা রয়েছে। এই ঘটনায় পাবনা সদর থানাতে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আটককৃত নারী সদস্যরা হলো নাসিরনগর থানার দৌলতপুর গ্রামের মোঃ মানিক মিয়ার স্ত্রী রুবিনা ওরফে রোজিনা খাতুন (৪০), একই এলাকার মহারাজ মিয়ার স্ত্রী হালিমা বেগম (৩৫), মোঃ রুবেলের স্ত্রী নিপা খাতুন (২৫) ও মোঃ মাসুদ মিয়ার স্ত্রী রুহেলা ওরফে রোহেলা বেগম (২২)। তাদের সবারই বাড়ি একই গ্রামে। তারা দীর্ঘদিন ধরে দেশের বিভিন্ন জেলায় বাস, ট্রেন ও পরিবহনে কৌশল করে ছিনতাই ও চুরির কাজ করে আসছেন বলে জানায় পুলিশ।
পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রওশন আলী জানান, গত ১৬ নভেম্বর রাতে রাজশাহী থেকে ছেড়ে আসা ঢালারচর এক্সপ্রেস ট্রেনে ফাতেমা খাতুন নামে এক যাত্রী টেবুনিয়া রেলস্টেশনে নামেন। সেখানে ওই নারী ও তার স্বামী মোঃ জুলহাস খান নিজ গন্তব্যে যাওয়ার জন্য একটি ইজিবাইকে উঠেন। ঘটনাক্রমে আটকৃত ছিনতাইকারী নারী সদস্যরা পরিকল্পিতভাবে তারাও ওই ইজিবাইকে উঠেন। পথিমধ্যে তারা অসুস্থতার ভান করে ওই মহিলা যাত্রীর গলা থেকে স্বর্ণের চেন ছিনিয়ে নেয়। সে সময় ওই যাত্রী বুঝতে পেরে চিৎকার দেন, এ সময় স্থানীয়রা এসে তাদের আটক করে পুলিশের কাছে সপর্দ করেন।
এই ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী পাবনা সদর থানাতে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা ছিনতাইয়ের শিকার হয়েছেন। শুক্রবার দুপুরে আইনগত পক্রিয়া শেষে তাদের জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
রাজধানীতে বিএনপি-জামায়াতের ‘নৈরাজ্য ও অগ্নিসন্ত্রাসের প্রতিবাদে’ নাসিরনগরে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে উপজেলা আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলো।
আজ ৩১ জুলাই সোমবার দুপুরে নাসিরনগর উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। মিছিলটি উপজেলা সদরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপজেলা শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে গিয়ে শেষ হয়।
পরে সেখানে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য প্রদান করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য বদরুদ্দোজা মোহাম্মদ ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি অসীম কুমার পাল, সাধারণ সম্পাদক মো: লতিফ হোসেন, উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক রায়হান আলী ভূঁইয়া, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নির্মল চৌধুরী ও উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শুভ সিদ্দিকী প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা বলেন, বিএনপি-জামায়াত দেশে আবার নতুন করে নৈরাজ্য শুরু করেছে। আন্দোলনের নামে তারা যদি সাধারণ মানুষের কোন ক্ষতি বা ধ্বংসাত্মক কাজ করে রাজপথে এর জবাব দেয়ার জন্য নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান বক্তারা। এ সময়ে তারা বর্তমান সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড তুলে ধরেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ছোট একটি রুম, পাশে টয়লেট। এই রুমে প্রায় ৮-৯ মাস ধরে বন্দি মানসিক ভারসাম্যহীন সুজিত দাস। রুমের দরজার নিচে একটু ফাঁক, এই ফাঁক দিয়েই দেওয়া হয় খাবার। খাবার দেওয়ার পর এই ফাঁকটুকু আবার বন্ধ করে দেয় স্বজনেরা। এভাবেই চলছিলো সুজিতের প্রায় ৮-৯ মাস।
গতকাল সোমবার দুপুরে স্থানীয় একজন ফাঁক দিয়ে সুজিতকে দেখতে পায়। পরে তিনি পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ এসে সুজিতকে উদ্ধার করে। ঘটনাটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার সদর ইউনিয়নের কাশিনগর এলাকার। উদ্ধার সুজিত দাস (৩৪) কাশিনগর এলাকার হরেন্দ্র দাসের ছেলে। উদ্ধারের পর পুলিশ সুজিতকে স্বজনদের মাধ্যমে গোসল করান ও ভালো কাপড় পড়ান।
নাসিরনগর থানার ওসি সোহাগ রানা সাংবাদিকদের জানান, সুজিত মানসিক ভারসাম্যহীন। ৭-৮ বছর আগে তিনি তার চাচাকে আঘাত করেন। পরে সুজিতের আঘাতে তার চাচার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের পর সুজিত জেল খাটে। জেল থেকে বের হয়ে আবার পাগলামি শুরু করে সুজিত। এতে পরিবারের সদস্যরা নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে। কাকে, কখন আবার আঘাত করে। পরিবারের স্বজনেরা সুজিতকে অনেক চিকিৎসাও করায়। তাতেও তার কোনো কাজ হয়নি। পরে পরিবারের সদস্যরা নিজেদের নিরাপত্তা স্বার্থে ছোট্ট একটি রুমে তাকে আটকে রাখে। এই রুমে সুজিত প্রায় ৮-৯ মাস আটকা ছিলো।
২৯ এপ্রিল সোমবার দুপুরে স্থানীয় একজনের মাধ্যমে খবর পায় পুলিশ। পরে পুলিশ এসে এই রুম থেকে সুজিতকে উদ্ধার করে। পরিবারের সদস্যদের মাধ্যমে সুজিতকে আবারো চিকিৎসার জন্য পাঠানো হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
নাসিরনগরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো’র জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২১ প্রকল্পের ট্যাবলেট বিতরণ করা হয়েছে।
আজ ১৬ মে মঙ্গলবার দুপুরে নাসিরনগর উপজেলা পরিষদ মিলনায়নে উপজেলা পরিসংখ্যান অফিস ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের আয়োজনে ট্যাবলেট বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ফখরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য বদরুদ্দোজা মোহাম্মদ ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান রাফি উদ্দিন আহমেদ, থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ হাবিবুল্লাহ সরকার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লতিফ হোসেন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রুবিনা আক্তার, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আজহারুল ইসলাম ভূঁইয়া ও নাসিরনগর সদর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান পুতুল রাণী দাস প্রমুখ।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপজেলার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারী, শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং সাংবাদিক বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে মিথ্যা ঘোষণায় পণ্য আমদানি ॥ সংশ্লিষ্টদেরকে নোটিশ
স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ব্রোকেন স্টোন বা চূর্ণ পাথরের ঘোষণা দিয়ে ভারত থেকে আমদানি হয়েছে ২৭০০ টন পাথরের ধুলা (ডাস্ট)। মিথ্যা ঘোষণায় পণ্য আমদানির অভিযোগে ছাড়পত্র মিলছে না কাস্টমসের। যে কারণে প্রায় এক মাস ধরে আখাউড়া স্থলবন্দরে এই ডাস্ট বা ধুলাগুলো পড়ে আছে। কাস্টমসের গঠিত তদন্ত কমিটিও ডাস্ট উল্লেখ করে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন। সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়িরা দাবি করেছেন, এতে প্রতিদিন লোকসান গুনতে হচ্ছে তাদেরকে। এ জন্য তারা কাস্টমস কর্তৃপক্ষকে দায়ী করছেন। রপ্তানিমুখী আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে প্রথমবারের মতো চূর্ণপাথর আমদানি হয় গত ১৩ নভেম্বর। এরপর কয়েক দফায় মোট ২৭০০ টন আমদানি করে ভারতীয় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এফকনস ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড। এ প্রতিষ্ঠানটি আশুগঞ্জ নদীবন্দর থেকে আখাউড়া স্থলবন্দর পর্যন্ত মহাসড়ক চারলেনে উন্নীত করার কাজের জন্য পাথর আমদানি করেছে। আমদানিকৃত চূর্ণপাথরগুলো প্রতি টন আমদানি হয়েছে ১৩ মার্কিন ডলারে। এগুলো বন্দর থেকে ছাড়ানোর কাজ পায় সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট খলিফা এন্টারপ্রাইজ। তবে কাস্টমস থেকে ছাড়পত্র নিতেই বাঁধে বিপত্তি। প্রথমবারের মতো আমদানি হওয়ায় পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ছাড়পত্র দেওয়ার কথা জানায় কাস্টমস। পরবর্তীতে এগুলো পরীক্ষা করে পাথরের বদলে ডাস্ট আনা হয়েছে জানিয়ে আটকে দেয়া হয়। ফলে প্রতিদিনই বন্দর কর্তৃপক্ষকে মাশুল বাবদ প্রায় ৩৬ হাজার টাকা গুনতে হচ্ছে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানকে।
অভিযোগ উঠেছে- আমদারিকারক প্রতিষ্ঠান ভাঙা পাথরের ঘোষণা দিয়ে ডাস্ট এনেছে। এজন্য কাস্টমসের তরফ থেকে চার সদস্যের তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়। তদন্ত শেষে রিপোর্ট দেওয়া হয় ডাস্ট হিসেবে। তবে দ্রুত এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে বলে জানান কাস্টমসের কর্মকর্তারা।
এদিকে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে চূর্ণ পাথর বা ডাস্ট আমদানির অনুমতি না থাকায় আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানকে আগামী ১০ দিনের মধ্যে তাদেরকে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে। সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট খলিফা এন্টারপ্রাইজকেও কার্যার্থে একই চিঠি দেওয়া হয়। সিএন্ডএফ এর মালিক হলেন আখাউড়া পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক মো.তাকজিল খলিফা কাজল।
খলিফা এন্টার প্রাইজের প্রতিদিন নাসির উদ্দিন বলেন, ‘আমরা প্রথম দফা আনার পর বলা হয় সব আনার পর অনুমতি দেওয়া হবে। এখন বলা হচ্ছে এ ধরণের পাথরের অনুমতি নেই। এখন পাথর আটকে থাকায় আমরা লোকসানের মুখে পড়েছি।’
আখাউড়া স্থল শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, ‘তদন্ত করে আমদানি করা পণ্য ডাস্ট হিসেবে পাওয়া গেছে। এ ধরণের পণ্য আমদানির অনুমতি নেই। এখন এ বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ যথাযথ ব্যবস্থা নিবেন।’