চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পরীক্ষা শেষে পুকুরে গোসল করতে নেমে রিফাত মিয়া (১২) নামের এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। আজ ২২ মে সোমবার বেলা সোয়া ১২টার দিকে জেলার সদর উপজেলা পরিষদ চত্বরের পাশের পুকুরে এই ঘটনা ঘটে।
রিফাত মিয়া জেলা শহরের মেড্ডা (মৃন্দালিপাড়া) এলাকার এমরান মিয়ার ছেলে এবং মেড্ডা (পশ্চিম) সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এমরানুল ইসলাম জানান, স্কুলের পরীক্ষা শেষে বাড়ি ফেরার পথে দুপুরে উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন পুকুরে গোসল করতে নামে রিফাত। গোসল করার কোনো এক পর্যায়ে সাঁতার না জানায় অসতর্কতাবশত পুকুরের পানিতে ডুবে যায় রিফাত। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।
চলারপথে রিপোর্ট :
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ছাত্র জনতা ও পুলিশের উপর হামলাসহ থানা ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ, পুলিশের গাড়ি ভাংচুর ও অস্ত্র লুটপাট সংক্রান্ত মামলায় মোহাম্মদ হরমুজ আলী (৬০) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আজ ৫ অক্টোবর শনিবার অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ মিডিয়া উইংস, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস রিলিজ থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী মোহাম্মদ হরমুজ আলী (৬০) ৯নং ওয়ার্ড সেন্দ, রামরাইল ইউপি’র মৃত রহিজ মিয়ার ছেলে। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় বিস্ফোরক আইনের ৩/৬ মামলা রুজু করা হয়।
উল্লেখ্য, তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার রামরাইল ইউনিয়নের সেন্দ ৯ নং ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগ সভাপতি ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
মাটিবাহী ট্রাক্টরের চাপায় তারিন (৮) নামে এক শিশু নিহত হয়েছে। ৪ এপ্রিল মঙ্গলবার বিকেলে সদর উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়নের হাবলাউচ্চ গ্রামের রাস্তায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত তারিন ওই এলাকার অটোরিকক্সা চালক আব্দুর রহিমের মেয়ে। সে হাবলাউচ্চ প্রাইমারি স্কুলে তৃতীয় শ্রেণীতে পড়াশোনা করতো।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম বলেন, বিকেলে স্কুল শেষে শিশু তারিন বাড়ি ফিরছিল। পথে গ্রামের রাস্তায় মাটিবাহী ট্রাক্টরের চাপা পড়ে সে। শিশুটি মাথায় আঘাত পেয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায়।
ওসি আরো বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। মরদেহ উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘাতক ট্রাক্টরটি আটক করতে অভিযান চালানো হচ্ছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মাজার জিয়ারত ও ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী সংসদের নেতৃবৃন্দ।
আজ ১০ জুলাই বুধবার দুপুরে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার মাজার প্রাঙ্গনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
এসময় নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মাননীয় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন, সহ-সভাপতি হাজি হেলাল উদ্দিন, কামরুজ্জামান আনসারী, অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজু, সৈয়দ মিজানুর রেজা, কাজী হারিসুর রহমান, গোলাম মহিউদ্দিন খান খোকন, জাতীয় পরিষদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম ভূঞা, উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য কাজী মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, আজিজুল হক, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এড. মাহবুবুল আলম খোকন, আবদুল হান্নান রতন, এড. তাসলিমা সুলতানা খানম নিশাত, সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ মো. মহসিন, তানজিন আহমেদ, সৈয়দ এখতেশামুল বারী তানজিল, কোষাধ্যক্ষ মহসিন মিয়া, আইন সম্পাদক এড. মফিজুর রহমান বাবুল, ত্রাণ সমাজকল্যাণ সম্পাদক আবদুল খালেক বাবুল, বন ও পরিবেশ সম্পাদক শাহআলম আলম, মহিলা সম্পাদিকা ফারহানা সিদ্দিক, সাংস্কৃতিক সম্পাদক জহিরুল ইসলাম, শিল্প বাণিজ্য সম্পাদক স্বপন রায়, যুব ক্রীড়া সম্পাদক এড. শাহানুর ইসলাম, শিক্ষা সম্পাদক অধ্যাপক নুরুন্নাহার বেগম, ধর্ম সম্পাদক অধ্যক্ষ মাওলানা আবুল কালাম, কৃষি সমবায় সম্পাদক এমবি কানিজ, শ্রম সম্পাদক মোস্তাক আহমেদ ভূঞা, বিজ্ঞান প্রযুক্তি সম্পাদক অধ্যক্ষ মোস্তফা কামাল, উপপ্রচার সম্পাদক মাসুম বিল্লাহ, কার্যকরী সদস্য উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম শিউলী আজাদ, এড. শিব শঙ্কর দাস, আলহাজ¦ নাজির মিয়া, জহিরুল ইসলাম ভূঞা, রফিকুল ইসলাম, কাজী মোরশেদ হোসেন কামাল, এড. লোকমান হোসেন, আলামিনুল হক আলামিন, হাজি বাবুল মিয়া, বাবুল মিয়া, আবুল হোসেন, সাইদুজ্জামান আরিফ। এছাড়া জনপ্রতিনিধিদের মধ্যে সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন শোভন, বিজয়নগর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আল জাবের উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে বুধবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টুর নেতৃত্বে কার্যকরী সংসদের নেতৃবৃন্দ ঢাকা থেকে টুঙ্গিপাড়ার উদ্দেশ্যে রওনা হন।
চলারপথে রিপোর্ট :
সাংগঠনিক আবৃত্তি চর্চায় গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদ প্রবর্তিত ‘গোলাম মুস্তাফা আবৃত্তি পদক’ অর্জন করায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাহিত্য একাডেমির সভাপতি, বিশিষ্ট কবি, সংগঠক ও গবেষক জয়দুল হোসেনকে সংবর্ধনা প্রদান করেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিভিন্ন সাহিত্য-সংস্কৃতি ও সামাজিক সংগঠনের সদস্যরা।
গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত বর্ণাঢ্য এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে কবি জয়দুল হোসেন সংবর্ধনা পরিষদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য, বরেণ্য আবৃত্তিশিল্পী ও প্রশিক্ষক গোলাম সারোয়ার।
কবি জয়দুল হোসেন সংবর্ধনা পরিষদের আহ্বায়ক ও বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক মো মনির হোসেন-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বঙ্গীয় সাহিত্য-সংস্কৃতি সংসদ জেলা শাখার সভাপতি, বিশিষ্ট কবি ও নাট্যকার আবদুল মান্নান সরকার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো: বাহারুল ইসলাম মোল্লা, নারীনেত্রী বেগম ফজিলাতুন্নাহার, জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগারের সহকারী পরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম লিমন, বঙ্গবন্ধু পরিষদের সদস্য সচিব এটিএম ফয়েজুল কবির, সাহিত্য একাডেমির সহ-সভাপতি মানিক রতন শর্মা, বাংলাদেশ বেসরকারি গণগ্রন্থাগার পরিষদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার সভাপতি কবি আমির হোসেন, নতুনমাত্রা পাবলিকেশনের স্বত্বাধিকারী, কবি ও সাংবাদিক আল আমীন শাহীন, ভাষা ও সাহিত্য অনুশীলন কেন্দ্রের সহ-সভাপতি মমিনুল আলম বাবু, নদী প্রাণ ও প্রকৃতি সুরক্ষা বিষয়ক সংগঠন তরী বাংলাদেশ-এর আহ্বায়ক শামীম আহমেদ, আবরনীর নির্বাহী পরিচালক, আবৃত্তিশিল্পী হাবিবুর রহমান পারভেজ, সমাজকর্মী কমরেড নজরুল ইসলাম, তিতাস আবৃত্তি সংগঠনের সহকারী পরিচালক সুজন সরকার, কবির কলমের সভাপতি কবি হুমায়ুন কবির, সোনালি সকালের সভাপতি ফাহিম মুনতাসির।
কিচিরমিচির সম্পাদক মনিরুল ইসলাম শ্রাবণ ও আবৃত্তিশিল্পী ফারদিয়া আশরাফী নাওমীর সঞ্চালনায় সভায় স্বাগত বক্তব্য উপস্থাপন করেন জেলা খেলাঘর আসরের সাধারণ সম্পাদক নীহার রঞ্জন সরকার। ধন্যবাদ বক্তব্য রাখেন সাহিত্য একাডেমির সাধারণ সম্পাদক মোঃ নুরুল আমিন। অনুষ্ঠানে সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় কবি জয়দুল হোসেনকে নিবেদিত কবিতা পাঠ করেন তিতাস সাহিত্য সংস্কৃতি পরিষদের উপদেষ্ট, কবি মোঃ আব্দুর রহিম ও সাহিত্য একাডেমির সদস্য রিপন দেবনাথ। অনুষ্ঠানে কবি জয়দুল হোসেন রচিত বিভিন্ন কবিতার দলীয় আবৃত্তি পরিবেশন করে সাহিত্য একাডেমি, তিতাস আবৃত্তি সংগঠন, ভাষা ও সাহিত্য অনুশীলন কেন্দ্র, আবরনি আবৃত্তি চর্চা কেন্দ্র এবং সোনালি সকাল সংগঠনের আবৃত্তিশিল্পীবৃন্দ। এছাড়াও দলীয় নৃত্য পরিবেশন করে সুরসম্রাট দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গনের নৃত্য শিল্পীর দল। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ সংবর্ধিত অতিথি কবি জয়দুল হোসেনকে ফুলের শুভেচ্ছা ও উপহার সামগ্রী প্রদান করেন।
সংবর্ধনা শেষে কবি জয়দুল হোসেন তার অনুভূতি ব্যক্ত করে বলেন- বাংলা সাহিত্যের আদি নিদর্শন চর্যাপদ যা মূলত কবিতা। পৃথিবীর অনেক ভাষার আদি নিদর্শনী কবিতা। ফলে বলা যায় মানুষের সাহিত্য সাধনার প্রথম থেকেই কবিতা রচনা তথা কাব্যচর্চা হয়ে আসছে। বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে সাংগঠনিক আবৃত্তি চর্চা শুরু হয় আশির দশকে। সমসাময়িক সময়ে আমি জেলার সাহিত্য-সংস্কৃতির চর্চা শুরু করি। সেই সঙ্গে আবৃত্তি চর্চাও। আমি নিজে কখনো আবৃত্তি না করলেও অন্যদেরকে দিয়ে আবৃত্তি করিয়েছি। কেননা আমি তখন থেকেই বুজতে পেরেছিলাম যে কবিতার লেখার মাধ্যমে, আবৃত্তি চর্চার মাধ্যমে মানুষের মাঝে দেশপ্রেম, সমাজ সচেতনতা ও চেতনা ছড়িয়ে দেয়া যায়। আবৃত্তি দিয়ে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করা যায়। সাংগঠনিকভাবে আবৃত্তি চর্চা করলে যে পুরস্কার পাওয়া যায়, এই বিষয়টি আমার আগে থেকে জানা ছিল না। তাই পুরস্কারে আমার নাম ঘোষণা করা হলে তখন থেকেই বিষয়টি নিয়ে আমি সন্দিহান ছিলাম। যা নিয়ে আমি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলেছি।
বক্তব্যে তিনি আরো বলেন- আমি কখনো পদক বা পুরস্কারের জন্য কোন কাজ করিনি, কোনো লেখা লেখিনি, আবৃত্তি চর্চা করিনি, সাংগঠনিক কাজও করিনি। আমি জীবনে যা করেছি তা নিজের মনের তাগিদে করেছি। দায়িত্ব ও চেতনা বোধ থেকে কাজ করেছি। সংগঠন করেছি নিজের আদর্শের জায়গা থেকে। তিনি অন্যদেরকেও নিজের নাম ছড়ানোর জন্য কাজ না করে, দেশ ও মানুষের জন্য কাজ করার কথা বলেন। বক্তব্যে তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে সাহিত্য-সংস্কৃতি চর্চার উর্বর ভূমি উল্লেখ করে সকলকে এই ভূমিতে সোনার ফসল ফলানোর জন্য আহ্বান জানান। তিনি তাকে সংবর্ধনা প্রদান করার জন্য আয়োজকদের এবং উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন- টেলিভিশনে ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে যেভাবে পারস্পরিক যুদ্ধের জনপদ, সংঘর্ষের জনপদ হিসেবে তুলে ধরা হচ্ছে, আমি মনে করি এটা উচিত নয়। কেননা এই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আছে সুদীর্ঘ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য। সে ঐতিহ্যের টানেই বারবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছুটে আসতে মন চায়। তিনি বলেন জয়দুল হোসেন আবৃত্তি পদকে ভূষিত হলেও আমরা তাঁকে এই ছোট্ট গণ্ডিতে সীমাবদ্ধ রাখতে চাই না। কেননা তাঁর দীর্ঘ জীবনে যা যা অবদান, সেই তুলনায় একটি সুনির্দিষ্ট বিষয়ে পুরস্কার খুবই ছোট্ট একটি অর্জন। তবে, যে কোনও পুরস্কার মানুষকে আলোকিত করে, দায়িত্বশীল করে। জয়দুল হোসেন তাঁর আলোয় সমাজ ও শিল্প সাহিত্যকে আরো আলোকিত করেছেন এবং ভবিষ্যতেও করবেন বলে আমার বিশ্বাস।
চলারপথে রিপোর্ট :
টানা কয়েকদিন থেকে সারাদেশের মতো ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বইছে তীব্র দাবদাহ। তীব্র গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। বিশেষ করে অতিরিক্ত গরমে অল্পতেই ক্লান্ত হয়ে পড়ছেন কর্মজীবী মানুষজন। যার কারণে ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা।
প্রচণ্ড রোদ উপেক্ষা করে রিক্সা চালকরা রিকশা চালাচ্ছেন। তাদের রিকশা চালাতে যেন কষ্ট একটু হলেও লাঘব হয় এজন্য গরম সহনীয় ক্যাপ বিতরণ করেছেন মানবিক ছাত্রনেতা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহাদাৎ হোসেন শোভন।
আজ ২৯ এপ্রিল সোমবার দুপুরে শহরের চারটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে ২ হাজার রিকশাচালকের মাঝে গরম সহনীয় ক্যাপ বিতরণ করা হয়। এছাড়াও বিশুদ্ধ পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ করা হয়েছে।
শোভন বলেন, যে কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করি। সেই ধারাবাহিকতায় ২ হাজার রিকশাচালকের মাঝে গরম সহনীয় ক্যাপ বিতরণ করা হয়েছে। আমরা এই কার্যক্রম অব্যাহত রাখার চেষ্টা করব। এজন্য সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। সবাই এগিয়ে আসলে যে কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগে মানুষের পাশে দাঁড়ানো যায়। এ সময় সবাইকে গাছ লাগানোর জন্য আহ্বান জানান তিনি।
ক্যাপ বিতরণের সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি অন্তু বিল্লাহ, উবায়দুর রহমান বাবু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রবিউল আলম রবিন, জসিম আহমেদ রবিন, সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল আমিন আফ্রিদী, আজহারুল হাসান মিঠু সহ ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।