চলারপথে রিপোর্ট :
স্মার্ট ভূমি ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলার মধ্য দিয়ে নাগরিক সেবাকে সহজ ও দ্রুত নিষ্পত্তি করার লক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভূমিসেবা সপ্তাহ শুরু হয়েছে। এ উপলক্ষে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আজ সোমবার সচেতনতামূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়। আজ ২৩ মে সোমবার বিকেলে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সচেতনতামূলক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ রুহুল আমীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কামরুল ইসলাম, গনপূর্ত বিভাগ,ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নির্বাহী প্রকৌশলী সাকিউল ইসলাম, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফিরোজুর রহমান ওলিও, জেলা রেজিষ্ট্রার মোঃ লুৎফুর রহমান, জিপি অ্যাডভোকেট ওয়াছেক আলী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা, সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শামীমা মুজিব, সাবেরা সোবহান বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বদিউজ্জামান,বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু হোরায়রাহ, বীর মুক্তিযোদ্ধা গাজী রতন মিয়া, ইউপি চেয়ারম্যান আলামিনুল হক পাবেল, জেলা নাগরিক ফোরামের সভাপতি সাংবাদিক পিযুষ কান্তি আচার্য, তরীর সভাপতি শামীম আহমেদ প্রমুখ।
ভূমিসেবা উপলক্ষে স্লাইডের মাধ্যমে সেবা সমূহ সম্পর্কে বিস্তারিত বর্ণনা করেন সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোশারফ হোসাইন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৭৬টি ভূমি অফিস আছেন। সেখানে জনগন যাতে সহজেই ভূমি সেবা পায়, জনগনকে যাতে কোন ধরনের ভোগান্তি পড়তে না হয়, সেজন্য সরকার সব ধরনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। স্মার্ট ভূমি ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলার মধ্য দিয়ে নাগরিক সেবাকে সহজ ও দ্রুত নিষ্পত্তি করার জন্য সরকার কাজ করছে। তিনি বলেন, অনলাইনের মাধ্যমে ভূমি সংক্রান্ত কাজ করা গেলেও জনগনকে ভূমি সংক্রান্ত সকল কাগজপত্র যত্ন করে রাখতে হবে। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার ল্যান্ড সার্ভে কমিশন গঠন করেছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে যাতে ২০ দিনের মধ্যে ই-নামজারি করা যায় সেজন্য কাজ চলছে। তিনি বলেন, ভূমি অফিসে কোন ধরনের অনিয়ম হলে তাকে শাস্তির আওতায় আনা হবে। সভায় সরকারি, বেসরকারি বিভিন্ন অফিসের শীর্ষ কর্মকর্তাগণ, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানগণ, ভূমি অফিসের কর্মচারী, কর্মকর্তাগণসহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন। পরে জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম ভূমিসেবা সপ্তাহ উপলক্ষে একটি সেবা বুথ উদ্বোধন করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ভাউচার সংরক্ষণ না করায় ডিমের দুই আড়ৎদারকে ১৪ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
আজ ১৬ আগস্ট বুধবার দুপুরে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ব্রাহ্মণবাড়িয়া কার্যালয়ের সহকারি পরিচালক মোঃ মেহেদী হাসান শহরের আনন্দ বাজারে অভিযান চালিয়ে এই জরিমানা করেন।
এ ব্যাপারে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ব্রাহ্মণবাড়িয়া কার্যালয়ের সহকারি পরিচালক মোঃ মেহেদী হাসান বলেন, দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল ও ভেজাল পণ্যের বিরুদ্ধে প্রতিনিয়তই বাজারে অভিযান চালানো হচ্ছে। অভিযানের অংশ হিসেবে বুধবার দুপুরে শহরের আনন্দ বাজারের ডিমের আড়ৎগুলোতে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এ সময় ডিম ক্রমের ভাউচার সংরক্ষণ না করায় ১টি আড়ৎদারকে ৪ হাজার টাকা ও অপর একটি আড়ৎদারকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পাশাপাশি তাদেরকে সর্তকও করা হয়। তিনি বলেন, ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বিরাসার-লালপুর আঞ্চলিক সড়কে মোটর সাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দেয়ালের সঙ্গে ধাক্কা লেগে আল-আমিন (৩৮) নামের এক কাতার ফেরত যুবক নিহত হয়েছেন।
৪ অক্টোবর বুধবার রাত ১১টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আল-আমিনের মৃত্যু হয়।
এর আগে বিকেলে ৪টার দিকে বটতলী বাজারের কাছে মোটর সাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে কবরস্থানের দেয়ালের সঙ্গে ধাক্কা লেগে আল-আমিন গুরুতর আহত হন। তিনি নাটাই উত্তর ইউনিয়নের নাটাই গ্রামের পশ্চিম পাড়ার বদলের বাড়ির সরুজ মিয়ার ছেলে।
সদর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসলাম হোসাইন আল-আমিনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বুধবার বিকেলে আল-আমিন বটতলী বাজার থেকে মোটরসাইকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে দিকে আসছিলেন। এসময় মোটর সাইকেলটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে। তাকে উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে চিকিৎসা দেওয়ার পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১১টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
আমাদের নদীগুলো আমাদের ভবিষ্যৎ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বিশ্বব্যাপী পালিত হলো আন্তর্জাতিক নদীকৃত্য দিবস ২০২৫। এই দিবসটি উপলক্ষে নদী ও প্রকৃতি সুরক্ষা সামাজিক আন্দোলন তরী বাংলাদেশ এর আয়োজনে নদী রক্ষায় দায়িত্ব ও দায়বদ্ধতা ‘ শীর্ষক এক আলোচনা সভা আজ ১৪ মার্চ শুক্রবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠানে হয়েছে।
সভায় বক্তারা নদী সুরক্ষার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক), মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।
বিশেষ অতিথি ছিলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব সভাপতি জাবেদ রহিম বিজন,মাল্টিপার্টি এডভোকেসি ফোরাম সাধারণ সম্পাদক এবিএম মমিনুল হক, জেলা নাগরিক ফোরামের সভাপতি পীযুষ কান্তি আচার্য, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাংবাদিক ইউনিয়ন সভাপতি দীপক চৌধুরি বাপ্পি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব সহ-সভাপতি ইব্রাহিম খান সাদাত, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু হুরায়রা।
সভায় সভাপতিত্ব করেন তরী বাংলাদেশ এর আহবায়ক শামীম আহমেদ।
সভায় বক্তারা নদী রক্ষায় প্রশাসনের পাশাপাশি সবার সক্রিয় অংশগ্রহণের আহবান জানান। সোহেল রানা ভূইয়ার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন তরী বাংলাদেশ এর আহবায়ক কমিটির সদস্য খালেদা মুন্নী। আমন্ত্রিত অতিথিদের পাশাপাশি নদীরক্ষায় করনীয় সংক্রান্ত বিষয়ে বক্তব্য রাখেন তরী বাংলাদেশ এর সদস্য মাহবুব খাঁন ও সফিউল আলম সুমন, মোহাম্মদ জাবেদ হোসাইন, মো. সাবের হোসাইন, শাহ আলম পালওয়ান।
আলোচনা সভায় বিভিন্ন গণমাধ্যম কর্মী ও সংগঠনের নেতৃবৃন্দের পাশাপাশি আরো উপস্থিত ছিলেন তরী বাংলাদেশ এর আহবায়ক কমিটির সদস্য নাফিজ আহমেদ সেলিম, হৃদয় কামাল, মোস্তফা দেলোয়ার, সদস্য সাদেকুল ইসলাম ভূঁইয়া, আলমগীর হোসাইন, শাকিল আহমেদ, শাহগীর মৃধা, আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, আব্দুল হেকিম, জুবাইদুর রহমান মেহেদী প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
গাজায় ইসরায়েলি বর্বর হামলা ও ভারতে মুসলমানদের ওপর আক্রমণের প্রতিবাদে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিক্ষোভ মিছিল করেছে তৌহিদি জনতা। ১৯ মার্চ বুধবার রাতে শহরের মুক্ত মঞ্চ থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক পদক্ষিণ করে প্রেসক্লাবের সামনে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে একটি সংক্ষিপ্ত প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিবাদ সমাবেশ শেষে প্রেসক্লাবের চত্বরে ইসরাইলের পতাকায় আগুন ধরিয়ে প্রতিবাদ করা হয়।
প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন হেফাজতে ইসলাম ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার দপ্তর সম্পাদক মাওলানা বেলাল হোসাইন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্র প্রতিনিধি শেখ আরিফ বিল্লাহ আজিজ, ছাত্রনেতা আবু বক্কর ছিদ্দিক ও মুফতি ইয়াছিন আরফাত।
এসময় বক্তারা বলেন, ফিলিস্তিনে মুসলমানদের ওপর বারবার বর্বর হামলা চালিয়ে মানুষ মারছে ইসরাইল। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। সেইসাথে আমরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানাই, যাতে ইসরাইলের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। এছাড়া ভারতেও আমাদের মুসলিম ভাইদের ওপর হামলা চালানো হচ্ছে।
আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। যদি মুসলমানদের ওপর নির্যাতন বন্ধ না করা হয়, তাহলে সকল মুসলমান ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলবে বলেও বক্তারা হুশিয়ারি দেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
প্রফেসর মুখলেছুর রহমান খান স্মৃতি ব্যাডমিন্টন টুর্ণামেন্ট-২০২৩ (সিজন-২) এর ফাইনাল ২ মার্চ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নিয়াজ মুহম্মদ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার, মাউশি’র সাবেক মহাপরিচালক (গ্রেড-১) প্রফেসর ফাহিমা খাতুন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের প্রফেসর ড. মোঃ শাহ আলম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতালের চেয়ারম্যান ডাঃ মোঃ আবু সাঈদ, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম মহিউদ্দিন খান খোকন, স্পাইডার গ্র“পের ডিরেক্টর কাজী রহমতউল্লাহ শৈবাল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ রবিউল হোসেন রুবেল।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের উপাধ্যক্ষ হামজা মাহমুদ, নিয়াজ মুহম্মদ উচ্চ বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি এস আর এম ওসমান গণি সজিব, প্রয়াত প্রফেসর মুখলেছুর রহমান খানের বড় ছেলে আবুল কালাম আজাদ, মেয়ে রাহেলা বেগম, ছোট ছেলে রোটারী ক্লাব অব ব্রাহ্মণবাড়িয়া তিতাসের প্রেসিডেন্ট ডাঃ মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান খান।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন শেখর চন্দ্র।
সার্বিক পরিচালনায় ছিলেন সাব্বির হোসেন সৌরভ, স্বদেশ, আকিল ও সবুর। খেলা পরিচালনা করেন সালাউদ্দিন।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর ফাহিমা খাতুন বলেন, খেলাধুলা ছাত্র-যুব সমাজকে অপরাধমূল কর্মকান্ড থেকে দূরে রাখে, আর ভ্রাতৃত্ববোধ সৃষ্টি করে। তাই আমাদের সন্তানদের সুন্দর ভবিষ্যৎ বিনির্মানের জন্য বেশি বেশি করে খেলাধুলার আয়োজন করে দিতে সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে এগিয়ে আসতে হবে। যুব সমাজকে খেলাধুলার প্রতি আগ্রহী করতেই প্রফেসর মুখলেছুর রহমান খান স্মৃতি ব্যাডমিন্টন টুর্ণামেন্ট এর আয়োজন করা হয়েছে। আমি এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই। তিনি বলেন, প্রফেসর মুখলেছুর রহমান খান একজন বড় মনের মানুষ ছিলেন। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা যখন জয়বাংলা শ্লোগান দিতে দ্বিধা করতো, তখনও তিনি জয়বাংলা শ্লোগান দিতেন।