চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগরে ঝড়ে গাছ পড়ে আলী আহম্মদ (৩২) নামে এক সিএনজিচালিত অটোরিক্সা চালকের মৃত্যু হয়েছে।
২৩ মে মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে নবীনগর পৌর এলাকার কোনাঘাট মোড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত আলী আহম্মদ উপজেলার বড়িকান্দি ইউনিয়নের থোল্লাকান্দি গ্রামের মৃত আলী আকবরের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার সকালে আলী আহম্মদ যাত্রী নিয়ে উপজেলার থোল্লাকান্দি থেকে নবীনগর আসছিলেন। পথিমধ্যে ঝড় শুরু হলে কোনাঘাট মোড়ে একটি জামগাছের নিচে অটোরিকশাটি নিয়ে আশ্রয় নেন। প্রবল ঝড়ে এক পর্যায়ে জামগাছটি উপড়ে অটোরিকশার ওপর পড়ে। এতে চালক আলী আহম্মদ ঘটনাস্থলেই মারা যান। এ ঘটনায় অটোরিকশায় থাকা চার যাত্রী আহত হন। আহতদের নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে কুমিল্লা হাসপাতালে রেফার্ড করেন।
নবীনগর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুদ্দিন আনোয়ার বলেন, প্রবল ঝড়ে গাছ পড়ে আলী আহম্মদ নামের এক সিএনজিচালিত অটোরিক্সা চালকের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগরে টিকটক করতে গিয়ে মোটর সাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ব্রিজের এপ্রোচে ধাক্কা লেগে মোঃ রাফি (১৮) নামে এক কলেজ ছাত্র নিহত হয়েছে। আজ ৩ ডিসেম্বর মঙ্গলবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর টু রাধিকা সড়কের নারুই (ব্রাহ্মণহাতা) গ্রামের পূর্ব পাশে বিলের ব্রিজের এপ্রোচে এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত রাফি নবীনগর উপজেলার আলমনগর গ্রামের দক্ষিণ পাড়ার মোঃ সামসু মিয়ার ছেলে।
মোঃ রাফি নবীনগর সরকারি কলেজের ছাত্র। নিহতের প্রতিবেশী মোঃ জামাল মিয়া তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, দুপুরে নবীনগর টু রাধিকা সড়কে বন্ধুদের নিয়ে টিকটক করতে যান রাফি। বন্ধুদের ধারণ করা ভিডিওতে দেখা যায় মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ব্রিজের এপ্রোচে ধাক্কা লেগে গুরতর আহত হন রাফি। তাকে উদ্ধার করে কুমিল্লা হাসপাতালে নেয়ার পথে মৃত্যু হয় তার।
নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুর রাজ্জাক জানান, এ বিষয়ে আমাকে কেউ অবগত করেনি। বিষয়টি খোঁজ নিচ্ছি।
চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগরে আজ ১৯ আগস্ট শনিবার উপজেলার রতনপুর ৭নং ওয়ার্ডের শাহপুর গ্রামে একটি বাল্যবিবাহ বন্ধ করা হয়েছে। মেয়েটি শাহপুর জয়দুন্নেসা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেনীর ছাত্রী।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানভীর ফরহাদ শামীম ঘটনা স্থলে উপস্থিত হয়ে মেয়ের অভিভাবক, স্থানীয় ইউপি সদস্য জাকির হোসেন ও নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গের কাছ থেকে মেয়ের বয়স ১৮ বছর পূর্ণ হওয়ার পূর্বে বিবাহ দেওয়া হবে না মর্মে অঙ্গীকারনামা গ্রহণ করেন।
এসময় স্থানীয় কাজীকে ও সতর্ক করা হয়েছে। এছাড়া উপস্থিত এলাকাবাসীকে বাল্যবিবাহ রোধ করতে সকল ধরনের তথ্য দিয়ে সহযোগিতার আহবান জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার।
চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগর উপজেলার কুড়িঘর গ্রামবাসীর উদ্যোগে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী লাঠি খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বিকালে কুড়িঘর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে লাঠি খেলাটি অনুষ্ঠিত হয়। লাঠি খেলাটি দেখার জন্য নাটঘর ইউনিয়নসহ উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে হাজার হাজার দর্শক উপস্থিত হন। ঢাক, ঢোল আর সানাইয়ের শব্দে চারপাশ আলোড়িত হয়। বাদ্যযন্ত্রের তালে নেচে নেচে লাঠি খেলে নানান অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে বাঙালি সংস্কৃতি ও গ্রামীণ জনজীবনের নানা দিক প্রদর্শন করে লাঠিয়ালরা। তারপরই শুরু হয় লাঠির কসরত। প্রতিপক্ষের লাঠির আঘাত থেকে নিজেকে রক্ষা ও তাকে আঘাত করতে ঝাঁপিয়ে পড়ার অসাধারণ দৃশ্য দেখেন উপস্থিত দর্শকরা। দর্শকদের করতালি আর হৈ-হুল্লোড়ে আরো জাঁকজমকপূর্ণ হয়ে উঠে লাঠি খেলার আসর।
এই লাঠিখেলায় কুড়িঘর গ্রামের একটি লাঠিয়াল বাহিনী দল অংশগ্রহণ করেন।
উক্ত লাঠি খেলায় কুড়িঘর মাঠ কমিটির সভাপতি মো: নান্নু মিয়ার সভাপতিত্বে ও মো: জাকির সরদার এর সঞ্চালণায় প্রধান অতিথি ছিলেন, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আমেরিকা প্রবাসী মাহি এম কাউছার।
উদ্বোধক ছিলেন উপজেলা বিএনপি নেতা ডা: মহি উদ্দিন মহিন।
বিশেষ অতিথি ছিলেন, শিবপুর পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই মো: মেহেদী হাসান, নবীনগর থানা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মমিনুল হক রুবেল, সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম অলিউল্লাহ, কামাল মেম্বার প্রমুখ। কুড়িঘর লাঠি খেলার সরদার আব্দুল আহাদ বলেন, গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী লাঠি খেলা আজ বিলুপ্তির পথে। আমাদের অঞ্চলে বিভিন্ন ধরনের লাঠি খেলা রয়েছে। আগে গ্রামের সাধারণ মানুষ বাংলা বর্ষবরণ, বিবাহ, চড়ক পূজা, সুন্নতে খাৎনা ইত্যাদি উপলক্ষে লাঠি খেলার আয়োজন করতেন। এখন আর সেই ভাবে আয়োজন করা হয় না।
আমন্ত্রিত অতিথিরা বলেন, ঐতিহ্যবাহী লাঠি খেলা বিলুপ্তি হওয়ার কারণে এর খেলোয়ার সংখ্যাও দিন দিন কমে যাচ্ছে। তৈরি হচ্ছে না নতুন কোন খেলোয়ার। আর পুরনো অভিজ্ঞ খেলোয়াড়রা পূর্বের মত লাঠি খেলা দেখাতে পারছে না। তারপরও তারা এই বয়সে ধারুণ খেলা দেখিয়েছেন। এই খেলার মাধ্যমে যুবসমাজ বিনোদন পেয়ে মাদক ছেড়ে এই বিনোদনে আগ্রহী হবে। তাই ঐতিহ্যবাহী এই লাঠি খেলা ধরে রাখতে বিনোদনের খোরাক জোগানোর জন্য সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
চলারপথে রিপোর্ট :
আজ ৮ অক্টোবর ভারত উপমহাদেশের রাগ সঙ্গীতের কিংবদন্তি সুর সম্রাট ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁর ১৬১তম জন্মদিন।
১৮৬২ সালের আজকের এই দিনেই তিনি তৎকালীন ত্রিপুরা প্রদেশের শিবপুর গ্রামে, যা বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার শিবপুর গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেছিলেন।
তার বাবা সবদর হোসেন খাঁ এবং মা সুন্দরী বেগম। শিশুকাল থেকেই সুরের প্রতি তার এক অন্যরকম আকর্ষণ ছিল। বাল্যকালে বড় ভাই ফকির আফতাব উদ্দিন খাঁর নিকট সঙ্গীতে তার হাতেখড়ি হয়। সুরের প্রতি তার এতটাই মোহ ছিল এই সুরের জ্ঞান অর্জনে তিনি মাত্র ১০ বছর বয়সে বাড়ি থেকে পালিয়েছিলেন।
কিশোর বয়সে ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ কলকাতার প্রখ্যাত সংগীত সাধক গোপালকৃষ্ণ ভট্টাচার্যের শিষ্যত্বে সাত বছর সরগম সাধন করে যন্ত্রসংগীত সাধনায় নিযুক্ত হন। এরপর থেকেই তিনি ভারতে বসবাস শুরু করে বাদ্যযন্ত্রের তালিম নিতে থাকেন। তিনি তার সুরের মূর্ছনায় তৎকালীন ব্রিটিশ রানী থেকে সুর সম্রাট উপাধিসহ ভারত উপমহাদেশে দুর্লভ উপাধি ও সম্মানে ভূষিত হন।
এদিকে, সুর সম্রাট ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ স্মৃতি সংসদের দিনটি পালনে ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁর নিজ জন্মভূমি শিবপুর গ্রামে আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, রাগসঙ্গীতকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেওয়া এই সঙ্গীতজ্ঞ ১৯৭২ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ভারতের মাইহারে মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুর পর সেখানেই তাকে সমাহিত করা হয়।
চলারথে রিপোর্ট :
‘পরিবর্তনশীল ও শান্তিপূর্ণ সমাজ গঠনে সাক্ষরতার প্রসার’ এই প্রতিপাদ্য কে নিয়ে সারা দেশের ন্যায় নবীনগরে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে সাক্ষরতা দিবস- ২০২৩ র্যালি ও আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে। স্কুলের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকগণ রেলিতে অংশ গ্রহণ করেন।
র্যালি শেষে আজ ৮ সেপ্টেম্বর শুক্রবার উপজেলা পরিষদ কনফারেন্স রুমে নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর ফরহাদ শামীম এর সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
নবীনগর উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মতিউর রহমানের সঞ্চালনায় উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহবুব আলম, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম বুলবুল সরকার, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা শামসুল আলম সরকার, একাডেমিক সুপার ভাইজার হাসনাত জাহান, প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি এটিএম রেজাউল করিম সবুজ, মডেল প্রেসক্লাব সভাপতি মো. আবু কাওসার, বিভিন্ন স্কুলের প্রধান শিক্ষকগণ ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
সভাপতির বক্তব্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন- যেখানে জাতীয় পর্যায়ে স্বাক্ষরতার হার অনেক বেশি সে অনুপাতে আমাদের নবীনগর উপজেলায় সাক্ষরতার হার কম, সাক্ষরতার হার বাড়ানোর জন্য যেখানে দুর্বলতা রয়েছে সেই জায়গা গুলোতে আমাদের কাজ করতে হবে, জাতীয় পর্যায়ের সাথে সামঞ্জস্য রেখে আমাদের সাক্ষরতাকে এগিযয়ে নিয়ে যেতে হবে, প্রয়োজন হলে আমরা সকল স্তরের জনপ্রতিনিধি, অভিভাবক এবং সমাজের শিক্ষিত জনদের নিয়ে একটি মতবিনিময় সভার আয়োজন করব।